ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহারে গুরুত্বারোপ

আব্দুল হাই রঞ্জু
🕐 ১:২৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৪, ২০২১

ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহারে গুরুত্বারোপ

পানি ব্যতীত মানুষ বাঁচতে পারে না। এ জন্যই বলা হয় ‘পানির অপর নাম জীবন’। সেই জীবন রক্ষাকারী পানির সংকট প্রতিনিয়তই তীব্র হচ্ছে। বিশেষ করে সুপেয় পানি দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠছে। ফলে দূষিত পানি পান করে পানিবাহিত রোগ ডাইরিয়া, কলেরায় আক্রান্ত হয়ে কতজনই না মৃত্যুবরণ করেছেন! আবার জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পানির ব্যবহারও বাড়ছে। খাবার পানি, রান্নাবান্না, গোসল, কাপড় পরিষ্কার থেকে শুরু করে নানা গৃহস্থালি কাজ, সেচভিত্তিক চাষাবাদ, নির্মাণকাজ কোথায় নেই পানির ব্যবহার? গত ৪৯ বছরে সাড়ে সাত কোটি মানুষের দেশে আজ জনসংখ্যা প্রায় ১৬ কোটি ৭০ লাখ। আর এত বড় জনগোষ্ঠীর পানির উৎস হচ্ছে ভূ-গর্ভস্থ পানি। অথচ ভূ-গর্ভস্থ পানিই আমাদের সম্পদ। আমাদের মাটির নিচে সোনা, মুক্তার কোনো খনি নেই। মাটির নিচে পানিই আমাদের অমূল্য সম্পদ। অথচ সেই অমূল্য সম্পদের সদেচ্ছা ব্যবহারও দিনে দিনে বেড়ে চলছে।

পানির অপচয় রোধ করতে না পারলে একসময় আমাদেরও পানির তীব্র সংকটে পড়তে হবে। ফলে ভূ-গর্ভস্থ পানির ব্যবহারে মিতব্যয়ী হতে হবে। স্মরণ রাখতে হবে, পানি কোনো অফুরন্ত সম্পদ নয়, এর অপচয় রোধ করতে না পারলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে তীব্র পানির সংকটে পড়তে হবে।

এ প্রসঙ্গে যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী দৈনিক ইনডিপেনডেন্টের জার্নালিস্ট জোয়ান হ্যারি সম্প্রতি জলবায়ু-বিষয়ক এক গবেষণা প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছেন, ‘বাংলাদেশ : রক্তে যার জন্ম-লবণাক্ত পানিতে তার মৃত্যু’। এভাবে লেখার কারণ হচ্ছে, ব্যবহারোপযোগী পানি দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। লবণাক্ততা, আর্সেনিক দূষণ আর ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর দ্রুত নেমে যাওয়ায় সুপেয় পানির সংকট ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ২০২০ সালেই বিশ্বের প্রায় ৫০০ মিলিয়ন মানুষ পানিস্বল্পতার শিকার হয়েছে।

বিশেষ করে বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ হলেও সব নদীর উৎসমুখ উজানের ভারত, নেপাল ও চীন। পদ্মা, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, কুশিয়ার উৎপত্তি উজানের দেশগুলোতে। আমাদের উজানের দেশ ভারত বিভিন্ন নদীতে ব্যারেজ, ড্যাম নির্মাণের কারণে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করছে। ফলে একতরফা পানি প্রত্যাহারের কারণে এখন এক সময়ের প্রমত্তা, পদ্মা, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, কুশিয়ারা নদীর চিরচেনা সেই রুদ্র রূপ আর নেই। পানির অভাবে শুষ্ক মৌসুমে এসব নদীর হাঁটু পানি মানুষ হেঁটেই পার হতে পারে। ফলে বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য এখন হুমকির মুখে পড়েছে। উল্লেখ্য, দুই দেশের পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে আলোচনা হয় ঠিকই, আশ্বাসও আসে, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। দেশের চার দশক ধরে পানি বণ্টন চুক্তি সম্পাদন না হওয়ায় পানির সংকটে বাংলাদেশের নদীগুলো নাব্য হারিয়ে চর আর চরে সমৃদ্ধ হয়েছে। অথচ বাস্তব এ কারণে উজানের পানির ওপর নির্ভরতার স্বপ্ন ত্যাগ করে আমাদের উচিত নদীগুলোর নাব্য ফিরিয়ে আনতে মেগা প্রকল্পের ওপর অগ্রাধিকার দেওয়া। এ জন্য প্রতি বছরই বাজেটে বরাদ্দ রেখে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। অবশ্য নদীর নানা উন্নয়ন কাজে দুর্নীতি, অনিয়মের কারণে বাস্তবায়নকারী সরকারি সংস্থা ‘জলহস্তি’ হিসেবেও জনশ্রুতি আছে।

নদীর নাব্য ফিরিয়ে আনতে সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ তদারকিতে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। কারণ দেশের কষ্টার্জিত টাকা যেন নদী উদ্ধারে নেমে নদীতে তলিয়ে না যায়, এ জন্য সেনাবাহিনীর মাধ্যমে এ প্রকল্পকে বাস্তবায়ন করার বিকল্প নেই। ভুললে চলবে না, ‘নদী না বাঁচলে দেশ বাঁচবে না’। দেশের মানুষকে নিকট ভবিষ্যতেই সুপেয় ও বিশুদ্ধ পানির অভাবে চাষাবাদ ও সুপেয় পানির তীব্র সংকটের মুখোমুখি হতে হবে। যে কারণে জোয়ান হ্যারির মন্তব্য যথার্থই। এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জন্ম, আর ভূ-গর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিক ও লবণাক্ত পানির রোষানলে বাংলাদেশের অবস্থা প্রতিনিয়তই খারাপ হচ্ছে।

অথচ বাংলাদেশ বিশ্বের যে শীর্ষ দশ বৃষ্টিবহুল দেশের মধ্যে অন্যতম, আমাদের আদৌ তা জানাও নেই। বরং স্বচ্ছ, পরিষ্কার ও সুপেয় পানি আর কোনো উৎস থেকে পাওয়া যায় না বলেই বিশ্বজুড়ে বৃষ্টির পানির কদর সবচেয়ে বেশি। কিন্তু দেশ পানিনির্ভর হওয়ায় স্বচ্ছ, পরিষ্কার ও সুপেয় পানির ব্যাপারে আমাদের তেমন আগ্রহ নেই। আর দেশের সাধারণ মানুষের তো এসব জানার অনেক বাইরে। এমনকি সরকারের পানি ব্যবস্থাপনার মধ্যেও বৃষ্টির পানি নিয়ে তেমন কোনো গুরুত্ব নেই। অথচ বৃহৎ জনগোষ্ঠীর সার্বিক কাজে এবং খাওয়ায় ঘুরে-ফিরে ভূ-গর্ভস্থ পানির টানা ব্যবহারে পানির স্তর এখন হুহু করে নিচেই নেমে যাচ্ছে। নিকট অতীতে বিএডিসি ঢাকা শহর এবং এর আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তরের ওপর এক জরিপ পরিচালনা করে। এতে দেখা গেছে, সমুদ্রের তলদেশ প্রতি বছরই কিছু কিছু করে পুরো হচ্ছে, এ অবস্থা আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকলে লোকালয়ে জনজীবনে হুমকি বাড়তে পারে। কারণ জরিপে দেখা গেছে, ঢাকা শহর এবং এর আশপাশে যেভাবে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাচ্ছে, তাতে নিকট ভবিষ্যতে সমুদ্রের তলদেশ থেকে লোকালয়ে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর প্রায় দেড়-দুই শত ফুট নিচে নেমে যাবে। ফলে সমুদ্রের লোনা পানি ঢাকার ভূ-অভ্যন্তরে ঢুকে পড়লে ভূ-গর্ভস্থ মিষ্টি পানির সঙ্গে মিশে একাকার হয়ে যাবে। তখন মানুষের বেঁচে থাকার অন্যতম নিয়ামক পানির সংকটে হাহাকার সৃষ্টি হবে। হয়তো এখন কথাগুলো সহসাই কেউ বিশ^াস করতেও চাইবেন না। অপ্রিয় হলেও এটাই সত্য। মানুষ বাড়ছে, মানুষ বাড়লে খাদ্য, পানির চাহিদাও বাড়বে, এটাই স্বাভাবিক। আর এই চাহিদা পূরণে চাষাবাদ, পানের পানি, গৃহস্থালি কাজের পানির ব্যবহারও বাড়তে থাকবে। এভাবেই সেচভিত্তিক চাষাবাদের কারণে উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলার ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই বরেন্দ্রখ্যাত রাজশাহী অঞ্চলের অবস্থা খুবই খারাপ। সেখানে এখন আর এক-দেড় হাজার ফুট নিচে যেতে না পারলে পানি পাওয়া দুষ্কর। ফলে চাষাবাদ, খাবার পানির সংকট এসব এলাকায় তীব্র। আবার ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নামার কারণে পানিতে আর্সেনিকের পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে নানা রকমের চর্মরোগে মানুষ এখন আক্রান্ত হচ্ছেন। শুধু তাই নয়, আরও বিপদ হচ্ছে, আর্সেনিকযুক্ত পানি দিয়ে চাষাবাদ করলে তার বিরূপ প্রভাবে চাষাবাদ যেমন বিঘ্নিত হবে, তেমনি এ পানির সাহায্যে উৎপাদিত ফসলও মানুষের স্বাস্থ্যহানির কারণ হতে পারে। সত্যিই যদি এ ধরনের সংকটে আমাদের পড়তে হয়, তাহলে আমাদের বড় ধরনের মাশুল গুনতে হবে। বাস্তব এ অবস্থাকে বিবেচনায় নিয়ে সরকার ভূ-গর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমিয়ে আনতে ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রকল্প গ্রহণ করেছেন।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) তত্ত্বাবধানে ‘কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহারের জন্য রাবার ড্যাম নির্মাণ প্রকল্পের’ মাধ্যমে চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা উপজেলায় বরুমচড়া ইউনিয়নের ভরাশঙ্খ খালে ২১ কোটি টাকা ব্যয়ে টার্নকি পদ্ধতিতে হাইড্রোলিক এলিভেটর ড্যাম নির্মাণ করেছে চীনের সরকারি প্রতিষ্ঠান বেইজিং আইডব্লিউএইচআর করপোরেশন। নির্মিত ড্যামটি ৩৮ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৪ মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট এবং এতে ৫টি হাইড্রোলিক জ্যাক সংযুক্ত প্যানেল রয়েছে। ড্যামটি নির্মাণের ফলে আনোয়ারা উপজেলার বরুমচড়া, বারখাইনসহ কয়েকটি ইউনিয়নের প্রায় তিন হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা প্রদান করা সম্ভব হবে। বিশেষ করে চীনের হাইড্রোলিক এলিভেটর ড্যামের কারণে শুকনো মৌসুম জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত জোয়ারের সঙ্গে আগত সমুদ্রের লোনা পানির প্রভাব থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকার ফসল ও গাছপালাকে রক্ষা করা সম্ভব হবে। ফলে আনোয়ারা উপজেলায় কৃষি উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টির পাশাপাশি সমুদ্রের লোনা পানির হাত থেকে কৃষককে রক্ষা করা সম্ভব হবে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ৬৭টি রাবার ড্যাম নির্মিত হয়েছে। রাবার ড্যামের তুলনায় হাইড্রোলিক এলিভেটর ড্যাম পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ পদ্ধতিও সহজ। এতে অল্প সময়ে পানি আটকানো এবং ছেড়ে দেওয়া সহজ হয়। দেশের এই প্রথম হাইড্রোলিক এলিভেটর ড্যাম গত বছরের ১১ অক্টোবর কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে অনলাইনে উদ্বোধন করেন, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকার ভূ-উপরিস্থ পানি ধরে রেখে সেচ কার্যের ব্যবহারসহ ‘খাবার পানির জোগান দিতে কাজ করছে’।

বাস্তবে ভূ-গর্ভস্থ পানির ব্যবহার পানি আইন করে নিয়ন্ত্রণ জরুরি। অবশ্য এ জন্য শুধু আইন করলেই হবে না, আগে ভূ-উপরিস্থ পানি সংরক্ষণ এবং বিভিন্ন নদী থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানি এনে পরিশোধন করে মানুষের নিত্যদিনের প্রয়োজন মেটাতে জোগান দিতে হবে। যেন মানুষকে ভূ-গর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরশীল হতে না হয়। এ জন্য শুধু আইন করে তার সফল বাস্তবায়ন যেমন কঠিন হবে, তেমনি আইনের পাশাপাশি নদীর পানি, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের জন্য বড় প্রকল্প গ্রহণ করে, তার বাস্তবায়নের কাজ শুরু করতে হবে। প্রকৃতপক্ষে আমরা মহাসংকটের দ্বারপ্রান্তে উপনীত। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের খেয়ে পরে বেঁচে থাকার নিয়ামক, পানির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এখনই শুরু করতে হবে।

ক্ষমতাসীনরা এসব বিষয়ে যে কথাবার্তা বলেন না বা উদ্যোগ গ্রহণ করেন না, তা বলা যাবে না। হয়তো এসব বিষয়ে সরকারের তরফে আমরা বিভিন্ন সময় নানা আশ^াসের কথা শুনি, কিন্তু সে সবের বাস্তবায়ন সহসাই হয় না। সরকার সবকিছুই করতে চায় সত্য, কিন্তু এর জন্য অর্থ একটি বড় চ্যালেঞ্জ। চালেঞ্জ অনেক সময়ই জনস্বার্থের চেয়ে শ্রেণিস্বার্থেই আগে ব্যয় করা হয়। ঢেকে যায় প্রকৃত জনস্বার্থের বিষয়। এভাবে দেশীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান চিনিশিল্প, পাটশিল্প, চালকল শিল্প একে একে রুগ্ন শিল্পে পরিণত হয়েছে। এমনকি প্রধানমন্ত্রী বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ প্রকল্পের ঘোষণা দিয়েও দীর্ঘ সময়েও তা আলোর মুখ দেখেনি। অর্থাৎ ঘোষণা আসলেও প্রকৃত অর্থে অর্থের বরাদ্দ না থাকলে প্রকল্প যে মুখ থুবড়ে পড়বে, এটাই স্বাভাবিক। আর আন্তরিক থাকলে শূন্য হাতে পদ্মা সেতুর মতো প্রকল্প নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করাও সম্ভব হয়। কিন্তু পানি ব্যবস্থাপনার প্রকল্প গ্রহণ করা হয় না, এটাই বাস্তবতা।
মানুষের বেঁচে থাকার অন্যতম নিয়ামক ভূ-উপরিস্থ পানি সংরক্ষণ, নদীর পানি পরিশোধন করে মানুষের বেঁচে থাকার জন্য গোটা দেশে মেগা প্রকল্প গ্রহণ করলে এবং সরকারের সদিচ্ছা থাকলে, তা বাস্তবায়ন করাও সম্ভব। জানা গেছে, খোদ ঢাকা ওয়াসার ৫ ও ১০ বছর মেয়াদি ‘পানি শোধনাগার প্রকল্প’ সম্পন্ন করা নিয়েও দীর্ঘসূত্রতা সৃষ্টি হয়েছে। অথচ এসব প্রকল্পকে অগ্রাধিকার দিয়ে দ্রুত বাস্তবায়ন জরুরি। সরকার জনস্বার্থের কথা বিবেচনায় নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব পর্যায়ক্রমেই গোটা দেশের শহর, গ্রাম পর্যন্ত বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ও নদীর পানি পরিশোধন করার উদ্যোগ নিয়ে ভূ-গর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমিয়ে আনবে, এটাই আকাক্সক্ষা।

আব্দুল হাই রঞ্জু : সাবেক ছাত্রনেতা
[email protected]

 
Electronic Paper