ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

অ্যামাজন বাঁচাতে বৈশ্বিক উদ্যোগ

মোতাহার হোসেন
🕐 ১০:২০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৬, ২০১৯

সর্বনাশা দাবানলে পুড়ছে ‘পৃথিবীর ফুসফুস’-খ্যাত অ্যামাজন। বিশেষ করে ব্রাজিলের উত্তরের রোরাইমা, একর, অ্যামাজোনাস এবং রোনডোনিয়া এলাকার বনাঞ্চল। এতে বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। পাশাপাশি পরিবেশবাদীরা একে রক্ষায় রাজপথে নেমে এসেছেন। জাতিসংঘও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে পাওয়া ছবিতে দেখা গেছে, ব্রাজিলের একেবারে উত্তরের রাজ্য রোরাইমা কালো ধোঁয়ায় ঢেকে আছে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল উত্তপ্ত হওয়া থেকে রক্ষার ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে অ্যামাজনের। তাই এটি দাবানলে পুড়তে থাকায় পৃথিবীর পরিবেশ, প্রকৃতি, জীববৈচিত্র্য এবং বায়ুম-ল উত্তপ্ত হওয়ার ক্ষেত্রে হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে।

গত ২২ আগস্ট পর্যন্ত সাড়ে ৯ হাজারের বেশি জায়গায় আগুনের শিখা দেখার কথা জানিয়েছে ব্রাজিলের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্পেস রিসার্চ (ইনপে)। তবে গত এক দশকের মধ্যে এই বনাঞ্চলে এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানল। ইনপের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর রেকর্ডসংখ্যক দাবানলের ঘটনা ঘটেছে ব্রাজিলে। তাদের স্যাটেলাইট ডেটা বলছে, এ সংখ্যা গত বছর একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৮৫ শতাংশ বেড়েছে। ব্রাজিল সরকারের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম আট মাসেই ৭৫ হাজার দাবানলের ঘটনা ঘটেছে ব্রাজিলের বনে। ২০১৩ সালের পর থেকে এই সংখ্যা সর্বোচ্চ। ২০১৮ সালে অগ্নিকাণ্ডের সংখ্যা ছিল ৪০ হাজারের কম।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জুলাই থেকে অক্টোবরে ব্রাজিলের বনাঞ্চলে দাবানলের ঘটনা স্বাভাবিক। বজ্রপাতের মতো প্রাকৃতিক কারণের পাশাপাশি গবাদিপশুর চারণভূমি বাড়াতে কাঠুরে ও কৃষকরাও কখনো কখনো ইচ্ছে করে আগুন লাগিয়ে দেয়। পরিবেশ সংরক্ষণবাদীদের অভিযোগ, ব্রাজিলের কট্টরপন্থি প্রেসিডেন্টের মনোভাব বনের আগুনে ঘি ঢালছে। তিনি ব্রাজিলের ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকে অ্যামাজনের ক্ষতির পরিমাণও দ্রুত হারে হয়েছে। অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করে ফেসবুক লাইভে এসে আগুন লাগার পেছনে উল্টো এনজিওদের হাত থাকার অভিযোগ করেছেন বোলসোনারো। তবে তিনি বলেছেন, দাবানলের কারণ তদন্ত করা হচ্ছে। পাশাপাশি তিনি স্বীকার করেছেন, আগুন নেভানোর জন্য প্রয়োজনীয় তহবিলের অভাব আছে তার সরকারের।

এই দাবানলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্রাজিলের উত্তরাঞ্চল। ২০১৫ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে উত্তরের চারটি অঞ্চলেই দাবানলের ঘটনা বেড়েছে। রোরাইমাতে ১৪১ শতাংশ, একরে ১৩৮ শতাংশ, রোনডোনিয়াতে ১১৫ শতাংশ আর অ্যামাজোনাসে ৮১ শতাংশ বেড়েছে দাবানলের ঘটনা। দেশটির সবচেয়ে বড় রাজ্য অ্যামাজোনাসে ইতোমধ্যে ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করা হয়েছে। অ্যামাজনের চলতি ভয়াবহ দাবানলে প্রতি মিনিটে ভষ্ম হচ্ছে দুটি ফুটবল মাঠের সমান এলাকা। এর পাশাপাশি বনখেকোদের দৌরাত্ম্য তো আছেই। কৃষি ও শিল্পের জন্যও উজাড় করা হচ্ছে বন। তাই পরিবেশ বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, এখনই বন ধ্বংস ঠেকানো না গেলে ২০৫০ সালের মধ্যে বনাঞ্চলটি হয়তো বিলীন হয়ে যাবে।

অ্যামাজন নদী অববাহিকায় নয়টি দেশের ৭০ লাখ বর্গকিলোমিটারে বিস্তৃত এ বনাঞ্চল থেকে পৃথিবীর ২০ শতাংশ অক্সিজেন উৎপাদিত হয়। এ কারণে একে পৃথিবীর ফুসফুস বলা হয়। এ ছাড়া সেখানে প্রায় ১৬ হাজার প্রজাতির ৩৯ হাজার কোটি বৃক্ষ, ৪৫ লাখ প্রজাতির পোকামাকড়, ৪২৮ প্রজাতির উভচর, ৩৭৮ প্রজাতির সরীসৃপ, ৪২৭ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী ও তিন হাজার প্রজাতির মাছ ও জলজপ্রাণী রয়েছে। পৃথিবীর আর কোনো বনে এত বেশি প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য নেই। সুনিবিড় এই বনভূমিতে এখনো এমন সব উদ্ভিদ আর প্রাণীর প্রজাতি আছে, যা রয়ে গেছে মানুষের জানাশোনার বাইরে। গবেষকরা প্রতিনিয়তই নতুন কোনো জীব খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন।

পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, আমাজনের নিয়ন্ত্রণহীন দাবানলকে আন্তর্জাতিক সংকট হিসেবে অভিহিত করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ফুটবল তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো থেকে হলিউড সুপারস্টার লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও, সংগীতশিল্পী ম্যাডোনাসহ অনেক তারকা ও পরিবেশবিদ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তবে এ উদ্বেগে কান না দিয়ে উল্টো পরিবেশবাদী এনজিওগুলোর বিরুদ্ধে অ্যামাজনে আগুন লাগানোর অভিযোগ তুলেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জায়ার বোলসোনারো।

অ্যামাজন অরণ্যের ৬০ শতাংশ পড়েছে ব্রাজিলে। যেখানে এখনো ১৯৬৫ সালের আইন প্রচলিত। এর অধীনে ভূমির মালিকরা তাদের জমির কিছু অংশে বনায়ন করতে বাধ্য। আমাজনের ১৩ শতাংশ পেরুতে এবং বাকি অংশ রয়েছে কলম্বিয়া, ভেনিজুয়েলা, ইকুয়েডর, বলিভিয়া, গায়ানা, সুরিনাম এবং ফরাসি গায়ানায়। পৃথিবীর মোট রেইন ফরেস্টের অর্ধেকটাই এই অরণ্য। শুষ্ক মৌসুমে আমাজনে দাবনল স্বাভাবিক ঘটনা হলেও চলতি বছরে যেভাবে আমাজন পুড়ছে, তা পৃথিবীর জন্য বড় ধরনের অশনি সংকেত। বর্তমানে ব্রাজিলের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য রোরাইমা, অ্যাক্রি, রোনডোনিয়া ও আমাজোনাসের হাজার হাজার হেক্টর আগুনে পুড়ছে। আর সেই দাবনলের ধোঁয়া প্রায় তিন হাজার কিলোমিটার উড়ে সাওপাওলোর মতো ব্রাজিলের ঘনবসতিপূর্ণ শহরগুলোর আকাশও আচ্ছন্ন করে রাখছে। এখনই দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনা না গেলে তা ব্রাজিলীয়দের জীবনে বড় ধরনের বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। একই সঙ্গে অ্যামাজনে বসবাসকারী তিন শতাধিক আদিবাসী সম্প্রদায়ের জীবনও বিপন্ন হবে।

প্রায় সাড়ে ১১ হাজার বছর আগে অ্যামাজনে মানুষের বসতি গড়ে ওঠে। বর্তমানে সেখানে দুই লাখের মতো আদিবাসী ও উপজাতি রয়েছে। তাদের জীবন-জীবিকাও জঙ্গল ঘিরে। তবে বন উজাড় হওয়ায় এবং জীববৈচিত্র্য কমে যাওয়ায় খাদ্য সংকটে তাদের সংখ্যা দিন দিন কমছে। অ্যামাজনে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় ও প্রভাবশালী হলো ‘জিনগু’। এ ছাড়া আমাহুয়াকা, হুয়াওরানি, কোগি ইন্ডিয়ানসসহ তিন শতাধিক সম্প্রদায় রয়েছে। অ্যামাজন বিনাশে বৈধ-অবৈধ খনি বাণিজ্যেরও বড় ধরনের ভূমিকা রয়েছে। নয়টি দেশে বিস্তৃত আমাজনের ২৪৫টি এলাকায় দুই হাজার ৩১২টি অবৈধ খনি রয়েছে বলে জানিয়েছে আমাজন সোশিও-এনভায়রনমেন্টাল।

ক্লার্ক ইউনিভার্সিটির গবেষণায় বলা হয়েছে, তেল-গ্যাস উত্তোলনে ঝুঁকিতে রয়েছে অ্যামাজন। এ ছাড়া আগামী দুদশকে এখানে বড় ধরনের অবকাঠামোগত প্রকল্পও বাস্তবায়ন করা হবে। ক্লার্ক ইউনিভার্সিটির পিএইচডি প্রার্থী লরা সোলস বলেন, বৈধ খনি ও সংশ্নিষ্ট অবকাঠামোগত প্রকল্প বনাঞ্চলের জন্য হুমকি। আর জলবায়ু পরিবর্তনে অ্যামাজনের বন বিনাশের ভূমিকা নিয়ে গবেষণা করা পরিবেশবিদ আদ্রিয়ান মুয়েলবার্ট বলেছেন, অতীতে দাবানল বৃষ্টিহীনতার সঙ্গে জড়িত ছিল। কিন্তু এই বছর আর্দ্রতা যথেষ্ট রয়েছে। এর কারণে মনে করছি এই আগুন অরণ্য বিনাশের জন্যই।

ব্রাজিলের জাতীয় মহাকাশ গবেষণা ইনস্টিটিউট (ইনপে) স্যাটেলাইট উপাত্ত বিশ্নেষণ করে জানায়, গত বছরের প্রথম আট মাসের তুলনায় এ বছর অ্যামাজনে ৮৫ শতাংশ বেশি বার আগুন লেগেছে। সাধারণত জুলাই-অক্টোবর গ্রীষ্মকালীন মৌসুমে অ্যামাজনে দাবানল হয়। বজ্রপাত ও গাছের ডালে ডালে ঘর্ষণ থেকে প্রাকৃতিক দাবানলের সূত্রপাত। তবে এখন বনাঞ্চলে কৃষি, পশুচারণ ও শিল্পের প্রসারের জন্য আগুন লাগিয়ে বন উজাড়ের মতো অহরহ ঘটনা ঘটছে। ইনপের তথ্য অনুয়ায়ী, ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত এ দুই কারণে আমাজনে ৪০ হাজার বার আগুন লেগেছে, যেখানে ২০১৯ সালে একই সময়ে এ সংখ্যা ৭৫ হাজার বার এবং ২০১৭ সালে ছিল প্রায় ৫৫ হাজার বার, ২০১৬ সালে ছিল প্রায় ৭০ হাজার বার। ইমপের সর্বশেষ পরিসংখ্যান আরও বলছে, ২০১৮ সালে সব মিলিয়ে সাত হাজার ৫০০ বর্গকিলোমিটার বনাঞ্চল হারিয়ে গেছে, যা ২০১৭ সালের তুলনায় ৬৫ শতাংশ বেশি। ২০১৯ সালের আপাত পরিসংখ্যান থেকে ধারণা করা হচ্ছে, অ্যামাজন বনাঞ্চল উজাড় হওয়ার এই হার প্রেসিডেন্ট বোলসোনারো গত জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসার পর তিনগুণ হয়েছে। শুধু গত মাসেই ২২০০ বর্গকিলোমিটার বনাঞ্চল খালি করা হয়েছে, যা গত বছরের জুলাই মাসের তুলনায় ২৮০ শতাংশ হারে বেশি।

পরিবেশবাদীদের অভিযোগ, মুনাফামুখী ব্রাজিলের কট্টর ডানপন্থি প্রেসিডেন্টের পরিবেশবিরোধী কথাবার্তা বন উজাড়ের কর্মকাণ্ড উসকে দিচ্ছে। এ অভিযোগের বিরুদ্ধে ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচারিত এক বক্তব্যে বোলসোনারো দাবি করেছেন, যেসব বেসরকারি সংগঠনের (এনজিও) তহবিল বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, তারা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে অ্যামাজনে আগুন দিচ্ছে। তবে এ কথার স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি তিনি। পরিবেশবিষয়ক সংবাদ মাধ্যম মোঙ্গাবের তথ্যমতে, আমাজন জঙ্গল প্রতি বছর ২০০ কোটি টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ করে। আর পৃথিবীর মোট অক্সিজেনের ২০ শতাংশ উৎপাদন করে। বৈশ্বিক উষ্ণতার হার কমাতে এই বনভূমির বিশাল ভূমিকা রয়েছে। এ বিষয়ে টুইটে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ বলেন, অ্যামাজন রেইন ফরেস্ট আমাদের গ্রহের ২০ শতাংশ অক্সিজেন সরবরাহ করে, তাতে আগুন জ্বলছে। তবে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট বোলসোনারো ফরাসি প্রেসিডেন্টকে ‘চটকবাজ’ হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন, অ্যামাজন দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়কে হাতিয়ার করে ম্যাক্রোঁন বৈশ্বিক রাজনীতির ফায়দা তুলতে চাইছেন। অ্যামাজন অববাহিকার দেশগুলো ছাড়া জি-৭ সম্মেলনে এ ইস্যুতে আলোচনা আহ্বান করা ঔপনিবেশিক মানসিকতা ছাড়া কিছুই নয়।

অন্যদিকে অ্যামাজনের আগুনের ছবি ইন্সটাগ্রামে পোস্ট করে যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী ম্যাডোনা বলেছেন, প্রেসিডেন্ট বোলসানারো দয়া করে আপনার নীতি বদলান এবং শুধু আপনার দেশকেই নয়, পুরো বিশ্বকে সহযোগিতা করুন। এ ছাড়া হলিউডের সুপারস্টার লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও তার ভক্তদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘অ্যামাজন গ্রুপকে অনুদান দিন এবং নির্বাচন এলে এমন নেতাকে ভোট দিন, যিনি জলবায়ু সংকট বোঝেন। অ্যামাজন গ্রুপস জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় কাজ করে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোপার্নিকাস অ্যাটমোসফিয়ার মনিটরিং সার্ভিসের (ক্যামস) বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, অ্যামাজনে আগুন লাগলে তা দুই-তিন হাজারেরও বেশি কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে আটলান্টিক উপকূলের দেশগুলোয় পৌঁছে যেতে পারে। চলতি বছরে অ্যামাজনের আগুন থেকে ২২৮ মেগাটন কার্বন-ডাই-অক্সাইড তৈরি হয়েছে। সেই সঙ্গে ব্যাপক মাত্রায় বিষাক্ত কার্বন মনো-অক্সাইডও উৎপন্ন হয়েছে। দক্ষিণ আমেরিকার উপকূল অঞ্চলে বসবাসকারী কোটি কোটি মানুষ এই বিষাক্ত গ্যাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। একই কারণে হুমকিতে রয়েছে ভেনেজুয়েলা, বলিভিয়া, পেরু, ইকুয়েডরসহ অ্যামাজনের পার্শ্ববর্তী অনেক দেশের মানুষ। এর পাশাপাশি বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়াচ্ছে কার্বন-ডাই-অক্সাইড। ফলে অ্যামাজন পুড়ে ছাই হলে বৈশ্বিক তাপমাত্রা আটকানোর প্রধান উৎসও হারাবে মানুষ। তখন এর ভয়ঙ্কর পরিণতি ভোগ করতে হবে গোটা বিশ্বের মানুষকে। তাই এখনই প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্ট দেশের সরকার প্রধানসহ বিশ্ব নেতৃবৃন্দের এগিয়ে আসা জরুরি। নুতবা এই দাবানল গ্রাস করবে পৃথিবীর বেঁচে থাকার ফুসফুস-খ্যাত অ্যামাজানকে।

মোতাহার হোসেন : সাধারণ সম্পাদক
বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম
[email protected]

 
Electronic Paper