কোরবানির পশুর হাটে বৃষ্টির বাগড়া
এক্কাবর হোসেন, নন্দীগ্রাম (বগুড়া)
🕐 ৬:২৯ অপরাহ্ণ, জুলাই ০১, ২০২২

আগামী ১০ জুলাই কোরবানির ঈদ। এ ঈদকে সামনে রেখে বগুড়ার নন্দীগ্রামের রণবাঘায় ক্রেতা-বিক্রেতার সরব উপস্থিতে এবারের কোরবানির পশুর হাট জমে উঠেছে। তবে বৃষ্টির কারনে বিপাকে পরেছে ক্রেতা-বিক্রেতারা। হাটে ক্রেতাদের চাহিদা মাঝারি সাইজের দেশি গরুর প্রতি। বড় গরুর তুলনায় ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা ও দাম কিছুটা বেশি।
শুক্রবার সরেজমিনে রণবাঘা হাটে গিয়ে দেখা যায়, পশুর হাটে বিপুল সংখ্যক গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়ার আমদানি হয়েছে। আবার বেচাকেনাও ভাল বলে জানিয়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। তবে সকাল থেকেই কখনও বৃষ্টি আবার কখনও রোদ হওয়ায় পশু বেচাকেনা কিছুটা বিঘ্নিত হচ্ছে।
হাটে আসা গরু বিক্রেতা মহিদুল ইসলাম বলেন, আমি দুইটি গরু হাটে বিক্রয় করতে এনেছিলাম। একটি গরু ৮৫ হাজার টাকায় বিক্রয় করেছি। আর এই গরুর দাম চেয়েছি ১ লাখ টাকা। ক্রেতারা ৯০-৯২ হাজার টাকা দাম বলছে।
হাটে গরু কিনতে আসা ব্যাপারী আতিক হাসান বলেন, বৃষ্টির কারনে গরু কিনতে পারছিনা। আমার টারগেট ১৫টি গরু কেনার। আমি কিনেছি মাত্র ৬টি গরু। গরুর বাজার খুব বেশি। গরুগুলো আমরা ঢাকায় নিয়ে গিয়ে বিক্রি করব।
রণবাঘা হাটের ইজারাদারের প্রতিনিধি মিজানুর রহমান বলেন, সবদিক থেকে হাটটি নিরাপদ তাই ক্রেতা-বিক্রেতার আকর্ষণ এই হাটে। হাটের সকল পশুই প্রায় দেশিজাতের। বৃষ্টির কারনে পশু বিক্রয় অনেক কম।
নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, গরুর ব্যপারীরা যাতে ভালোভাবে হাটে আসতে পারেন, ক্রেতা-বিক্রেতারা যাতে কোন সমস্যা ছাড়া গরু হাট থেকে ক্রয়-বিক্রয় করে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারেন সে ব্যাপারে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
