ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

শিক্ষার দশা

শ্যামলী তানজিন অনু
🕐 ১১:৪১ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২৮, ২০২০

শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। কথাটা বুদ্ধি হওয়ার পর থেকেই গড়গড়ে মুখস্থ সবার। সুশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার জন্য প্রয়োজন শিক্ষার মান উন্নয়ন করা। কিন্তু বিশ্ব আজ স্থবির করোনা মহামারীতে। প্রতিটি দেশে শিক্ষাব্যবস্থার বেহাল দশা। শিক্ষা একটি জাতির উন্নয়নে কতোটা বাধাগ্রস্ত করতে পারে তা এখন সহজেই অনুমেয়। বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ সর্বপ্রথম করোনা হানা দেয়, তারই জের ধরে করোনা নভেম্বর পর্যন্ত চলে এসেছে। পুরো নয় মাস দেশ এলোমেলো। প্রথমদিকে সবাই লকডাউন মানলেও এই মুহূর্তে মানছে না কেউ। এমনকি মাস্ক পরাও বাদ দিয়েছে অনেকেই। লকডাউন এখন শুধুই পত্রিকার পাতার কিছু কালো কালির বর্ণ ছাড়া কিছুই না।

সারা দেশে মিটিং-মিছিল, জনসভা, সমাবেশ, আন্দোলন, মানববন্ধন সব আগের মতো চলমান। শপিংমলসহ নানান ধরনের বাজার খোলা, লোকে লোকারণ্য চারদিকে। শুধু বন্ধ আছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ইতোমধ্যে বাতিল হয়েছে এইচএসসি পরীক্ষা। পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত জানার পর টিউশনি হারিয়েছে অনেক নিম্ন ও মধ্যবিত্তের ছেলেমেয়ে, যারা নিজের খরচটুকু চালাত ওই টিউশনির টাকায়। কারণ পরীক্ষা বাতিল মানে টিউশনির প্রয়োজনও শেষ। গুরুত্বপূর্ণ একটা পরীক্ষা ছাত্র ছাত্রীদের জন্য। যা এখন অটোপাস নামে খ্যাত। এতে উপকারের চেয়ে ক্ষতি হয়েছে বেশি, কারণ কোনো শিক্ষার্থীর পূর্বের ফলাফলের উপর তার বর্তমান মেধা নির্ভর করে না। এমন অনেক নজির আছে জেএসসিতে অত্যন্ত বাজে ফলাফল কিন্তু এসএসসি বা এইচএসসি তে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত।

আবার মাধ্যমিকে শুরু হয়েছে অ্যাসাইনমেন্ট নেওয়ার পদ্ধতি। একটা অ্যাসাইনমেন্ট একজন শিক্ষার্থীর মেধা মূল্যায়নে কতোটা কার্যকরী? নির্ধারিত প্রশ্নের উত্তর লিখে স্কুলে জমা দিতে বলা হয়েছে কিন্তু আদৌ কি প্রশ্নের উত্তরগুলো সেই শিক্ষার্থী করছে? হয়ত তার অভিভাবকরা সাহায্য করছে। আবার জানা গেছে, অ্যাসাইনমেন্ট বাবদ টাকা নেওয়া হচ্ছে অথচ টাকা নেওয়ায় নিষেধাজ্ঞা আছে। জানা গেছে, ময়মনসিংহের একটি গ্রামে মা তার মেয়ের অ্যাসাইনমেন্টের জন্য তিনটা শাড়ি বিক্রি করে দিয়েছেন।

শ্যামলী তানজিন অনু : শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
[email protected]

 
Electronic Paper