লড়াইটা একার নয়, সবার
ড. মোহা. হাছানাত আলী
🕐 ৮:২৬ অপরাহ্ণ, মে ২১, ২০২০
বর্তমানে এক চরম ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছি। যুদ্ধ করছি এক অদৃশ্য শত্রু করোনার সঙ্গে। এ যুদ্ধ একক কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নয়। যুদ্ধটা সামগ্রিক অর্থে আমাদের সবার। তাই সকল বিভক্তি ও বিভাজনের ঊর্ধ্বে উঠে সবাইকে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইটা চালিয়ে যেতে হবে। আমাদের অবশ্যই জিততে হবে। সেজন্য দেশের প্রতিটি মানুষ, প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাকে সর্বপ্রথম তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে হবে। দাঁড়াতে হবে প্রতিবেশীর পাশে। আসলে প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার কর্মীরাই হল তাদের সবচেয়ে কাছের জন, কাছের প্রতিবেশী।
দুর্দিনে ভুলে গেলে চলবে না, তাদের হাড়ভাঙা শ্রমের মধ্য দিয়েই কিন্তু আপনার আমার আর্থিক ও সামাজিক সফলতার সুউচ্চ অট্টালিকা তৈরি হয়েছে। দেশে বিদেশে বাড়ি গাড়ি ও কারখানা তৈরিতে তাদের অবদান অনস্বীকার্য। আমাদের বিলাসী জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে শ্রমিকের কঠোর পরিশ্রম। সুতরাং আজকের এই দুর্দিনে কর্মীদের পাশে থাকতে হবে। আমাদের পরিবারের প্রতিটি সদস্য অর্থাৎ কর্মী ভাইয়েরা যাতে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘরে বসেই সীমিত পরিসরে ঈদ উদযাপন করতে পারে, বিষয়টি প্রতিষ্ঠানকেই নিশ্চিত করতে হবে। স্বল্প আয়ের মানুষদের অবহেলা না করে তাদের আমাদের ব্যক্তিগত ও সামষ্টিক সফলতার কারিগর হিসেবে গণ্য করে পাশে থাকতে হবে। এই বিশ্বাস তৈরি করে দেওয়া খুবই জরুরি চাকরিদাতা শুধু তাদের মনিব নন, প্রকৃত অভিভাবক।
সময়মত বেতন, বোনাস পরিশোধ করা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের মধ্যেই পড়ে। পাওয়াটাও তাদের অধিকার। দেশের প্রচলিত শ্রম আইনও সেটাই বলে। ধর্মে তো গায়ের ঘাম শুকানোর আগেই শ্রমিকের পারিশ্রমিক পরিশোধ করার কথা সুস্পষ্টভাবে বলা আছে। প্রধানমন্ত্রীও কিন্তু করোনাকালে কর্মী ছাঁটাই না করা ও কর্মীদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করার আহবান জানিয়েছেন।
কর্মীদেরও তাদের প্রতিষ্ঠানের এই আর্থিক দুর্দিনে প্রকৃত চাওয়া পাওয়ার হিসেব না কষে টিকে থাকার লড়াইটাই সর্বাগ্রে করতে হবে। তবে কতিপয় শিল্পোদ্যোক্তা কর্মীদের বঞ্চিত করতে গিয়ে ঈদের আগে সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইছে। কোনো কোনো শিল্পের শ্রমিকরা আবার তাদের বকেয়া বেতন ও বোনাসের দাবিতে রাস্তায় বিক্ষোভ করছে। রাস্তা বন্ধ করে প্রতিবাদ করছে। সরকারের উচিত উভয় পক্ষের সঙ্গে বসে আলোচনা করে ঈদের আগেই সমাধান করা। না হলে ঈদের আগে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিতে পারে।
করোনা আমাদের জীবন থেকে অনেক কিছু কেড়ে নিয়েছে সত্য, তেমনি অনেক কিছু শিখিয়েছে। দিয়েছে পশুপাখির জন্য বসবাসযোগ্য ধরিত্রী। হাত ধোয়া শিখিয়েছে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে শিখিয়েছে। কোনো ধনসম্পদই যে বিপদের দিনে কাজে আসবে না, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। ধনী গরিব সবাইকে মোটামুটি এক কাতারে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। যারা দেশের টাকা লুট করে বা বিদেশে পাচার করে বাড়ি-গাড়ি, অট্টালিকা বানিয়েছে, বিদেশি ব্যাংকে নিজেদের ভোগ বিলাসের জন্য টাকা জমিয়েছে, করোনাকালে আজ সেই টাকা কোনো কাজেই আসছে না, তা জানিয়ে দিয়েছে। তারা অসুস্থ হলে সেই চুরি করা টাকা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাবার বিমান টিকিট কিনতে পারবে না, তাও পরিষ্কার হয়ে গেছে।
প্রকৃতি মনে হয় আজ বড়ই নিষ্ঠুর আচরণ করছে আমাদের সঙ্গে। আর সেটাই তো স্বাভাবিক। আমরা এতদিন শুধু নিজেরা ভালো থাকতে চেয়েছি। অন্যের কথা, প্রতিবেশীর কথা সর্বোপরি পরিবেশের কথা ভাবিনি। মানুষ হত্যার জন্য কোটি কোটি ডলার ব্যয় করে মরণাস্ত্র বানিয়েছি। দেশে দেশে যুদ্ধ বাঁধিয়ে মরণাস্ত্র বিক্রির বাজার সম্প্রসারিত করেছি। কিন্তু মানুষ বাঁচানোর জন্য যৎসামান্যই করেছি।
ইউরোপের বহু দেশ অপেরা ও ফুটবলের জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় করলেও মানব সভ্যতাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য তাদের কর্মকা- যে খুবই নগণ্য ছিল, তা করোনা বিশ্ববাসীকে বুঝিয়ে দিয়েছে। নিজেরা ভালো থাকার জন্য দিনের পর দিন আমরা পরিবেশ ধ্বংস করেছি। নির্বিচারে গাছ কেটে বনজঙ্গল উজাড় করে ইন্ডাস্ট্রি করেছি, পাহাড় কেটে প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট করে ইটভাটা তৈরি করেছি, কারখানার দূষিত বর্জ্য নদীতে ফেলে জীববৈচিত্র্যকে ধ্বংস করেছি, নদী দখল করে নিজেদের বহুতল ভবন নির্মাণ করেছি। শিল্প-কারখানার বিষাক্ত ধোঁয়ায় জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছি। ধরিত্রীকে বসবাসের অযোগ্য করে তুলেছি। প্রকৃতির স্বাভাবিক গতিপথকে রুদ্ধ করেছি। তাহলে কি প্রকৃতি আজ সকল অবিচারের প্রতিশোধ নিচ্ছে?
মহামারি করোনা আমাদের সবকিছুতেই মস্তবড় একটা ঝাঁকুনি দিয়েছে। আমরা আজ বদলে যাওয়া পৃথিবীর বদলে যাওয়া একেকটি মানুষ। পৃথিবীর সবকিছু বদলে গেছে। ইরাক, ইসরাইল ও সিরিয়ার আকাশে আর বারুদের গন্ধ নেই। আছে শুধু বেঁচে থাকার লড়াই। আমরা সবাই কমবেশি বদলে গিয়েছি বা বদলাতে বাধ্য হয়েছি। আমার নিজের কথাই যদি বলি, তাহলে বলতে হয় শিক্ষক হিসেবে ক্লাস নেওয়ার তাড়া নেই, পরীক্ষার ডিউটি নেই, স্ক্রিপ্ট মূল্যায়ন করার বালাই নেই, প্রশ্নপত্র প্রণয়নের তাগিদ নেই, আছে শুধু করোনামুক্ত একটা সকাল দেখার তাড়া।
সব কিছুই আজ এলোমেলো। কিছুই নেই আর আগের মত। তবে পূর্বাকাশে আগের মতই নিয়ম করে সূর্য ওঠে, তা আবার সন্ধায় পশ্চিমাকাশে অস্তও যায়। প্রকৃতিও আজ তার রঙ বদলিয়েছে। বহুদিন পর কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লোনাজলে ডলফিন জলকেলি করছে। সৈকতের তপ্ত বালুতে লাল কাঁকড়া দল বেঁধে মনের আনন্দে খেলা করছে। মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে পাখিদের কলতান বৃদ্ধি পেয়েছে। শব্দদূষণ কমে গেছে। বায়ুদূষণ নেই বললেই চলে। রাস্তাঘাটে কোলাহল কমেছে। শব্দদূষণ হ্রাস পেয়েছে। তবে বেড়েছে আতঙ্ক। চাকরিজীবীদের মধ্যে চাকরি হারানোর আতঙ্ক, শ্রমজীবী মানুষের মাঝে শ্রম হারানোর আতঙ্ক।
বিনা চিকিৎসায় মরে যাওয়ার আতঙ্ক, আত্মীয়-স্বজনের জানাজায় অংশগ্রহণ না করতে পারার আতঙ্ক। এমন হাজারও আতঙ্কে আতঙ্কিত দেশের মানুষ। ফলে বদলে গেছে মানুষের জীবনাচার। কেউ আর আপনজনের বাসায় যায় না। অন্যকেও ডাকে না। মসজিদে নিয়ম করে সময়মত আজান হলেও মুসল্লি কম। যেতে পারে না প্রাণ ভয়ে। তারাবির জামাত মসজিদে হলেও প্রায় প্রতিটি ঘর এখন একেকটি এবাদতখানা।
মানবসভ্যতার এক অচেনা শত্রু করোনা আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাপনের সব নিয়মগুলোকে তছনছ করে দিয়েছে। এ যেন এক বদলে যাওয়া অচেনা পৃথিবী। মানুষও বদলে গেছে। বদলেছে তাদের আচরণ। তবে কিছু মানুষের বদলানোটা আমাদেরকে লজ্জা দেয়। অপমানিত করে। চাল চোরদের দৌরাত্ম্য এখনও বন্ধ হয়নি দেখে মনটা খারাপ হয়ে যায়। মন্ত্রী-এমপিদের ধানকাটা ফটোসেশন দেখে লজ্জিত হই।
অর্থনৈতিক বিপর্যের আশঙ্কায় আতঙ্কিত হই। ৫০ লক্ষ কর্মহীন মানুষের মাঝে সরকারের নগদ অর্থপ্রদানের তালিকায় অর্থ-বিত্তবানদের নাম দেখে লজ্জা পাই। এতকিছু অসঙ্গতির মাঝেও প্রতিদিন আমরা একটি সুসংবাদের আশায়। দুপুরে অনেক সমালোচনার জন্ম দেওয়া স্বাস্থ্য বিভাগের প্রেস ব্রিফিংয়ের জন্য টিভির পর্দায় চোখ বোলাই। কিন্তু সুসংবাদ আর আসে না। কবে তা আসবে, তাও কারো জানা নেই। বিশ্ব শ্রম সংস্থার মতে বদলে যাওয়া দুনিয়ায় প্রায় অর্ধেক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়বে। বিশ্বব্যাংকের মতে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির চাকা নিম্নমুখী হবে।
আমাদের দেশেও বহু গার্মেন্টসকর্মী চাকরি হারাবে। কিন্তু আশার কথা, দেশের প্রায় ৪০ শতাংশ গার্মেন্টসকর্মী কোনো না কোনোভাবে পূর্বে কৃষির সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিল। সুতরাং দেশের গ্রামীণ অর্থনীতির স্বার্থে তাদের পুনরায় কৃষিকাজে ফেরানোটা খুবই জরুরি। স্বল্প সুদে কৃষি ঋণ প্রদান ও কৃষি উপকরণের সহজলভ্যতা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে দেশের কৃষিখাতকে উজ্জীবিত করার মধ্য দিয়ে গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা সচল করতে হবে।
এক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সাহায্য সংস্থাসমূহকে (এনজিও) সঠিকভাবে কৃষিকাজে সম্পৃক্ত করা গেলে তা সামগ্রিক প্রান্তিক জনপদের আর্থিক উন্নয়ন কর্মকা- ত্বরান্বিত হবে। ক্ষুদ্র ঋণ ও এসএমই খাতও দেশের বেকারত্ব নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। দেশের ঈদকেন্দ্রিক অর্থনীতি এবার মোটামুটি স্থবির। কয়েক লক্ষ পরিবহন শ্রমিক ও দোকান কর্মচারী কর্মহীন। এমন এ জটিল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে এগিয়ে আসছে ঈদ।
ঈদ আমাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব হলেও তা ইতোমধ্যেই নিরানন্দে পরিণত হয়েছে। সীমিত আকারে বিপণিবিতান খোলার পর একশ্রেণির কা-জ্ঞানহীন মানুষের স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বাজারে হুমড়ি খেয়ে পড়ার কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়েছে। ফলাফল হাতেনাতেই দেখতে পাচ্ছি। তবে বিপণিবিতান খোলার সিদ্ধান্ত যে মোটেই যুক্তিযুক্ত ছিল না, তো পুনরায় বিভিন্ন জেলায় বন্ধ করার মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে। যাক সে কথা।
গণপরিবহন বন্ধ হলেও ঢাকামুখী মানুষের স্রোত কিন্তু রোখা যায়নি। যাদের অধিকাংশই শ্রমিক। ঈদের আগে এই মানুষগুলো আবারো নাড়ির টানে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করবে। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের ঘরে ফেরা যে কোনোভাবেই হোক, আটকাতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এক্ষেত্রে প্রয়োজনে কঠোর হতে হবে। আর তা করতে না পারলে পরিণতি হতে পারে আরো ভয়াবহ।
এবারের ঈদ উদযাপন কিন্তু সম্পূর্ণ এক অচেনা পরিবেশে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। যা বিশ্ববাসীর কল্পনাতীত। আমরা ইতোমধ্যেই স্বাস্থ্য বিভাগের সক্ষমতা ও অক্ষমতার চিত্র জেনে গেছি। তাই এবারের ঈদে আবেগ নয় বরং বাস্তবতার নিরিখে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ঈদ উদযাপন করতে হবে। প্রান্তিক মানুষের আয় কমে গেছে। লক্ষ লক্ষ শিক্ষিত বেকার ছেলেমেয়ে যারা খ-কালীন চাকরি বা টিউশনি করে নিজের ভরণপোষণ চালাত, তারা করোনাকালে অর্থকষ্টে একপ্রকার দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছে। তারা না পারছে অন্যের কাছে হাত পাততে, না পাচ্ছে কোনো সরকারি-বেসরকারি সাহায্য সহযোগিতা। তাদের জন্য না আছে কোনো বেকার ভাতা, না আছে কোনো প্রণোদনা। বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশে চাকরি হারিয়ে প্রায় ৩ কোটি মানুষ বেকার ভাতার জন্য আবেদন করেছে। আমাদের দেশে সে সুযোগও নেই।
করোনা পরবর্তীকালে বেকারদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। করোনার প্রভাবে বিদেশ থেকে কর্ম হারিয়ে কয়েক লক্ষ মানুষ দেশে ফিরতে বাধ্য হবে। এতে করে একদিকে যেমন ফরেন রেমিটেন্স কমে যাবে, অন্যদিকে অধিক সংখ্যক কর্মহীন মানুষের চাপ দেশের অর্থনীতির ওপর চাপ সৃষ্টি করবে। বিদেশফেরত মানুষের জন্য দেশে-বিদেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা না গেলে দেশে সামাজিক অনাচার সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
সামগ্রিক অর্থে আমরা একটা যুদ্ধকাল অতিক্রম করছি। করোনাকে জয় করে বেঁচে থাকার যুদ্ধ। নিরন্ন মানুষের মুখে দু’বেলা দু’মুঠো মোটা ভাত ও মোটা কাপড় তুলে দেওয়ার যুদ্ধ। কর্মহীন মানুষদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার যুদ্ধ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার যুদ্ধ। কলকারখানায় উৎপাদনের চাকাকে সচল করার যুদ্ধ। বিশ্বমানবতাকে বাঁচিয়ে রাখার যুদ্ধ। এ যুদ্ধে একা জেতা যাবে না। সবাইকে নিয়েই জিততে হবে। একা ভালো থাকা যাবে না। সবাইকে নিয়েই ভালো থাকতে হবে। আসুন সবাই সবার পাশে থাকি।
ড. মোহা. হাছানাত আলী : অধ্যাপক, আইবিএ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়