ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ঈদযাত্রায় ভোগান্তি

হোসাইন মোহাম্মদ ফয়সাল
🕐 ৪:৩৩ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ৩১, ২০২০

অতিরিক্ত জনসংখ্যার কারণে প্রতিবছরই ঈদযাত্রায় নানান ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে, বাস, ট্রেন,লঞ্চ ও ফেরিতে চলাচলের সময়। করোনার এই সময়ে জনসাধারণের চলাফেরায় কিছুটা হলেও সাবধানতা এনে দিয়েছে। তবুও মানুষ নাড়ির টানে আত্বীয়স্বজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার উদ্দেশ্যে ছুটে যায় বিভিন্ন জেলায়।

এই সময় সড়ক পথ, রেল পথ এবং জল পথে অতিরিক্ত যাত্রী চলাচল করায় চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। মহাসড়কগুলোতে অতিরিক্ত যানবাহন চলাচল করায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন যানবাহনে করে আপন গন্তব্যে ছুটে যেতে চায় মানুষ। যাত্রীরা নিজ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চের, বাসের, এমনকি ট্রেনের ছাদে পর্যন্ত ওঠে। আবার অনেককেই দেখা যায় ট্রাকে ওঠে ও বাড়ি ফিরতে চায়।

ঈদের সময় নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্যে বাস এবং রেল কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত ট্রেনের ব্যবস্থা করে। এই করোনাকালে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সাধারণ যাত্রীদের চিন্তা মাথায় রেখে অতিরিক্ত কোনো ট্রেনের সিডিউল রাখেনি। তবে দূরত্ব বজায় রেখে গণপরিবহন ব্যবস্থা স্বাভাবিক রেখেছে। নৌপথে চলাচলকারী যাত্রীদের ও ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হতে হয়। তীব্র যানজট এবং বিভিন্ন স্টেশনে অতিরিক্ত যাত্রী ওঠা-নামায় সময় বেশি লাগার কারণে বাস, ট্রেন ও লঞ্চগুলো নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যেতে পারে না। এই সময় যাত্রীদের মালামাল নিয়ে দীর্ঘ সময় কাউন্টারে অপেক্ষার প্রহর গুনতে হয়।

শিশু এবং বৃদ্ধদের ঈদযাত্রায় কষ্ট হয় অনেক বেশি। সংশ্লিষ্টদের আমলে নেওয়া জরুরি, ঈদকে সামনে রেখে বিপুলসংখ্যক মানুষ এক স্থান থেকে আরেক স্থানে যায়। সঙ্গত কারণেই ঈদযাত্রায় ভোগান্তি দূর করাসহ যে কোনো ধরনের অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা রোধে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা জারি রাখতে হবে। মানুষ ঈদ করতে পরিবার-পরিজনের কাছে যাবে, আনন্দ ভাগাভাগি করবেÑ কিন্তু এ ক্ষেত্রে যদি অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটে তবে তার চেয়ে পরিতাপের কী বা হতে পারে! ঈদযাত্রায় প্রতিবছরই বিভিন্ন ধরনের অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটে।

নানা ধরনের চক্রের অপতৎপরতার শিকার হয় মানুষ। দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় অনেকেই। ভোগান্তির শিকার হয় যাত্রীরা। সঙ্গত কারণেই সামগ্রিক পরিস্থিতি আমলে নিতে হবে এবং ঈদযাত্রাকে নির্বিঘ্ন করতে আগে থেকেই সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। মানুষ আনন্দ ভাগাভাগি করতে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরে যাবে, ঈদ শেষে কর্মস্থলে আসবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ভোগান্তি, দুর্ঘটনাসহ নানা ধরনের অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটবে এমনটি হতে পারে না। ঈদযাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে সংশ্লিষ্টরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখুক এমনটি আমাদের প্রত্যাশা। তারপরও ঈদযাত্রায় এ রকম শত ভোগান্তির বাধা পেরিয়ে মানুষ ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে আত্মীয়স্বজনের কাছে ছুটে যায়।

হোসাইন মোহাম্মদ ফয়সাল, শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম কলেজ
[email protected]

 
Electronic Paper