ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

করোনায় প্রধানমন্ত্রীর মানবিক পদক্ষেপ

ইমরান হুসাইন
🕐 ১১:২৬ পূর্বাহ্ণ, মে ১০, ২০২১

করোনায় প্রধানমন্ত্রীর মানবিক পদক্ষেপ

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রভাবে জনজীবন অতিষ্ঠ। মানুষ আতঙ্কের মধ্যে দিন পার করছে। মাঝে করোনার প্রকোপ কিছুটা কম হওয়াতে সব কিছুই স্বাভাবিকভাবে চলছিল কিন্তু হঠাৎ দেশে পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়াতে থমকে গেছে আবার সব কিছু। প্রত্যেকদিনেই মৃত্যুর সংখ্যা গুনতে হচ্ছে। এমন অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লকডাউনই ছিল একমাত্র উপায়। কিন্তু কথায় আছে, নুন আনতে যাদের পানতা ফুরায় তাদের আবার বিলাসিতা। আমাদের অবস্থাও ঠিক তাই। সারাদিন কাজ করে যাদের দু’বেলা খাবার জোটে না তাদের কাছে লকডাউন আরেক মহামারীর নাম।

দেশে লকডাউনের ফলে অনেক শ্রমজীবী মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। স্বল্প পুঁজির ব্যাবসায়ীরা পুঁজি হারাতে বসেছে। করোনা মহামারীর সঙ্গে কঠোর বিধি-নিষেধ শ্রমজীবী মানুষকে সীমাহীন কষ্টে ফেলেছে। কর্মহীন এসব মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে। কিন্তু ঠিক সেই সময়ে দেশ ও জনগনের মঙ্গলের কথা চিন্তা করে বারবার মানবিক পদক্ষেপ গ্রহন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বারবার তিনি মানবিকতার বিরল পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন। দেশের খেটে খাওয়া মানুষের কথা চিন্তা করে নানা রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। দেশে করোনার মহামারী শুরু হবার পর থেকেই দেশ ও জনগণের কথা চিন্তা করে নেওয়া হচ্ছে নানা রকম কর্মসূচি। গরিব-দুঃখীদের সহায়তায় আগের বারের চেয়ে এবার ব্যাপক আকারে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে সরকার। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বরাদ্দকৃত সহায়তা ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। ত্রাণ দিতে বিধি-নিষেধে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রণয়নের কাজও প্রায় শেষের পথে।

প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে দরিদ্রদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সাড়ে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। করোনাভাইরাসের মধ্যে চলমান বিধি-নিষেধে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র, দুঃস্থ, ভাসমান এবং অসচ্ছল মানুষের সহায়তায় এটি প্রদান করা হবে। দরিদ্রদের সহায়তায় প্রধানমন্ত্রীর এই বিশাল বাজেট সত্যিই মানবিকতার বিরাট পরিচয় বহন করে।

আমরা দেখেছি এর আগে টানা ৬৬ দিন দেশ লকডাউনে থাকার কারণে মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছিল। দৈনিক রোজগার করতে না পেরে থমকে গিয়েছিল তাদের জীবনযাত্রা। এমন পরিস্থিতিতে সরকার ওই সময়ে তাদের পাশে দাঁড়ায়। শুধু এখানেই শেষ নয়, অন্যান্য খাতের ন্যায় ক্ষতির প্রভাব কাটিয়ে উঠতে দেশের ক্ষতিগ্রস্ত সাংবাদিকদের সহযোগিতার জন্য সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টকে ১০ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যা আমাদের জন্য এক অনন্য দৃষ্টান্ত।

বাংলাদেশে তার নেতৃত্বাধীন সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত ও মধ্যম আয়ের আধুনিক ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য পূরণে কাজ করছে। দেশবাসীর মতোই আন্তর্জাতিক পরাশক্তিগুলোও ক্রমান্বয়ে তার ওপর আস্থাশীল হয়ে ওঠছে। শেখ হাসিনা আজ জাতিসংঘ তথা বিশ্ব পরিম-লে শান্তি ও ন্যায়ের এক মূর্ত প্রতীক। তিনি শুধু দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নন, বিশ্বের অন্যতম প্রধাননেতা হিসেবে নিজের দেশ ও জনগণকে তুলে ধরেছেন সবার উপরে। যিনি সারাক্ষণ দেশ ও জাতির কল্যানে সর্বদা কাজ করে চলেছেন।

এই মহামারীতেও সকল বাধা অতিক্রম করে মানবতার সেবায় বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাকে যিনি ধীরে ধীরে বাস্তবে রূপদান করে চলেছেন। ক্ষমতার উচ্চ আসনে অবস্থান করেও যিনি দেশের গরিব-দুঃখী ও খেটেখাওয়া মানুষের কথা ভাবেন ও তাদের মঙ্গলের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তার মানবিকতার ছোঁয়া দেশ ছাড়িয়ে বৈশ্বিক পর্যায়েও স্থান করে নিয়েছে। করোনাকালে দেশের এই সংকটকালীন মুহূর্তে সাধারণ জনগণের কথা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রীর এই সহায়তা দরিদ্র মানুষের খুবই উপকারে আসবে। অনেকটা আগুনে পানি ঢালা মতো। যুগ যুগ ধরে কোটি প্রাণে বেঁচে থাকুক শেখ হাসিনা। মানবিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে শেখ হাসিনা ম্যাজিকে উজ্জীবিত হোক এই বাংলা।

ইমরান হুসাইন : শিক্ষার্থী, বাংলা বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

 
Electronic Paper