ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

কিশোর অপরাধের ক্রমবৃদ্ধি উদ্বেগের

সাহাদাৎ রানা
🕐 ৬:২১ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ০৮, ২০২০

রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ কর্ণধার হল কিশোর ও তরুণরা। তারাই আগামীতে রাষ্ট্রের নেতৃত¦ দেবে। তাই তাদের দিকে তাকিয়ে থাকে পুরো জাতি। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। বাংলাদেশের কয়েক কোটি কিশোর ও তরুণদের নিয়ে সবাই স্বপ্ন দেখেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন বাধাগ্রস্ত হয় মাঝে মাঝে। কারণ বিভিন্ন সময়ে কিছু কিশোর-তরুণ বিপথে চলে যায়। তবে বর্তমান সময়ে এর মাত্রা দিন দিন যেন বাড়ছে। আর বিপথে যাওয়ার প্রধান কারণ এখন হয়ে দাঁড়িয়েছে ইন্টারনেটের অপব্যবহার করে। বিশেষ করে ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ার পর কিশোরদের এখানে সংশ্লিষ্টতা যেমন বেড়েছে তেমনি বেড়েছে এই কেন্দ্রিক অপরাধও। বিশেষ করে প্রযুক্তির নেতিবাচক ব্যবহারে সমাজে বাড়ছে ধর্ষণ, নির্যাতন ও যৌন হয়রানির মতো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা। এর জন্য ইন্টারনেট বা প্রযুক্তি কোনোভাবেই দায়ী নয়। দায়ী আমরা। আমাদের সচেতনতার অভাব প্রধানত মূল কারণ। এটা সত্যি তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে প্রযুক্তি ছাড়া ভাবতে পারি না একটি মুহূর্তও। এর থেকে প্রতিকারের জন্য তাই নিরাপদ ব্যবহার সম্পর্কে অবগত হওয়া খুবই জরুরি।

কিশোর ও তরুণদের ইন্টারনেটের প্রতি অতি আসক্তি রীতিমতো ঝুঁকি সৃষ্টি করছে। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না, ইন্টারনেট সবার কাছে অসীম তথ্যভা-ার; যা আমাদের সন্তানদের জন্য যেমন শিক্ষা ও বিনোদনের দ্বার উন্মোচিত করেছে তেমনি ফেলেছে অস্বস্তিতেও। এখন কর্মব্যস্ততার কারণে আমাদের অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানদের হাতে তুলে দিচ্ছি মোবাইল ফোন। এর পেছনে রয়েছে অনেকগুলো ইতিবাচক দিক। বিশেষ করে কর্মজীবী পিতা-মাতা যেন তাদের সন্তানদের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রাখতে পারেন। এছাড়া সন্তানদের দেওয়া হচ্ছে কম্পিউটার। যাতে তারা দ্রুত পৃথিবী সম্পর্কে জানতে পারে। এতে একদিকে সন্তানের মানসিক বিকাশ যেমন হচ্ছে, তেমনি নতুন নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে নিজেকে পরিচিত করতে সক্ষম হচ্ছে। শিশুরা এই দুনিয়ার বাইরের কেউ নয়। প্রতিযোগিতার বাজারে এগিয়ে যেতে হলে এটা প্রয়োজন; সময়ের দাবিও। কিন্তু নেতিবাচক কিছু কর্মকা-ে এসব কিশোর ও তরুণরা জড়িয়ে পড়ায় উঠেছে প্রশ্ন।

প্রশ্নটা আরও বড় করে সামনে উপস্থিত হয় যখন কিশোররা নানা রকম অপরাধমূলক কর্মকা-ে জড়ায়। সম্প্রতি রাজধানীতে টিকটক ভিডিওখ্যাত অপু নামের একটি ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপুর গ্রেফতারের পর উঠে এসেছে বিভিন্ন ধরনের তার অপকর্মের কথা। এর মাধ্যমে আবারও সামনে এসেছে কিশোর অপরাধের প্রসঙ্গটি। যারা ইন্টারনেটে ভিডিও বানিয়ে রাতারাতি তারকা বনে যাচ্ছেন। এসব ভিডিওতে নেই কোনো শিক্ষণীয় বিষয়। অন্যকে বিকৃত করে মানুষকে আনন্দ দেওয়ার অপচেষ্টা থাকে এখানে। অশ্লীলতার অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। যা কিছু উঠতি কিশোর-কিশোরীদের সামান্য আনন্দ দিলেও তা সমাজের জন্য কোনো কল্যাণ বয়ে আনে না।

বরং তা হয়ে উঠে সমাজের তরুণ প্রজন্মের জন্য নেতিবাচক বিষয়। শুধু নেতিবাচক নয়, এগুলো অপরাধও। কিন্তু দিনের পর দিন এমনটাই হচ্ছে। অপু গ্রেফতার হওয়ার পর নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে এসব বিষয়ে। আমাদের দেশে কিশোরদের এমন কর্মকা- অবশ্য নতুন নয়।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে দেশে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে কিশোর অপরাধের ঘটনা। সমাজে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকা-ে জড়িয়ে কিশোররা; জন্ম দিচ্ছে ভয়ঙ্কর সব অপরাধের। এটা সমাজব্যবস্থার জন্য নতুন না হলেও কিশোর অপরাধের সংখ্যা বৃদ্ধির ঘটনা; কোনো সন্দেহ নেই উদ্বেগের। বিশেষ করে দেখা যাচ্ছে স্কুলের গণ্ডি পেরোনোর আগেই অনেক কিশোর জড়িয়ে পড়ছে অপরাধীচক্রের সঙ্গে। ইভ টিজিং, ছিনতাই যেন এখন মামুলি। এসব দিয়ে হচ্ছে হাতেখড়ি। এরপর তারা বিভিন্ন গ্রুপ সৃষ্টি করে অর্থের বিনিময়ে পরিকল্পিত হত্যাকা-েও অংশ নিচ্ছে। কখনো সহপাঠীকে অপহরণ করে পরিবারের কাছে দাবি করছে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ। না দিলে তাদের হত্যা করতে কাঁপছে না এসব কিশোরের হাত। এমনকি ধর্ষণের মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনায়ও জড়াচ্ছে তারা। এই পরিস্থিতি আমাদের ক্রমেই উদ্বিগ্ন করছে। আরও যে খবর আমাদের চোখ কপালে তোলার জন্য যথেষ্ট, তা হল কিশোর অপরাধসংক্রান্ত মামলা। প্রতি বছর সারা দেশে এ সংক্রান্ত মামলা হচ্ছে প্রায় পাঁচ শতাধিক। পরিসংখ্যান দিচ্ছে আরো দুঃসংবাদ। কারণ এই সংখ্যা আরও বাড়ছে। মামলার সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কিশোরদের অপরাধের ধরনে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন।

এখন সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন উঠছে, কেন কিশোরদের অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে? কেনই বা তারা বেপথু হচ্ছে। এর কারণ অনুসন্ধানে স্পষ্ট হয়, এর নেপথ্যে রয়েছে নানা কারণ। সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় কিশোর অপরাধ বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ। এক্ষেত্রে এ বিষয়ে আলোকপাত করা যেতে পারে। কোনো কিশোরের অপরাধী হওয়ার ক্ষেত্রে তার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ অনুঘটক হিসেবে কাজ করে। আমাদের সমাজের যে কাঠামো তা অনেক আগেই ভেঙে পড়েছে। সন্ধ্যা হলে বাড়ি ফেরা, ভালো বন্ধুদের সঙ্গে মেশা, বয়োজ্যেষ্ঠদের সম্মান করার মতো বিষয়ে ছিল কড়াকড়ি। অভিভাবকদের ছিল সতর্ক দৃষ্টি। এমনকি স্থানীয় মুরব্বিদেরও ছিল শাসনের অধিকার। কিন্তু এখন দিন বদলেছে। শহরে কে কার প্রতিবেশী তা আমরা জানিই না। ফলে সেই সংযোগ গড়ে উঠছে না। শহরের মতো গ্রামেও একই চিত্র বিদ্যমান। উপরন্তু একটা সময়ে কিশোর-কিশোরীরা পরিবারের প্রভাবমুক্ত হয়ে স্বাধীনভাবে চলতে চায়। এটাই জীবনের প্রবণতা। আর তখনই প্রয়োজন পড়ে তাদের চোখে চোখে রাখার। আগে যেটা সহজ ছিল সেটা এখন প্রযুক্তি উৎকর্ষে আরও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে তাদের পক্ষে ভালোমন্দের বিচার করা সম্ভব হচ্ছে না। বরং নানা প্রলোভন তাদের ভুল পথে পরিচালিত করছে। আগে স্কুলেরও একটা প্রভাব ছিল। শিক্ষকরা অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করতেন। কিন্তু সেদিন তো আর নেই। আর বর্তমানের কিশোররা ভুলে যায় স্বাধীনতারও সীমাবদ্ধতা আছে। আছে লক্ষণরেখা। আগের দিনে পাঠ্যবইতে থাকত নানা নীতিবাক্য। এর একটিÑ ‘সৎসঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ।’ এসব এখন আর পড়ানো হয় না। বইতেও থাকে না। এমনকি অনেক শিক্ষকও জানেন না। কারণ কেউ কেউ এখন নীতি আর মূল্যবোধের ধার ধারেন না। অনেকে এখন ব্যবসায়ীদের মতো কড়ি গোনেন।

বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থাও অনেকাংশে দায়ী এক্ষেত্রে। কারণ এক্ষেত্রে রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দুর্বলতাও। সামাজিক পরিবেশে পরিবারের ভূমিকার পরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রভাব শিশু-কিশোরদের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে স্থান পায়। কিন্তু বর্তমানে আমাদের দ্রুত পরিবর্তনশীল সমাজে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে এসব সচেতনতার বিষয়গুলো প্রায় অনুপস্থিত। বিশেষ করে শিক্ষকের বিষয়জ্ঞান, সততা, আন্তরিকতা, ছাত্র-শিক্ষকের পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক, ছাত্র-ছাত্রীর নৈতিক ও সামাজিক মূল্যবোধের চেতনা এখন আর আগের মতো দেখা যায় না। বরং শিক্ষক ছাত্রের মধ্যে সম্পর্কের ঘাটতি দৃশ্যত বিদ্যমান। আগে যেটা ছিল অন্যরকম। শিক্ষকের প্রতি ছাত্রের ছিল অগাধ শ্রদ্ধা। এখন যা অনেকটা অনুপস্থিত। এখন ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষকদের সঙ্গে সেভাবে মেশে না। কৃত্রিম দূরত্ব রক্ষা করে চলে দুই পক্ষই।

আরও একটা বিষয়, এই বয়সটা; এই সময়ে সঙ্গীদের মধ্যে কেউ অসৎ প্রকৃতির বা অপরাধপ্রবণ হলে, তাদের প্রভাবে অনেক সময় কিশোর-কিশোরীরা অতি দ্রুত পথ হারিয়ে ফেলে। আর তাদের বেপথু হওয়ার অনুঘটক হচ্ছে গঠনমূলক চিত্তবিনোদন, খেলাধুলার সুযোগ-সুবিধার অভাব। এজন্যই অপরাধমূলক আচরণের মধ্য দিয়ে স্কুল পালিয়ে ইভটিজিং, মাদকদ্রব্য গ্রহণ, হত্যাসহ নানাবিধ অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে কিশোরদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধির আরও একটি বড় কারণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিরূপ প্রভাব। তথ্যপ্রযুক্তির যুগে কিশোররা বইপত্রের চেয়ে বিশেষ করে মোবাইল ফোন, ফেসবুক ও ইউটিউবে বেশি সময় কাটাতে পছন্দ করে। অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে দেখা দিচ্ছে বিরূপ প্রভাব। বিশেষ করে কুরুচিকর সাইটে ঢুকে অনৈতিক বিষয়ে অভ্যস্ত হচ্ছে। এসব তাদের মানসিকতাকে বিক্ষিপ্ত করছে। তারা সহজেই বিপথগামী হচ্ছে। আর এক্ষেত্রে অভিভাবকদের রয়েছে বিশেষ এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। কিন্তু অনেক বাবা-মা এ ব্যাপারে সচেতন নন। বয়সের আগেই তাদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে মোবাইল ফোন। আবার অনেকে এ নিয়ে মাথাও ঘামান না সেভাবে। উভয় বিষয়ই ক্ষতির কারণ হচ্ছে সন্তানদের জন্য। কিন্তু তারা ভাবছেন না, একটু অবহেলা বা অসচেতনতার কারণে কতটা ক্ষতি হচ্ছে তার প্রিয় সন্তানের। অথচ, সমাজব্যবস্থায় আগে এমনটা ছিল না। অভিভাবকরা ছিলেন অনেক বেশি সচেতন। এখনও সচেতন। কিন্তু তা বাস্তবিক জীবন ব্যবস্থায় প্রয়োগ করেন না অধিকাংশ অভিভাবক। সবার মধ্যে আত্মকেন্দ্রিকতাই এক্ষেত্রে অনেকাংশে দায়ী।

মাদকদ্রব্য সব অপরাধের মূল চালিকাশক্তি। সমাজব্যবস্থায় মাদকদ্রব্যের প্রতি আসক্তিও কিশোর অপরাধের উৎপত্তির প্রধান নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। মাদকদ্রব্য কেনার জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে গিয়ে অনেক কিশোর-কিশোরী বিভিন্ন গুরুতর অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। কারণ, মাদকাসক্ত ব্যক্তি আত্মনিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এতে তাদের মানসিক ও শারীরিক বিপর্যয় ঘটে। ফলে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, নারী-শিশু নির্যাতন, সহিংসতা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। কিশোররা যেন অতি মাত্রায় মাদকের প্রতি ঝুঁকছে তার বড় প্রমাণ, ইদানীং মাদক নিরাময় কেন্দ্রে কিশোরদের সংখ্যা বৃদ্ধি। আশঙ্কাজনক হারের মাদক নিরাময় কেন্দ্রে বাড়ছে কিশোরদের সংখ্যা। এটা আমাদের জন্য সত্যিই উদ্বেগের। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে এর থেকে উত্তরণের উপায় কী? সে পথ অবশ্যই আছে।

এজন্য সবার আগে প্রয়োজন পারিবারিক সচেতনতা। কিশোর বা কিশোরী সন্তানের দিকে আলাদাভাবে দৃষ্টি দিতে হবে অভিভাবকদের। আর এক্ষেত্রেও সেই একই আপ্ত্যবাক্য প্রযোজ্যÑ চ্যারিটি বিগিনস অ্যাট হোম। কারণ পরিবার সচেতন হলেই সন্তানের পথ হারানোর আশঙ্কা কমে যাবে। শিশুর সামাজিক জীবনের ভিত পরিবার থেকেই সৃষ্টি হয়। তাই তাদের আচার-আচরণ ও ব্যক্তিত্ব গঠনে পরিবার গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। জীবনের প্রারম্ভে, অপরাধে জড়িয়ে পড়ার দায় অতএব পরিবারকেই নিতে হবে। কিশোর অপরাধ বন্ধ করার জন্য নৈতিক শিক্ষা ও মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ করতে শুরুটা করতে হবে মা-বাবাকে। এখন এলাকাভিত্তিক সামাজিক কর্মকা- নেই বললেই চলে। আগের মতো হয় না সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। শিশু-কিশোরদের জন্য নেই খেলার মাঠ। সামাজিক অনুষ্ঠান ও খেলাধুলা করতে না পারার কারণে কিশোররা সাইবার জগতে বুঁদ হচ্ছে। এরপর স্কুলের শিক্ষকদেরও রয়েছে বাড়তি কিছু দায়িত্ব। দায়িত্ব আছে প্রশাসন ও মিডিয়াসহ প্রত্যেক সচেতন নাগরিক এবং প্রতিষ্ঠানের। সবাই যদি নিজ নিজ জায়গা থেকে কিশোরদের প্রতি দায়িত্ব পালন করে তবে অনেকাংশে কমে যাবে কিশোর অপরাধ।

সাহাদাৎ রানা : সাংবাদিক ও কলাম লেখক
[email protected]

 
Electronic Paper