ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

তাড়াশে স্বাস্থ্য সহকারীর ১৩টি পদ শূন্য থাকায় টিকাদান ব্যাহত

আশরাফুল ইসলাম রনি, তাড়াশ
🕐 ৪:১৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৩০, ২০২২

তাড়াশে স্বাস্থ্য সহকারীর ১৩টি পদ শূন্য থাকায় টিকাদান ব্যাহত

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে স্বাস্থ্য সহকারীর ১৩টি পদ শূন্য থাকায় সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকাদানের দিনগুলোতে জনবল সংকটের কারণে শিশু, কিশোরী, গর্ভবতী মাকে টিকা নিতে এসে দীর্ঘ সময় টিকাদান কেন্দ্রে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন শিশু, কিশোরী, গর্ভবতী মায়েরা।

তাড়াশ ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) কর্মসূচির আওতায় সরকার বিনামূল্যে ০-১৮ মাস শিশু, কিশোরী, গর্ভবতী মায়েদের জন্য যক্ষ্মা, ডিপথেরিয়া, ধনুষ্টংকার, হুপিংকাশি, পোলিও, হেপাটাইটিস বি, হিমো-ইনফ্লুয়েঞ্জা বি, হাম ও রুবেলা এই ৯টি রোগের প্রতিষেধক টিকা প্রয়োগ নিশ্চিত করেছেন।

এছাড়া ১৫-৪৯ বছরের মহিলাদের জন্য নিধারিত ৫ ডোজ টিটি টিকাও প্রদান করা হয়ে থাকে। সেই মোতাবেক এই উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ৭২টি ওয়ার্ডে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি চালু আছে। কিন্তু প্রায় ৮ বছর ধরে টিকাদান কর্মসূচিতে দায়িত্ব পালন করা স্বাস্থ্য সহকারীর ৩৫টি পদের ১৩ টি পদই শূন্য রয়েছে। ফলে জনবল সংকটে পড়েছে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি।

উপজেলা ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল টিকাদান কেন্দ্রে শিশুকে টিকা দিতে আসা সদরের মৃণাল সরকার মিলু বলেন, সকালে আমার শিশু কন্যাকে টিকাদানের জন্য নিয়ে এসেছি। কিন্তু টিকাদান কেন্দ্রে একজন মাত্র স্বাস্থ্য সহকারী টিকা প্রয়োগ করছিলেন। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা আরো অনেক শিশু, মা ও কিশোরী টিকা নিতে তাদের দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিল।

পৌর এলাকার শিপ্রা ঘোষ বলেন, রবি ও বুধবার টিকাদানের নিধারিত দিনে জনবল সংকটের কারণে টিকা প্রত্যাশীদের ভোগান্তি বর্তমানে অনেক বেড়েছে। এ অবস্থা ওয়ার্ড পর্যায়েও। বারুহাস গ্রামের ফাতেমা খাতুন বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে থাকা ৭২টি টিকাদান কেন্দ্রের অনেকগুলোতে স্বাস্থ্য সহকারীর অপ্রতুলতার কারণে টিকা প্রদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য হাসপাতালের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির স্বাস্থ্য সহকারী মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, বর্তমানে জনসংখ্যা বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে টিকা গ্রহীতার সংখ্যাও। কিন্তু বাড়েনি স্বাস্থ্য সহকারীর পদ। আর এ উপজেলায় ৩৫ জনের স্থলে আমরা ২২ জন স্বাস্থ্য সহকারী কাজ করছি। জনবল সংকটের কারণে আমাদেরকে রেশনিং পদ্ধতিতে ওয়ার্ড পর্যায়ে টিকাদানের কাজ করতে হচ্ছে। এতে টিকাদানে কিছুটা ছন্দ পতন ঘটেছে। এছাড়া স্বাস্থ্য সহকারীদের শুধু টিকাদানই নয়, সপ্তাহে আরো তিন দিন বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিকে দায়িত্ব পালন করতে হয়।

উপজেলা ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. মনোয়ার হোসেন সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচিতে জনবল সংকটের বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, ২০১৪ সালের পর সরকারিভাবেই স্বাস্থ্য সহকারী পদে আর কোনো নিয়োগ হয়নি। ফলে এই উপজেলায় স্বাস্থ্য সহকারীর ১৩টি পদ পূরণ হয়নি। তারপরও আমরা স্বাস্থ্য সহকারীদের অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে টিকাদান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছি।

 

 
Electronic Paper