ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

মাদকের থাবায় তরুণরা বিপন্ন

মোহাম্মদ নজাবত আলী
🕐 ১০:৫৯ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২০

বর্তমানে বাংলাদেশে যে কয়েকটি সমস্যা রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মাদক। তবে আশার কথা এই যে, বর্তমান সরকার এই মাদকের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কঠোর ও জিরো টলারেন্সের নীতি গ্রহণ করেছেন। বর্তমানে যারা সংসদ সদস্য রয়েছেন তারাও মাদকের বিরুদ্ধে নিজ নিজ এলাকায় যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে এক ভাষণে মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী অবশ্য যথার্থই বলেছেন কারণ মাদকের নীল ছোবলে তরুণদের একাংশ আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। অথচ তরুণরা একটি দেশের প্রাণশক্তি। অনেক কবি, সাহিত্যিক তারুণ্য শক্তির জয়গান গেয়েছেন। তরুণরা একটি দেশের ভবিষ্যৎ স্বপ্নদ্রষ্টা। তাদের মধ্যে যে শক্তি সাহস উদ্দীপনা রয়েছে তা যদি দেশের কল্যাণে মানুষের কল্যাণে নিবেদিত হয়। তাহলে তা হবে জাতির জন্য অবশ্যই আশীর্বাদস্বরূপ। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় তরুণদের একাংশ আজ বিপথগামী। তারা বিভিন্ন নেতিবাচক কর্মকা-ে জড়িত। বিশেষ করে মাদক।

কিন্তু মাঝেমধ্যে মাদক নিয়ে এমন সব ঘটনা ঘটে যা সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি করে। সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে জানা যায়, আন্তর্জাতিক কুরিয়ার সার্ভিস ফেডেক্স এর মাধ্যমে নিষিদ্ধ মাদক (পাউডার) পাঠানো হচ্ছিল অস্ট্রেলিয়ায়। বাংলাদেশ থেকে হংকং হয়ে অস্ট্রেলিয়ায় পাঠানোর সময় শাহজালাল বিমান বন্দরে কার্গো থেকে সাড়ে চব্বিশ কোটি টাকা মূল্যের অ্যাম ফিটামিন পাউডার জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া গণমাধ্যম থেকে আরও জানা যায় এ ঘটনায় সন্দেহজনকভাবে আরো ৬ জনকে আটক করা হয়। আমরা বলতে চাই দেশে মাদক ছড়িয়ে পড়ছে এমন আশংকা যেমন উঠে এসেছে তেমনি চোরাচালানির বিষয়টিও আলোচনায় এসেছে বিভিন্ন সময়ে। তাই মাদক চোরাচালানের পেছনে যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই। কেননা মাদকের ভয়াল থাবায় তরুণ সমাজ আজ বিভ্রান্ত, বিপন্ন। তরুণরাই মাদকে আসক্ত হচ্ছে বেশি। একথা আমাদের মনে রাখতে হবে স্বপ্নের বাংলাদেশে মাদকের কোনো স্থান নেই। 

বর্তমান সামাজিক প্রেক্ষাপটে তরুণদের উদ্দীপনাময় শক্তি স্বপ্ন আজ থেমে গেছে মাদকের ভয়াল গ্রাসে। তাই দেখা যায় বিগত বছরগুলোতে মাদক বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভয়াবহ নেশায় পরিণত হয়েছে। মাদক বর্তমান যুবসমাজকে কোন পথে নিয়ে যাচ্ছে এর পরিণতি কি এবং এ সর্বনাশা নেশা থেকে বেরিয়ে আসা অনেকটা দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশ জাতি ও সমাজের উজ্জ্বল নক্ষত্র আজকের যুব বা তরুণ সমাজ। কিন্তু তারা যেভাবে মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ছে এ নিয়ে জনমনে দেখা দিয়েছে উদ্বিগ্ন শঙ্কা। এ কুপ্রভাবে যেভাবে আমাদের তারুণ্য শক্তি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত তা থেকে বেড়িয়ে আসতে না পারলে আমাদের তরুণ সমাজের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে। শিক্ষিত, অশিক্ষিত হতাশাগ্রস্ত এক শ্রেণির বেকার তরুণরা এই সর্বনাশা পথে পা বাড়িয়েছে। নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত এমনকি সমাজের ধনাঢ্য পরিবারের সন্তানরাও মাদকে আসক্ত। একবার ভাবুন না ঐশীর কথা।

তার পিতা ছিলেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা। ২০১৩ সালের ১৪ আগস্ট রাজধানীর চামেলীবাগে নিজ বাসায় খুন হন পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমান। কিন্তু খুনী ! খুনী আর কেউই নয় তাদের একমাত্র মেয়ে ঐশী রহমান। ঐশী একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়তে কতগুলো বখাটে সঙ্গ পেয়েছিল তাদের সঙ্গে মিশে গিয়ে সে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। ঐশীর আচার-আচরণে পরিবর্তন দেখা দিলে তার বাবা মা বিষয়টি জানতে পেরে কড়া শাসনে তাকে ভালো পথে আনার চেষ্টা করলে ঐশী আরও ক্ষিপ্ত হয় এবং এক পর্যায়ে সে নিজ হাতে খুন করে আপন পিতা-মাতাকে। কোনো পরিবারে মাদকাসক্ত সন্তানাদি থাকলে পরিবারে যেমন অশান্তি নেমে আসে তেমনি ভয়ভীতিও থাকে। ঐশীর মতো মাদকাসক্ত সন্তান খুন করছে বাবা-মাকে। মাদকাসক্ত স্বামীর হাতে স্ত্রী, ভাইয়ের হাতে ভাই, এমনকি ছাত্রের হাতে শিক্ষকও খুন হচ্ছে। মাদকের কারণে ভেঙে যাচ্ছে স্বামী-স্ত্রীর সুখের বন্ধন।

১৭ কোটি মানুষের এদেশে প্রায় ১ কোটি মানুষ মাদকাসক্তে আসক্ত। নেশার ছোবলে পড়ে এদেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ মাদকের পেছনে ছুটছে। আমাদের দারুণভাবে শঙ্কিত এবং উদ্বিগ্ন করে যে, এক শ্রেণির কোমলমতি শিক্ষার্থীরাও মাদকে আসক্ত হয়েছে। খারাপ বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে এ সমস্ত শিক্ষার্থী কখন যে আমাদের মনের আড়ালে, চোখের আড়ালে, মনের অজান্তে বিভিন্ন মাদকদ্রব্যে আসক্ত হয়ে পড়ে তা আমরা জানি না। বাংলাদেশে ইয়াবা মদ, গাঁজা চরস, আফিম, ঘুমের ওষুধ, হিরোইন, ভায়াগ্রা, ফেনসিডিল প্রভৃতি মাদকদ্রব্য হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে এ সমস্ত মাদকদ্রব্যের মধ্যে ইয়াবা, ভায়াগ্রা, হেরোইন, ফেনসিডিলে আসক্ত হচ্ছে বেশি। অথচ এগুলো নিষিদ্ধ।

নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি স্বাভাবিকভাবে মানুষের আগ্রহ একটু বেশি এবং একই সঙ্গে কৌতূহলের জন্ম নেয়। তাই কৌতূহল বশত এগুলোর প্রতি তরুণদের আসক্তি সৃষ্টি হয় এবং ধীরে ধীরে তারা এর সংস্পর্শে আসে। তারপর তাদের মধ্যে এক ধরনের নতুন ও রঙিন অনুভূতি কাজ করে। এভাবে তারা নেশার জগতে পা বাড়ায় এবং মাদক তাদের এমনভাবে গ্রাস করে যে, সেখান থেকে ফিরে আসা তাদের পক্ষে অত্যন্ত কঠিন। মাদকের ভয়াল থাবায় আজ বিপন্ন তরুণ। স্কুল, কলেজ এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় সহ সর্বত্র আজ মাদকের ছড়াছড়ি।

পারিবারিক সম্পর্ক শিথিল হওয়া তীক্ততা, বেকারত্ব, নৈতিক শিক্ষা ও মূল্যবোধের অভাবে দিন দিন মাদক আসক্তের সংখ্যা বাড়ছে। মাদক যেহেতু বিনামূল্যে পাওয়া যায় না তাই উঠতি বয়সের ছেলেরা পিতার পকেট চুরি এমনকি ছিনতাই করেও অর্থ সংগ্রহ করতে গিয়ে তারা নানা ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। মাদক সেবনের প্রবণতা সবচেয়ে বেশি পরিলক্ষিত হয় ১৫ থেকে ৩০ বছরের বয়সিদের মধ্যে। মাদকসেবীর মধ্যে ৮০ শতাংশই তরুণ। তাদের ৪০ শতাংশ আবার বেকার। এদের ৫০ শতাংশ অপরাধের সঙ্গে জড়িত। মাদক এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। তরুণদের পাশাপাশি তরুণীরাও মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। মাদকের নীল ছোবলে কোমল হাত পরিণত হচ্ছে ভয়ঙ্কর খুনীর হাতে। ঐশীই তার বড় প্রমাণ।

মাদক চোরাকারবারি বা সরবরাহকারীর রয়েছে বিশাল নেটওয়ার্ক। এ সমস্ত চোরাকারবারির সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশের এক বিশেষ শ্রেণি। তাদের যোগাযোগ রয়েছে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে। তারা অত্যন্ত সংগোপনে মাদক তুলে দিচ্ছে তাদের সহযোগিদের। তারা এসব সহযোগির হাত থেকে ইয়াবা, হেরোইন, ফেনসিডিল প্রভৃতি মাদকদ্রব্য চলে যাচ্ছে তাদের খদ্দরের হাতে। চলে যাচ্ছে তরুণ যুবসমাজের হাতে। তাই মাদকদ্রব্য উৎপাদন থেকে সাধারণ খদ্দরের কাছে পৌঁছতে বেশ কয়েকবার হাত বদল হয়। ভৌগোলিক দিক থেকে বাংলাদেশে মাদক অতি সহজে পাওয়া যায়। তাই আমাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ মাদকের মরণ নেশা থেকে তরুণদের বাঁচানো। সীমান্ত রক্ষীদের চোখকে ফাঁকি দিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকার মাদক বাংলাদেশের তরুণদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে যার প্রভাবে তরুণ সমাজের একাংশ বিপথগামী মাদকের ভয়াল থাবায়।

মাদকের হিংস্র ভয়াবহ ছোবলে আমাদের সন্তানরা আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। মাদক যে শুধু মাত্র ঢাকা বা বড় বড় শহরে এর ব্যাপ্তি তা নয় মাদকের যত্রতত্র ব্যবহার হচ্ছে গ্রাম-গঞ্জে এমনকি পাড়া-মহল্লায়। তবে মাদকদ্রব্যের প্রতি বেশি আসক্ত হচ্ছে বেকার, ভবঘুরে হতাশাগ্রস্ত তরুণরা। এ মরণ নেশার ছোবলে একদিকে যেমন সামাজিক অপরাধ বাড়ছে অন্যদিকে সামাজিক শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ছে। তাই বলার অপেক্ষা রাখে না যে মাদক এখন তরুণ-তরুণীদের মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এর ভয়াল থাবা প্রতিহত করতে আমাদের যেমন সচেতন হতে হবে তেমনি সরকারি উদ্যোগেরও প্রয়োজন রয়েছে। গণমাধ্যম থেকে আমরা জানতে পারি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ ব্যাপারে সতর্ক এবং মাদকসহ অনেককে আটকের খবরও আমরা পাই।

পাশাপাশি কিছু সংখ্যক পুলিশ সদস্য মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত এমন খবরও গণমাধ্যমে আমরা দেখতে পাই যা অবশ্যই অনাকাক্সিক্ষত। ইতোমধ্যে আমরা দেখছি দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাদকবিরোধী অভিযানে কেউ মারা যাচ্ছে, আবার কেউ কেউ আত্মসমর্পন করছে। অতীতে ইয়াবার উৎস ভূমি হিসেবে পরিচিত কক্সবাজারের উখিয়া টেকনাফের অন্তত ১০২ জন মাদককারবারি আত্মসমর্পন করে। এর মধ্যে শাসক দলের সাবেক সাংসদ ইয়াবা গডফাদার হিসাবে বহুল পরিচিত আবদুর রহমান বদির চার ভাই সহ ১২ জন আত্মীয় আত্মসমর্পন করে। আমরা মনে করি যেকোনো দলের যত বড় নেতাই হোক না কেন শুধু মাদক নয় যেকোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে মাদক কারবারির আত্মসমর্পনের বিষয়টি কিছুটা হলেও আশাব্যঞ্জক ও স্বস্তিকর বলে অনেকেই মনে করেন।

বাংলাদেশে মাদক পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দেশে ৬৮ লাখ মানুষ মাদকাসক্ত। এদের মধ্যে ৮৪ ভাগ পুরুষ এবং ১৬ ভাগ নারীও রয়েছে। দেশ জুড়ে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। আবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মতে দেশে মাদকাসক্তের সংখ্যা ৪৭ লাখ। যার মধ্যে ৯০ শতাংশই কিশোর, তরুণ হিসাবে পরিচিত। মদ, গাঁজা, হেরোইন, এসব মাদক মানুষের স্বাভাবিক জ্ঞান, বিবেক, অনুভূতিকে হ্রাস করে। নেশায় আসক্ত হয়ে তারা ক্রমাগতভাবে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। তারা এতটা ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে যে, হিতাহিত জ্ঞান না থাকায় তারা অতি আপনজনকেও খুন করে। সাম্প্রতিককালে ঐশী রহমানই তার প্রমাণ। ঐশী ছাড়াও এর অনেক প্রমাণ রয়েছে।

আমাদের প্রত্যেক অভিভাবককে তাদের সন্তানদের খোঁজখবর নেওয়া উচিত। সন্তানদের সঙ্গে বন্ধুসুলভ ব্যবহারের মধ্য দিয়ে তাদের ভালোমন্দের শেয়ার করা উচিত। আসলে আমাদের ছেলে-মেয়েদের কোনো খোঁজখবর আমরা অনেকে রাখি না। অধিকাংশ অভিভাবকই তাদের সন্তানদের ব্যাপারে উদাসীন। এমনকি তার স্কুল বা কলেজ পড়ুয়া সন্তান নিজ শয়নকক্ষে কি করছে সে খবরও অনেক অভিভাবক রাখেন না। তাদের সহপাঠী বা বন্ধুবান্ধব কেমন প্রকৃতির কাদের সঙ্গে মিশে এ সম্পর্কে অভিভাবকদের খোঁজ নেওয়া দরকার। ছেলেমেয়েদের প্রতি উদাসীন পিতা-মাতার রুক্ষ ব্যবহার, বেকারত্ব, হতাশা, পারিবারিক বন্ধন হালকা, খারাপ বন্ধুদের সঙ্গে মেলামেশা ইত্যাদি কারণে আমাদের সন্তানরা বিগড়ে যায় এবং মাদকে আসক্ত হয়। মাদকসেবীর অধিকাংশই কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুনী, যাদের ওপর দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে। অথচ তারা আজ বিপথগামী, ধ্বংসের মুখে, মাদকের ভয়াল থাবায় বিপন্ন। যাদের ওপর দেশের অগ্রগতি, উন্নয়ন, ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে তাদের একাংশ যদি পথভ্রষ্ট হয়, ইয়াবা, ফেনসিডিল মাদকের আসক্ত হয় তাই তাদের সঠিক পথে ফিরে আনা অত্যন্ত জরুরি।

মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে আমাদের সচেতন হতে হবে। মাদকবিরোধী অভিযান জোরদারকরণ, নৈতিক শিক্ষা, সামাজিক মূল্যেবোধ জাগ্রত করতে হবে। মাদকের নীল ছোবল থেকে তরুণদের রক্ষাকল্পে আইনের শাসন ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই।

মোহাম্মদ নজাবত আলী : শিক্ষক ও লেখক
[email protected]

 
Electronic Paper