ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

অবৈধ অটোরিকশা বাণিজ্য

সরকারকে কঠোর হতে হবে

সম্পাদকীয়
🕐 ৮:০০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ০৫, ২০১৯

সড়কে দ্রুত যাতায়াত সুবিধার জন্য সিএনজিচালিত অটোরিকশা নির্ভরযোগ্য একটি বাহন। তবে এক্ষেত্রে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ। সে কারণে বৈধ সিএনজিচালিত অটোরিকশার প্রসঙ্গটি সামনে চলে আসে। এছাড়া সিএনজি অটোরিকশা মালিক ও চালকদের স্বার্থ রক্ষাও বিবেচনার দাবি রাখে। তাই বৈধ-অবৈধ প্রশ্নে সরকারকে আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান জানাই।

খোলা কাগজে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, ঢাকা মহানগরীতে ১৫ হাজার ৬৯৬ ভাড়ায় চালিত বাণিজ্যিক সিএনজি অটোরিকশা চলাচলের বৈধ অনুমতি রয়েছে। এর বাইরেও ১৫ হাজার সিএনজিচালিত অটোরিকশা ঢাকায় অবৈধভাবে চলছে।

এক্ষেত্রে ট্রাফিক পুলিশ সচেতনতা বাড়াবে, আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে নেবে ব্যবস্থা- স্বাভাবিকভাবে এমনটা হওয়ার কথা থাকলেও, রাজধানীর ট্রাফিক সার্জেন্টদের কর্মকাণ্ড ঠিক যেন উল্টো। অভিযোগ রয়েছে, কতিপয় ট্রাফিক পুলিশ ক্ষমতার অপব্যবহার করে গড়ে তুলেছেন অবৈধ সিএনজিচালিত অটোরিকশা ব্যবসার সিন্ডিকেট। এই অভিযোগ খোদ অটোরিকশা চালকদের।

একাধিক চালক জানিয়েছেন, সামান্য ছুঁতা পেলেই পুলিশ সাধারণ অটোরিকশা চালকদের হয়রানি করে, চাঁদা দাবি করে। বনিবনা না হলেই মামলা ঠুঁকে দেয়। অথচ পুলিশ সার্জেন্টদের মালিকানায় থাকা অবৈধ অটোরিকশাগুলো ট্রাফিক আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে হরদম চলছে। অভিযোগ রয়েছে, রাজধানীতে চলাচলের অযোগ্য ঘোষণা করা বাতিল অটোরিকশা নতুন রঙ ও ভুয়া নম্বর প্লেট বসিয়ে নিজেদের নামে চালাচ্ছেন ট্রাফিক পুলিশদের সিন্ডিকেট। এই অবৈধ কারবারে কোনো কোনো ট্রাফিক পুলিশের মাসিক আয় কোটি টাকা।

সিএনজিচালিত অটোরিকশা মালিক-শ্রমিকদের দাবি, ঢাকায় এক-একজন পুলিশ সার্জেন্টের নামে ১৫-২০টা অবৈধ অটোরিকশা রয়েছে। এগুলোর চালকদের কাছে সার্জেন্টদের মোবাইল নম্বর রয়েছে। কোনো সার্জেন্ট বৈধ কাগজের জন্য এসব অটোরিকশা আটক করলে চালক সার্জেন্টকে কল করে। অবৈধ অটোরিকশা হওয়া সত্ত্বেও সার্জেন্টের নাম শুনেই সেগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়। বৈধ গাড়ি অনেক টাকা খরচ করে কাগজপত্র করার পরও, রাস্তায় ঠিকমতো চালানো যায় না। কথায় কথায় মামলা ঠুঁকে দেওয়া হয়। কোনো কোনো অটোরিকশা চালকের নামে ১৫টা পর্যন্ত মামলা রয়েছে।

এক রাস্তায় দুই রকম আইন চলতে পারে না। এ বিষয়ে ডিএমপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অটোরিকশা চালকরা অভিযোগের বিষয়ে সঠিক তথ্য-প্রমাণ আমাদের জমা দিলে, আমরা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। অবস্থাদৃষ্টে প্রতীয়মান যে, অবৈধ সিএনজি অটোরিকশার ব্যবসার সঙ্গে পুলিশ সদস্যদের জড়িয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট। আমরা আশা করব যাত্রীসাধারণের নিরাপত্তা ও আইন বিবেচনা করে সরকার অবশ্যই অবৈধ সিএনজিচালিত অটোরিকশা বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper