ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বাঙালির গ্রেট সেন্ট্রিনাল

আহসানুল কবির
🕐 ৯:৪১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৫, ২০১৮

এক.
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ওই পরাজিত শত্রুদের দোসর নিজেদের জিঘাংসা চরিতার্থ করল যেন! পরাজয়ের প্রতিশোধ গ্রহণ করল। (শেখ হাসিনা : বিশাল বাংলা পত্রিকা-২০১৪) তা’হলে কথাটি এখানেই তাৎপর্যমণ্ডিত এবং সত্য যে, পাকিস্তান-পন্থার রাজাকার গ্রুপ যারা সাড়ে সাত কোটি মানুষের ৩০ ভাগেরও কম মানুষ বাংলাদেশবিরোধী ছিল।

তাদের যারা এবং সমর্থনে এ দিনে বঙ্গবন্ধু নির্মমভাবে খুন হন। অথচ তিনিই সাড়ে সাত কোটি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা। তিনি ১৯৭০ থেকে ৭৫ সাল পর্যন্ত হয়ে উঠেন বিশ্বের সফল সংগ্রামী নেতাদের একজন। তাঁর রাজনীতি ছিল বাঙালি জাতীয়তাবাদের। ধর্মীয় মৌলবাদ এবং দ্বি-জাতিতত্ত্ব ছিল এই জাতীয়তাবাদের মূল প্রতিবন্ধক। আর সে কারণেই তিনি ভাষাভিত্তিক সংস্কৃতির দ্বারা জনমনে এর বীজ বপনের কাজে সাহিত্য সাংস্কৃতিক জগতের মানুষের সঙ্গে রাজপথে ঐক্য গড়ে তোলেন। এই ঐক্যের পথে এবং সঙ্গে ছাত্র-যুবা-প্রগতিশীল মানুষও কাতারবন্দি হন। এমন ঐক্যের নামই হলো বাঙালির সাংস্কৃতিক আন্দোলন। বঙ্গবন্ধুর মতো নেতার নেতৃত্বের কাছে পাকিস্তানি সরকার পরাভূত হয়। এ পরাভূতকরণের আন্দোলনের ঐতিহাসিক সময় এবং সন হচ্ছে ১৯৫২, ৫৪, ৬২, ৬৬, ৬৯, ৭০ এবং ১৯৭১। তাঁর নেতৃত্বেই শুরু হয় ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান। পাকিস্তানি সামরিক জ্যান্তার বিরুদ্ধে এত বড় ঐক্যের নেতা বঙ্গবন্ধু ছিলেন সাহসী। তিনি চাইলেন গণতান্ত্রিক নির্বাচন। সামরিকপন্থার নির্বাচন নয় গণমানুষের ভোটের নির্বাচন। নির্বাচনের দাবি সফল হলো। এলো নির্বাচন। এ নির্বাচনে চৈনিক বামগোষ্ঠীর সমর্থন ছিল না। তাদের নেতা মওলানা ভাসানী বললেন, ‘ভোটের মুখে লাথি মারো বাংলাদেশ স্বাধীন করো’। বঙ্গবন্ধু মওলানার এ দাবিকে হটকারী মনে করে ওই পথ পরিহার করেন। গান্ধীজি যেমন সুভাষ বসুর পথ পরিহার করেছিলেন। তিনি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের গুরুত্ব উপলব্ধি করেই অসহযোগ আন্দোলন শুরু করেন। গান্ধীজির এমন উপলব্ধির চিন্তা ধরেই বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চ অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়ে গান্ধীবাদী নেতার মর্যাদা লাভ করেন। তাঁর চরিত্রে শুধু গান্ধীজির আদর্শই নয় ফজলুল হক, সোহরাওয়ার্দী, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, মাওলানা এমনকি সুভাষ বসুর সাহসী গুণেরও সমন্বয় ঘটেছিল।

দুই.
মানবিকবোধ দ্বারা মানুষের কল্যাণ-চিন্তা বিশেষ করে রাষ্ট্র ব্যবস্থায় মানুষের অধিকার নিশ্চিত করার বিষয়টি তাঁকে ভাবিয়ে ছিল। এসব ভাবনার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল নাগরিক-সামাজিক বৈষম্য এবং শোষণ-শাসনের কারণ। যে কারণের মধ্যে ছিল ভাষা, সাহিত্য, রবীন্দ্রনাথ এবং সাংস্কৃতিকচর্চার ওপর আঘাত। এসব আঘাতের প্রথম উপলব্ধি ছিল বুদ্ধিজীবী এবং ছাত্রসমাজের। বঙ্গবন্ধু তাঁদের এসব যৌক্তিক উপলব্ধির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করলে এর সঙ্গে রাজনৈতিক মাত্রা যুক্ত হয়। সাংস্কৃতিকবোধের ওপর ভিত্তি করে রাজনৈতিকবোধের জন্ম হয়েছিল বলেই বঙ্গবন্ধু তাঁর রাজনৈতিক দর্শনের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথকে অপরিহার্য করেছিলেন। ‘১৯৬৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রেসকোর্স ময়দানে দেওয়া বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধু বলেন, আমরা মীর্জা গালিব, সক্রেটিস, শেকস্পিয়ার, এরিস্টটল, দান্তে, লেনিন, মাওসেতুং পড়ি জ্ঞান আহরণের জন্য। আর দেউলিয়া সরকার আমাদের পাঠ নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন রবীন্দ্রনাথের লেখা, যিনি একজন বাঙালি কবি এবং বাংলায় কবিতা লিখে যিনি বিশ্বকবি হয়েছেন। আমরা এ ব্যবস্থা মানি না আমরা রবীন্দ্রনাথের বই পড়বই, আমরা রবীন্দ্রসংগীত গাইবই এবং রবীন্দ্রসংগীত এই দেশে গীত হবেই।’ (সেলিনা হোসেন : মাসিক উক্তরাধিকার, আগস্ট ২০০৯)। সুতরাং বাঙালির সাংস্কৃতিকবোধের উপযুক্ততা প্রমাণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হিন্দু-মুসলিম উভয়ের কাছেই সফল হয়েছিলেন। এ সফলতা অসাম্প্রদায়িক চেতনার এবং বাঙালি হয়ে বাঁচবার। এমন গুরুত্বে সাড়ে সাত কোটি মানুষ ৭০ ভাগের বেশি ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে পাকিস্তানের সংখ্যাগুরু দলে পরিণত করে। এমন গণতান্ত্রিক অধিকার এবং এর ন্যায্যতার বিপরীতে পাকিস্তানি সামরিক শক্তির জুয়াড়িপনা বাঙালিদের আরও অনমনীয় সাহসী এবং ঐক্যবদ্ধ করে। বঙ্গবন্ধু এ সুযোগেই ৭ মার্চে ঘোষণা করেন ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম’। ৭ মার্চের এ ভাষণের ভেতরই বাঙালি জাতির মুক্তির দিকনির্দেশনা ছিল। তিনি অসহযোগ আন্দোলনেরও ঘোষণা দেন। মানুষ সাড়া দেয়। ৭ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তানের প্রশাসন তাঁর কথা মেনেই চলতে থাকে। ২৫ মার্চ রাতে হঠাৎ করে ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামের এক বর্বর সামরিক অভিযানে এ দেশে গণহত্যা শুরু হয়। ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু বন্দি হওয়ার পূর্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা লিখিতভাবে প্রচার করেন। তাঁকে বন্দি করে করাচি নিয়ে যাওয়া হয়। এতে জনমনে আরও ক্ষোভ এবং সাহসের জন্ম হয়। তাদের প্রিয় নেতার নির্দেশ মাফিক সব স্তরের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

তিন.
এ কারণেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং বঙ্গবন্ধু সমার্থক হয়ে আছেন। ১১টি সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর নামে একটি বিপ্লবী সরকারও গঠিত হয়। অর্থাৎ মুজিবের নামেই বাংলাদেশের যুদ্ধ চলছে এমনটি প্রমাণ রাখতে হয়। দীর্ঘ নয় মাস ধরে যুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে বাঙালির বিজয় অর্জিত হয়: ‘চারদিকে জয় বাংলা ও জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান আকাশ বাতাস মুখরিত হয়। ৩০ লাখ শহীদের রক্ত, ১৫ হাজার ভারতীয় সৈন্যের রক্ত ও ৩ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে বাংলাদেশ একটি জাতি হিসেবে বিশ্বের মানচিত্রে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।’ (সিরাজউদ্দীন আহমেদ : বাংলাদেশ গড়ল যারা)।
১৬ ডিসেম্বর বাঙালি মনে নেতার অনুপস্থিতি ষোলআনা আনন্দের পথে বাধা সৃষ্টি করে। জনপ্রিয়তার মাপকাঠিতে তিনি শুধু সাড়ে সাত কোটি মানুষেরই নন, সমগ্র ভারতের মানুষের কাছেও তাঁর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী ছিল। তাই বিশ্ব-বিবেক, ব্রিটেন এবং ভারতের চাপে পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দেয়। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বেলা ১টা ৪১ মিনিটে তৃতীয় বিশ্বের এ মহান নেতা তাঁর জন্মভূমিতে অবতরণ করেন। অনুষ্ঠানটি টেলিভিশন সরাসরি রিলে করেছিল। অভূতপূর্ব দৃশ্য বিশ্ব সেদিন তাকিয়ে দেখেছিল তাঁর আবেগ, আনন্দ আর দৃঢ়চিত্তের অভিব্যক্তি। তিনি আবেগে বলে উঠেন, ‘কবিগুরু তোমার বাণী মিথ্যা প্রমাণ হয়ে গেছে, আমার বাঙালি আজ মানুষ হয়েছে।’ (বঙ্গবন্ধু : ১৯৭২, ১০ জানুয়ারি)। তিনি এ রাতেই বাংলাদেশের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৭২ সালেই সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে তিনি বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীকে রাষ্ট্রপতি করে নিজে প্রধানমন্ত্রী হন। তিনি তাঁর বিশ্বস্ত লোকজন নিয়ে একটি কার্যকরী মন্ত্রিপরিষদ গঠন করেন। এ মুহূর্ত থেকে তিনি দেশ উন্নয়নের পথে দ্রুততার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিতে থাকেন। কৃষকদের খাজনা মওকুফ, লাল-সবুজ পতাকা, নির্বাচন, জাতীয় সংগীত, জাতীয় কুচকাওয়াজ সংগীত, ১ বৈশাখ উদযাপন, ২১ ফেব্রুয়ারি ছুটি স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস নির্ধারণ, জাতীয় স্মৃতি-সৌধের ভিত্তি, অস্ত্র জমা, ভারতীয় বাহিনী ফেরত, ভারতের সঙ্গে ২৫ বছরের মৈত্রীচুক্তি, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের খেতাব, ভূমিহীনদের ভূমি বণ্টন, জাতিসংঘের সদস্য পদ গ্রহণ, শত্রু-রাষ্ট্র পাকিস্তানের স্বীকৃতি, জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ প্রদান, সংবিধান প্রণয়ন, ইসলামী সম্মেলনে যোগদানসহ এমন হাজারো কাজের মাঝে বঙ্গবন্ধু দেশ সেবায় নিয়োজিত হন।

চার.
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এমনিভাবে যখন কাজ এগিয়ে চলছিল ঠিক সেই মুহূর্ত থেকে দেশবিরোধী শক্তি ছায়ার মতো আলো-আঁধারির ভেতর বেড়ে উঠছিল। সদ্য-স্বাধীন হওয়া বাংলা নামের এ দেশটির ইতিহাস, সাহিত্য, সংস্কৃতি, সংগ্রাম, ঐতিহ্য যতই সমৃদ্ধ হোক এর খারাপ দিকও আছে তা হচ্ছে বেইমানি এবং মীরজাফরির উপসর্গ। বঙ্গবন্ধুর জীবদ্দশায় জামায়াত, মুসলিম লীগ প্রকাশ্য রাজনীতিতে আসেনি। তবে তারা স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগবিরোধী অংশ জাসদকে গোপনে সমর্থন জোগাতে থাকে। তখনই এই শক্তির রাজনীতিকরা দেশের পূণর্গঠনে ঈর্ষান্বিত হয়ে বিভিন্নভাবে নাগরিক জীবনে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করেই চলেছিল। বিভিন্ন স্থানে হত্যাসহ নৃশংস ঘটনা ঘটাতেও তারা দ্বিধা করেনি। আমেরিকা পাকিস্তান এবং মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি রাষ্ট্রও অসহযোগিতা করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে কাজ করেছিল। এ দেশের কিছু সাংবাদিক তাদের পত্রিকার মাধ্যমে সরকারবিরোধী মিথ্যাচার শুরু করে (শেখ কামালের ব্যাংক ডাকাতি, দেশ বিক্রির ইন্দিরা মুজিব চুক্তি, আর জালপরা বাসন্তির ছবি)। পাতি নেতার টেলিফোন যে দেশে উপেক্ষা করা যায় না সেখানে বঙ্গবন্ধুর ছেলেকে টাকার জন্য ডাকাতি করতে হবে কেন? ইন্দিরা মুজিব চুক্তি যদি দেশ বিক্রির হয় তা হলে সেই বিক্রি করা দেশে জিয়াউর রহমান, জেনারেল এরশাদ, বেগম জিয়া-প্রেসিডেন্ট-প্রধানমন্ত্রী হলেন কি করে! এসব প্রশ্নের উত্তর হয়নি, হবে না। তবে এসব প্রশ্নের উত্তর পেয়েছে মানুষ ঘটনা ঘটার অনেক পরে। সক্রেটিসের ফাঁসি ভুল ছিল, গান্ধীজির হত্যা মানুষ মেনে নেননি; তেমনি ১৯৭৫ সালের ‘১৫ই আগস্টের অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশের সর্বস্তরের মানুষের অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবের পতন একটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক ঘটনা।’ (আশরাফ লতিফ : সন্ধানী ১৩৮৭, ঈদসংখ্যা)।

পাঁচ
একটি সশস্ত্র যুদ্ধের পর দেশের জন্য যে জাগরণ হওয়ার দারকার ছিল তা হয়নি। বঙ্গবন্ধুর আবির্ভাব ষাটের দশক থেকে যে বাঙালিয়ানার অধিকার এবং দাবি নিয়ে এগিয়েছিল তা যুদ্ধের পর হয়নি বরং থেমে গিয়েছিল অর্থাৎ বাঙালির সাংস্কৃতিক আন্দোলন (বিপ্লব) স্বাধীনতার পূর্বে হয়েছিল পরে হয়নি। স্বাধীনতার পরেও এর কার্যক্রম বিপ্লব অব্যাহত রাখতে পারলে বঙ্গবন্ধুর নিয়ন্ত্রণ আবার সবকিছুতেই ফিরে আসত। বঙ্গবন্ধু এমনটি বুঝে উঠে দ্রুত ‘বাকশাল’ কায়েম করলেও তা কার্যত বিলম্ব হয়ে গিয়েছিল। আওয়ামী লীগের ভেতরেও পরাজিত শক্তির প্রলোভন এবং অর্থের অনুপ্রবেশ ঘটে। বঙ্গবন্ধুর উদার মনোভাব এবং বাঙালিরা সরলভাবে ভালোবাসার খেসারত দিতে হলো ৩২ নম্বর বাড়িতেই।
রাজাকার, পরাজিত-শক্তি আর বিপথগামী সেনা-কর্মকর্তাদের গভীর চক্রান্তে ১৫ আগস্ট রাতে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে ঘাতকরা হত্যা করে। এ হত্যার খবরে তৃতীয় বিশ্বের মানুষ স্তম্ভিত হয়ে যায়। হত্যাকারীরা ক্ষমতা দখল করেও ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। এমনকি তারা শেষ পর্যন্ত দেশ থেকে পালাতেও বাধ্য হয়। হতভম্ব বাঙালি, নিরুপায় বাঙালি কেঁদেছে একাকী নেতৃত্ববিহীন। কবি অন্নদাশঙ্কর রায় নিজে আক্ষেপের সঙ্গে লিখেন ‘কাঁদো বাঙালি কাঁদো’। বাঙালি সেদিন কেঁদেছিল ঠিকই তারপর জননেত্রীর নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়িয়ে ঘাতকদের ফাঁসি চেয়েছে ফাঁসি হয়েছে। পরিশেষে বলব আমরা বঙ্গবন্ধুর নিরাপত্তা দিতে পারিনি বলে আক্ষেপ করি কিন্তু বঙ্গবন্ধু রক্ত দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ষা করে গেছেন। তাই তিনিই বাংলাদেশ এবং বাঙালির ‘গ্রেট সেন্ট্রিনাল’।  

অধ্যাপক আহসানুল কবির : প্রাক্তন উপাধ্যক্ষ
ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ।

 
Electronic Paper