ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বাইকারের দৌরাত্ম্য, অসহায় পথচারী

মো. আব্দুল্লাহ
🕐 ১:১৩ অপরাহ্ণ, জুন ১৭, ২০২১

বাইকারের দৌরাত্ম্য, অসহায় পথচারী

সবচেয়ে নির্মম ও বিপজ্জনক দুর্ঘটনা হচ্ছে বাইক অ্যাক্সিডেন্ট। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিনিয়ত আমরা বাইক অ্যাক্সিডেন্টের খবর শুনতে পাই। তরুণ যুবকরাই বেশি অ্যাক্সিডেন্ট হচ্ছে।

বিশেষ করে উঠতি বয়সের ছেলেরা বেপরোয়াভাবে মোটরসাইকেল চালানোর ফলে দুর্ঘটনা বেশি হচ্ছে। মোটরসাইকেলে হেলমেট পড়া বাধ্যতামূলক; অথচ অনেকেই হেলমেটবিহীন চালাচ্ছে। অসংখ্য পরিবারের স্বপ্ন ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে এই বাইক অ্যাক্সিডেন্ট। রাস্তা দিয়ে চলাচলের সময় বাইকারদের অনেক অনিয়ম চোখে পড়ে। বেশিরভাগ চালক গতিসীমা তোয়াক্কা করে না, অনেক বাইকার ট্রাফিক আইনকানুনের ধার ধারে না। ফলে বাইক অ্যাক্সিডেন্টও বেশি হচ্ছে। রাস্তায় জ্যাম অথবা সিগন্যাল চলাকালেও বাইক যেন থামেই না। কোনো রকম একটু ফাঁকা জায়গা পেলেই সেখান থেকে চালানো শুরু করে। কেউ কেউ কানে হেডফোন দিয়ে মনের সুখে বাইক চালায়। আনন্দ আমেজ, খুশি, উল্লাস করতে গিয়ে অনেক ফুটফুটে প্রাণ অকালেই বাইক অ্যাক্সিডেন্টে ঝরে গেছে। বাইক হচ্ছে দু’চাকার গাড়ি; যা সামান্য ধাক্কায় পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনাটা ঘটতে পারে। বেশিরভাগ সময় দেখা যায় সামান্য ধাক্কায় পড়ে গিয়ে বড় গাড়ির নিচে চাপা পড়ে। তারপরেও নেই কোনো সতর্কতা। আর কত বাইক অ্যাক্সিডেন্ট হলে বাইকাররা সতর্ক হবে? সামান্য একটু অসতর্কতা সারাজীবনের কান্না হতে পারে। একটি অ্যাক্সিডেন্ট একটি পরিবারের সুখ কেড়ে নিতে পারে। সকল চালকের প্রতি সতর্কতার সঙ্গে গাড়ি চালানোর অনুরোধ রইল।

মো. আব্দুল্লাহ, ইংরেজি বিভাগ, ঢাকা কলেজ

 
Electronic Paper