ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ওসির সৃজনশীল কর্মদক্ষতায় পাল্টে গেছে বেলকুচির চিত্র

এইচ এম আলমগীর কবির, সিরাজগঞ্জ
🕐 ৪:০৯ অপরাহ্ণ, জুন ০৫, ২০২৩

ওসির সৃজনশীল কর্মদক্ষতায় পাল্টে গেছে বেলকুচির চিত্র

সিরাজগঞ্জে তাঁত সমৃদ্ধ এলাকায় অবস্থিত বেলকুচি থানা। নির্বিঘ্নে পুলিশী সেবা বেলকুচি বাসীর পৌঁছে দিয়েছে বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন। মাত্র ৬ মাসেই পাল্টে দিয়েছে বেলকুচির চিত্র। আগের তুলনায় থানায় সেবার মানও বেড়েছে দ্বিগুণ। পুলিশী সেবায়মুগ্ধ বেলকুচিবাসী।

 

অপর দিকে থানার সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও দৃষ্টিনন্দন করতে এবং সহজেই মানুষকে সেবা দিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বেলকুচি থানার ওসি মো. আসলাম হোসেন। বিভিন্ন দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি থানাকে সাজিয়েছেন শৈল্পিক নৈপুণ্যে। ওসি মো. আসলাম হোসেনের সৃজনশীলতায় বদলে গেছে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থানার চিত্র।

বেলকুচি চরের মো. দুলাল খান, মোতালেবসহ অনেকে বলেন, গত ৪ জুন বিকালে একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। পরের দিন ৫ জুন সকালে ওসি সাহেব ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছে। স্ব শরীরে ওসির সাথে কথা বলে অভিযোগ দায়ের করেছি। টাকাতো দূরের কথা ওসির আচার-আচারণে আমি মুগ্ধ।

ওসি মো. আসলাম হোসেন গত ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ইং তারিখে এ থানায় যোগদান করেন। ৬ মাসের মধ্যেই সৃজনশীল ও যুগোপযোগী পরিকল্পনার ফলে বেলকুচি থানা ও পুলিশ হয়ে উঠেছে এ উপজেলার মানুষের আস্থার ঠিকানা। তিনি এ থানায় যোগদানের পর থেকেই মানবিক ও জনবান্ধব পুলিশ হিসেবে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ নানা বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করেন বেলকুচি উপজেলায়।

যোগদানের পর থেকেই নিজের সৃজনশীল কর্মদক্ষতায় চেষ্টা করে যাচ্ছেন মাদক, সন্ত্রাস, ইভটিজিং, জঙ্গিবাদ, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধমুক্ত একটি থানা গড়তে। শুরু থেকেই উপজেলাব্যাপী মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে মাদক নির্মূল করেছেন। যেখানে হাত বাড়ালেই মিলতো যে কোন ধরণের মাদক দ্রব্য। বর্তমানে উপজেলাব্যাপী মাদকের চিত্র নেই বললেই চলে। এছাড়াও পারিবারিক, জমি-জমা বিরোধের জেরে মারপিট, রাজনৈতিক কোন্দলও তিনি থানায় বসে মিমাংসা করে এলাকার পরিবেশ শান্ত রেখেছেন।

ওসি মো. আসলাম হোসেন বলেন, কোনো চাওয়া-পাওয়ার জন্য নয়, পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ভালো লাগার জায়গা থেকে কাজগুলো করেছি। মানবিক ও জনবান্ধব পুলিশ হিসেবে জনগণের পাশে দাঁড়াতে সর্বদা কাজ করে যাচ্ছি। মানবিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি যে কোনো অপরাধ দমন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে সর্বদা সজাগ আছি।

তিনি আরো বলেন, সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপারের নির্দেশে যোগদানের পর থেকেই মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে উপজেলাব্যাপী মাদক নির্মূল করেছি। তারপরও হত্যা মামলার আসামিদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার, নিয়মিত অভিযানে ইভটিজিং, বাল্যবিয়ে, মারপিট থেকে শুরু করে প্রায় সকল ধরণের অপরাধ প্রবণতা অনেক কমেছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত প্রায় ২০ কেজি গাঁজা, তথ্য ও প্রযুক্তি মাধ্যমে ওরেন্টভুক্ত আসামি গ্রেফতার, হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া মোবাইল ফোন উদ্ধারসহ প্রতিদিন রাতে থানার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করা হয়।

উল্লেখ্য, মো. আসলাম হোসেন বৃহত্তর পাবনা জেলার সাথিয়া থানার সম্ভান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান। তিনি গত ২০১০ সালে বাংলাদেশ পুলিশে উপ-পরিদর্শক (এসআই) হিসেবে যোগদান করেন। তিনি সিরাজগঞ্জ সদর থানা, বগুড়া সদর থানা, শেরপুর থানা, এনায়েতপুর থানা, শাহজাদপুর থানা ও গত ২০১৭ সালের আগষ্ট মাসে তিনি ইন্সপেক্টর পদে পদায়ন হয়। পরে ২০২২ সালে ১৩ ডিসেম্বর ওসি হিসেবে বেলকুচি যোগদান করে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছে।

 
Electronic Paper