ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

সংসার : বন্ধন নাকি বাঁধা

বিলেকাসা
🕐 ১০:১৬ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০

জিততে চাইলে সংসারে নয়, অলিম্পিকে যাওয়াই ভালো। অলিম্পিকে স্পষ্ট করে দেখা যায় কে জিতেছে, জেতার ঘটনা পুরো বিশ্বে প্রচার করা হয়, জিতে যাওয়ার রেকর্ডটাও যতœ সহকারে সংরক্ষণ করা হয়। সংসার মানে সংসার, একে আমি দেখি একভাবে, তুমি দেখ আরেকভাবে। কারণ দুজনেই আলাদা। আমি তুমি না, তুমিও আমি না। তোমার জগৎ আলাদা, আমার জগৎ আলাদা। আমরা আলাদা বলেই তুমি যেভাবে সংসার দেখ, আমি সেভাবে সংসার দেখি না। আসলে আমাদের দুজনের কেউই দুজনের মতো করেই কিছু করতে পারি না। তবুও কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের মিলে যায়। এই যে মিলে যাওয়ার যে ব্যাপার তাও কিন্তু দুজন দু’ভাবেই দেখি।

আমি আর তুমি কোনোভাবেই সমান হতে পারি না। নিজেকে আমি ‘আমি’ বলে ডাকছি, তোমাকে ‘তুমি’। তুমিও নিজের বেলায় তাই করছ, তোমাকে রেখেছ ‘আমি’তে, আমাকে ‘তুমি’তে। এরপর আছে আমাদের শারীরিক ভিন্নতা। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে মানসিক ভিন্নতা। পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে সব কিছুতে আরও অনেক অহেতুক ভিন্নতার জন্ম হতে পারে। তবুও আমরা সংসারে আছি, সংসারের মাধ্যমেই দুজন দুজনের পাশে আছি। কারণ অনেক ক্ষেত্রেই আমার সুখটা তোমার কাছে, তোমার সুখটা আমার কাছে। ঠিক একইভাবে আমার যেমন কিছু কষ্ট আছে তোমাকে নিয়ে, তোমার কিছু কষ্ট আছে আমাকে নিয়ে। এরপর ধীরে ধীরে টানতে থাকলে দেখবে, দুজন দুজনকে নিয়ে অভিযোগ আছে, অভিমান আছে। এসব নানা দ্বন্দ্বে দুজন আবার আঘাতও করি দুজনকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই আঘাতের স্মৃতিচিহ্ন মুছে যায় আদরে, তোমার আদরে আমার আঘাত, আর আমার আদরে তোমার আঘাত। এসব করেই কোনো একটি অচেনা গতিতেই আমাদের সংসার চলে। তোমার আমার সংসারেও একজন তুমি আর একজন আমি, আমরা দুজন সমান নই, অনেকটাই বেঁচে থাকি একে অন্যের পরিপূরক হয়ে! এমনকি, তোমার আমার সংসার নিয়ে আমার লেখাটি এক রকম হচ্ছে, তুমি লিখলে নিশ্চিত ভাবেই অন্যরকম হয়ে যেত। 

সংসারে অভিযোগ থাকবেই কম আর বেশি। অভিযোগ করতে চাইলে অনেক অভিযোগই করা যায়। সূর্য বলতে পারে, আমি তো সবার জন্য জ্বলছি। পৃথিবী বলতে পারে, কেন আমার বুকে কি আগুন নেই, সূর্যের পেছনে ঘুরতে ঘুরতে তো জীবন কয়লা হয়ে গেল। বুধ বলতে পারে, সূর্য তো আমাকে পুড়িয়েই মারল। মঙ্গল বলতে পারে, আমার সঙ্গেই পারলে... ঠিকই তোমাকে কেন্দ্র করে ঘুরি, কই বৃহস্পতির সঙ্গে তো পারলে না, ঠিকই বৃহস্পতিও তোমাকে ঘুরিয়ে ছেড়েছে। সাগর অভিযোগ করবে নদী নিয়ে, তোদের বয়ে আনা সমস্ত লবণ নিজের বুকে রেখেছি বলেই আমি লবণাক্ত, আর দেখ, তোরা কত মিষ্টি। মৌচাকের মৌমাছিগুলো তো মধু আনতে ফুলে ফুলে ঘুরে বেড়ায়, কেউ যায় কাছের ফুলে, কেউ যায় দূরের ফুলে, ওরাও যদি অভিযোগ করতে চায়, ওরাও অভিযোগ করতে পারে। অভিযোগগুলো আমলে নিলে কিন্তু আর মৌচাক বানানো এত সহজ থাকবে না। হয়তো মধুর প্রয়োজনীয়তা আছে বলেই মৌমাছিরা সমস্ত অভিযোগের ঊর্ধ্বে উঠে মৌচাকের প্রতি যতœশীল হয়। ঠিক তেমনই আমাকে নিয়ে তোমার অভিযোগ থাকবে, তোমাকে নিয়েও আমার অভিযোগ থাকবে। তারপরেও আমাদের সংসারে থাকে অভিযোগ অভিমান দুঃখ কষ্ট। এরপরেও তোমার আমার জীবন এই সংসারেই! কারণ এই সংসার থেকেই নতুন জীবনের জন্ম হয়।

এত অভিযোগ, এত অভিমান, কত দুঃখ, কত কষ্ট। এগুলোর মাঝে কিন্তু খুব সুন্দর কিছু দেনা পাওনার হিসাব থাকে। না পাওয়ার যতটা কষ্ট, না দিতে পারার কষ্ট তার চেয়ে কোনোমতেই কম না। তবে সংসারের সব দেনা-পাওনা নগদে মিটিয়ে দেওয়া যায় না। অনেক সময় বাকিতেই সুন্দর সুন্দর দেনা- পাওনাগুলো মিটে যায়। আর দুঃখ কষ্ট না থাকলে মনের গাঁথুনি যেন ঠিক পোক্ত হয় না। এই দুঃখ কষ্টের কারণেই হয়তো আমি একজন আমি হয়ে উঠি, তুমি একজন তুমি হয়ে ওঠ। যে আমির জন্য তোমার মন পোড়ে, আর যে তুমির জন্য আমির মন পোড়ে। সংসার যেন একটি ঈগল পাখি। যার একটি ডানা আমি, আর একটি ডানা তুমি। দুজনের ভারসাম্যের কারণেই ঈগল পাখি নামক সংসারটি শূন্যে উড়তে পারে। যেখানে আগে থেকে কোনো পথ নেই, পথ তৈরি করেই ঈগলকে এগিয়ে যেতে হয়। দুটো ডানার মাঝে যত ভারসাম্য, তত বেশি ঈগলের মুক্তি, তত সে দ্রুত পথ চলতে পারে, তত সে অনেক কিছু দেখতে পারে। একবার এই ভারসাম্যটা চলে এলে একটি সংসার ঈগল যতই এঁকেবেঁকে চলুক না কেন, দুজনের কেউই ছিটকে পড়ব না।

ঈগলটি এদিকে বেঁকে গেলে এপাশের ডানা হেলে যায়, ওপাশের ডানা ওপরে উঠে যায়, আবার যখন ঈগল ওদিকে বেঁকে যায়, ওপাশের ডানাটা নিচে হেলে যায়, আর এপাশের ডানাটা ওপরে উঠে যায়। আর যখন প্রশান্ত সময়ে একটি ঈগল ধীরগতিতে এগিয়ে যায়, তখন কিন্তু দুটো ডানা প্রায় একই উচ্চতায় থাকে। তারপরেও দুটো ডানা কিন্তু এক নয়, অন্য কোনো পার্থক্য না থাকুক, অন্তত ডান বামের পার্থক্য তো আছেই! সংসার কি শুধু তোমার আর আমার। সংসারের দায় তোমার আমার হলেও, সংসার কিন্তু শুধু আমাদের দুজনের নয়। এখানে আছে কিংবা আসবে আমার তোমার জীবনের শ্রেষ্ঠ উপহার, আমাদের সন্তান। আমার তোমার জন্য সংসারে যে আনন্দ আছে, যে মায়া মমতা তা যেন সবই ওকে নিয়েই। কারণ সংসার মানবজীবনের সূতিকাগার বৈ তো অন্য কিছু নয়। প্রাণ বহতা, এই বহতা প্রাণের জন্য সূর্য নিরন্তর জ্বলছে, বাতাস বইছে, পানি গড়িয়ে চলছে, দিন রাত হচ্ছে, ...মহাবিশ্বের দজ্ঞযজ্ঞের একমাত্র কারণ এই প্রাণের বয়ে চলা। প্রাণের মাঝে প্রাণী উদ্ভিদ সবই আছে। এমনও হতে পারে, জড়েরও প্রাণ আছে। ফিরে আসি সংসারে, তোমার আমার সংসারে। প্রকৃতির এটাই সবচে সুন্দর খেলা, তোমার আমার থেকে আমাদের সন্তান। আর এজন্যই যেন সমস্ত মায়া মমতার এত বিস্তার। সংসারের মূল দায় যেন একটিই, সন্তানকে বড় করে তুলতে হবে, ওকে গড়ে তুলতে হবে, শিক্ষা দিতে হবে, ওকে গড়ে তোলার জন্য সবচে নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানের নামই হল আমার তোমার সংসার।

সন্তান বড় করে কী লাভ! আবার সেই কথা, লাভের কথাই ভাবলে সব কিছু বন্ধ করে দিয়ে লাভ লোকসানের ব্যবসা করতে হবে; জিততে চাইলে অলিম্পিকে চলে যেতে হবে। জীবন লাভ-ক্ষতির জায়গা নয়, সংসার হার-জিতের ক্রিয়াক্ষেত্র নয়, জীবনকে চালিয়ে নেওয়াই একমাত্র কাজ। প্রতিটি জীবনের গতি আলাদা, প্রতিটি সংসারের গতি আলাদা, দুঃখ কষ্টের মাত্রা আলাদা। কিন্তু এত কিছু আলাদা হওয়ার পরেও সব কিছুর মাঝেই একটি সামগ্রিকতা আছে, একটি পরিপূর্ণতা আছে। এই সামগ্রিকতা এবং পরিপূর্ণতার পেছনের কথাই হলো, আমি আর তুমি দুজন দুজনের পরিপূরক! তাই সংসারে পেয়েও যেমন আনন্দ আছে, তেমনই ছাড়ার মাঝেও কম আনন্দ নেই, বলতে গেলে পাওয়ার চেয়ে ছাড়ার মাঝেই বেশি আনন্দ আছে।

তবে আমি আর তুমি, দুজনেই কিন্তু সহজ কিছু নই। একজন আমির পেছনে থাকে, সমাজ, ধর্ম, পরিবেশ, ...এর ওপর আছে পেছনের অনেক ইতিহাস। এই সমস্ত কিছু দিয়েই কিন্তু আমি একজন আমি, এমনকি আমার মাঝে তুমিও আছ। ঠিক একইভাবে একজন তুমির পেছনে থাকে একটি পরিবেশ, সমাজ, ধর্ম, আর পেছনের অনেক ইতিহাস। তাই চাইলেও আমি একজন ভিন্ন আমি হয়ে উঠতে পারি না। এটা এত সহজ হবে না, এর জন্য অনেক সময় দরকার, প্রয়োজনীয় পরিবেশ দরকার, এবং ভিন্ন একজন আমি হতে গেলে ভিন্ন একজন তুমিও লাগবে। ঠিক একই কথা তোমার জন্যও। ভিন্নতা ও স্বতন্ত্রতাই আমাদের আনন্দের মূল হওয়া উচিত! দুজন শুধু দুটো আলাদা মানুষ নই, আমাদের চিন্তা চেতনার ওপর নির্ভর করে বিশ্বটাও কিন্তু আলাদা। তার মানে আমাদের সংসারে আছে দুটো আলাদা বিশ্ব! দুটো বিশ্বে কত রকম বৈচিত্র্য, কত সৌন্দর্য, এগুলো খুঁজে বের করার নামই যেন জীবন, আর এর জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত জায়গা হল সংসার, যেখানে একজন আরেকজনকে যেমন দেখে রাখার দায় আছে, তেমনি একজনের আনন্দ আছে আরেকজনের কাছে!

সংসার কি শুধু তোমার আমার জীবনকে ঘিরেই, আর আমাদের সন্তানদের নিয়েই! জীবনকে ঘিরে যে সংসার, এ তো বহতা নদী! যার কাজ বয়ে চলা, জীবনকে পৌঁছে দেওয়ার কথা জীবনসমুদ্রে। কিন্তু সমুদ্রে যাওয়ার আগেই যে নদীর পানি কত কত কাজে লাগে। গাছে গাছে পানি দেয়, সুন্দর ফসলের জন্য বয়ে নিয়ে চলে পলি, নগরসভ্যতার জন্ম দেয়, তেমনি সংসার মানবপ্রাণের কারখানা হলেও, একটি সংসারের ভূমিকা ছড়িয়ে যায় চারদিকে। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সবার জন্যই সংসারে কিছু না কিছু থাকে এবং এই সংসার ঘিরেই কিন্তু আজকের এই পুরো মানব সভ্যতা।

এরপরও একটি সংসার ভেঙে যায়। ভুল বোঝাবুঝি, ক্লান্তি, মনোমালিন্যে একসময় দুজনের জীবনটাই ভারি হয়ে উঠতে পারে। আছে নানান দোষ-গুণ ঘরে বাইরের... তবে শুধু এসব কারণে সংসার ভাঙে তা কিন্তু নয়। দূর থেকে মনে হতে পারে, দূর থেকে অনেক কিছুই মনে হতে পারে, অনেক দোষেও যেমন সংসার নাও ভাঙতে পারে, আবার বিনা দোষেও সংসার ভাঙতে পারে। তবে একটি সংসার ভাঙলে সবার জন্যই একটি শিক্ষা হয়ে থাকে। এটি যেমন একজন আমি বা তুমি বুঝতে পারি, অন্যদিকে সমাজও বুঝতে পারে, সংসার ভাঙার শিক্ষাটা খুবই দরকার, ভাঙা না থাকলে বোঝা যায় না, ভেতরের গাঁথুনিটা কেমন। সমাজ গঠনে সংসারের মতো সংসার ভাঙারও অনেক গুরুত্ব আছে।

সংসার ঘিরে একজন তুমির কাছে একজন আমির অনেক অন্যায় আবদার থাকে। অনেক জোর চাপাচাপি থাকে। মাঝে মাঝে যেগুলো আর মেনে নেওয়ার মতো কেউ থাকে না। তবুও একজন আমি আশা করে একজন তুমি তার অন্যায় আবদার মেনে নেবে, একজন আমিকে ভালোবাসবে। একজন আমির কাছেও কিন্তু একজন তুমির অনেক আবদার থাকে, অনেক আশা থাকে, বলা হোক বা না হোক। বলা আবদারের চেয়ে না বলা আবদার আরও কঠিন একটি বিষয়! এগুলোর পরেও একজন আমি আশা করে একজন তুমি তাকে পুরোপুরি ঢেকে রাখবে। তার ন্যায়, অন্যায়, আবদার... একজন আমি মনে করে সংসার তো তাই! ঠিক একজন তুমিও তাই আশা করে, অবশ্যই তার মতো করেই আশা করে, যা একজন আমির আশার সঙ্গে সহজে মিলবে না।

তুমি আমির সংসারে, আমরা নিয়মিত পরিবর্তিত হই, হয়তো এভাবেই পরিপূর্ণতার দিকে এগিয়ে যাই। তোমার ভালোবাসা ও আঘাত, দুটোই আমাকে বদলে দেয়, আমার মাঝে পরিবর্তনের ঢেউ তোলে। এতে করে আমি আমাকে দেখতে পাই, তুমিও তোমাকে দেখতে পাও নতুনভাবে। ঠিক একইভাবে, আমার ভালোবাসায় এবং আমার আঘাতে তুমিও বদলে যাও, সঙ্গে আমিও বদলে যাই, বদলে যাওয়া চোখে তুমি দেখ আমাকে, নতুন একটি আমিকে, আমিও নতুন চোখে দেখি তোমাকে। তুমি আর আমি কাছাকাছি এসেছি বলেই জীবনের অনেক কিছুই দেখতে পেয়েছি নতুনভাবে, খুবই কাছ থেকে। তুমি দেখেছ তোমার মতো করে, আমি দেখেছি আমার মতো করে।

আর যখন তুমি আমির সংসারে আমাদের সন্তান চলে আসে, তখন আবার আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে থাকে। তোমারটা পাল্টায় তোমার মতো করে, আমারটা পাল্টায় আমার মতো করে। সন্তান আমাদের জন্য দ্বিতীয় সুযোগ, যে ভুলে আমরা আচ্ছন্ন থাকি, বুঝতে পারি না ওগুলো ভুল, সন্তান ওগুলো করতে গেলে হয়তো তখন চোখে ধরা পড়ে, আরে এটা তো ঠিক নয়। সুতরাং আমি একজন পরিপূর্ণ আমি হয়ে উঠতে গেলেও সংসার আর সন্তান লাগে, তেমনি তুমি একজন তুমি হয়ে উঠতে চাইলে, তোমার জীবনের পরিপূর্ণতার জন্য একটি সংসার দরকার, সন্তান দরকার।

হাজার অভিযোগের মাঝেও চলে তোমার আমার সংসার। তুমি তুমিই থেকে যেও, আমিও আমিই থাকব। আমার চোখে আমি আমিই, আর তুমি তুমিই। আর তোমার চোখেও তো তাই। তবু কাছাকাছি এলে আমাদের একটি সংসার হয়, তোমার আমার সংসার। লাভ-ক্ষতি, জয়-পরাজয় নয়, সংসারে প্রতিষ্ঠা পাক প্রেম এবং ভালোবাসা। আর আঘাত, আদর, দুঃখ কষ্ট অভিযোগ... এর মধ্যে দিয়েই চলবে তোমার আমার সংসার, চলবে আমাদের জীবন। এই সংসারের আড়ালেই এগিয়ে যাবে আমাদের জীবন। প্রাণ বয়ে চলবে নিরন্তর, প্রাণ থেকে প্রাণে, এভাবেই সংসার টিকে থাকবে সভ্যতার পর সভ্যতা। আর সংসার তো তাই যেখানে একজন আমিকে সব দিক দিয়ে ঢেকে রাখে এবং আগলে রাখে একজন তুমি, এবং একজন তুমিকে আগলে রাখে এবং ঢেকে রাখে একজন আমি! তবে বাস্তব সংসারকে যেমন কোনোভাবেই সংজ্ঞা দিয়ে সংজ্ঞায়িত করা যায় না, তেমনি শুধু যুক্তিবুদ্ধির মারপ্যাঁচ দিয়েও সংসার চালানো যায় না। প্রতিটি সংসারই আলাদা, তার গতিপ্রকৃতি... সমস্ত কিছুই আলাদা, এই আলাদা ব্যাপারটাও তোমার চোখে একরকম, আমার চোখে আরেকরকম।

স্বীকারোক্তি : বর্তমানে লেখক সংসার থেকে অনেক দূরে আছেন এবং একটি বাস্তব সংসারের নানান বাস্তবতা এড়িয়ে গিয়ে কিছু কল্পিত ধারণা থেকেই তিনি লেখাটি লিখেছেন।

বিলেকাসা : শিক্ষক ও কথাসাহিত্যিক
[email protected]

 
Electronic Paper