টেকসহ উন্নয়নে গ্রামীণ নারীর ভূমিকা
মাজহারুল ইসলাম শামীম
🕐 ১:৩৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৪, ২০২১
আগামীকাল ১৫ অক্টোবর বিশ্ব গ্রামীণ নারী দিবস। অবমূল্যায়ন নয়, পরিবার ও সমাজে গ্রামীণ নারীর অবস্থানের মূল্যায়ন করার লক্ষ্যেই ২০০৭ সালের ১৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভায় ১৫ অক্টোবর আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
পরবর্তীকালে ১৯৯৭ সাল থেকে এই দিবস বিশ্বের গ্রামীণ নারীদের অধিকার বাস্তবায়নে সংগঠিতভাবে পালিত হচ্ছে। গ্রামীণ নারীর বহুমাত্রিক ভূমিকা ও অবদানকে যথাযথ স্বীকৃতি ও মর্যাদা দেওয়ার জন্য আন্দোলন চলছে যুগ যুগ ধরে। তবে এর মাঝে একটু একটু করে উন্নতি করছেন অনেকেই। সমাজের অগ্রগতিতে গ্রামীণ নারীর অবদান অনস্বীকার্য।
দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকই নারী; আর তার শতকরা ৮৬ ভাগের বাস গ্রামে। গবেষণায় দেখা যায়, গ্রামীণ নারীরা দিনের মোট সময়ের শতকরা ৫৩ ভাগ ব্যয় করে কৃষি ও ক্ষুদ্র শিল্প ক্ষেত্রে। যেখানে পুরুষরা ব্যয় করে শতকরা ৪৭ ভাগ সময়। কিন্তু তারপরও তাদের সমাজে আজ পিছিয়ে থাকতে হচ্ছে। তারা পরিবার থেকে শুরু করে রাষ্ট্র পরিচালনা সব কাজে আজ অবদান রেখে চলছে।
কিন্তু তাদের আজও সমাজে অবহেলার চোখে দেখা হচ্ছে। তাদের উন্নতির কোনো চিন্তা না করে তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে দেওয়ার চিন্তা করা হয়। দেশে প্রায় দুই কোটি কর্মজীবী নারীর মাঝে দেড় কোটিই গ্রামীণ নারী। নারীরা সাধারণত সব সময় পরিবারের আয়ের দিকে ঝুঁকে থাকে। তারা সব সময় সংসারমুখী হয়ে বিভিন্ন কাজকর্মে জড়িত থাকে।
গ্রাম পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের দক্ষতাসম্পন্ন নারীর অনেকেই কর্ম পরিবেশ আর সংস্থানের সুযোগ না থাকায় তাদের ভূমিকা মেলে ধরতে পারছে না। ফলে দেশও হারাচ্ছে উন্নয়নের অংশীজন। তাই সকলের উচিত, এসব গ্রামীণ নারী সমাজকে আজ দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখার সুযোগ করে দেওয়া। তাদের সকল অধিকার সুষ্ঠুভাবে বণ্টন করে দেওয়া।
লেখক- শিক্ষার্থী, ব্যবস্থাপনা বিভাগ , ফেনী সরকারি কলেজ।