ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ভেজাল ওষুধ ও সুরক্ষাসামগ্রী

আফসারুল আলম মামুন
🕐 ৫:৩০ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ০৯, ২০২০

করোনাকালেও ভেজাল, নকল ও মানহীন ওষুধের রমরমা ব্যবসায় সারা দেশ সয়লাব। শহরের সবচেয়ে বড় ওষুধের দোকান থেকে শুরু করে গ্রামের ছোট ফার্মেসিÑ সব জায়গায় নামী-বেনামী নানা কোম্পানির লোগোয় দেদারসে বিক্রি হচ্ছে এসব ওষুধ।

মানহীন এইসব ওষুধের সঙ্গে সমানতালে নকল সুরক্ষা সামগ্রী তৈরি এবং বিক্রির ক্ষেত্রেও অসাধু ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানগুলো পিছিয়ে নেই। ওয়াসার পানির সঙ্গে রঙ এবং সুগন্ধি মিশিয়েই তৈরি হয়ে যাচ্ছে জীবনরক্ষাকারী হ্যান্ড স্যানিটাইজার। ব্যবহৃত মাস্ক কুড়িয়ে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে পুনরায় বিক্রি করার ঘটনাও ঘটছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে নকল ওষুধ সেবনের ফলে কিডনি বিকল থেকে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটতে পারে। আর এই নকল সুরক্ষা সামগ্রী করোনা পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করবে তা বলাই বাহুল্য। যদিও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাম্প্রতিককালের অভিযানে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে নকল সুরক্ষা সামগ্রী ও ওষুধ জব্দ হয়েছে। বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে দেশের খ্যাতনামা কয়েকটি ফার্মেসিতেও এসব ওষুধ এবং সুরক্ষা সামগ্রী পাওয়া গেছে।

জেল জরিমানার বিধান রাখার পর কোনোভাবেই এসব নকল ওষুধ উৎপাদন বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না। অভিযান চলাকালীন কিছুদিন বাজার শান্ত থাকলেও সপ্তাহ না ঘুরতেই আবারও একই চিত্র পরিলক্ষিত হয়। যার অন্যতম কারণ সাধারণ অভিযানগুলোতে ভেজাল ওষুধ উৎপাদনের মূল হোতারা সবসময় ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থাকে।

তাই এইসবের মূল উৎপাটন করার জন্য শুধু বিক্রেতাদের জেল জরিমানা না করে বাজারজাতকারী, বিপণনকারী, উৎপাদনকারীসহ সকল স্তরের অসাধু ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে হবে।

আর এইভাবেই নকল পণ্যের পরিবর্তে আসল পণ্য দ্বারা সুস্থ, সুন্দর ও জনবান্ধব বাজার গঠন করে জনসাধারণের স্বস্তি আনা সম্ভব। নকল এসব ওষুধ এবং সুরক্ষা সামগ্রী তৈরির মূল হোতাদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা এখন সময়ের দাবি। প্রশাসনের কাছে এই বিষয়ের জন্য সুস্পষ্ট নির্দেশনাসহ কঠোর নজরদারির দাবি করছি।

আফসারুল আলম মামুন, পদার্থবিজ্ঞান ডিসিপ্লিন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
[email protected]

 
Electronic Paper