তরুণ এক রাজনীতিকের নির্বাচনী স্বপ্ন
ফকির ইলিয়াস
🕐 ২:৩৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৬, ২০২১
সিলেট-৩ আসনে উপনির্বাচন হচ্ছে। ২৮ জুলাই এই নির্বাচন। জননেতা মাহমুদুস সামাদ চৌধুরী কয়েসের মৃত্যুতে এই আসন শূন্য হয়। এই উপনির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তরুণ রাজনীতিবিদ হাবিবুর রহমানকে মনোনয়ন দিয়েছে। হাবিবুর রহমান হাবিব দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কামাল বাজারের সন্তান। তরুণ এই সমাজকর্মী গেল ১২ বছর থেকে এলাকায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এই মহামারী করোনাকালে এলাকায় তার কাজ ছিল চোখে পড়ার মতো। হাবিবুর রহমানের রাজনীতিতে হাতেখড়ি জাতির পিতার আদর্শে গড়া ছাত্রলীগ দিয়ে। আমি খুব কাছে থেকে দেখেছি, একটি শাণিত চেতনা বুকে নিয়েই হাবিব জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে লড়েছেন গেল প্রায় তিন দশক।
হ্যাঁ, তৃণমূল থেকে উঠে আসা রাজনীতিক বলতে যাদের বোঝায়-হাবিব অন্যতম উদাহরণ। তিনি বড় কোনো পদের জন্য নিজেকে প্রতিযোগিতায় নামাননি। কাজ করতে চেয়েছেন। ১৯৮৮-১৯৯০ সালে দক্ষিণ সদর থানা ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবেই কাজ করেছেন মাঠে ময়দানে। ১৯৯১-১৯৯৪ সালে এমসি কলেজের ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে সক্রিয় থেকেছেন। একসময় ইংল্যান্ডে গিয়েছেন লেখাপড়া করার জন্য। সেখানেও তিনি যুক্তরাজ্য যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে হাবিবুর রহমানের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত সাহসী। জেল-জুলুম পরোয়া না করে তিনি শেখ হাসিনার নির্দেশের পাশে দাঁড়িয়েছেন নির্ভীক প্রহরী হিসেবে। ১৯৯১-১৯৯৪ সালে এমসি কলেজে থাকাকালে সেই সময়ের ক্ষমতাসীন বিএনপির সকল অনিয়ম-জুলুমের বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকেছেন হাবিব। ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের সেই হীনতম গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে যুক্তরাজ্যে যে বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশ হয়-সেখান থেকে হাবিবকে গ্রেফতার করে ব্রিটিশ পুলিশ। পরে জামিনে মুক্তি পান। সেই উত্তাল সময়ে বিদেশে বসে এর তীব্র প্রতিবাদের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। হাবিবুর রহমান আমাদের তরুণ সমাজসেবকদের আইকন। রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি সিলেট, কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ সিলেট, এর সদস্য তিনি, নিজ এলাকায় প্রতিষ্ঠা করেছেন, মনোয়ারা-গনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। তিনি মেগমেট শিক্ষা ট্রাস্ট, বাংলাদেশ-এর প্রতিষ্ঠাতা। ব্যবসায়িক প্রয়োজনে গঠন করেছেন প্রবাসী পল্লী গ্রুপ। যে গ্রুপটি প্রবাসী বাংলাদেশিদের আবাসন সমস্যা নিরসনে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। হাবিব এই প্রতিষ্ঠানের ভাইস চেয়ারম্যান। সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের মেম্বার তিনি। প্রবাসে থেকে তিনি যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন কৃতিত্বের সঙ্গে। সেই পদ ছেড়ে এসেই তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন।
হাবিবুর রহমান, নতুন প্রতিষ্ঠিত দক্ষিণ সুরমার ১০ নম্বর কামাল বাজার ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠায় একটি আলোকোজ্জ্বল ভূমিকা রেখেছেন। অনেক দেনদরবার করে এই নতুন ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠায় তার ভূমিকা এলাকাবাসী কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করবেন। আমি দেখেছি, যেখানেই গণ-প্রয়োজন, সেখানেই হাবিব ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তার যথাসাধ্য দিয়ে। এই করোনাকালে নিজ নির্বাচনী এলাকা দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ-বালাগঞ্জ এলকার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন দু’হাত খুলে।
এই মহামারীর সময়ে তার নিজের মোবাইল ফোন দিনের ২৪ ঘণ্টাই খোলা ছিল। এলাকার মানুষ যাতে, তাদের সুবিধা-অসুবিধার কথা জানাতে পারেন। সাধারণ মানুষ যাতে সরাসরি সাহায্য পেতে পারেন, সেজন্যে তিনি বিকাশের মাধ্যমেই সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন। একজন আধুনিক মননশীল রাজনীতিকের এই কর্মযজ্ঞ অবশ্যই অনুসরণীয়।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খানের উপস্থিতিতে হাবিব, ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন নিজ নির্বাচনী এলাকায়।
সমাজসেবায় অক্লান্ত কাজ করে যাচ্ছেন হাবিব। ইতোমধ্যে তার প্রচেষ্টায় নিজ নির্বাচনী এলাকায় পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন। ব্যক্তিগত উদ্যোগে কামাল বাজার ইউনিয়নের অফিসের জন্য ভূমি প্রদান করেছেন। কামাল বাজারে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় তার ভূমিকা স্মরণীয়। এজন্য তিনি ভূমিও কিনে দিয়েছেন। দশ কোটি টাকা ব্যয়ে বাসিয়া নদী খননের উদ্যোগ গ্রহণ করেন হাবিব। প্রায় দশ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা পাকাকরণের উদ্যোগ নেন। জেলা পরিষদের মাধ্যমে এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমে দায়িত্বশীল ভূমিকা রেখেছেন।
১০০টি সেলাই মেশিন দুস্থ ও অসহায় মহিলাদের মাঝে বিতরণ করেছেন। নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন ক্লাবে খেলার সরঞ্জাম বিতরণের ব্যবস্থা করেছেন এই তরুণ ক্রীড়ামোদী ব্যক্তিত্ব। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন মসজিদ ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে আর্থিক সাহায্যের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। বিভিন্ন দুর্ঘটনায় আহত-নিহত, অসুস্থতাজনিত কারণে আক্রান্ত অনেক ব্যক্তি ও পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে সহায়তার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন হাবিবুর রহমান হাবিব। যা এলাকার মানুষ ভালোবাসার সঙ্গেই স্মরণ করছেন। সিলেট শহরের দক্ষিণ দিক দিয়ে পশ্চিম দিকে বয়ে গেছে সুরমা নদী। এই নদীর শাখা নদী বাসিয়া। বাসিয়া নদীর তীরেই অবস্থিত কামাল বাজার এলাকা। হ্যাঁ, হাবিবুর রহমান হাবিব এই এলাকারই তরুণ কৃতিসন্তান। আমার অত্যন্ত প্রীতিভাজন অনুজ হাবিবুর রহমান লেখাপড়া করেছেন হাজী রাশীদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে। আমি নিজেও যে স্কুলের ছাত্র। এলাকার দানবীর রাগীব আলীর প্রতিষ্ঠিত এই স্কুলের অনেক ছাত্রছাত্রী আজ দেশে বিদেশে নিজ নিজ ক্ষেত্রে সফল। হাবিবুর রহমান তাদের অগ্রণী।
মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জ্বল এই কামাল বাজার এলাকার একটি বিশেষ ভূমিকা ছিল একাত্তরের স্বাধীনতা সংগ্রামে। শহীদ সোলেমান হোসেন, শহীদ এনামুল হক এই এলাকারই বীর মুক্তিযোদ্ধা-যারা আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে তাদের প্রাণ উৎসর্গ করেছেন। এছাড়াও বসন্ত কুমার দেব, নরেশচন্দ্র দেব, বারিক আলী আরও তিনজন শহীদ-যারা পাকিস্তানি খানসেনাদের হাতে প্রাণ দিয়েছিলেন। এমন অনেক স্মৃতিবিজড়িত এলাকার প্রজন্ম আজকের হাবিবুর রহমান। ১৯৭১ সালে ইংল্যান্ডে থেকেও এই কালাম বাজার এলাকার অনেক কৃতিসন্তান বিদেশে মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তাদের মাঝে রাগীব আলী, এম এ হাসিম, লাল মিয়া, আব্দুল আহাদ চৌধুরী, সমুজ মিয়া, মনোহর আলী, আব্দুর রহমান, জহির মিয়া প্রমুখের নাম আলোকিত হয়ে আছে। আজকের প্রজন্মকে সেসব বিষয় জানতে হবে।
আমি মনে করি হাবিব আগামীর এই ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ্য প্রতিনিধি। তাই তাকে ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া উচিত। সিলেট-৩ আসনে যোগাযোগ উন্নয়নের স্বপ্ন বুনছেন হাবিব। তুলে ধরেছেন রোডম্যাপও। এখনো যোগাযোগ বঞ্চিত এলাকা। সিলেট থেকে দক্ষিণ সুরমা হয়ে বালাগঞ্জের যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়নি। সংযোগ সড়কগুলোরও বেহাল দশা। বড়ভাগ নদীতেও হয়নি সেতু। এসবই করতে চান তিনি। সিলেটের দক্ষিণ সুরমার বাসিয়া নদীতেও দুটি ব্রিজ করতে চান। এর বাইরে বালাগঞ্জ ও রাজনগরের বুক চিরে প্রবাহিত হওয়ায় কুশিয়ারা নদীতে করতে চান ব্রিজ। পাশাপাশি শিল্পে উন্নত একটি নান্দনিক এলাকাও উপহার দিতে চান। এসব উন্নয়ন ফিরিস্তি তুলে ধরে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী হাবিবুর রহমান। বলেছেন-আওয়ামী লীগের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে মাথায় রেখে এমপি নির্বাচিত হলে এসব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ত্বরান্বিত করবেন। সিলেটের একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে হাবিব ওই ইশতেহার ঘোষণা করেন। ইশতেহারে নির্বাচনী আসনের তিনটি উপজেলা দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জের জন্য আলাদা আলাদাভাবে উন্নয়ন ঘটাবেন বলে উল্লেখ করেন। দক্ষিণ সুরমার প্রসঙ্গ তুলে হাবিব জানান, উপজেলার উন্নয়ন কার্যক্রমগুলোর মধ্যে রয়েছে সুরমা নদীর ওপর পৃথক স্থানে দুটি ব্রিজ নির্মাণ, লালাবাজারের ব্রিজ ও মসজিদ, কামাল বাজার বাসিয়া নদীর ওপর সেতু নির্মাণ, মোগলাবাজার ইউপির খালোমুখ বাজারে সেতু, দক্ষিণ সুরমার অংশে সুরমা নদীর তীরে দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে ও দক্ষিণ সুরমার আবদুস সামাদ আজাদ চত্বর থেকে রেল গেট পর্যন্ত (আমার নির্বাচনী এলাকার আওতাধীন) রাস্তার দু’পাশে বক্স ড্রেন ও পথচারী চলাচলের জন্য ফুটপাত নির্মাণ করা হবে। কর্মপরিকল্পনায় ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার উন্নয়ন কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে ফেঞ্চুগঞ্জে জুড়ি নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণ ও কুশিয়ারা নদীর তীরে (ফেঞ্চুগঞ্জ অংশে) দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে নির্মাণ, কটালপুর ব্রিজ (আমিরগঞ্জ হইতে উত্তরপাড়া) নির্মাণ, ফেঞ্চুগঞ্জকে পৌরসভায় উন্নীতকরণ, মৎস্যজীবীদের জীবনমান উন্নয়নে বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। বালাগঞ্জ উপজেলায় উন্নয়ন কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে-বালাগঞ্জে একটি কৃষি শিল্প ও বালাগঞ্জে একটি কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা, বালাগঞ্জে বড়ভাগা নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণ, দেওয়ানবাজার-সুলতানপুর-খন্দকারবাজার রাস্তায় উজান বড়ভাঙ্গা সেতু নির্মাণ করার মাধ্যমে যোগাযোগব্যবস্থা আরও সহজকরণ, কুশিয়ারা নদীর ওপর দৃষ্টিনন্দন ব্রিজ নির্মাণ করে মৌলভীবাজার ও রাজনগরের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন, বালাগঞ্জ বাজার সংস্কার করে ড্রেনেজ ব্যবস্থা, পূর্ব পৈলনপুর ইউনিয়নের সঙ্গে বালাগঞ্জ উপজেলা সদরে যোগাযোগ নিশ্চিতকরণে কুশিয়ারা ডাইকের বন্ধ হওয়া কাজ চালু করা ও বালাগঞ্জ সরকারি কলেজে অনার্স কোর্স চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ ছাড়া তিন উপজেলায় কয়েকটি সম্মিলিত উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা জানিয়ে হাবিব বলেন, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে একটি ইপিজেড প্রতিষ্ঠা, ক্রীড়ামুখী এবং ভালো মানের খেলোয়াড় সৃষ্টির লক্ষ্যে তিন উপজেলায় স্টেডিয়াম নির্মাণ, শিশুদের বিনোদনব্যবস্থা নিশ্চিতের পাশাপাশি বয়স্কদের জন্য পার্ক স্থাপন, তিনটি উপজেলায় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র গড়ে তোলা, প্রতি ইউনিয়নে সম্ভব না হলেও উপজেলায় একটি করে পাবলিক লাইব্রেরি, প্রতি উপজেলায় একটি করে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ, তিন উপজেলায় কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সিলেট-৩ আসনের আওতাধীন বিভিন্ন খাল ও নদী খনন করে সেচ প্রকল্প, কুশিয়ারা ও সুরমা নদীর ভাঙন রোধে বিশেষ করে বালাগঞ্জের পূর্ব পৈলনপুর ও পশ্চিম গৌরীপুর বালাগঞ্জ সদর, দক্ষিণ সুরমার কুচাই ও মোল্লারগাঁও ইউনিয়ন, উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জ, মাইজগাঁও, উত্তর কুশিয়ারা ইউনিয়নের নদীর তীর সুরক্ষাকল্পে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ, তিন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে মসজিদ ও মাদ্রাসাগুলোর উন্নয়ন কার্যক্রম, মন্দির নির্মাণ ও সংস্কার কার্যক্রমসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য সর্বজনীন শ্মশান নির্মাণ, উপজেলার প্রয়োজনীয় স্কুল-কলেজগুলোতে একাডেমিক ভবন ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। ইশতেহার ঘোষণার আগে পরিচিতি পর্ব পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান। সঙ্গে ছিলেন সিলেটের সিনিয়র আওয়ামী লীগ নেতারাও।
হাবিব তার অঙ্গীকারে বলেছেন, আমার সামর্থ্য অনুযায়ী ছুটে গিয়েছি অভাবগ্রস্ত মানুষের পাশে। সম্পূর্ণ মোহমুক্ত থেকে কাজ করেছি শেকড়ের টানে। আপনাদের প্রতি এই অবিচ্ছেদ্য ভালোবাসা থাকবে আমার আমৃত্যু। কিছু মানুষের জন্ম হয় কাজের জন্য, কীর্তির জন্য। সেই কীর্তিমানদের মানুষ স্মরণ করে আমৃত্যু। আমি নেতা নই, আপনাদের সেবক হতে চাই মাত্র। আপন কর্মে আপনাদের মণিকোঠায় স্থান করে নিতে চাই। তাই প্রয়োজন আপনাদের সহযোগিতা ও অকুণ্ঠ সমর্থন। আপনাদের দোয়া চাই, সমর্থন চাই। আমার বিশ্বাস, ২৮ জুলাই সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে মূল্যবান ভোট দিয়ে আমাকে আপনাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন।
হাবিব যে স্বপ্ন নিয়ে গণ মানুষের কাছে ছুটছেন-এই স্বপ্ন ছিল জাতির পিতার। তারই কন্যা শেখ হাসিনা এই মশাল ধরে রেখেছেন। হাবিব এই কাফেলায় শরিক হয়ে দেশসেবা করতে চান। আমি মনে করি এই তরুণকে সেই সুযোগ দিতে পারেন এই নির্বাচনী এলাকাবাসী। কারণ তরুণরাই পারবেন-এমন একটি বিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে চলেছে আজকের বিশ্ব। সিলেট-৩ আসনে আগামী ২৮ জুলাই ২০২১ বুধবার এই নির্বাচনী এলাকার মানুষ ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন-এই প্রত্যাশা করছি। নৌকা আমাদের বিজয়ের প্রতীক। আসুন, এই প্রতীকের দিকেই বাড়িয়ে দিই সম্মিলিত হাত।
ফকির ইলিয়াস : কবি ও কলাম লেখক