দলিল লেখকদের কলমবিরতি
বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি
🕐 ১০:৪৪ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১৪, ২০১৮
রাজশাহীর বাঘায় দলিল লেখক ও সাব-রেজিস্ট্রারের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে দ্বন্দ্ব চলছে। গত সোমবার সাব-রেজিস্ট্রার তিথি রানী মণ্ডল ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন জমি রেজিস্ট্রি করা হবে, মর্মে একটি নোটিস টানিয়ে দেন।
এছাড়া দলিল লেখকদের বাদ দিয়ে শুধু ক্রেতা-বিক্রেতাদের সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে আসার মৌখিকভাবে নির্দেশ দেন। এ নোটিস ও নির্দেশ পাওয়ার পর থেকে দলিল লেখকরা ৫ ঘণ্টা কলম বিরতি করেন এবং তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব আরও তীব্রতর হয়ে উঠে। ফলে সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত জমি রেজিস্ট্রি বন্ধ থাকে।
এ কারনে অর্ধশতাধিক সাধারণ মানুষ জমি কেনা-বেচা করতে এসে বিড়ম্বনার শিকার হন। ফলে রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। একপর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেন দলিল লেখক সমিতি। বিষয়টি নিয়ে নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা উভয়কে ডেকে তার কার্যালয়ে ঘণ্টাব্যাপী এক রুদ্ধতার বৈঠক করেন।
উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল হক বলেন, সমিতির সঙ্গে কোনো কথা না বলে এবং দলিল লেখকদের বাদ দিয়ে শুধু ক্রেতা-বিক্রেতাদের সাব- রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে আসার নির্দেশ দেন সাব-রেজিস্ট্রার। এমন নির্দেশ দেওয়ার কারণে কলম বিরতি রেখে জমি রেজিস্ট্রি বন্ধ রাখা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে সমঝোতা হয়।
উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি স্বপন সরকার বলেন, বাঘায় যে পরিমাণ দলিল লেখক আছে, সে পরিমাণ দলিল হয় না। ফলে সমিতির নিয়ম অনুযায়ী সমিতি পরিচালিত হয়। ব্যক্তি বিশেষে ছাড় দিতে হয়। সমিতির আওতায় সদস্যরা সাব- রেজিস্ট্রারের সঙ্গে অন্যায় দাবি নিয়ে কোনো ঝামেলা করি না।
বাঘা সাব-রেজিস্ট্রার তিথি রানী মণ্ডল বলেন, ছুটির দিন ছাড়া আমি প্রতিদিন জমি রেজিস্ট্রি করতে চাই, মর্মে একটি নোটিস টানিয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া শুধু ক্রেতা-বিক্রেতাদের আমার কার্যালয়ে আসার মৌখিকভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়।
তারপর দলিল লেখকরা দীর্ঘ সময় জমি রেজিস্ট্রি না কলম বিরতি করেন। দলিল লেখকদের কাজে-ভুলত্রুটি ধরা পড়লে, সেগুলো তারা মানতে চায় না। তবে আমি আইনের বাইরে কিছুই করব না।
বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা বলেন, দলিল লেখক ও সাব-রেজিস্ট্রারের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল।