ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

যমুনার পানি বাড়ায় ভাঙন, আতঙ্কে চরাঞ্চলের মানুষ

এইচ এম আলমগীর কবির, সিরাজগঞ্জ
🕐 ৫:৫৬ অপরাহ্ণ, মে ২৪, ২০২৩

যমুনার পানি বাড়ায় ভাঙন, আতঙ্কে চরাঞ্চলের মানুষ

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীতে পানি বাড়ার সঙ্গেসঙ্গে জেলার চৌহালী, এনায়েতপুর ও শাহজাদপুর উপজেলার বিভিন্ন অংশে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। ফলে এনায়েতপুরের ব্রাহ্মনগ্রাম ও আড়কান্দি গ্রামের প্রায় ৫০টি ঘর-বাড়ি ও আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আতঙ্কে যমুনা পাড়ের মানুষ। বর্ষার সময় কী হবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় নির্ঘুম রাত কাটছে নদীপাড় ও চরাঞ্চলের মানুষের।

স্থানীয়রা বলেন, সহায় সম্বলহীন হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে অনেক পরিবার। ভাঙ্গন আতংকে অনেকেই এখন ঘর বাড়ি ভেঙ্গে নিয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে। ভাঙ্গন কবলিতদের অহাজারি থামছেই না। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সঠিক সময়ে স্পার বাঁধ এলাকা থেকে দক্ষিণ পাঁচিল পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার নদী তীর সংরক্ষণ বাঁধের কাজ শুরু না করায় খুকনী ও জালালপুর ইউনিয়নের অন্তত ১০ গ্রামে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, ভাঙন রোধে জরুরি ভিত্তিতে ভাঙ্গনকবলিত এলাকায় বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।

ভাঙন কবলিত ব্রাহ্মণ গ্রামের মনিরুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম, মনতাজ আলী, সুফিয়া খাতুন, হাসমত, সিদ্দিক, রউফ ও মোহাম্মদ আলীসহ অনেকেই অভিযোগ করেন, দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে এ অঞ্চলে যমুনার অব্যাহত ভাঙনে ব্রাহ্মণগ্রাম ও আরকান্দি গ্রামের অধিকাংশ অঞ্চলই নদীগর্ভে চলে গেছে। বছরের পর বছর ধরে ভাঙনে নদী তীরবর্তী মানুষ সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। এদের অনেকেই এখন খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছে। এতে মানবেতর জীবন যাপন করছে বহু পরিবার।

এছাড়া হুমকির মুখে পড়েছে বহু স্থাপনাসহ ঘর-বাড়ি। অনেক আন্দোলনের পর গত বছর এ অঞ্চলে ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সাড়ে ৬ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু করে। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও পাউবোর গাফিলতি এবং উদাসীনতায় ভাঙন থেকে রক্ষা পাচ্ছে না এ জনপদের মানুষ। সাড়ে ৬শ কোটি টাকার কাজ চলছে, অথচ কোনো বস্তা ডাম্পিং কিংবা প্রয়োজনীয় কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

ভাঙন কবলিত আরকান্দি গ্রামের আমিনুল ইসলাম, নুরুল হক, নুরুজ্জামান ও আবু বক্কার বলেন, প্রায় ১০/১২ দিন আগে তাদের বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সহায় সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে তারা এখন অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান খোলা কাগজকে বলেন, দুই পাশে জিও ব্যাগ দিয়ে কাজ চলমান রয়েছে এবং জিও টিউব সংযোজন করা হয়েছে। ড্রেজিংয়ের কাজ চলমান রয়েছে। ভাঙন রোধের সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি চৌহালীতে একটা প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। সেই প্রকল্পের কাজ শিগগিরই শুরু হবে। ভাঙন রোধের জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।

 
Electronic Paper