ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধার মূল্যায়ন

নিগার সুলতানা সুপ্তি
🕐 ১১:১০ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২০, ২০২০

জীবনে বড় হওয়ার ইচ্ছা প্রতিটি মানুষের থাকে। এ বড় হওয়ার জন্য প্রয়োজন নিজের মেধা ও মননের যথার্থ পরিচর্যা এবং একটি স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রয়াস। জীবনের বাঁকে বাঁকে ছোট ছোট সাফল্য মানুষের সেই অসীম গন্তব্যের পথে প্রেরণা জোগায়।

উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ করার পর প্রতিটি মেধাবী শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে দেশের সেরা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র হওয়া। বিশেষ করে বুয়েট, মেডিকেল অথবা প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। এক দিকে মেধাবী শিক্ষার্থীদের এ সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ চত্বর হাতছানি দেয় অন্যদিকে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ছাত্র হওয়ার অসম প্রতিযোগিতা সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু প্রত্যেকের মেধা, মনন, ধ্যান-জ্ঞান একটাই, যেকোনো উপায়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হওয়া। উচ্চমাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষার ফলাফলের পরই শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিযুদ্ধের এক অসম প্রতিযোগিতা। বাংলাদেশে সাধারণত এপ্রিল-মে মাসে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও চলতি বছর করোনাভাইরাসের কারণে নির্দিষ্ট সময়মতো অনুষ্ঠিত হয়নি এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষা। এইচএসসি পরীক্ষা কবে অনুষ্ঠিত হবে, সে বিষয়ে এর আগে কয়েক দফা আলোচনা হলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি।

গত ৭ অক্টোবরে অনলাইনে ব্রিফিংয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা হবে না, মূল্যায়ন হবে ভিন্ন পদ্ধতিতে। ফলাফল জানানো হবে ডিসেম্বরের মধ্যে। মূল্যায়নের জন্য জেএসসি এবং এসএসসির ফলাফল বিবেচনায় নেওয়া হবে।’ তবে এইচএসসি ফলাফলের একটা সুরাহা হলেও অধরা থেকে যায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার মতো জটিল সমস্যা।

তবে ১৭ অক্টোবর বিভিন্ন অনলাইন গণমাধ্যমে প্রচার হয়েছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি। কিন্তু এরকম সিদ্ধান্ত কতটা যৌক্তিক সেটা নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। আমরা প্রত্যেকেই খুব করে চাই আমাদের দেশের প্রতিটি সেক্টর ও সেবা খাতে ডিজিটালাইজেশন হোক। উন্নত দেশের মতো দেশের মানুষ সকল সুবিধা ঘরে বসে হাতের নাগালে পাক। করোনা আমাদের প্রযুক্তির দিকে ধাবিত করছে এটা সত্য। কিন্তু সেজন্য পূর্ব অভিজ্ঞতা ছাড়া সব ভার্সিটি মিলে সমন্বিতভাবে এমন একটি কাজে নামা কতটুকু বাস্তবিক? অথচ এতদিন পর্যন্ত ভার্সিটিগুলো মিলে একটা সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নিতেই রাজি হয়নি!

নিগার সুলতানা সুপ্তি : শিক্ষার্থী, প্রাণিবিদ্যা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
[email protected]

 
Electronic Paper