বৈষম্যহীন শিক্ষা ব্যবস্থায় বাজেট
ড. মাহবুবুর রহমান
🕐 ৯:১৮ অপরাহ্ণ, জুন ২৫, ২০১৯
নানাবিধ কারণে জাতীয় বাজেট ২০১৯-২০ স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আকারের এই বাজেট শুধু শিক্ষাক্ষেত্রে বরাদ্দের জন্যই নয়, একটি বৈষম্যহীন শিক্ষাব্যবস্থা বিনির্মাণে প্রদত্ত অঙ্গীকারের জন্যও স্মরণীয় হয়ে থাকবে। অভিধান অনুযায়ী বৈষম্য বলতে বোঝায়, এমন কোনো কাজ বা ঘটনা-যা সাম্যকে ব্যাহত করে। বৈষম্যহীন শিক্ষার জন্য ১৯৬০ সালে জাতিসংঘের The Convention Against Discrimination in Education ঘোষণায় শিক্ষায় বৈষম্য মানবাধিকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তা মানুষ কর্তৃক আরোপিত ও দূরীকরণ সম্ভব বলে ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু ইতিহাসের পরিহাস হচ্ছে, যুগে যুগে বিভিন্ন দেশে সরকার নামক যন্ত্র জনগণকে শাসন ও শোষণের অভিপ্রায়ে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এই বৈষম্য টিকিয়ে রেখেছে। এ দেশেও যুগ যুগ ধরে এই প্রয়াস দেখা যায়।
ইতিহাসের দিকে দৃষ্টিপাত করলে ওই প্রাগৈতিহাসিক ব্রাহ্মণ্য শিক্ষাব্যবস্থা থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত শিক্ষায় নানাবিধ বৈষম্য প্রতীয়মান। প্রাচীন বৈদিক যুগের শিক্ষা ব্যবস্থায় শ্রেণিবৈষম্য ছিল প্রবল। শিক্ষা সীমাবদ্ধ ছিল শুধু উঁচু শ্রেণির জাতিগোষ্ঠীর জন্য। কালক্রমে ঔপনিবেশিক শাসন আমলে ইংরেজদের শোষণের মনোভাব থেকে প্রবর্তিত আধুনিক ইংরেজি শিক্ষাব্যবস্থা শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্য আরও প্রকট করে তোলে। সাম্রাজ্যবাদী মনোভাবের একটি ভ্রান্ত শিক্ষাতত্ত্ব Downward Filtration Theor বা নিম্নগামী পরিস্রাবণনীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত এই শিক্ষাব্যবস্থার মূল লক্ষ্য ছিল সাম্রাজ্যবাদী শাসন টিকিয়ে রাখার জন্য কিছু দোভাষীরূপী কেরানি তৈরি করা।
১৯৪৮ সালে দেশভাগ-পরবর্তী পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীও আমাদের শোষণের জন্য পরিকল্পিতভাবে শিক্ষাব্যবস্থায় বৈষম্য সৃষ্টির ধারা বজায় রাখে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্য দূরীকরণের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
জাতির জনক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করে প্রথমেই সামাজিক ন্যায়বিচার কাঠামোর ভিত্তিতে শিক্ষাব্যবস্থা পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেন। তিনি ১৯৭২ সালেই গঠন করেন এ দেশের মানুষের মুক্তির প্রথম শিক্ষা কমিশন। এই কমিশন ১৯৭৪ সালে রিপোর্ট পেশ করে। তা কুদরাত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট নামে সর্বাধিক পরিচিত। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের শোকাবহ ঘটনা শোষণ-বৈষম্যহীন সমাজ ও শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পথ রুদ্ধ করে দেয়। এই পটপরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে থমকে যায় বৈষম্যহীন সামাজিক ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে শিক্ষাব্যবস্থা পুনর্গঠনের।
১৯৭৫ সাল-পরবর্তী শিক্ষার বরাদ্দে বৈষম্য, ধনী-গরিববৈষম্য, গ্রাম-শহর অঞ্চলের শিক্ষাবৈষম্য, শিক্ষায় জেন্ডারবৈষম্য ইত্যাদি বাড়তে থাকে। পরে সব সরকার অঙ্গীকার করলেও বৈষম্য দূরীকরণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থ হয়। সামরিক শাসকরা শিক্ষায় স্বীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়ে দেশকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেয়। চরিত্র গঠনের নামে ধর্মীয় শিক্ষার ওপর অত্যধিক গুরুত্ব দিয়ে দেশকে সাম্প্রদায়িকতার দিকে ধাবিত করে। কারিগরি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিচর্চা হয় তিরোহিত। অস্ত্র ও অর্থের অনুপ্রবেশে শিক্ষাব্যবস্থা হয় কলুষিত।
সময়ের পরিক্রমায় আশার আলো হিসেবে জাতির জনকের কন্যা ও জননেত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন হয়ে আবার বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত বৈষম্যহীন শিক্ষাব্যবস্থা গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এর প্রতিফলন দেখতে পাওয়া যায় বর্তমান জাতীয় বাজেট ২০১৯-২০ অর্থবছরে শিক্ষার বরাদ্দে। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত শিক্ষাব্যবস্থাকে আবারও সঠিকপথে পরিচালিত করতে বর্তমান বাজেটে শিক্ষাকে দিয়েছেন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। বঙ্গবন্ধু যে বৈষম্যহীন, আদর্শভিত্তিক ও জীবনমুখী শিক্ষাব্যবস্থা দেখতে চেয়েছিলেন-এবারের বাজেটে সেদিকে নিয়ে যেতে গ্রহণ করা হয়েছে নানাবিধ উদ্যোগ।
স্বাধীনতা-পূর্ব সত্তরের নির্বাচনী ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, সুষ্ঠু সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য শিক্ষা খাতে পুঁজি বিনিয়োগের চেয়ে উৎকৃষ্ট বিনিয়োগ আর হতে পারে না। ওই আহ্বানের প্রতিফলনই যেন এবারের বাজেটে ঘটেছে। শিক্ষা খাতে দেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ বরাদ্দ। এর পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে মোট বাজেটের ১১ দশমিক ৬৮ শতাংশ (আগের বছরের বাজেটের চেয়ে শতাংশের হিসাবে শূন্য দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ বেশি)।
অন্যদিকে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ খাতের সম্মিলিত বরাদ্দ মোট বাজেটের ১৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। তা জিডিপির ৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। এটিই এখন পর্যন্ত বাজেটে শিক্ষাসংশ্লিষ্ট খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ। ‘সমৃদ্ধির সোপানে বাংলাদেশ, সময় এখন আমাদের’ শিরোনামে প্রস্তাবিত বাজেটে বলা যায়, শিক্ষা খাতে চাহিদামতো বরাদ্দ মিলেছে। বাংলাদেশকে ভবিষ্যতে বসবাসের উপযোগী একটি আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় থেকে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে। দেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে উন্নীত করার এক মহাপরিকল্পনা এই বাজেটে রয়েছে।
এ দেশে শিক্ষাক্ষেত্রে প্রকট বৈষম্য দেখা যায় শহর ও গ্রাম অঞ্চলের বিদ্যালয়গুলোয়। এই বাজেটে গ্রামগুলোয় শহরের সুবিধা তৈরির ক্ষেত্রে শিক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার মান উন্নয়নই নয়, এবারের বাজেটে এর পাশাপাশি শিক্ষা খাতের অবকাঠামোগত উন্নয়নের দিকেও লক্ষ্য রাখা হয়েছে। গবেষণা এগিয়ে নেওয়ার জন্য আলাদা ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষার ওপর দেওয়া হয়েছে বিশেষ গুরুত্ব। তাই এবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বাবদ ২৪ হাজার ৪১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বিদ্যমান ১৩ ধরনের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে আন্তঃপ্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাবৈষম্য নিরসনে প্রয়াস হিসেবে এই বরাদ্দ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তবে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষার বাস্তবায়নের দিকটি নিয়ে বাজেটে কোনো ঘোষণা না এলেও প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর অবকাঠামোগত ও গুণগত মান উন্নয়নের ওপর প্রদত্ত গুরুত্ব প্রদান বৈষম্য দূরীকরণে অত্যন্ত ইতিবাচক হিসেবে বিবেচিত হবে।
এবারের বাজেটে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বাজেটে ২০১৯-২০ অর্থবছরে শুধু মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা খাতে উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তা ২০১৮-১৯ অর্থবছরের উন্নয়ন বরাদ্দের তুলনায় ৫৪ শতাংশ বেশি। এই বাজেটের খুব তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়টি হলো দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা এমপিও কার্যক্রম চালুর ঘোষণা। তা বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে বৈষম্য কমাতে সহায়ক হিসেবে বিবেচিত হবে। মোট ৯ হাজার ৬১৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যাচাইয়ে এমপিও নীতিমালার সব শর্ত পূরণকারী যোগ্য ২ হাজার ৭৬২টি প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার ঘোষণা এসেছে এই বাজেটে। একইভাবে সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রাপ্ত সুবিধার সঙ্গে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধার বৈষম্য কমিয়ে আনা বেসরকারি শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি ও বৈশাখী-ভাতার প্রবর্তন করা হয়েছে।
আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থায় অন্যতম দার্শনিক পওলো ফ্রেইরি তার বিখ্যাত Banking Theory of Education-এ বলেছেন, ক্লাসরুমই শিশুর প্রকৃত শিখনস্থল। সেখানে যদি শিক্ষক যথাযথ পদ্ধতি গ্রহণে ব্যর্থ হন, তা হলে শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জনে ভারসাম্যহীন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এই বাজেটে শ্রেণিকক্ষে শেখন-শেখানো ফলপ্রসূ করতে অবকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। শিক্ষক প্রশিক্ষণের জন্য বিশেষ স্কিম চালুর কথা বলা হয়েছে।
অন্যদিকে আন্তঃপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রযুক্তিগত ব্যবহারের দিক থেকে বৈষম্য হ্রাসে নেওয়া হয়েছে বিশেষ উদ্যোগ। এবারের বাজেটে সারা দেশে ২৬ হাজার ২০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৪৮ হাজার ৯৪৭টি মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ, ২০০টি ল্যাঙ্গুয়েজ-কাম আইসিটি ল্যাব, এক হাজারটি সায়েন্স ল্যাব, ২ হাজার ১২০টি স্মার্ট শ্রেণিকক্ষ, ৪৬টি হোস্টেল নির্মাণ এবং আসবাবপত্র, অফিস সরঞ্জামাদি ও আইসিটি উপকরণ সরবরাহ করার কথা বলা হয়েছে। এগুলো খুবই ইতিবাচক। তা কুসংস্কারমুক্ত ও বিজ্ঞানমনস্ক জাতি গঠনে সহায়ক।
কার্ল মার্কসের মতে, বৈষম্য বিষয়টি যেহেতু সমাজ কাঠামোর সঙ্গে সম্পর্কিত (মার্কস, ১৮৪৮), সেহেতু সমাজ পরিবর্তনের সামগ্রিক ও সামষ্টিক উদ্যোগ গ্রহণ ছাড়া শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্য দূরীকরণ সম্ভব হবে না। তাই শিক্ষাবৈষম্য দূরীকরণে শিক্ষার সঙ্গে সমাজের সর্বস্তরের একটি কার্যকর সংযোগ স্থাপনের কৌশল গ্রহণ জরুরি। এই বাজেটে এ ধরনের একটি সামগ্রিক কৌশল পরিদৃষ্ট হয়েছে। শিক্ষা বরাদ্দের বাইরে সামাজিক সুরক্ষা খাতের আওতায় হিজড়া, বেদে, চা শ্রমিকসহ সমাজে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সন্তানদের পড়াশোনায় বিশেষ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। প্রতিবন্ধী ছাত্রছাত্রীদের উপবৃত্তির সংখ্যা ৯০ হাজার থেকে বাড়িয়ে এক লাখ করা হয়েছে। উপবৃত্তির হার প্রাথমিক স্তরে ৭০০ থেকে ৭৫০, মাধ্যমিকে ৭৫০ থেকে ৮০০ ও উচ্চমাধ্যমিকে ৮৫০ থেকে বাড়িয়ে ৯০০ টাকা করা হয়েছে। সমাজের অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে বিশেষ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
শিক্ষায় বৈষম্য কমানোর জন্য আরও যে উদ্যোগগুলো বাজেটে প্রতিফলিত হচ্ছে, এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- শিক্ষার্থী, বিশেষ করে মেয়ে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির হার এবং মোট বরাদ্দ বৃদ্ধি। মাদ্রাসা শিক্ষাকে আধুনিকায়নের মাধ্যমে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গুণগত মানের দূরত্ব হ্রাসে বিশেষ বরাদ্দ। কারিগরি শিক্ষাকে আধুনিকায়ন ও ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য বিশেষ বরাদ্দ। বঙ্গবন্ধু দক্ষ জনসম্পদ তৈরির জন্য কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন।
এবারের বাজেটেও এটি গুরুত্ব পেয়েছে। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু যে জীবনঘনিষ্ঠ, জনমুখী শিক্ষা প্রবর্তন করতে চেয়েছিলেন- আমরা এখনো তা করে উঠতে পারিনি বরং আমাদের দেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বাণিজ্যিকীকরণটিই মুখ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বিপরীত। যেহেতু দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থা চলে আসছে, সেহেতু রাতারাতি এই অবস্থার পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়। তবে শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ বন্ধে উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।
ড. মাহবুবুর রহমান : সহযোগী অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান, বিশেষ শিক্ষা বিভাগ
শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
[email protected]