আগ্রা থেকে লালকেল্লা
খন্দকার মাহমুদুল হাসান
🕐 ১২:২৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১১, ২০২১
গুপ্ত যুগ ছিল ভারতীয় শিল্পকলার স্বর্ণযুগ। কাজেই শিল্প-সংস্কৃতি-সভ্যতায় মথুরার অবদান ও অবস্থান স্পষ্টভাবে জানা থাকায় মথুরা দর্শন আমার কাছে অন্য রকমের রোমাঞ্চকর অভিযানই ছিল। মথুরা-বৃন্দাবনের ধর্মীয় গুরুত্ব অনেক। শ্রীকৃষ্ণের জন্মভূমি মথুরা এবং লীলাক্ষেত্র হিসেবে বৃন্দাবন বিখ্যাত। দুটি স্থানেই অনেক মন্দির আছে। দুটি স্থানই অতি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় তীর্থস্থান। দিনরাত এখানে ধর্মীয় শোভাযাত্রা ও পূজা-অর্চনা চলতে থাকে। বৃন্দাবনে আমি প্রায় শেষ রাত পর্যন্ত থেকে রাতভর চলতে থাকা ধর্মীয় শোভাযাত্রা প্রত্যক্ষ করলাম।
পথের দু’ধারের অপেক্ষমাণ জনতাকে মাথা নুইয়ে শোভাযাত্রায় বহন করা কৃষ্ণমূর্তির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দেখলাম। এনসাক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকায় (১৯১১, চতুর্থ খন্ড ) বৃন্দাবন সম্পর্কে দেওয়া বিবরণ অনুযায়ী ভারতের উত্তর প্রদেশের মথুরা জেলাধীন এবং মথুরা শহর থেকে প্রায় এগার কিলোমিটার দূরবর্তী বৃন্দাবন শহরটির প্রতিষ্ঠাকাল খ্রিস্টীয় ষষ্ঠদশ শতক। ১৫৯০ খ্রিস্টাব্দে অর্থাৎ মোঘল আমলের গোবিন্দ মন্দিরের কথাও এখানে উল্লেখ করা হয়েছে গুরুত্বের সঙ্গে।
নিজামুদ্দিন আউলিয়ার মাজার ও সংলগ্ন মসজিদ
নিজামুদ্দিন আউলিয়ার মাজার বা সমাধিটি দিল্লিতে। তবে তাকে নিয়ে অনেক গল্পকথা শুনে এসেছি ছোটবেলা থেকেই। তাই আগ্রা, মথুরা ও বৃন্দাবন থেকে দিল্লিতে ফেরার পরদিনই (২০১৬ সালে) তার সমাধিতে গেলাম। সেই সমাধিটি ভারতের সুলতানি আমলের (১৩২৫ খ্রি.)। তবে শ্বেত পাথরের সমাধিসৌধটি মোঘল আমলের। ১৫৬২ খ্রিস্টাব্দে সৌধটি নির্মিত হয়েছে। দিল্লির পুরাকীর্তি যারা দেখতে চান তাদের জন্যে এই স্থানটি অবশ্য দ্রষ্টব্য। যেই পথ দিয়ে মাজারে গেলাম সেটি অনেকটা সুড়ঙ্গের মতো মনে হলো। দু’পাশে দেয়াল, ওপরে ছাদ, নিচে পথ। সেই পথের দু’ধারেই একটু দূরে দূরে বসে আছে সাহায্যপ্রার্থীরা। জায়গাটা পার হলেই গোলাপ পাপড়ির স্তূপ। সেই পাপড়ি বিক্রি হতেও দেখলাম। মানুষজন তা কিনে নিয়ে মাজারে শ্রদ্ধার্ঘ হিসেবে নিবেদন করছে। মাথায় সিঁদুর দেওয়া অনেক নারীও দেখলাম সেখানে।
সুফি সাধক হিসেবে নিজামুদ্দিন আউলিয়া (১২৩৮-১৩২৫) বিশ্বখ্যাত। সমাধিসৌধটি একটি বাঁধানো চত্বরের মাঝামাঝি জায়গায়। ইমারতটির ছাদে পেঁয়াজাকৃতির একটি গম্বুজ আছে। মূল কক্ষের বাইরে ছোট্ট বারান্দা আছে। সমাধিসৌধ এলাকায় কবি আমির খসরুসহ অনেক বিখ্যাতজনের সমাধি রয়েছে। আমির খসরুর সমাধিটি শ্বেত পাথরের জালিতে ঘেরা। এখানে রাজকুমারী জাহানারার সমাধিও আছে।
মাজারের কাছেই সুউচ্চ একটি মসজিদ আছে, যা ভারতের একেবারে প্রথম দিককার টিকে থাকা মসজিদগুলোর একটি। জানলাম, আগা খান ট্রাস্ট এই গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শনটি সংরক্ষণের দায়িত্ব নিয়েছে। লাল পাথরের তৈরি এ মসজিদের গম্বুজগুলো সাদা। সমাধিতে নানা ধর্মের অসংখ্য মানুষ প্রতিদিন শ্রদ্ধা জানাতে আসেন বলে জানলাম। ইসলাম ধর্মের চিশতিয়া তরিকার একজন বিখ্যাত সাধক ছিলেন তিনি। কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকি ও খাজা মইনউদ্দিন চিশতিও এই তরিকার খুব নামকরা সাধক ছিলেন। জানা যায়, নিজামুদ্দিন আউলিয়া ছিলেন হজরত আলী (রা.) বংশধর, সেদিক দিয়ে তিনি ইসলামের মহানবীর (সা.) সঙ্গেও সম্পর্কিত। সম্রাট আকবরের উজির আবুল ফজলের ‘আইন ই আকবরি’তে নিজামুদ্দিন আউলিয়ার জীবনীর উল্লেখ আছে। মেহবুবে ইলাহি ও সুলতানুল মশায়েখসহ আরও অনেক নামে তিনি পরিচিত। আরবি, ফারসি, তুর্কি ও সংস্কৃত ভাষায় মহাপ-িত, উর্দু ভাষার একজন প্রধান জন্মদাতা, ভারতে কাওয়ালী ও গজলের প্রবর্তক, আরবি, ফারসি, তুর্কি ও উর্দু ভাষার একজন প্রধান কবি, শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের উঁচুস্তরের পন্ডিত ও বিখ্যাত সুফি সাধক আমির খসরু (১২৫৪-১৩২৫) ছিলেন নিজামুদ্দিন আউলিয়ার প্রধান একজন শিষ্য।
নিজামুদ্দিন আউলিয়ার মৃত্যুর কয়েক মাসের মধ্যে মৃত্যু হলে তাকে আউলিয়ার পায়ের দক্ষিণে মাজার প্রাঙ্গণেই সমাহিত করা হয়। ভারতের পাতিয়ালায় জন্মগ্রহণকারী এই মহাপন্ডিতের সমাধিতে দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের সুযোগ হয়েছিল বলে ধন্য মনে হয় নিজেকে। নিজামুদ্দিন আউলিয়ার জন্ম হয়েছিল দিল্লির পূর্ব দিকে ভারতের উত্তর প্রদেশের বাদাউনে। তিনি দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় বাস করেছিলেন। শেষে যেখানে তার খানকাহ ছিল, শিষ্যদের সময় দিতেন, থাকতেন অর্থাৎ বসবাস করতেন সেই জায়গাটার কাছেই পরে বাদশাহ হুমায়ুনের সমাধিসৌধ নির্মিত হয়েছে।
হুমায়ুনের সমাধি
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে নিজামুদ্দিন আউলিয়ার মাজারের বেশ কাছেই সম্রাট হুমায়ুনের (১৫০৮-১৫৫৬) সমাধিসৌধ। এটি দেখতে গিয়েও অবাক হলাম। কারণ এটি চোখ ধাঁধানো ও জাঁকজমকপূর্ণ একটি অট্টালিকা। এটি জাতিসংঘ ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য। ১৫৫৬-তে হুমায়ুনের মৃত্যুর পর তার অন্যতমা স্ত্রী হামিদা বানু বেগমের উদ্যোগে সৌধটির নির্মাণ শুরু হয়। ইরানের স্থপতি মিরাক মির্জা গিয়াস এটির নকশাকার। এই উদ্যান সৌধে ঈসা খানের মসজিদ (১৬৪৭ খ্রি.) প্রভৃতি সৌধও আছে। সমরখন্দে পূর্বপুরুষ তৈমুরের সমাধিসৌধের আদলে এটি নির্মিত হয়েছে। এটির নকশার অনুকরণে তাজমহল নির্মিত হয়েছে। এটি ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম উদ্যান সমাধিসৌধ। ১৫৩৩ খ্রিস্টাব্দে সম্রাট হুমায়ুন যে দিনা পানাহ অর্থাৎ পুরাতন কিল্লা নির্মাণ করেছিলেন সেটি এবং নিজামুদ্দিন আউলিয়ার মাজার, খানকাহর নিকটেই এর অবস্থান। এর আগে লাল বেলেপাথরের এত বড় স্থাপনা গোটা ভারতীয় উপমহাদেশে আর নির্মিত হয়নি। ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘ এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করে।
১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দের ২০ জানুয়ারি তারিখে সম্রাট হুমায়ুন মারা গেলে তাকে প্রাসাদের ভিতরেই সমাহিত করা হয়। পরে সেখান থেকে মরদেহটি পাঞ্জাবে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সরহিন্দে সমাহিত করা হয়। পরবর্তী বাদশাহ আকবর ১৫৫৮-তে সেটি দেখে আসেন। ১৫৫৬ সালে হুমায়ুনের মৃত্যুর ৯ বছর পর ১৫৬৫ সালে হামিদা বানু বেগমের উদ্যোগে এই সৌধের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল। প্রায় সাত বছর ধরে চলে আলিশান ইমারতের নির্মাণকাজ। ১৫৭২ খ্রিস্টাব্দে এর নির্মাণ শেষ হয়। সেই মোঘল আমলে এটি নির্মাণ করতে খরচ হয়েছিল ১৫ লক্ষ টাকা। সম্রাট হুমায়ুনের আসল নাম ছিল মির্জা নাসিরউদ্দিন মুহাম্মদ হুমায়ুন (১৫০৮-১৫৫৬)। তিনি ছিলেন দ্বিতীয় মোঘল সম্রাট, যার জীবনকাল ছিল মাত্র সাতচল্লিশ বছরের।
ভাগ্যান্বেষণে মধ্য এশিয়ার উজবেকিস্তান থেকে এসে ভারতের মোঘল সাম্রাজ্যের পত্তন করেছিলেন হুমায়ুনের বাবা মির্জা জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবুর (১৪৮৩-১৫৩০)। বাবার মতোই অনেক সংগ্রাম করেছিলেন হুমায়ুন। বাবার মৃত্যুর পর সম্রাট হয়ে তিনি প্রথম দফায় (১৫৩০-১৫৪০ খ্রি.) রাজ্যশাসন করার পর রাজ্যহারা হন। বিহারের শাসনকর্তা শেরশাহ শুরীর (রাজত্বকাল : ১৫৪০-১৫৪৫), ইসলাম শাহশুরী (রাজত্বকাল : ১৫৪৫-১৫৫৩), ফিরোজ শাহশুরী (১৫৫৩ খ্রিস্টাব্দে বারো বছর বয়সে সিংহাসনে বসলেও মুবারিজ খান তাকে হত্যা করে সিংহাসনে বসেন), মুহাম্মদ শাহ আদিল ওরফে মুবারিজ খান (রাজত্বকাল : ১৫৫৩-১৫৫৫), ইব্রাহিম শাহশুরী ওরফে সিকান্দার শাহশুরী (রাজত্বকাল : ১৫৫৫) রাজত্ব করার পর হুমায়ুন আবারও রাজত্ব পুনরুদ্ধার করেন এবং দ্বিতীয় দফায় রাজ্য শাসন করেন (১৫৫৫-৫৬)।
এই সমাধিক্ষেত্রে শুধু হুমায়ুন নন তার প্রবল প্রতিপক্ষ শেরশাহের দরবারের রাজপুরুষ ইশা খান নিয়াজিরও সমাধি রয়েছে। হুমায়ুনকে উৎখাত করে শের শাহ প্রতিষ্ঠিত শুরী রাজবংশের আমলে ১৫৪৭ খ্রিস্টাব্দে সমাধিস্থলটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
হুমায়ুন ছাড়াও কয়েকজন পরবর্তী মোঘল সম্রাট, সম্রাজ্ঞী ও রাজুকুমারের বা শাহজাদার সমাধি রয়েছে এখানে। এদের মধ্যে ছিলেন শাহজাহানের পুত্র শাহজাদা দারাশিকো, সম্রাট জাহান্দার, শাহ ফররুখ শিয়র, দ্বিতীয় আলমগীর, হুমায়ুনের অন্যতমা স্ত্রী হামিদা বেগম প্রমুখ। এই সমাধিসৌধ এলাকায় ছিল চমৎকার মোঘল উদ্যান। সৌধ এলাকায় এখনো রয়েছে সুরকি বিছানো পথ, যা মোঘল আমলের স্মৃতি স্মরণ করিয়ে দেয়।
লালকেল্লা ও জামা মসজিদ
বর্তমান ভারতের রাজধানী দিল্লি যে একসময় মোঘল ভারতের রাজধানী ছিল সেই সময়ের সব চিহ্ন ধরে রেখেছে এই লালকেল্লা। লালকেল্লার সামনে দাঁড়িয়ে অবাক হয়ে দেখছিলাম আর ভাবছিলাম সেই কথা। টিকিট কেটে প্রধান ফটক বা লাহোর দারওয়াজা দিয়ে ঢুকে গেলাম ভিতরে। লাল পাথরে গড়া বিশাল এ রাজকীয় দুর্গটি দেখে থমকে দাঁড়াবে যে কেউ। আমিও ঢোকার আগে থমকে দাঁড়ালাম। তারপর সেই আলিশান ফটক গলিয়ে চট্টাচকে গিয়ে পড়লাম।
জায়গাটা ফটকের ওপাশেই। ওখানে পথের দু’ধারের দোকান থেকে দিল্লি-আগ্রার কিছু প্রত্নতত্ত্ব স্থাপনার স্মারক প্রতিলিপি কিনলাম। তারপর দুর্গের ভিতরে যাওয়ার পথ ধরে সামনে এগোলাম। এই দুর্গও একসময় গমগম করত লোকে, যেমন গমগম করত আগ্রা দুর্গ। এই দুই দুর্গেই বসত রাজদরবার। বিশাল মোঘল সাম্রাজ্যের প্রধান প্রশাসনিক কেন্দ্র ছিল এই দুই জায়গায়। সম্রাট শাহজাহানের রাজধানী শাহজাহানাবাদের রাজপ্রাসাদ ছিল লালকেল্লা নামের দুর্গের ভিতরে। এখন এটি জাতিসংঘ ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য। যমুনার তীরে ১৬৩৮ সালে এর নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল।
এই দুর্গের ভিতর রাজপরিবারের সবাই থাকত বলে দুর্গটিকে কিলা ই মুবারক বা আশীর্বাদধন্য দুর্গও বলা হতো। ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে মোঘল সাম্রাজ্যের চূড়ান্ত পতন পর্যন্ত এখানেই মোগলদের রাজধানী ছিল। সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের পতন ও বিদায় নেওয়ার পর বাহাদুর শাহের বিচার করে ইংরেজরা। এরপর ইংরেজরা ভারতবর্ষের রাজধানী দিল্লি থেকে কলকাতায় সরিয়ে আনল। এই দুর্গে লাহোর গেট ছাড়াও দিল্লি গেট নামের আরও একটা প্রবেশপথ আছে। এই পথ সেদিকেও নিয়ে যেতে পারে। এই পথ দিয়েই গেলাম দিওয়ান ই আম, দিওয়ান ই খাস, মোতি মসজিদ, রঙমহলের কাছে।
দিওয়ান ই আম দেখে মনে হলো একেবারে আগ্রা দুর্গের দিওয়ান ই আমই দেখছি। একই রকম লাল পাথরের স্থাপনা। একদম একই রকমের স্তম্ভ, একই জায়গায় সিংহাসন, সবকিছু একই। দিওয়ান ই খাসও আছে। আরও আছে রঙমহল, আওরঙ্গজেবের তৈরি ধবধবে সাদা মতি মসজিদের মতো স্থাপনার দেখাও মিলল এখানে। তবে সবকিছু দেখেশুনে আগ্রা দুর্গের কথাটাই মনে পড়ে গেল। তবে আগ্রা দুর্গ থেকে তাজমহল দেখা যায় না, এখান থেকে যায় না।
দুর্গ থেকে বেরিয়ে সামনের উদ্যানটার ওপারে সড়ক পার হলেই জামা মসজিদ। এ মসজিদটার সামনে দাঁড়িয়ে এর ফটকটা দেখতে মাথাটা পেছন দিকে কাত হয়ে গেল। সত্যি কথা বলতে কী, এমন আকাশছোঁয়া তোরণ, পাথরে বাঁধানো বিশাল চত্বর, ওপরের দিকে উঠে যাওয়া বিশাল সব স্তম্ভ ধারণ করে রেখেছে ছাদের রাজকীয় গম্বুজগুলোকে।
ভারতের সবচেয়ে বড় একটি মসজিদের নামই হলো জামা মসজিদ বা জামে মসজিদ। এ মসজিদের দৈর্ঘ্য ৪০ মিটার আর প্রস্থ ২৭ মিটার। এ মসজিদের ওপরে গম্বুজ আছে ৩টি, মিনার আছে ২টি, আর মিনারের উচ্চতা ৪১ মিটার। এ মসজিদের নাম ছিল মসজিদ ই জাহান নুমা অর্থাৎ জগতের প্রতিবিম্ব। ২৫,০০০ মানুষ এখানে নামাজ পড়তে পারে। সম্রাট শাহজাহান পনেরো লক্ষ টাকা খরচ করে এটি নির্মাণ করেছিলেন।
মসজিদের ভিতরে ঢুকে এর খিলানগুলো দেখে আমার মতো অবাক সবাই হবেন। লাল বেলেপাথর আর সাদা মার্বেল পাথরের জাদুকরী কারুকাজ আছে এ মসজিদে। সত্যি বলছি, এত বড় আর এমন রাজকীয় মসজিদে আগে কখনো যাইনি আমি। এ এক আশ্চর্য কীর্তি!
(শেষ)
খন্দকার মাহমুদুল হাসান: সাহিত্যিক ও গবেষক