ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

পরিবেশবান্ধব বায়োডিগ্রেডেবল পলিথিন

ফারজানা আক্তার
🕐 ৯:৫৯ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২০

বায়োডিগ্রেডেবল বা পচনশীল পলিথিন, বর্তমানের বহুল আলোচিত বিষয়। পলিথিন যেখানে শতবছরব্যাপী পরিবেশের ক্ষতি করে সেখানে বায়োডিগ্রেডেবল পলিথিন এক আশীর্বাদস্বরূপ পরিবেশবান্ধব আবিষ্কার। বায়োডিগ্রেডেবল পলিথিন হল পরিবেশবান্ধব পলিথিন।

যা পরিবেশের অণুজীবগুলো পলিথিনের কাঠামো বিপাক ও ভেঙে ফেলে এবং পরিবেশের কোনো ক্ষতি করে না। বর্তমানে এ পলিথিনের চাহিদা বিশ্বব্যাপী ক্রমাগত বর্ধিত হচ্ছে। এটি একাধারে পরিবেশের বন্ধু এবং অর্থনীতির অগ্রগতিতে রাখছে বিশাল অবদান।

২০০২ সালে এশিয়াতে প্রথম বাংলাদশে পলিথিন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয় (বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫)। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, গেজেট বিজ্ঞপ্তি দ্বারা পরিবেশের জন্য ১৯৯৫-এর ধারা ৬ (এ) অনুযায়ী সরকার ক্ষতিকারক রাসায়নিক পলিথিনের বাণিজ্যিক ব্যবহার, উৎপাদন, আমদানি, বিপণন, বিক্রয়ের জন্য প্রদর্শন, স্টোর, বিতরণ, বাণিজ্যিক পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন।

লঙ্ঘনকারীদের পরিস্থিতি অনুসারে সর্বনিম্ন ৫০০০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ দশ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বা সর্বনিম্ন এক বছর থেকে সর্বোচ্চ দশ বছরের কারাদণ্ডে জরিমানা করা হবে। সুতরাং, পলিথিন ব্যবহার ও উৎপাদন করা একটি শাস্তিমূলক অপরাধ। কিন্তু এরপরও পলিথিন এর ব্যাপক ব্যবহার বেড়েই চলছে।

শুধু ঢাকায় প্রতিদিন ২ কোটি পলিথিনের ব্যাগ ব্যবহার করা হচ্ছে। ২০০২ থেকে ২০১৯ অবধি বিশেষজ্ঞরা বহুবার সতর্ক করেছেন কিন্তু তবুও পলিথিন আমাদের জীবন থেকে মুছে ফেলা যাচ্ছে না।

আমরা দৈনন্দিন জীবনে প্রায় সকল প্রকার কাজে পলিথিন নামক দূষক ব্যবহার করে যাচ্ছি। চিপসের প্যাকেট থেকে শুরু করে আমাদের ময়লা আবর্জনা ফেলার ব্যাগ হিসেবেও আমরা পলিথিন ব্যবহার করে থাকি। পলিথিন নিষিদ্ধ করার কারণ হচ্ছে পলিথিন দ্বারা সৃষ্ট দূষণ। পলিথিন যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে, সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধি পাচ্ছে এর দূষণের মাত্রাও। কিন্তু পলিথিনের বিকল্প হিসেবে আর কিছুই নেই। পলিথিন এখন দৈনন্দিন ব্যবহার্য জিনিস।

ইএসডিওর নির্বাহী পরিচালক এবং পলিথিন বিশেষজ্ঞ ডা. হোসেন শাহরিয়ার কোরিয়ান ইনস্টিটিউট অব হেলথ রিসার্চ কর্তৃক পরিচালিত পলিথিন সম্পর্কিত গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, পলিথিন কারখানায় কর্মীদের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি দেখা যায়। শুধু ক্যান্সারই নয়, কর্মীদের ত্বকের রোগ এবং অন্যান্য মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যাও দেখা দেয়। পলিথিন মোড়ানো মাছ এবং মাংস একধরনের তাপ উৎপন্ন করে বিকিরণের সৃষ্টি করে যা শেষপর্যন্ত খাদ্যকে বিষাক্ত করে তোলে।

ডা. শাহরিয়ার বলেন, পলিথিন মোড়ানো মাছ, মাংস এবং শাকসবজি চামড়া রোগ এবং ক্যান্সারের জন্য দায়ী জীবাণু অ্যানেরোবিক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রামিত হয়। আমাদের দেশে পলিথিন ব্যাগে ব্যবহৃত রঙ জনস্বাস্থ্যের জন্যও হুমকিস্বরূপ। কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুষ্টি বিশেষজ্ঞ ডা. শাশ্বতী রায় এক গবেষণায় জানতে পেরেছেন, পলি কাপে চা গ্রহণ করা আলসার এবং ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পলিথিন ব্যাগ এবং অন্যান্য প্লাস্টিকের সামগ্রী যদি ৭০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে পোড়া হয় তবে বিষাক্ত গ্যাসের মতো ডাইঅক্সিন তৈরি করে, যা ক্যান্সার এবং ত্বকের রোগের কারণ হতে পারে। পলিথিন ব্যাগগুলো বাড়ির আশেপাশে ফেলে দেওয়ার ফলে তা মশা প্রজননের নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্র হয়ে উঠেছে যার ফলে ডেঙ্গু জ্বর, ফিলারিয়াসিস এবং ম্যালেরিয়া হয়।

প্লাস্টিকের ব্যাগগুলো বিশেষত দুর্বল মাছ, প্রাণী এবং পাখিগুলোকে দম বন্ধ করতে বা বিষাক্ত করতে পারে। সরকার কর্তৃক উদ্ধৃত গবেষণায় বলা হয়েছে, ‘যখন সামুদ্রিক পাখি, সমুদ্রের স্তন্যপায়ী প্রাণী বা মাছ প্লাস্টিকের কণাগুলি গ্রাস করে, তখন অন্ত্রে ব্লক করা জীবকে ক্ষতি করতে বা এমনকি হত্যা করতে পারে।’

প্লাস্টিকের ব্যাগগুলো মারাত্মক উপায়ে পরিবেশকে ব্যাহত করে। এগুলো মাটিতে প্রবেশ করে ধীরে ধীরে বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ বের করে দেয়, যার ফলে এগুলো মাটিতে ভেঙে যায় এবং দুর্ভাগ্যজনক পরিণতি হল প্রাণীগুলো সেই রাসায়নিক পদার্থগুলো গ্রহণ করে এবং প্রায়শই শ্বাসরোধ হয়ে মারা যায়।

জেলিফিশজাতীয় প্রাণী খাবারের জন্য প্রায়শই প্লাস্টিকের ব্যাগ ভুল করে গ্রহণ করার কারণে সামুদ্রিক পরিবেশে প্লাস্টিকের ব্যাগের লিটার থেকে প্রতি বছর কয়েকশ’ সংখ্যক সামুদ্রিক প্রাণী মারা যায়। একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের ব্যাগগুলো কোনো প্রাণীর দ্বারা হজম বা পাস করা যায় না তাই এটি অন্ত্রে থাকে।

পলিথিন ব্যাগগুলো শহর ও শহরে নিকাশী ব্যবস্থা বন্ধ রাখার জন্যও দায়ী। পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক বেগম রুবিনা ফেরদৌসী বলেছেন, পলিথিন ব্যাগ যে পরিবেশ দূষণের হুমকির সম্মুখীন তা জনসাধারণকে অবহিত না করে, পলিথিন নির্মূল করা সম্ভব নয়। কিন্তু সমস্যা হল, পলিথিনের কোনো কার্যকর বিকল্প নেই। তাই এ মুহূর্তে আমাদের পলিথিনকে নিষিদ্ধ না করে পলিথিনের বিকল্প খুঁজতে হবে।

এ সময়ে রাসায়নিক পলিথিনের উপযুক্ত এবং একমাত্র বিকল্প বায়োডিগ্রেডেবল বা পচনশীল পলিথিন। যেখানে পরিবেশ, জলবায়ু, মানবস্বাস্থ্য রাসায়নিক পলিথিন নামক বিষের কবলে পড়েছে সেখানে পচনশীল পলিথিন নিঃসন্দেহে আশার আলো জাগ্রত করেছে। রাসায়নিকভাবে পলিথিন তৈরি হয় কার্বন অণুর দীর্ঘ চেইন থেকে। অনেকগুলো ছোট ছোট ইথিলিন যুক্ত হয়ে পলিথিন তৈরি হয়।

পলিথিন এক প্রকার প্লাস্টিক, যা হাল্কা কিন্তু মজবুত। এর কাঠামোর জন্য আমরা খুব সহজে ব্যবহার করতে পারি। কিন্তু পলিথিন পরিবেশে টিকে থাকে শত বছর এবং তা অবস্থান করে মাটিতে এবং পানিতে।

এরা মাটিতে বায়ু চলাচলে বাধা দেয়। পলিথিন সাধারণত প্রায় ৫০০-১০০০ বছরে ক্ষয় হয়, যদিও আমরা এর আসল অবক্ষয়ের সময়টি কখনই জানতে পারি না। কারণ উপাদানটি কেবল গত শতাব্দী থেকেই দীর্ঘমেয়াদি রূপে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। পলিথিন উৎপাদনের সময় অনেক বিপজ্জনক রাসায়নিক পদার্থ নির্গত হয়, যা মানুষের পাশাপাশি অন্যান্য প্রাণীর মধ্যে ভয়াবহ রোগের কারণ হতে পারে। ইথিলিন অক্সাইড, জাইলিন এবং বেনজিন হল পলিথিনের কিছু রাসায়নিক পদার্থ যা পরিবেশে বিপজ্জনক প্রভাব ফেলতে পারে। এটিকে অপসারণ করা সহজ নয় এবং এটি জীবকে স্থায়ী ক্ষতি করতে পারে।

কিন্তু পচনশীল পলিথিনের কার্বন কাঠামো আমরা পেতে পারি ভুট্টা বা স্টার্চ জাতীয় ফসল থেকে। যাকে বলা হচ্ছে বায়োডিগ্রেডেবল পলিথিন। এ বায়োডিগ্রেডেবল পলিথিন মূলত প্রস্তুত করা হয় বিভিন্ন প্রকার ফসল (ধান, গম, ভুট্টা, পাট ইত্যাদি) অথবা স্টার্চ জাতীয় শাক-সবজি থেকে এবং তা পরিবেশে প্রাকৃতিকভাবে পচে যায়। এর কাজ, কাঠামো সবকিছুই রাসায়নিক পদ্ধতিতে বানানো পলিথিনের মতোই। কিন্তু এ পলিথিনের বিয়োজনে অণুজীব খুব ভালো কাজ করে।

এ পলিথিনের কিছু উল্লেখযোগ্য উপকার হল এটি অনবায়নযোগ্য শক্তির উৎসগুলোকে সংরক্ষণ করে, কার্বন নির্গমন কমিয়ে আনে এবং সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব। দেশে বিদেশের বৈজ্ঞানিকগণ অনেক আগে থেকেই এটি নিয়ে কাজ করেছেন। বর্তমানে ভারত, চীন, ছাড়াও পৃথিবীর প্রায় সকল উন্নত দেশ বায়োডিগ্রেডেবল পলিথিন প্রস্তুত করছে এবং এর চাহিদা আকাশচুম্বী প্রায়।

ইন্দোনেশিয়ার বালিতে অবস্থিত অভনি কোম্পানিটি বায়োডিগ্রেডেবল পলিথিন উৎপাদন করে। এছাড়াও আফ্রিকা, উগান্ডা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, উত্তর আমেরিকাসহ প্রায় শতকের মতো দেশ রাসায়নিক পলিথিনকে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে এবং তারা পচনশীল পলিথিন ব্যবহার করে থাকেন।

ইতোমধ্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সূত্র ধরে পলিথিন ব্যাগের উপযুক্ত বিকল্প প্রস্তাব দেওয়ার লক্ষ্যে আমাদের দেশের কিছু কারখানায় পচনশীল এই পলিথিন প্রস্তুত করা হচ্ছে যা ২০১৯ সালে থেকেই উৎপাদন শুরু করে দিয়েছে। তার মাঝে একটি গাজীপুরের কামারপাড়ায় অবস্থিত এক্সপো এক্সেসরিস।

এখানে ভুট্টা থেকে এ পলিথিন প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা বিদেশে সরাসরি রপ্তানি করে এবং এর চাহিদা প্রচুর। মোহাম্মদ এনামুল হক, যিনি এ কারখানার ম্যানেজিং ডিরেক্টর তিনি বলেছেন, এক্সপো এক্সেসরিস বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে টার্গেট করেছে, এবং ৩০টি কারখানায় বায়োডিগ্রেডেবল পলিথিন সরবরাহ করা হচ্ছে। আমাদের আইটেমগুলো বায়োডিগ্রেডেবল এবং কম্পোস্টেবল হওয়ায় আমরা বিশ্ববাজার থেকে প্রচুর সাড়া পাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে বায়োডিগ্রেডেবল পণ্যগুলোর চাহিদা বাড়ছে এবং বাংলাদেশেও এর ব্যতিক্রম নয়।

এখান থেকে চীনসহ ২০টির মতো দেশ এ পণ্য আমদানি করে থাকে। তবে আমাদের দেশের সরকার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। পলিথিনের বিকল্প হিসেবে পাটের তৈরি ব্যাগের ওপর জোরদার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এটি তুলনামূলক ব্যয়বহুল হওয়াতে সর্বসাধারণের ব্যবহার করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। অন্যদিকে পলিথিন দূষণ রোধে বাণিজ্যিকভাবে রাসায়নিক পলিথিন রিসাইক্লিং করা হয় কিন্তু প্রস্তুতকৃত পলিথিনের অর্ধেকও রিসাইক্লিং করা হয় না।

তাই পরিবেশের ক্ষতি না করে পলিথিন ব্যবহারের আরেক নাম বায়োডিগ্রেডেবল পলিথিন। রাসায়নিক পলিথিনের বিকল্প হিসেবে বায়োডিগ্রেডেবল পলিথিন তৈরি করেছে বাংলাদেশ পাট মিল করপোরেশনের (বিজেএমসি) চিফ জৈবিক উপদেষ্টা মোবারক আহমদ খান। তিনি পাট থেকে ব্যাগ তৈরি করেছেন। এটিকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রশংসায় সোনালি ব্যাগ হিসেবে বাজারজাত করেছিলেন।

২০১৮ সালে সোনালি ব্যাগ একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল। ড. শাহরিয়ার বলেছিলেন, আমরা যদি সোনালি ব্যাগ উৎপাদন করতে আমাদের সমস্ত পাট ব্যবহার করি তবে আমরা বিশ^ব্যাপী পলিথিনের চাহিদার এক-চতুর্থাংশ পূরণ করতে পারি। বিকল্প নেই বলে বলা বোকামি।

পাট, যা কয়েক মাসের মধ্যে জৈবিকভাবে হ্রাস পেতে পারে, একসময় ছিল মানুষের ‘গোল্ডেন ফাইবার’। এটি একই সঙ্গে যেমন পরিবেশের রক্ষায় কাজ করছে তেমনি অর্থনৈতিক উন্নয়নে রাখছে ব্যাপক ভূমিকা। সরকারের এ বিষয়ে আরও গুরুত্ব দেওয়া উচিত। বায়োডিগ্রেডেবল পলিথিনগুলোর মূল বৈশিষ্ট্য হল, প্রচলিত পলিথিনের তুলনায় কম কার্বন পদচিহ্ন করে এবং ১০০ শতাংশ বায়োডিগ্রেডিবিলিটি এবং কম্পোস্টিবিলিটি। শুধু এটি পরিবেশ রক্ষা করছে এমন নয়, এটি উৎপাদনে আমাদের এনে দিচ্ছে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা।

যদিও বর্তমানে এর উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় দাম তুলনামূলকভাবে বেশি। সরকারের এ বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া উচিত। যাতে উৎপাদনের খরচ কমিয়ে পরিবেশ রক্ষা করার উদ্দেশে সকল প্রকার কারখানায় বায়োডিগ্রেডেবল পলিথিন উৎপাদন বাধ্যতামূলক করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বসবাসযোগ্য পরিবেশ উপহার দেওয়া যায়।

আমরা দেখতে পাচ্ছি, বায়োডিগ্রেডেবল পলিথিন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এবং এটি বর্জ্য হ্রাস এবং পরিবেশকে সহায়তা করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে প্রমাণিত। বায়োডিগ্রেডেবল পলিথিনগুলোর বর্ধিত ব্যবহার করে আমরা আমাদের পৃথিবীর জন্য সবুজ এবং আরো টেকসই ভবিষ্যতের আশা করতে পারি।

ফারজানা আক্তার : শিক্ষার্থী, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স
এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, ত্রিশাল, ময়মনসিংহ
[email protected]

 
Electronic Paper