ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন

বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি
🕐 ১০:০০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১১, ২০১৯

সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে বড়াইগ্রামে নাটোর-পাবনা মহাসড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মাটি টানার কাজে ব্যবহৃত অবৈধ ট্রাক্টর এবং সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত থ্রি-হুইলার। সম্প্রতি এ মহাসড়কের কদিমচিলান এলাকায় থ্রি-হুইলার ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৫ জন নিহত হওয়ার পর সাময়িকভাবে বন্ধ হলেও বর্তমানে অহরহই চলছে এসব অবৈধ যানবাহন।

জানা গেছে, মাটি টানার কাজে ব্যবহৃত ট্রাক্টর, থ্রি-হুইলার, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা, রিকশা ভ্যান, অটোটেম্পো ও অযান্ত্রিক যানবাহনের মহাসড়কে চলাচল নিষিদ্ধ করেছে সরকার। কিন্তু বর্তমানে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ট্রাক্টরগুলো পুকুর কাটা মাটি নিয়ে নাটোর-পাবনা মহাসড়কের বনপাড়া বাজার, ধানাইদহ ও কমিদচিলানসহ বিভিন্ন এলাকায় যাওয়া-আসা করছে।
এসব ট্রাক্টর থেকে নরম ও কাদামাটি পড়ে মহাসড়ক পিচ্ছিল হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া আহম্মেদপুর থেকে বনপাড়া ও রাজাপুর বাজার পর্যন্ত নিষিদ্ধ ঘোষিত সিএনজিচালিত থ্রি-হুইলার, ব্যাটারিচালিত রিকশা, রিকশা ভ্যান ও অযান্ত্রিক তিন চাকার যানবাহন চলাচল করছে। মহাসড়কে পড়ে থাকা নরম কাদা মাটি এবং লাইসেন্স ও রুটপারমিটবিহীন এসব যানবাহনের কারণে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে।
স্থানীয়রা জানান, মাঝেমধ্যে হাইওয়ে পুলিশ ব্যাটারিচালিত রিকশা, রিকশা ভ্যান ও অযান্ত্রিক যানবাহন বন্ধে অভিযান চালালেও অজ্ঞাত কারণে মাটি বহনকারী ট্রাক্টর বন্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় না। এ ছাড়া অল্প-মাঝারি দূরত্বে যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনে চাহিদা থাকায় থ্রি-হুইলারগুলোও পুরোপুরি বন্ধ করছে না। ফলে মহাসড়কে নিরাপত্তার ভয়াবহ ঝুঁকি থেকেই গেছে।
সমাজসেবক অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী আমিন উদ্দিন জানান, মহাসড়ক নিরাপদ করতে দ্রুতগতি ও ধীরগতির যানবাহনের জন্য পৃথক সড়ক বা লেন থাকতে হবে। নাটোর-পাবনা মহাসড়কে ধীরগতির যানবাহনের জন্য বিকল্প কোনো লেন নেই। তাই মহাসড়কে এসব যানবাহন চলায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।
মাটির কন্ট্রাক্টর ডাবলু মিয়া জানান, হাইওয়ে থানায় আমাদের কন্ট্রাক্ট করা আছে। তাদের অনুমতি নিয়েই আমরা মহাসড়কে ট্রাক্টর দিয়ে মাটি বহন করছি।
বনপাড়া হাইওয়ে থানার ওসি আলিম হোসেন শিকদার জানান, আমাদের অনুমতি নিয়ে বা যোগাযোগ করে মহাসড়কে ট্রাক্টর বা অবৈধ যানবাহন চলাচলের অভিযোগ সঠিক নয়। এসব অবৈধ যান বন্ধে প্রায়ই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

 
Electronic Paper