ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

খাদ্যে ভেজাল অশনি সংকেত

আ ব ম ফারুক
🕐 ৮:৪৫ অপরাহ্ণ, জুন ২৮, ২০১৮

খাদ্যে ভেজাল মানুষের তৈরি একটি দুর্যোগ। অধিক ঘনবসতির দেশ আমাদের। যে কোনো বিষয়ই দ্রুত ছড়িয়ে যায়, খাবারে ভেজালও ঠিক তাই। বলাবাহুল্য, আমাদের দেশে খাবারে ফরমালিন আগে ছিল না। ১৯৮৭ সালে আমরা প্রথম দুধে ফরমালিন মেশানোর বিষয়টি দেখতে পাই।

একবার বাঞ্ছারামপুর থেকে ঢাকায় ফিরছিলাম। লঞ্চের মধ্যে দেখি অসংখ্য দুধের পাত্র, যা আগের দিন সংগ্রহ করে পরের দিন ঢাকার রথখোলায় নেওয়া হচ্ছে। দুধ নষ্ট হয় কি নাÑ জানতে চাইলে ব্যাপারীরা বললেন, দুধে মেডিসিন দেওয়া আছে, নষ্ট হবে না। কিন্তু কী মেডিসিন তা বলল না। বিষয়টি খটকা লাগল। পরে আমি শিক্ষার্থীদের দিয়ে ওই এলাকা থেকে সে মেডিসিন সংগ্রহ করে ল্যাবে টেস্ট করালাম। ধরা পড়ল ফরমালিন।
ফরমালিন হচ্ছে মারাত্মক একটি প্রিজারভেটিভ। প্রোটিন জাতীয় দ্রব্য দীর্ঘ সময় পচনের হাত থেকে রক্ষা করতে ফরমালিন ব্যবহার করা হয়। দুধ হচ্ছে দ্রুত পচনশীল দ্রব্য। অথচ ২৪ ঘণ্টা ঠিক রাখা হচ্ছে। তাহলে বোঝাই যাচ্ছে কী পরিমাণ শক্ত প্রিজারভেটিভ আছে ফরমালিনে!
সোজা করে বললে, ফরমালিন আসলে প্রিজারভেটিভ নয়, এক প্রকার বিষ। অথচ ফরমালিন ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে, বিশেষ করে মাছে। ১৯৯২ সালে আমি একবার পলাশীর মাছ বাজারে কাঁচকি মাছ কিনতে যাই। সকালের মাছ বিকালেও একই রকম রয়েছে দেখে সন্দেহ হয়। পরের দিন শিক্ষার্থীদের দিয়ে ওই মাছ ল্যাবে এনে দেখি, তাতে ফরমালিন মেশানো। এরপর দেখতে পেলাম, আস্তে আস্তে আরও অনেক কিছুতেই ফরমালিনের ব্যবহার শুরু হয়ে গেছে।
রোকন উদ-দৌলা নামে একজন ম্যাজিস্ট্রেট নানা জায়গায় অভিযান চালিয়ে আমাদের কাছে কিছু স্যাম্পল পাঠিয়ে দিতেন পরীক্ষার জন্য। দেখলাম, বড় মাছেও ফরমালিন এবং কাপড়ে মেশানো রং ব্যবহার হচ্ছে। বিশেষ করে মিয়ানমার থেকে যে মাছ আসে, সেখানে মারাত্মক আকারের ফরমালিন পাওয়া যায়। এভাবে আঙ্গুর, দুধ, মাছের মধ্যে ফরমালিন শনাক্ত করলাম। পরে জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও নানা পণ্যে ফরমালিন শনাক্ত করল। শাক, সবজি এবং ফলে ফরমালিনের ব্যবহার তারাই শনাক্ত করে।
আম নিয়ে ইদানীং আমরা বেশ কাজ করেছি। রাজশাহীতেও গিয়েছি শিক্ষার্থীদের নিয়ে। আমে মুকুল আসার পর থেকে কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। সাধারণত দু’বার কীটনাশক ব্যবহার করা হয় এ সময়। কিন্তু এখন আমে ব্যবহার হচ্ছে গ্রোথ প্রমোটর। অর্থাৎ একই আম দ্বিগুণ গতিতে যেন বড় হয় সে জন্য মেডিসিন স্প্রে করা হচ্ছে। বিভিন্ন নাম দেওয়া হয়েছে তার।
মনে রাখতে হবে, প্রকৃতি হচ্ছে সবচেয়ে বড় বিজ্ঞানী। একটি আমে এসিড থাকে। সেই এসিড প্রাকৃতিক উপায়ে বিক্রিয়া করে আমের মধ্যে নানা উপাদান তৈরি করে। স্বাদ, গন্ধ, রং এ বিক্রিয়ার ফল। একেকটি গাছ হচ্ছে একেকটি ল্যাবরেটরি। কোনটির পর কোনটি করতে হবে, তা প্রকৃতি সুন্দর করে সাজিয়ে রেখেছে।
কিন্তু মানুষ অধিক মুনাফার লোভে সেই জৈব প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করছে। যে আম দু’মাসে পরিপক্ব হওয়ার কথা, তা এক মাসে হচ্ছে। যে কারণে প্রাকৃতিক উপায়ে যে উপাদানগুলো তৈরি হওয়ার কথা, তা একটি আমে হচ্ছে না। কৃত্রিমভাবে আম পাকানো হচ্ছে। অথচ আমের ভেতরে উপাদানগুলোর পূর্ণতা আসেনি। গাছ থেকে নামানোর পর অপরিপক্ব আম দ্রুত নষ্ট হয়ে যাওয়ার কথা। অথচ তা হচ্ছে না। তার মানে এ বেলাতেও মেডিসিনের ব্যবহার।
প্রায় সব ফলই এখন এ পদ্ধতিতে উৎপাদন ও পাকানো হচ্ছে। আম, কলা, পেঁপে এমনকি বেলও মেডিসিন ছাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। অপরিপক্ব, অথচ হলুদ রং দেখে আম কেনার পর খোসা উঠালে আমের প্রকৃত রূপ মিলছে না। গন্ধ, স্বাদ কোনোটিই আর সত্যিকারের আমের মতো থাকছে না। এমনকি আমের আঁশও নেই আগের মতো।
অনেকেরই জানা থাকার কথা, ফরমালিন আমাদের দেশে উৎপাদন হয় না। ভারতেও নেই। কিন্তু সমানে ব্যবহার হচ্ছে এখানে। জনস্বাস্থ্যের দিকে সামান্য গুরুত্ব না দিয়েই অযাচিতভাবে বিষ ব্যবহার হচ্ছে। সরকার মেডিকেল কলেজ বা অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গবেষণাগারের জন্য যে ফরমালিন সরবরাহ করে সেখান থেকে একটি নির্দিষ্ট অংশ পাচার হয়ে যায় বলে আমার ধারণা। যার হয়তো দশ লিটার প্রয়োজন, সে একশ লিটার এনে বাকিটা বিক্রি করে দিচ্ছে। আবার মিয়ানমার থেকেও পাচার হয়ে আসতে পারে। প্রচুর মাছ আসছে দেশটি থেকে। সেই মাছে ফরমালিনও ব্যবহার হতে পারে। সম্ভবত মাছের সঙ্গে কিছু ফরমালিনও পাঠায় তারা।
এশিয়ার যেসব দেশে আম উৎপাদন হচ্ছে, সেসব দেশে আইন করে কার্বাইড দিয়ে আম পাকানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কী কারণে কার্বাইড, ইথোফেন বা ফরমালিন দেওয়া যাবে না তার স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়া আছে। এগুলো অবশ্যই শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
আমাদের দেশে এখনো এ নিয়ে বিস্তর গবেষণা হয়নি। তবে অন্যান্য দেশে ব্যাপক গবেষণা হয়েছে। সেসব গবেষণার রেফারেন্স দিয়েই আমরা কথা বলছি এবং এর ক্ষতিকর দিক তুলে ধরছি। অথচ খাবারের ভেজাল নিয়ে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ অনেকেই ইদানীং মনগড়া মন্তব্য করছেন। আমি মনে করি, এমন কোনো মন্তব্য করা ঠিক নয়, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরুপ।
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘ফরমালিন নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই’। ফরমালিন নিয়ে তার এই বক্তব্য বিভ্রান্তিমূলক। আবার কার্বাইড নিয়েও মনগড়া কথা বলছেন তিনি। আমি নিশ্চিত, আমার যদি হার্ট অ্যাটাকে মরণ না হয়, তাহলে ক্যান্সারে হবে। এর একটিই কারণ ভেজাল খাবার। বাচ্চাদেরও এখন ক্যান্সার হচ্ছে। দুঃখজনক হলো, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ভেজালকারীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। অথচ প্রতিষ্ঠানটির কাজই হচ্ছে ভেজালবিরোধী। এই প্রতিষ্ঠান ভোক্তা অধিকার আন্দোলনের ফসল। জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতেই সরকার এটি গঠন করেছে, আইন করেছে। অথচ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ভেজাল খাবারের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী নিজে বলেছেন, এবার আমরা আসল আম খাওয়াব। ডিসি ও এসপিদের নির্দেশ দেওয়া হলো কোন আম কখন বাজারজাত করতে হবে। সাতক্ষীরার হিমসাগর আর রাজশাহীর হিমসাগর একসঙ্গে আসবে না। রংপুরের হাঁড়িভাঙ্গার আম কখন আসবে তার নির্দেশনা দেওয়া হলো।
প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনার পরও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ভেজাল খাদ্য নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। র‌্যাব-পুলিশ যেসব আম ধ্বংস করেছে, তা অবশ্যই ভালো আম ছিল না। তাহলে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ অভিযানের বিরোধিতা করে কার স্বার্থ রক্ষা করছে? নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের মন্তব্যে ভেজালকারীরা উৎসাহ পাচ্ছেন। তার মন্তব্য অবশ্যই ভেজালকারীদের পক্ষে গেছে।
তার যদি নিজস্ব কোনো গবেষণা থাকে তাহলে সবাইকে অবহিত করুক। সরকারকে বলুক, র‌্যাব ও পুলিশকে বলুক যে, অভিযানগুলো অন্যায়। ফরমালিন খেলে ক্ষতি নেই এর পক্ষে প্রমাণ দিয়ে কথা বলুক। আমার জানা মতে, তার কাছে কোনো গবেষণা নেই। কারণ এ ধরনের গবেষণার ব্যবস্থাই নেই বাংলাদেশে। ভালো মানের কোনো ল্যাব নেই। টক্সিকোলজিক্যাল গবেষণা ছাড়া এ পরীক্ষার কোনো সুযোগ নেই। অনেক দেশেই এ নিয়ে নির্ভরযোগ্য গবেষণা হয়েছে। আমরা কথা বলছি তার ভিত্তিতে। ফরমালিন খেলে ক্ষতি আছে এমন হাজারও গবেষণা আছে। কিন্তু ফরমালিন খেলে ক্ষতি নেই এমন একটি গবেষণাও নেই।
মানুষের জন্য কী নিরাপদ, তা মানুষকে খাইয়েই পরীক্ষা করতে হয়। তিনি তো কোনো পরীক্ষা করেননি। অনুনয় করে বলছি, পারলে মানব শরীরে পরীক্ষা করে কথা বলেন। গবেষণা কখনো অনুমাননির্ভর হয় না। একজন ভেজালকারী তার ব্যবসার স্বার্থে অনেক কিছুই বলতে পারেন। কিন্তু আমি দায়িত্বে থেকে মনগড়া কথা বলতে পারি না। খাবারে ভেজাল দিলেই বাইরের দেশে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আর আমাদের এখানে রাষ্ট্রীয় কর্তারা ভেজালে সহায়তা করছেন।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে খাদ্যে ভেজালের দায় ভোক্তাদেরও। আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে যখন দেখি বৈশাখ মাসে হিমসাগর আম নিয়ে আসে, তখন হতাশ হই, বিরক্ত হই। ফজলি আম দেখলেই ব্যাগভর্তি করে কিনে ফেলছেন অনেকে। অসচেতনতার কারণেই এমন হচ্ছে। প্রাকৃতিক পঞ্জিকা ভোক্তাকেই অনুসরণ করতে হবে। কোন আম কখন নামবে তা ভোক্তাকেও জানতে হবে।
মাথায় রাখতে হবে আমি যদি না কিনি তাহলে ব্যবসায়ীরা ফল অসময়ে বাজারে আনবে না। চাহিদা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। নইলে ফেনসিডিল, ইয়াবার মতো সরবরাহ হবেই। শুধু আইন করে সব বন্ধ করা যায় না। সরকার মাদকের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছে। তাতে মাদকের ব্যবহার কমতে পারে। কিন্তু একেবারে বন্ধ হবে না। তখনই বন্ধ হবে যখন মাদকাসক্তরা সেবন না করেন।
বলে রাখা ভালো, কৃষকের হাতে এখন আর কিছুই নেই। সব মধ্যস্বত্বভোগীদের হাতে চলে গেছে। মুকুল আসার আগেই বাগান বিক্রি হয়ে যায়। বাগান বিক্রি করে দিয়েই কৃষক দিনমজুরের মতো শ্রম দিতে থাকেন। কৃষকের লাগানো গাছে ঢাকা থেকে ব্যবসায়ীরা গিয়ে কী স্প্রে করেন, তা হয়তো কৃষক নিজেও জানেন না। অথচ দেখবেন যে ব্যবসায়ীরা বাগান কিনছেন, তিনি নিজেও দু-একটি গাছ স্প্রে করা থেকে বিরত থাকছেন কারণ নিজ পরিবারকে খাওয়াবেন বলে। কিন্তু বাকি আম বাজারে আনছেন বিষ দিয়ে, আর নিজে খাচ্ছেন বিষ ছাড়া।
একই অবস্থা ভেজালেও। ভেজাল সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি খোদ সরকারও। ভেজালকারীরা মানবতাবিরোধী অপরাধে লিপ্ত এটি রাষ্ট্রকে বুঝতে হবে। একজন ভেজালকারী হাজার হাজার মানুষের জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলছেন। কোনো কোনো জায়গায় রাষ্ট্রকে শক্ত অবস্থান নিতে হয়, সেটি এখন সময়ের দাবি।
এ বিষয়ে উপমহাদেশের মধ্যে বাংলাদেশের আইন সবচেয়ে কড়া বলে মনে করি। পাকিস্তানের আইনে তেমন কিছুই নেই। অথচ আমাদের এখানে নাম ধরে ধরে আইন করা হয়েছে। ফরমালিনে কী ক্ষতি এবং এর সাজা কী তার স্পষ্ট ব্যাখ্যা আছে আমাদের আইনে। একই রকম শক্ত আইন মালয়েশিয়াতেও। দেশটিতে আইনের প্রয়োগ আছে কিন্তু আমাদের এখানে প্রয়োগ নেই। সমস্যা ঠিক এখানেই।
আমাদের এখানে সমস্যা হচ্ছে আমলারাই সব করতে চান। গবেষণাও তারা করতে চান। আইনও তারা বানান। আবার প্রয়োগও তারা করতে চান। এ কারণেই লেজেগোবরে অবস্থা দাঁড়ায়। টেকনিক্যাল বিষয়ে যিনি এক্সপার্ট তাকে রাষ্ট্র মূল্যায়ন করছে না। একজন আমলা পাট মন্ত্রণালয় থেকে চর উন্নয়ন প্রকল্পে যাচ্ছেন। সেখান থেকে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে। আবার তাকে দেওয়া হচ্ছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে।
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশরা চলে যাওয়ার পর যে নীতি রেখে গেছে, সেই নীতি আজও আছে। অথচ ব্রিটিশরা এর মধ্যে তিনবার নীতির সংস্কার করেছে। এ দেশে বিমানের এক্সপার্ট দিয়ে জনস্বাস্থ্য খাত চালানো হচ্ছে। আবার স্বাস্থ্যের লোক দিয়ে চালানো হচ্ছে বিমান। এভাবে একটি রাষ্ট্র চলতে পারে না। স্বাধীনতার পর ২৮ জন জনস্বাস্থ্য সচিব নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র দুজন ডাক্তার ছিলেন। তার মানে বাংলাদেশে জনস্বাস্থ্য খাতের আর কোনো বিশেষজ্ঞ নেই। এটি একটি রাষ্ট্রের করুণ দশা বলেই মনে করি।
যানজটে আটকে গেছে রাজধানী। বুয়েটের পরিবহন বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া হয় না। আমলারা যে সিদ্ধান্ত দেন তাই বাস্তবায়ন হয়। ফলে সঠিক সমাধান আসে না। যার যে কাজ তা করার সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার দায়িত্ব তো রাষ্ট্রের।

আ ব ম ফারুক : পরিচালক, বায়োমেডিকেল রিসার্চ সেন্টার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক
[email protected]

 
Electronic Paper