জয় চায় বিএনপি আওয়ামী লীগ
নুর মোহাম্মাদ সরকার, উল্লাপাড়া
🕐 ৯:৫৪ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১১, ২০১৮
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র কয়েকদিন বাকী। সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ভোটের মাঠ ততই সরগরম হয়ে উঠেছে। ইতোমধ্যেই ৬৫ সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া) আসনে ভোটাররা হিসাব-নিকাশ মিলাতে শুরু করেছেন। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত ১০টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ চারবার, বিএনপি দুইবার, জাসদ দুইবার, জাতীয় পার্টি স্বতন্ত্র থেকে একবার করে নির্বাচিত হন। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামাতের রফিকুল ইসলাম খান ৯৮ হাজার ভোট পেয়ে আওয়ামীলীগের শফিকুল ইসলামের সঙ্গে ভোট যুদ্ধে বাজিমত প্রতিদ্বন্দ্বী হন। এ আসনে বার বার জয়লাভ ও উন্নয়নের কথা চিন্তা করে এবারেও বিজয়ের ব্যাপারে আত্ম-বিশ্বাসী আওয়ামী লীগ।
অন্যদিকে, জোটের প্রার্থী আসনটি পূনরুদ্ধারে মরিয়া হয়ে লড়বেন বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী হওয়ায় নেতা কর্মীরা নির্বাচনী কেন্দ্র কমিটি নির্বাচনী কাজ চালিয়ে যাচ্ছে নির্বিঘ্নে। উল্লাপাড়া আওয়ামী লীগ, জামায়াত ও বিএনপির আলাদা আলাদা ভোট ব্যাংক রয়েছে। বিএনপি দলীয় কোদল মিটিয়ে ২০ দলীয় জোট থেকে একক প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে জামাতের কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা রফিকুর ইসলাম খানের পক্ষে কাজ করলে প্রাতিদ্বন্ধিতা পূর্ণ নির্বাচনে হবে বলে নিরপেক্ষ মহল মনে করেন। মহা ভোটের নৌকা প্রতীকের একক প্রার্থী তানভীর ইমাম দলকে সংগঠিত করে ভোটের মাঠে নেমে পড়ছেন।
বিগত দিনের নির্বাচনী সমীকরনে জানা গেছে, বর্তমানে উল্লাপাড়ায় প্রায় ৪ লাখ ভোটার রয়েছে। নব্বইয়ের গণ আন্দেলণের পর ১৯৯১ সালের ভোটে বিজয় হন বিএনপির এম আকবর আলী, ৯৬ সালের বিতর্কিত ভোটে বিজয়ী হন স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট সামছুল আলম, ১৯৯৬ সালের ১২ জুন ভোটে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের আব্দুল লতিফ মির্জা। ২০০১ সালের নির্বাচনে আবারো বিজয়ী হন বিএনপির এম আকবর আলী। ২০০৮ সালে নির্বাচনে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের শফিকুল ইসলাম শফি। ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হন শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্ঠা এইচটি ইমামের ছেলে তানভীর ইমাম। তিনি বিগত ৫ বছরে তারুন্যের একটি বিশাল অংশকে কাজে লাগিয়ে দলকে শক্ত ভীতের উপর দার করিতে সক্ষম হয়েছেন। নির্বাচনী প্রতীক ঘোষণার পর দুই জোটে দুই প্রার্থী নির্বাচনী প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাবেন।