ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

সাঙ্গু নদীর মাছ ও চিংড়ি পোনা

মো. সাইমুন
🕐 ৩:৫২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২২, ২০২২

সাঙ্গু নদীর মাছ ও চিংড়ি পোনা

বাংলাদেশের অভ্যন্তরে যে কয়টি নদী উৎপত্তি তার মধ্যে একটি সাঙ্গু। এটি শঙ্খ নদী নামেও পরিচিত। কর্ণফুলীর পর এটি চট্টগ্রাম বিভাগের দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী। বান্দরবান জেলা শহরও এ নদীর তীরে অবস্থিত। এ জেলার জীবন জীবিকার সঙ্গে সাঙ্গু নদী ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

শুষ্ক মৌসুমে এলে এই নদীতে চিংড়ি পোনার ঢল নামে। শুষ্ক মৌসুমে সকাল সকাল এমন চিত্র প্রায় দেখা যাই। বান্দরবানে দুর্গম থানছি উপজেলাসহ পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় মেইন গাছের বিষাক্ত রস পানিতে ছিটিয়ে দিলে ঘণ্টাখানেক মধ্যে মাছ জ্ঞান হারিয়ে পানিতে ভেসে ওঠে। এছাড়াও যেখানে মেইন গাছের রস নেই সেখানে বিষাক্ত কীটনাশক ব্যবহার করে চিংড়ি ও পোনামাছ মেরে ধরে ফেলছে দুর্বৃত্তরা। রাতের আঁধারে মাছের উৎসস্থলে কীটনাশক প্রয়োগ করে তারা মাছ ধরে এবং নদীর নিম্ন অঞ্চলে ছোট বড় চিংড়ি ও পোনা ভেসে আসে। নদীতে বিষাক্ত কীটনাশক প্রয়োগে এই নদীর প্রায় মাছ বিলুপ্ত। এক সময় এই নদীতে চিতল, চেলা, পাবদা, চিরিং, জাত পুঁটি, বোয়াল, কেচকি, কাটা চান্দা, কই কান্দব, বাইলা, দোয়া, চিংড়ি, শাল বাইম, ভেদা নামে প্রায় ৩৯টি প্রজাতির মাছ পাওয়া যেত। কিন্তু বর্তমানে তেমন বেশি মাছ পাওয়া যায় না বলে জানায় স্থানীয় জেলেরা। শত শত জেলে পরিবার চলে এই নদী ঘিরে। কিন্তু বর্তমানে নদীতে তেমন মাছ পাওয়া না যাওয়ায় জেলেদের উপার্জনের পথ বন্ধ। তাদের পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়ছে। দীর্ঘদিনের পেশা মাছধরা জালÑ নৌকা ছেড়ে, জীবিকার তাগিদে বেছে নিয়েছে অন্য কাজ। অনেকে বেকার হয়ে পড়েছে।

মো. সাইমুন, চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম

 
Electronic Paper