নিষেধ মানছে না তুলশীগঙ্গার পাড় দখলদাররা
আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
🕐 ১০:০২ অপরাহ্ণ, মে ১৮, ২০১৮
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর শহরকে নদীভাঙনের হাত থেকে রক্ষায় তুলশীগঙ্গা পাড়ে ব্লকের কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ব্লক বসানোর পর নদীপাড়ের স্থাপনার মালিকরা জোর করে ব্লক সরিয়ে দখল করছে নদীর জমি।
এ ঘটনার গত ৩ মে দৈনিক খোলা কাগজে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে বিষয়টি জয়পুরহাট পানি উন্নয়ন বিভাগের নজরে আসলে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে আক্কেলপুর বাজার সংলগ্ন তুলশীগঙ্গা নদীর ডান তীরে মালিক আব্দুল মতিন, মাসুদ হোসেন, উৎপল চৌধুরী, আবুল হোসেন, মাজেদুল ইসলাম এবং মজিবর রহমানকে তিন দিনের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ ও অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়। না হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে লিখিত চিঠি দিয়েছেন জয়পুরহাট পানি উন্নয়ন শাখা-৪ এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী শাখা কর্মকর্তা আব্দুল মমিন।
লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরে চার ব্যক্তি অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ রাখলেও মাজেদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি তার স্থাপনা নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। সেই সঙ্গে তুলশীগঙ্গা নদীর ওপর ব্রিজ সংলগ্ন সিদ্দিক কাজী নামে এক ব্যক্তি নতুন করে স্থাপনা তৈরি করছেন।
পাউবো সূত্রে জানা গেছে, আক্কেলপুর পৌর এলাকার তুলশীগঙ্গা নদীর শাহ্ মুখদম মাজার থেকে কলেজ বাজার ব্রিজ পর্যন্ত ৩৫০ মিটার শহররক্ষা বাঁধে দুই কোটি ১৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্লক তৈরির একটি প্রকল্প হাতে নেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। কাজটি ২০১৫-১৬ অর্থবছরে শুরু হয়ে ২০১৭ সালের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা ছিল। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ধীরগতির কারণে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ব্লক বসাতে পারেনি। এরই মধ্যে নদীতে চলে আসে বৃষ্টির পানি। আর পানির মধ্যেই কিছু অংশ ব্লক ফেলে কাজ করা হয়।
নদীর পাড়ে অবৈধ স্থাপনা বন্ধ ও অপসারণে লিখিত চিঠি পাওয়ার পরও কেন কাজ করছেন জানতে চাইলে স্থাপনার মালিক মাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি স্থাপনা নির্মাণের আগে ব্লকের কাজে নিয়েজিত লোকজনকে বলেই করেছিলাম। তাহলে কেন আপনার নাম উল্লেখ করে চিঠি দেওয়া হলো জানতে চাইলে তিনি আর কোনো কথা বলেননি। জয়পুরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুল মুমিন বলেন, ‘তুলশীগঙ্গা নদীর পাড়ে যারা অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করছেন তাদের লিখিত চিঠি দেওয়া হয়েছে কাজ বন্ধ এবং অপসারণের জন্য। সরকারি আদেশ উপেক্ষা করে যারা স্থাপনা নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।