মুক্তির আপসহীন নায়ক ড. শামসুজ্জোহা
আরাফাত শাহীন
🕐 ৯:৩৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২০
স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন, ‘জন্মেছিস যখন একটা দাগ রেখে যা।’ একটু ভেবে বলুন তো, সবাই কি দাগ রেখে যেতে পারে? এই যে পৃথিবীর শুরু থেকে আজ অব্দি কত লক্ষ কোটি বিলিয়ন মানুষ জন্ম নিয়েছে এবং সৃষ্টির স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী আবার পৃথিবী ছেড়ে চলেও গিয়েছে, তাদের কতজনকে মানুষ মনে রেখেছে? খুব অল্প কিছু মানুষই আমাদের মাঝে অমরত্ব লাভ করতে সক্ষম হয়েছেন। কারণ, তারা বিশ্বের বুকে তাদের পদচিহ্ন সুনিপুণভাবে এঁকে গিয়েছেন।
একজন মানবসন্তান কীভাবে মানুষের মাঝে অমর হতে পারেন? কিংবা অমরত্বের স্বাদ পাওয়া কি সহজ কোনো বিষয়? না, এটা মোটেও সহজ কিছু নয়। প্রতিনিয়ত নিজেকে ক্ষয় করে করে বিশ্বের মঙ্গলের জন্য আত্মাকে বিলিয়ে দিতে সবাই পারেন না। নিজের স্বার্থের কথা বিন্দুমাত্র চিন্তা না করে সবাই পারেন না মানুষের স্বার্থে কাজ করে যেতে। তবে কেউ কেউ পারেন। আমরা ভালোবেসে তাদের ‘মহামানব’ বলে ডাকি। শহীদ ড. শামসুজ্জোহা কিংবা আমাদের ‘জোহা স্যার’ এমনই একজন মহামানব।
আমি যখন নবম শ্রেণিতে পড়ি সম্ভবত তখনই শামসুজ্জোহা স্যারের নামটা প্রথম শুনি এবং তার জীবন সম্পর্কে সামান্য জ্ঞান লাভ করি। সেসময় আমাদের ইংরেজি বইয়ে তার সম্পর্কে একটা অধ্যায় লিপিবদ্ধ ছিল। এখনকার বইয়ে এটা আছে কিনা জানা নেই। তবে যদি না থাকে, যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে ড. শামসুজ্জোহা সম্পর্কে একটি অধ্যায় অন্তর্ভুক্ত করার জোর দাবি জানাই।
দুই.
ড. জোহা কেন আমাদের জন্য এতটা প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছেন? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে সবার আগে আমাদের জানতে হবে তার জীবন ও কর্ম সম্পর্কে। ১৯৩৪ সালের পহেলা মে পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়ায় জন্মগ্রহণ করেন ড. শামসুজ্জোহা। নিজ দেশ এবং বিশ্বের বড় বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (যেমন- লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে পড়াশোনা করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে তিনি যোগদান করেন। ১৯৬৯ সালে তিনি অত্র বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক (তৎকালীন রিডার) এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছিলেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেম তার সদ্য প্রকাশিত ‘মুক্তির পরম্পরা’ গ্রন্থে গবেষণালব্ধ ফলাফল বিশ্লেষণ করে আমাদের মুক্তিসংগ্রামের সূচনাকাল হিসেবে ভাষা আন্দোলনকে অভিহিত করেছেন। ভাষা আন্দোলনের বেশ কয়েকটি পর্যায় থাকলেও তিনি সামগ্রিকভাবে ভাষা আন্দোলনকেই মুক্তিসংগ্রামের প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ১৭৫৭ সালে বাংলার শেষ নবাব সিরাজ উদ্দৌলার পরাজয়ের পর ইংরেজরা ভারতীয় উপমহাদেশে তাদের শাসনক্ষমতা পাকাপোক্ত করে নেয়। এভাবে দীর্ঘ ১৯০ বছর নানা ঘাত-প্রতিঘাতের ভেতর দিয়ে এ উপমহাদেশের মানুষ অতিক্রম করার পর ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভ করতে সমর্থ হয়।
কিন্তু স্বাধীনতা একটি জাতির জন্য যে তাৎপর্য নিয়ে আসে এ দেশের মানুষের জন্য তা নিয়ে আসতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়। কারণ, ভারত এবং পাকিস্তান ভাগ হয়েছিল ধর্মীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে। এভাবে একটি রাষ্ট্র গঠিত হলে তা এ আধুনিক সময়ে টিকিয়ে রাখা বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার। তাছাড়া পূর্ব বাংলা এবং পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে হাজার মাইলের দূরত্ব ছিল, মাঝখানে রয়ে গিয়েছিল বিশাল ‘শত্রু দেশ’ ভারত। তবুও পাকিস্তান হয়ত আরও কিছুদিন টিকে থাকত যদি শাসকরা জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার ন্যূনতম মূল্যায়ন করত। প্রথমেই গোল বাঁধল ভাষার প্রশ্নে। সমস্যাটা পাকিস্তান রাষ্ট্রের শুরু থেকেই চলে আসছিল।
তিন.
বাংলা ভাষা পাকিস্তানের সংখ্যাগুরু মানুষের ভাষা হওয়া সত্ত্বেও পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী যখন জোর করে বাঙালিদের ওপর উর্দু ভাষাকে চাপিয়ে দিতে চাইল তখন আপামর জনসাধারণ প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে। ড. শামসুজ্জোহা তখন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র। তিনি নানা ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে এসেছেন এর আগে। ফলে একটি সুষম চেতনা তার ভেতর আগে থেকেই জন্ম নিয়েছিল। ভাষা আন্দোলনের সময় তিনি চুপ করে বসে থাকেননি একদমই। বরং ভাষা আন্দোলনের শুরু থেকেই সক্রিয় ছিলেন। একজন ভাষাসৈনিক হিসেবেও ড. জোহা সহজেই প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠেন।
বাঙালি জাতির ইতিহাস সব সময় একটা সমস্যাসঙ্কুল পথ পরিভ্রমণ করেছে। এ জাতি কখনও শান্তিতে বসবাস করতে পারেনি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন দেশবাসীকে সবসময় শঙ্কিত করে রাখত তেমনি এখানকার প্রাকৃতিক সম্পদের লোভে বারবার বিদেশি শক্তি হানা দিয়েছে। বিখ্যাত আরব দেশীয় পর্যটক ইবনে বতুতা বাংলাকে ‘দোজখপুরের নিয়ামত’ বলেই উল্লেখ করেছেন ভ্রমণ বিবরণীতে। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান স্বাধীনতা লাভ করলে বাঙালি জাতি পাকিস্তানের পূর্ব অংশ হিসেবে পাকিস্তান ফেডারেশনে যোগ দেয়। কিন্তু শুরু থেকেই পশ্চিমা শাসকরা ইংরেজদের মতো উপনিবেশ ভাবতে শুরু করে এ দেশকে। বাংলা থেকে সমস্ত কাঁচামাল সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানে পণ্য উৎপাদিত হত। সেই পণ্য এ দেশের মানুষকে চড়া দামে কিনতে হত। এখানে যে সমস্ত কলকারখানা ছিল তার সবগুলোর মালিক ছিল পাঞ্জাবি। ফলে আমাদের পূর্বপুরুষদের সঙ্গে শাসকগোষ্ঠী দাসের মতো আচরণ করতে শুরু করে। একসময় ফুঁসে ওঠে বাংলার আপামর জনতা। বাংলাদেশ যে ধীরে ধীরে স্বাধীনতার দিকে এগিয়ে গিয়েছে তা বেশ কয়েকটি ধাপ অতিক্রম করে তারপর সম্ভব হয়েছে। এ দেশে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর তাঁবেদারি করত মুসলিম লীগ। কিন্তু ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে বাংলার মানুষ যুক্তফ্রন্টের নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে মুসলিম লীগ এবং পাকিস্তানিদের গালে চপেটাঘাত করে। তারা সহজেই বুঝতে পারে এখানে আর খুব বেশিদিন শোষণ চালানো যাবে না। ফলে নানারকম ষড়যন্ত্র চলতে থাকে বাংলার রাজনীতিবিদ এবং সাধারণ জনগণের ওপর। কিন্তু নিপীড়ন চালিয়ে কখনও কোনো যৌক্তিক আন্দোলনকে চেপে রাখা যায় না। এক সময় তা বানের জলের মতো ঠিকই সবকিছুকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়।
চার.
১৯৫৫ সালে আজকের আওয়ামী লীগ তার নামের সঙ্গে থাকা ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দিয়ে ধর্মনিরপেক্ষ নীতি গ্রহণ করে বাংলার মানুষের পাশে থাকার ঘোষণা দেয়। তখন থেকেই শেখ মুজিবুর রহমান দলের জন্য প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠেন। ১৯৬৬ সালে মানুষের মুক্তিকে সামনে রেখে ঐতিহাসিক ছয় দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়। এই দাবির মূলমন্ত্র ছিল বাংলার স্বায়ত্তশাসন। তিনি চেয়েছিলেন এ দেশের মানুষকে শোষণের হাত থেকে মুক্তি দিতে। কিন্তু পাকিস্তানি শোষকরা সেটা সহজে মেনে নিতে পারেনি। ফলে শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা হয়। কিন্তু বাংলার মানুষ তাদের নেতার বিরুদ্ধে এ ষড়যন্ত্রকে মেনে নিতে পারেনি। সারা বাংলায় হরতাল এবং অবরোধ চলতে থাকে। কার্যত স্থবির হয়ে পড়ে সমস্ত কার্যক্রম।
বাংলার অলিগলিতে শুরু হয়ে যায় গণজাগরণ। ইতিহাসে এ জাগরণকে স্বৈরাচারী আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে ‘গণঅভ্যুত্থান’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। বিশেষ করে ঢাকায় তখন প্রতিদিন জোয়ারের মতো মানুষ রাস্তায় নেমে আসতে শুরু করেছিল। এরই মাঝে গুলি করে ১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি আসাদুজ্জামান এবং ১৫ ফেব্রুয়ারি সার্জেন্ট জহুরুল হককে হত্যা করা হলে আন্দোলন নতুন রূপ পায় এবং তা রীতিমতো সহিংসতায় পরিণত হয়। বাংলার ইতিহাসে মানুষের এ গণজাগরণ একেবারে অভূতপূর্ব। যেহেতু ঢাকা ছিল দেশের সবচেয়ে বড় শহর তাই সেখানে আন্দোলন সবচেয়ে বেশিমাত্রায় ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু এ গণজোয়ার যে শুধু ঢাকাতেই সীমাবদ্ধ হয়ে ছিল তেমনটা নয়। একসময় তা পদ্মার তীরে গড়ে ওঠা শহর রাজশাহীতেও ছড়িয়ে পড়ে এবং এখান থেকেই পুনরায় বারুদের মতো সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
পাঁচ.
১৯৫৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে যে কোনো আন্দোলন-সংগ্রামে সব সময় সামনে থেকে নেতৃত্ব প্রদান করেছে। ১৯৬৯ সালে যখন আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে এবং আসাদ ও সার্জেন্ট জহুরুল হককে হত্যা করা হয় তখন এখানকার ছাত্ররা ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন, মুহূর্তে উত্তাল হয়ে পড়ে মতিহারের সবুজ চত্বর। এ সংগ্রামে জোহা স্যার সামনে থেকে নেতৃত্ব প্রদান করেন। তিনি ছাত্রদের নিয়ে মিছিল করেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে বরাবরই সোচ্চার ছিলেন ড. জোহা।
১৯৬৯ সালের মধ্য ফেব্রুয়ারিতে ছাত্রদের আন্দোলন চলছিল। ছাত্রদের অহিংস এ আন্দোলনে মিলিটারি এসে বাগড়া দিলে মুহূর্তে আন্দোলনে সহিংস রূপ পরিগ্রহ করে। রসায়ন বিভাগের শিক্ষক ড. শামসুজ্জোহা তখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর। সেনাবাহিনী ছাত্রদের ওপর গুলি চালাতে উদ্যত হলে তিনি সামনে এগিয়ে এসে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন এবং নিজের পরিচয় দিয়ে বলে ওঠেন, ‘ডোন্ট ফায়ার, ডোন্ট ফায়ার।’ এর আগে ছাত্রদের এক সমাবেশে তিনি বলেছিলেন, তার কোনো ছাত্রের গায়ে গুলি চালানোর আগে তার নিজের বুকে গুলি চালাতে হবে। নির্বোধ পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ইতিহাসের সেই নির্মম কাজটিই করে ফেলল। তারা গুলি চালিয়ে দিল জাতির এক শ্রেষ্ঠ সন্তানের বুকে। তারা ড. জোহাকে গুলি করার পর বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে নির্মমভাবে শহীদ করে দিল। এটা ইতিহাসের এক বর্বর অধ্যায়। আমার শিক্ষক লুটিয়ে পড়লেন মেইন গেটের সামনেই। তিনি হলেন এ দেশের প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবী।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বুকে ঘটে যাওয়া এমন নির্মমতাকে শুধু রাজশাহীবাসীই নয়; দেশের কোনো মানুষই মেনে নিতে পারেনি। এতদিন যে আন্দোলন একটা গতানুগতিক ধারায় চলে আসছিল, এ হত্যাকাণ্ডের পর তা আর স্থির থাকেনি। বাঁধভাঙা জোয়ারের মতো দেশের প্রতিটি অলিগলিতে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে এবং একপর্যায়ে স্বৈরাচারী আইয়ুব খানের পতন ঘটে। এরপর বহু পথ এবং রক্তনদী মাড়িয়ে আমরা একটি স্বাধীন জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে আত্মপ্রকাশ করতে সক্ষম হই। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রধান বাধাদানকারী দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার আমাদের দেশকে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বলে উপহাস করেছিলেন। আমরা সে অভিশাপ থেকেও মুক্তি লাভ করেছি।
ছয়.
বাংলাদেশের মানুষ শহীদ শামসুজ্জোহাকে ভোলেনি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশ করলেই প্রশাসন ভবনের সামনে বিশাল জোহা চত্বর চোখে পড়ে। এটা তার প্রতি আমাদের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। একটি হলের নামকরণও হয়েছে তার নামে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত শিক্ষক ও শিক্ষার্থী তাকে প্রাণভরে ভালোবাসেন। তার মৃত্যুদিনকে আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি। এমনকি এখন বিভিন্ন মহল থেকে এই দিনকে জাতীয়ভাবে উদযাপন করার কথাও বলা হচ্ছে। সবই ঠিক আছে।
কিন্তু আমরা যখন ড. জোহার চেতনাকে বুকে ধারণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রয়াস পাব, ঠিক তখনই তার প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা সম্ভব হবে। তিনি শুধু একজন শিক্ষকই ছিলেন না, ছিলেন তার সমস্ত শিক্ষার্থীর অভিভাবক। এজন্যই তিনি শত্রুর বুলেটের সামনে বুক পেতে দেওয়ার সাহস দেখাতে পেরেছিলেন। আজ আমাদের শিক্ষাঙ্গনে একজন শামসুজ্জোহার বড় অভাব দেখা যাচ্ছে। আমরা হন্যে হয়ে একজন জোহা স্যারকে খুঁজে ফিরি মতিহারের সবুজ চত্বরজুড়ে।
আরাফাত শাহীন : শিক্ষার্থী
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
[email protected]