করোনায় শিক্ষা
মো. আ. আউয়াল
🕐 ১২:১২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২১, ২০২০
করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি রয়েছে। মহামারীর কারণে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা নেওয়া হবে না বলে পূর্বেই সরকার ঘোষণা করেছে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বার্ষিক পরীক্ষা না হওয়ার কথাও বলেছেন শিক্ষা বিভাগীয় নীতিনির্ধারকগণ। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৬ষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের এ্যাসাইনমেন্ট তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং রীতিমতো স্কুলগুলোতে অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম চলছে।
তবে চারটি শর্ত দিয়ে অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে ব্রিটিশ কাউন্সিলের পরিচালনায় ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের ‘ও’ এবং ‘এ’ লেভেলের পরীক্ষা নেওয়া অনুমতি দিয়েছে সরকার। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিকে বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না খোলা হলেও সরকার ইতোমধ্যেই অফিস-আদালত এবং সব অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সুযোগ দিয়েছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হারও আগের তুলনায় অনেক কমেছে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রিপোর্টে বলা হয়েছে। বর্তমান হার অনুযায়ী প্রতি ১০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ০১ জন নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে ভাইরাসটি ক্ষয়িষ্ণু ধারায় রূপান্তরিত হচ্ছে। তবে প্রশ্ন হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলছে না কেন? এর উত্তরে বলা যায় শিক্ষার্থীরা আমাদের ভবিষ্যৎ, তাদের ব্যাপারে আমাদের অতন্দ্র প্রহরীর মতো সদা সতর্ক থাকতে হবে।
কয়েকটি কারণ উপস্থাপন করছি— সংক্রমণের হার কমলেও এখন ও রোগী পাওয়া যাচ্ছে। শীতের সময় করোনার দ্বিতীয় দফা সংক্রমণের শঙ্কা আছে। অভিভাবকদের মাঝে এখনো আতঙ্ক রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি কতটা মানা সম্ভব হবে তা পরিষ্কার নয়। অনেক দেশেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে আবারও বন্ধ করতে হয়েছে। অনেক দেশে নতুন করে সংক্রমণ বাড়ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও অভিভাবকরাও সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকবেন। মোদ্দাকথা, আমাদের শিক্ষার্থীদের জীবনের নিরাপত্তার বিষয়টি সার্বাগ্রে চিন্তা করতে হবে।
মো. আ. আউয়াল: সিনিয়র শিক্ষক, নড়িয়া বিহারীলাল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, নড়িয়া, শরীয়তপুর