ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

মান্দায় সালিশে ৩ জনকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখমের অভিযোগ

মান্দা প্রতিনিধি
🕐 ৫:৩৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৯, ২০২২

মান্দায় সালিশে ৩ জনকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখমের অভিযোগ

নওগাঁর মান্দায় গ্রাম্য মাতবররা সালিশ বসিয়ে শিশুসহ তিন জনকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে গত রবিবার উপজেলার ভারশোঁ ইউনিয়নের মজিদপুর গ্রামে। এরপর ৯৯৯ এ কল পেয়ে মান্দা থানা পুলিশ ভিকটিমদের মধ্য রাতে উদ্ধার করে।

জানা গেছে, প্রায় আঠারো বছর পূর্বে মান্দার ভারশোঁ ইউনিয়নের মজিদপুর গ্রামের মৃত আবু বক্করের ছেলে আব্দুল গনির সাথে পাশ্ববর্তী বাগমারা উপজেলা আউচপাড়া ইউনিয়নের বেলঘরিয়াহাট গ্রামের সেফাতুল্যার মেয়ে রজুফার বিয়ে হয়। ওয়াসিম (১১) ও রিভা (৮) নামক তাদের দু’টি সন্তান রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, আব্দুল গনির অপর স্ত্রী রয়েছে। মাঝে মধ্যে রজুফাকে শারীরিক, মানসিক নির্যাতন করা হত। এমনকি দেবরের সথে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে মর্মে মিথ্যা অপবাদও রটানো হয়। তাদের ছাড়াছাড়ির একপর্যায়ে পুনঃরায় পাঁচ হাজার টাকা কাবিন এবং চার শতাংশ জমি স্ত্রী রজুফার নামে লিখে দেন।

আর ওই চার শতক জমি এখন রজুফার পায়ের বেড়ি হয়ে দাঁড়িয়েছে। গনি ও তার প্রথম পক্ষের প্রভাবশালী ছেলে জসীমউদ্দীন সোহেল নানাভাবে তা ফিরিয়ে দিতে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। বসানো হয় গ্রাম্য সালিশ। একই দিন গনির শালিকা গার্মেন্টসকর্মী সুফিয়া বেগম বোনের বাড়ী বেড়াতে যায়। সুফিয়া বেগম, দুলাভাই গনিকে এক লক্ষ টাকা মৌখিক শর্তে জমি বন্ধকীর জন্য দেয়।

মূলত সুফিয়া বন্ধকীর জমির ধান নেয়ার জন্য সেখানে উপস্থিত হয়। সালিশ থেকে বোন রজুফাকে মারধর শুরু করলে সুফিয়া আগানোর জন্য চেষ্টা করে। গনির ইন্ধনে তার ভাসুরের ছেলে রহিদুল ইসলাম (৪০) ও তার স্ত্রী রওশন আরা (৩৫) মিলে সুফিয়াকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। এছাড়াও তার মোবাইলফোন কেড়ে নিয়ে এক পর্যায়ে সেটি দিয়ে দেয়া হয়।

কোদাল উঁচিয়ে রজুফাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেন মাতবর দেলোয়ার হোসেন। সালিশে শিশু ওয়াসিম জানায়, বাবা খালার নিকট থেকে টাকা নিয়ে জমি বন্ধকী নিয়েছে। এরপর অপর মাতবর মজিবুর রহমানের ছেলে নাজমুল হক ওয়াসিমকে শূন্যে তুলে আচাড় দিলে তার পায়ে পেরেক ডুকে আহত হয় এবং বুকের কাঠিতে শিশুটি আগাতপ্রাপ্ত হয়।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভিকটিমদের চিকিৎসার জন্য মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়েছে। সালিশে উপস্থিত থাকা জিয়াউর গাজী নানা ভাবে হুমকি ধামকি প্রদর্শন করেন। পরিবারের অনেকে উপস্থিত থাকলেও কেউ তাদের রক্ষা করতে এগিয়ে আসেনি।

মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূর- এ আলম সিদ্দিকী বিপিএম বলেন, বিষয়টি আবগত নয়। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 
Electronic Paper