ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ইউজিসির ক্ষমতা বাড়ানো উচিত : ড. মো. খালেদ

ড. কাজল রশীদ শাহীন
🕐 ১০:০০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৯

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সচিব ড. মো. খালেদ। উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে ইউজিসির ভূমিকা, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ, সিলেবাস প্রণয়ন, বাজেট, শিক্ষক ও ছাত্ররাজনীতি, গবেষণা এবং বহির্বিশ্বে উচ্চশিক্ষার বর্তমান বাস্তবতা সম্পর্কে বলেছেন খোলা কাগজকে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ড. কাজল রশীদ শাহীন। আজ প্রকাশিত হলো শেষ পর্ব

প্রথম পর্বের পর

বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগঠিত অনিয়ম- যেমন ভিসির দুর্নীতি, র‌্যাগিং নিয়ে যখন নিউজ হয়, তখন আপনারা স্বপ্রণোদিত হয়ে অ্যাকশনে যেতে পারেন?
আগে পাবলিক কিংবা প্রাইভেট-কোনো বিশ্ববিদ্যালয়েই ইউজিসি এটা করতে পারত না। ২০১০ সালে নতুন আইনে সংযোজন করা হয়েছে, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে ইউজিসি স্বপ্রণোদিত হয়ে তদন্ত করতে পারবে। তারপরও বলবো, ইউজিসির ক্ষমতা খুবই সীমিত। এটা বাড়ানো উচিত।

পাবলিকের ক্ষেত্রে আপনারা কি ক্রিটিকও করতে পারেন না?
আসলে বিষয়টা হচ্ছে কী, ইউজিসি তো বিশ্ববিদ্যালয়কে কন্ট্রোল করার জন্য নয়। আমাদের কাজ হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক, অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ এবং ডিসিপ্লিন নিয়ে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আরও ফেসিলেটেড করতে চাই। সে জন্য সাধারণত অভিযোগ না এলে আমরা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে যাই না।

প্রাইভেটের ক্ষেত্রেই যদি বলি, তদন্তের পর আপনারা কি শাস্তি নির্ধারণ করে দিতে পারেন?
না, ক্যাটাগরিক্যালি নির্ধারণ করা নেই। ইউজিসির কাজ হলো অভিযোগের বিষয়টা প্রমাণ হয়েছে কিনা সেই বিষয়টা সরকারের কাছে তুলে ধরা। তারপর শাস্তির বিষয়ে সরকার ইচ্ছা করলে যেকোনো ডিসিশন নিতে পারে।

আপনাদের দেওয়া সুপারিশে এখন পর্যন্ত কোনো শাস্তি হয়েছে?
হ্যাঁ, হয়েছে। যেমন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর জলিল, উনাকে তো দুদক গ্রেপ্তার করেছে। উনি এখন বোধহয় পলাতক আছেন।

অনেক সময় দেখা গেছে, শিক্ষকের দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ার পর তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রেখেই একটা ভার্বাল পানিশমেন্ট দেওয়া হয়...
আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, কেউ যদি অপরাধ করে তার অবশ্যই শাস্তি হওয়া উচিত। কিন্তু সেটা কেন হচ্ছে না, সে ব্যাপারে আমরা বলতে পারব না। কারণ সেটা আমাদের এখতিয়ার-বহির্ভূত। আমরা যদি ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে ক্ষমতাবান হতাম তাহলে কথা বলতে পারতাম।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার মান নিয়েও ভয়ঙ্কর অভিযোগ আছে...
সে জন্যই গবেষণার দিকে নজর দেওয়ার কথা আমরা বলে আসছি। ইনকিউবেশন সেন্টারের কথা বলছি, রিসার্চ সেন্টারের কথা বলছি। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গবেষণার জন্য আলাদা ফান্ড করার কথা বলছি। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য রিসার্চ ফান্ড বাড়ানোর কথা বলছি। সরকারের কাছেও আমরা লিখেছি, এটা বাড়ানো দরকার।

ক্যাম্পাসকে মাদকমুক্ত করার জন্য কোনো উদ্যোগ...
শুধু মাদক না, আরেকটি বিষয় আছে, সেক্সুয়াল হেরেসম্যান্ট। দুইটা বিষয়ের বিরুদ্ধেই আমরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কমিটি গঠনের কথা বলছি, এবং সেই কমিটির এক্টিভিটিজগুলো পর্যবেক্ষণ করছি।
যারা প্রতিবেদন দিতে পারেনি তাদের আমরা একটা ফরম্যাট দিয়ে বলেছি, তিন মাস পর পর এটা পূরণ করে যথাযথ তথ্য দিতে হবে। তবে প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে এটা চাওয়ার জন্য যে লোকবলের প্রয়োজন পড়ে, ইউজিসির তা নেই।

ইউজিসির নিজস্ব কোনো গবেষণা আছে?
ইউজিসি নিজস্ব গবেষণা করে না, গবেষণাকে ফেসিলেটেড করে। গবেষণা প্রকল্প ইনভাইট করে, সেগুলোকে সাপোর্ট দেয়।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক বা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে ব্যক্তি পর্যায়ের গবেষণার ক্ষেত্রে ইউজিসির কোনো পদক্ষেপ আছে?
ব্যক্তি পর্যায় বা বাইরের গবেষণার জন্য আর্থিক সহায়তা নেই। তবে ‘ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন অ্যান্ড কোলাবরেশন’ নামে ইউজিসিতে আলাদা একটা অফিস করেছি। এর মাধ্যমে বিভিন্ন দেশ থেকে স্কলারশিপ, ফান্ড জোগাড় করার চেষ্টা করছি। যেমন ২০১৭ সাল থেকে তার্কি আমাদের ১৯ কিংবা ২১টা স্কলারশিপ পিএইচডি দিয়েছে।

ভারতের উচ্চশিক্ষা কমিশনের কয়েকটি এক্টিভিটিজের কথা বলবেন?
বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে তারা সরাসরি অ্যাকশনে যেতে পারে, সেটা কেন্দ্রশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় হোক আর রাজ্যশাসিত হোক। আমি যতটুকু জানি, ওখানকার উচ্চশিক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানকে মিনিস্টার স্ট্যাটাস দেওয়া থাকে। আমাদের এখানে স্পেশালি শুধু আজাদ স্যারকে প্রতিমন্ত্রীর স্ট্যাটাস দেওয়া হয়েছিল কিন্তু বর্তমান চেয়ারম্যানকে দেওয়া হয়নি।

১৯৯৬ সাল থেকে আপনি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে আছেন। এই দীর্ঘ সময়ের কিছু সাফল্যের কথা বলুন...
কোয়ালিটি এডুকেশনের ক্ষেত্রে যে সাফল্যের কথা বললাম, আমি মনে করি, এটা যুগান্তকারী সাফল্য। এর মাধ্যমে নতুন অনেক কনসেপ্টকে একসঙ্গে নিয়ে আসা হয়েছে। আমাদের দেশের স্টুডেন্টদের মধ্যে কমিউনিটি ইনভলবমেন্ট একদমই ছিল না। রিয়াল লাইফ এক্সপেরিয়েন্সটা স্টুডেন্টরা যদি না পায়, টিচাররা যদি না পায়, তাহলে তারা শিখবে কী আর শেখাবে কী? ধান কীভাবে চাষ করে, মাছ কীভাবে ধরে- এসব দেখার জন্য অস্ট্রেলিয়া থেকে শিক্ষার্থীরা চলে আসছে বাংলাদেশে, অথচ আমাদের ঢাকা শহরে বসে স্টুডেন্টরা গ্রামে যায় না। আমরা এখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে কমিউনিটি এনগেজমেন্ট, সোশ্যাল এনগেজমেন্ট শুরু করতে বলছি।
কারিক্যুলাম কমিটিতে আগে ইন্ডাস্ট্রির লোকজনকে কল্পনাও করা যেত না, আমরা সেটা শুরু করছি। আরও বিভিন্ন সেক্টরের লোকজনকে ইনভলব করার চেষ্টা করছি। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কারিক্যুলাম রিভিশন হচ্ছে। কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স হচ্ছে। সেল্ফ অ্যাসেসমেন্ট ছিল না, সেটা এখন হচ্ছে।

বর্তমানে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা একশ প্লাস। এটাকে কীভাবে দেখেন?
কেউ কেউ বলেন, এতগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের দরকার নেই, এর সঙ্গে আমি একটু ভিন্নমত পোষণ করি। কারণ আমার দেশের শিক্ষার্থী সংখ্যা বিচার করে বিশ্ববিদ্যালয় করতে হবে, এটা ঠিক না। ইউরোপের দেশগুলো তাদের শিক্ষার্থী সংখ্যা বিচার করে বিশ্ববিদ্যালয় করে না। আমার কাছের দেশ জাপান, মালয়েশিয়ার কথা যদি বলি, তারা যৌথভাবে একটি ইন্টারন্যাশনাল পলিসি নিয়েছে।
জাপান বলেছে, ২০২০ সালের মধ্যে তারা আড়াই লাখ বিদেশি শিক্ষার্থী নেবে। মালয়েশিয়া ঠিক করেছে তারা দুই লাখ বিদেশি শিক্ষার্থী নেবে। এটা উদ্দেশ্য কিন্তু শুধু টাকা কামানো না। সবচেয়ে বড় কথা, গ্লোবাল সিটিজেন হওয়ার একটা সুযোগ থাকে ওখানে। বিভিন্ন দেশের স্টুডেন্টরা আসে, তাদের মধ্যে মিথস্ক্রিয়া তৈরি হয়, তারা পরস্পরকে জানতে পারে।

আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার প্ল্যানের কথা বলেছেন। আমাদের দেশে এমন কোনো বিশ্ববিদ্যালয় আছে?
চেষ্টা করছে অনেকেই। আমি ছোট্ট একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম বলতে পারি, যদি পারেন কোনো দিন ভিজিট করবেন। এটি হলো চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়। ছোট্ট একটা ইউনিভার্সিটি, কিন্তু দেখলে মনে হবে কোনো বিদেশি ইউনিভার্সিটিতে এসেছি।
আবার নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; এরা প্রথমে খুব সুন্দর একটা মাস্টার প্ল্যান করে, সেটা দেখে ইউজিসির পছন্দ হয়েছে। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন আসলেই আমরা বলছি, মাস্টার প্ল্যান নিয়ে আসতে হবে। সব পরিকল্পনা হাতের মুঠোয় থাকতে হবে।
তারপর আপনি ধীরে ধীরে করেন কোনো সমস্যা নেই; কিন্তু মাস্টার প্ল্যান থাকতেই হবে। সর্বশেষ কোনো একটা ইউনিভার্সিটির মাস্টার প্ল্যান দেখলাম, নয় হাজার কোটি টাকা লাগবে। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার প্ল্যান প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত দেখেন, আগে যেটা হতো না।
এক সময় শিক্ষা সচিব ছিলেন এন আই (নজরুল ইসলাম) খান, তিনি একবার মিনিস্ট্রিতে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার প্ল্যানের কথা জানান। বিউটি পার্লারের কথা বলার পর অনেকে মুখ টিপে হাসছিলেন।
এক পর্যায়ে আমি বলে ফেললাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের কনসেপ্টে পার্লারের কথা আসছে, এতে করে হাসার কিছু নেই, এটা অনেক দেশে আছে। আমরা যত ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বলি, সেখানে এগুলো আছে। এক কথায়, একজন শিক্ষার্থী বা শিক্ষকের জীবনে যা প্রয়োজন তাই আছে। কোনো প্রয়োজনে বাইরে যেতে হবে না আপনাকে। জিম থেকে শুরু করে সব কিছু। এটাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কনসেপ্ট, মাস্টার প্ল্যানে আমরা সেসব চাইছি।

দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্সের মান দেওয়া নিয়ে কিছু বলবেন?
ও হ্যাঁ, দাওরায়ে হাদিসের কথা বলা হয়নি। আমি মনে করি, এটাও আমাদের অন্যতম একটা সাফল্য। সরকার আমাদের আইন করার জন্য বলল কিন্তু এই অভিজ্ঞতা তো কারও নেই। অথচ উভয় দিক থেকেই প্রেসার আসতে লাগল। ইসলামী ফাউন্ডেশনের ডিজি একটা খসড়া নিয়ে এলেন, সেই সঙ্গে আমরাও একটা খসড়া প্রস্তুত করলাম। আল্টিমেটলি আমাদেরটাই অনুমোদিত হলো।

ওটা তো আপনারই কনসেপ্ট...?
আমি এবং আমার এক কলিগ মিলে করেছি, তবে মুখ্য ভ‚মিকাটা আমার ছিল। আমরা যেহেতু অনেক আইন করেছি, তাই কীভাবে স্ট্রাকচার করতে হবে তা আমরা জানতাম। জাতীয় শিক্ষা আইনের যে খসড়া করা হয়েছিল সেটাও আমি দাঁড় করিয়ে দিয়েছি।

উচ্চশিক্ষা কমিশন নিয়ে আপনার একটা প্যাশন আছে...
আমি আসলে যেখানে চাকরি করি, সেখানে সবটা ঢেলে দিতে চেষ্টা করি। ১৯৮৪ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত আমি কৃষি ব্যাংকে ছিলাম। ওই সময় খেয়াল করলাম, দরিদ্র কৃষকরা ৪-৫ হাজার টাকার লোন নেওয়ার পর তারা যখন ওই টাকা পরিশোধ করতে পারে না, তখন বডি ওয়ারেন্ট জারি করা হয়। সোজা ধরে নিয়ে আসা হয়।
অথচ যারা লাখ লাখ টাকা লোন নিয়ে ফেরত দিচ্ছে না, তাদের কিছুই করা হচ্ছে না। কয়েক দিন পর পর তারা এসে সেটাকে রিসিডিউল করে নিচ্ছে। তারা লাখ লাখ টাকা খরচ করে মেম্বার ইলেকশন করছে, চেয়ারম্যান ইলেকশন করছে কিন্তু কৃষি ব্যাংকের টাকা ফেরত দিচ্ছে না।
কৃষি ব্যাংকে আমার তখন মাত্র সাত-আট মাস হয়েছে। কীভাবে ঋণ আদায়ের পরিস্থিতির উন্নয়ন করা যায়, তা নিয়ে কথা উঠল। ব্যাংকের অফিসাররা সবাই বলল, ক্যাম্পিং করতে হবে, লিফলেট ছাপতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। এমনকি বটগাছ তলায় বসে ঘোষণা করা হলো, এখানে ঋণের টাকা আদায় করা হবে, কষ্ট করে কাউকে ব্যাংকে যাওয়ার দরকার নেই। এভাবে কেউ ৫ হাজার, কেউ ৩ হাজার, কেউ ২ হাজার টাকা দিচ্ছে, সারা দিনে হয়তো সর্বমোট এক লাখ টাকা বা ৭০ হাজার টাকা উঠেছে। আমি দেখলাম, আসল কাজে কেউ নেই, এভাবে কখনো ঋণ আদায় হবে না।
আমি তখন পরামর্শ দিলাম, কারও যদি ওভার ডিউ ঋণ থাকে তাহলে তাকে ইলেকশনের অনুমতি না দেওয়া হোক। প্রথমে এটা ইউনিয়ন পর্যায়ে দেখা যেতে পারে, পরে প্রয়োজনে এটা জাতীয় পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে। এটা শুনে ডিজিএম সাহেব আমার অনেক প্রশংসা করলেন। পরবর্তীতে দেখলাম, কৃষি ব্যাংক সেটা ইমপ্লিমেন্ট করেছে। আমি থাকা অবস্থায়ই সেই কার্যক্রম শুরু হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তীতে এই শর্তটা এখন এমপি ইলেকশন পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দেখা গেল, দ্রুত কৃষি ব্যাংকের রিকভারি বেড়ে গেল।

উচ্চশিক্ষা কমিশন নিয়ে সর্বশেষ কিছু বলার থাকলে বলেন...
আমার মনে হয়, উচ্চশিক্ষা কমিশনটা দ্রুত করা দরকার। উচ্চশিক্ষা কমিশনের যে কার্যাবলি আমরা ওখানে উল্লেখ করে দিয়েছি, সেটাকে কেটে অনেকেই একটা স্লিম আইনের কথা বলছেন। মনে রাখা দরকার, সবক্ষেত্রে স্লিম আইন করলে হবে না। ওখানে যে ঊনত্রিশ-ত্রিশটা যে ফাংশনের কথা বলেছি, সেগুলো দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতার ফসল। সেসব রেখে যদি উচ্চশিক্ষা কমিশন করা হয়, তাহলে আমাদের দেশকে উচ্চশিক্ষার উন্নত পর্যায় নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কমিশন ভালো রোল প্লে করতে পারবে।

নিজ থেকে যদি কিছু বলার থাকে...
বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে আমাদের সবাইকে আত্মনিয়োগ করা দরকার। যার যার জায়গা থেকে যেন সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়, সেটাই আমরা চাই। বঙ্গবন্ধু কর্তৃক ইউজিসি প্রতিষ্ঠা ছিল একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এবার উচ্চশিক্ষা কমিশন করে আরেকটা ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নিতে পারেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। এই ক্রেডিটটা অন্য কাউকে দেওয়া ঠিক হবে না।

সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
খোলা কাগজ পরিবারের জন্য শুভকামনা।

 

 
Electronic Paper