ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

রাজনীতিকদের হতে হবে খেলোয়াড়সুলভ

নূরুজ্জামান
🕐 ১০:১৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৮

দুইটি মোরগের মধ্যে যখন লড়াই হয়, তখন একে অপরকে ঠোকর মারে। কখনো বা দুই পা উঁচু করে প্রতিপক্ষকে লাথি মারার চেষ্টা করে। তারপর একসময় লড়াইয়ে যখন একটি মোরগ হেরে যায় তখন সে বিজয়ীর সামনে থেকে মাথা নিচু করে সরে যায়। এ অবস্থায় বিজয়ী মোরগ কিন্তু পরাজিতটিকে জোর করে ধরে মেরে ফেলে না। বড়জোর তার পিছু পিছু একটু ধাওয়া দিয়ে এগিয়ে যায়। লড়াই শেষে রাতে তারা কিন্তু আবার একই খুপড়িতে রাত কাটায়।

অন্যদিকে সাপ আর নেউলের (বেঁজি) যে লড়াই হয় সেখানে একে অপরকে চিরতরে শেষ করে দেওয়া বা মেরে ফেলার প্রবণতা থাকে। তাদের মধ্যে কখনোই কোনো ধরনের বন্ধুত্বের সম্পর্ক হয় না। বেঁজি যেন সারাক্ষণ সাপকে মেরে খাওয়ার জন্য হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়ায়। বিষধর সাপও কম নয়। বেঁজিকে দেখলেই ফনা তুলে ছোবল মারতে থাকে। এই দুইটি প্রাণী যেন একে অপরের ভয়ঙ্কর চিরশত্রু। দেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে প্রধান দুই রাজনৈতিক জোটের মধ্যে এখন চলছে মোরগলড়াই। চলছে বিভিন্ন স্থানে ঠোকর মারামারি। সেসব ঠোকরে কয়েকজনের প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত বড় ধরনের প্রাণঘাতী আক্রমণ হয়নি। তবুও বলব এটা গণতন্ত্রের ভাষা নয়। গণতন্ত্রে এ ধরনের ঠোকর মারামারিও সমুচিন নয়। গণতন্ত্র হল চর্চার মাধ্যমে উন্নয়ন করার বিষয়। যেমন ক্রিকেট বা ফুটবল খেলা। ক্রিকেট বা ফুটবল খেলায় একটি দলকে বিভিন্ন ধরনের ছোট ছোট টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে পেশাদারিত্ব অর্জন করতে হয়, নিজ দলের খেলোয়াড়দের যোগ্যতম ও সক্ষম করে তুলতে হয়। তবেই তারা বড় বড় টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করার যোগ্যতার্জন করতে পারে। এভাবে বিভিন্ন ধরনের টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিজেদের যোগ্যতম করে গড়ে তুলে তবেই একজন খেলোয়াড়ও বিশ্বমানের হয়ে উঠেন। এমনকি একটি দলও এভাবেই বিশ্বমানের খেলার দলে পরিণত হয়ে উঠে। তারপর তারা যোগ্যতা ও সক্ষমতার প্রমাণ দিতে পারলে তবেই বিশ্বকাপ জয় করতে পারে। গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলকেও আগে বিভিন্ন ধরনের নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিজেদের যোগ্যতম দল ও দলের নেতাদের দেশ শাসনের উপযোগী যোগ্যতম নেতা করে গড়ে তুলতে হয়। তারপর জাতীয় পর্যায়ের নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে জাতীয় দল বা নেতা হয়ে উঠতে হয়। কেবল মাত্র এভাবে গড়ে উঠা রাজনৈতিক দল ও নেতার পক্ষেই দেশকে সুন্দরভাবে নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। আর দেশে এমন নেতাদের নেতৃত্বে দল গড়ে উঠলে তবেই সে দেশে গণতন্ত্র দৃঢ়মূল হয়। অন্যথায় রাজনৈতিক দল ও নেতৃত্ব মোরগলড়াইয়ের মতো ঠোকাঠুকি করতে করতে তারা একসময় সাপে-নেউলের মতো যুদ্ধ শুরু করে। তখন বিপন্ন হয় গণতন্ত্র। সেই সঙ্গে বিপন্ন হয় নেতাদের জীবন। আর নেতারা যখন নিজেদের জীবন বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা করেন, তখন তারা দেশের চরম ক্ষতিসাধন করতেও দ্বিধা করেন না। তারা দেশের মধ্যে বিভেদের বীজ বপন করেন, সাম্প্রদায়িক উসকানি দিয়ে বা প্রতিপক্ষ রাজনীতিকে হত্যা করে হলেও নিজেদের জীবন ও ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেন। এ অবস্থায় কেউ কেউ আবার দেশদ্রোহীও হয়ে উঠেন। তখন তারা দেশের নিরপরাধ সাধারণ মানুষকেও নির্বিচারে হত্যা করতে দ্বিধা করেন না। এই পর্যায়ে তারা দেশ, জাতি ও মানবতার কথা বেমালুম ভুলে যান। নিজেকে টিকিয়ে রাখার জন্য মরিয়া হয়ে সবসময় পতিপক্ষের ক্ষতি বা ধ্বংস সাধনের চেষ্টায় লিপ্ত থাকেন! এমনকি নিজ দলের সঙ্গেও বেঈমানি করতে দ্বিধা করেন না। এমন রাজনৈতিক দেউলিয়াপনাকে আমরা সাপে-নেউলের লড়াইয়ের সঙ্গে তুলনা করতে পারি। যারা সার্বক্ষণিকভাবে প্রতিপক্ষকে ধ্বংস করার চক্রান্তে লিপ্ত থাকে। দেশ ও জাতির স্বার্থ তখন তাদের কাছে গৌণ হয়ে পড়ে। মুখ্য হয়ে পড়ে কেবলই নিজের স্বার্থ ও জীবন।
গণতন্ত্রের প্রধান চালিকাশক্তি হলো নির্বাচন। আর নির্বাচনের মাঠে মাত্র তিনটি পক্ষ থাকে। একটি পক্ষ রেফারির ভ‚মিকা পালন করেন। এরা হলেন নির্বাচন পরিচালক দল। যাকে আমাদের দেশে বলা হয় নির্বাচন কমিশন। দ্বিতীয় পক্ষে থাকেন দেশের রাজনৈতিক দলগুলো। যারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তৃতীয় পক্ষে থাকেন দেশের জনগণ। তারা তাদের পছন্দের যোগ্য প্রার্থীদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন। খেলার মাঠে রেফারিরা সুষ্ঠুভাবে খেলা পরিচালনা না করলে মাঠে খেলোয়াড়দের মধ্যে মারামারিও লাগে। আবার কোনো দল যদি মনে করে খেলাটাকে নষ্ট করে দেবে, তবে তারা প্রতিপক্ষের সঙ্গে সংঘাতে লিপ্ত হয়। আর প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলো শক্তিশালী না হলে খেলা একতরফা হয়ে যায়। তখন খেলায় আনন্দ থাকে না। দর্শকরা আনন্দ পান না। সুতরাং খেলার মতো গণতন্ত্রেও রাজনৈতিক দলগুলোকে সহনশীল হতে হয়। গণতন্ত্র চর্চা করে নিজেদের গণতান্ত্রিক করে তুলতে হয়। এর মাধ্যমে গণতন্ত্রেরও উন্নয়ন ঘটে। সমাজে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সৃষ্টি হয়। রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃত্বের উন্নয়ন ঘটে। খেলা পরিচালনাকারীদের বা নির্বাচন কমিশনের পেশাদারিত্বের উন্নয়নও এভাবেই ঘটে। তা না হলে গণতন্ত্র অর্থবহ হয়ে উঠতে পারে না। আমরা আশা করব একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে প্রতিদ্ব›দ্বী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে ধরনের ঠোকর মারামারি চলছে তা এখনই বন্ধ করা হবে। যদিও সে আসা সুদূর পরাহত। কারণ খবরে প্রকাশ কিছু কিছু রাজনৈতিক দল তাদের নিজেদের দলের নেতাদের নমিনেশন দেওয়ার কথা বলে তাদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে! পরে যারা টাকা দিয়েও নমিনেশন পাননি তারা নিজেদের দলের ওপরের নেতাদের প্রতি দারুণভাবে ক্ষেপে আছেন। সেকারণে দলের মধ্যের এক গ্রুপ অন্য গ্রুপের প্রতিপক্ষ হয়ে আছেন। আবার কিছু দল নিজ দলে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করা, দেশের মানুষের দুর্দিনে পাশে থাকা, গণতন্ত্র চর্চা করতে নিজেকে জাতীয় পর্যায়ে নেতৃত্ব দেওয়ার উপযোগী করে গড়ে তোলা যোগ্য নেতাদের বাদ দিয়ে বাইরে থেকে আমদানি করা লোকদের নমিনেশন দিয়েছেন। এগুলো গণতন্ত্রের জন্য মোটেই শুভকর নয়। এগুলো গণতান্ত্রিক উন্নয়নের শুধু বাধাই নয়, এর মাধ্যমে গণতন্ত্র ধ্বংসের বীজ বপন করা হয়। ৪৮তম বিজয় দিবস পালন করল দেশ। দীর্ঘ ৪৭ বছরে আমাদের রাজনীতিই গণতান্ত্রিক হয়ে উঠেনি। রাজনীতি দুর্বৃত্তায়নের করাল গ্রাসে নিপতিত। এখন দেখছি রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নরা নিজ দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গেও দুর্বৃত্তের মতো আচরণ করছেন। নিজ দলের নেতাদের দ্বারাও অন্য নেতারা আক্রান্ত হচ্ছেন! কিছু দলের কেন্দ্রীয় নেতারা নিজ দলের তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করছেন। তাদের কাছ থেকে মনোনয়ন বাণিজ্য করে টাকা হাতিয়ে নিয়ে তাদের আঁস্তাকুড়ে ছুড়ে মারছেন! এটা কোনোভাবেই রাজনীতি বা গণতন্ত্রের ভাষা হতে পারে না। এ ধরনের রাজনীতিকে প্রতারণার ফাঁদ বলাই সমীচীন! এ অবস্থায় গণতান্ত্রিক উন্নয়ন কীভাবে সম্ভব? রাজনৈতিক দলগুলো নিজ দলের নেতাদের সঙ্গে টাকাকড়ি নিয়ে প্রতারণা করবে, নির্বাচনের মাঠে প্রতিহিংসার আগুন ছড়িয়ে  দেবে, আর নির্বাচন কমিশন একা কি করে সেই আগুন নেভাবে? সম্ভব নয়। তবুও আশাবাদী হতে হয়। অন্ধকারের মধ্যেও আশার প্রদীপ বুকে ধারণ করে বাঁচতে হয়। বাংলাদেশের প্রশাসন সেই প্রদীপ জ্বালানোর শেষ আশ্রয়স্থল। একদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রশ্বাস প্রতিহিংসায় জর্জরিত রাজনীতির আগুনকে বিস্তৃত হতে দেননি। এবারের নির্বাচনে এটাই জাতির সবচেয়ে বড় পাওয়া। নির্বাচনের মাঠে চলমান মোরগলড়াইয়ের মতো ঠোকর মারামারিকে প্রতিহিংসা পরায়ণ বিষধর সাপে-নেউলের লড়াইয়ে পরিণত হতে দেয়নি। নির্বাচন শেষ। এখন দুদকের উচিত মনোনয়ন বাণিজ্যের তদন্ত করে ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা উদ্ধার করে ফিরিয়ে দেওয়া এবং প্রতারকদের শাস্তি নিশ্চিত করা। আর প্রশাসনের উচিত এ কাজে দুদককে সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করা। তা না হলে রাজনৈতিক প্রতারণার পথ বন্ধ হবে না। আর রাজনৈতিক প্রতারণার পথ বন্ধ না হলে গণতান্ত্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। নির্বাচন হয়ে গেল। এটা কতটা অংশগ্রহণমূলক বা কতটা নিরপেক্ষ হলো তা বিচার করার ভার জনগণের হাতে। আমরা শুধু এটুককু বলতে পারি, যেহেতু দেশের সব রাজনৈতিক দল এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে সেহেতু আশাব্যাঞ্জক। অনাস্থা, পথিমধ্যে বর্জনের হটকারিতা সত্ত্বেও বিদেশি গণমাধ্যম ও পর্যবেক্ষকদের মূল্যায়ন আমাদের আশাবাদী করেছে। অন্তত শেষ পর্যন্ত সব দল নির্বাচনে থেকেছে এবং তুলনামূলক কম সংঘাত হয়েছে। এখন দলগুলোকে নিজ দলের দুর্বৃত্তায়নের লাগাম টেনে ধরতে হবে। নিজ নিজ দলকে গণতান্ত্রিক ধারায় শুদ্ধাচারিতায় ফিরে আনায় মনোযোগী হতে হবে। এখন নাগরিক হিসেবে জনগনের দায়িত্ব হবে বিজয়ী ও পরাজিত উভয় দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের যত দ্রুত সম্ভব মিলেমিশে সহাবস্থানের পড়িবে সৃষ্টি করা। নির্বাচনকে ফুটবল বা ক্রিকেট খেলা মনে করে সব ধরনের রেষারেষি ভুলে যাওয়া। নিজেদের মধ্যে গণতন্ত্রের চর্চা করা। জনগণ গণতান্ত্রিক না হলে রাজনীতিকরাও গণতান্ত্রিক হবে না। আর রাজনীতিকরা গণতান্ত্রিক না হলে শুধু নির্বাচান করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে না। মনে রাখতে হবে কেবল নির্বাচনই গণতন্ত্র নয়। গণতন্ত্র হলো মানুষের মৌলিক অধিকার। সে অধিকার অন্যের অধিকারের প্রতি সম্মান দেখানো। অন্যের অধিকার নির্বিঘেœ ভোগ করতে দেওয়া। এ অধিকারের চর্চা নিজ বাড়ি থেকে শুরু করে পাড়া-মহল্লার ওলিগলি পেরিয়ে রাজপথ ধরে রাজনৈতিক প্রশাসনিক মোড় ঘুরে তবেই পূর্ণতা পায়। দেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নতির সূচকে অবস্থান করছে। এখন প্রয়োজন গণতান্ত্রিক উন্নতির সূচকে পথ চলা। রাজনৈতিক মতপার্থক্যের বীজগুলো যেন সহনশীল পর্যায়ে থাকে। মতপার্থক্যের হওয়া যেন গরম হয়ে প্রজ্বলিত আগুনে পরিণত না হয়। জাতি এগিয়ে যাক মোরগ লড়াইয়ের মাঠ থেকে ক্রিকেট বা ফুটবলের মাঠে। গণতন্ত্র চর্চার মাঠে। গণতন্ত্র ছেলের হাতের মোয়া নয়। যার যখন যেভাবে খুশি কেড়ে ছিঁড়ে খাওয়ার বস্তু নয়। গণতান্ত্রিক উন্নয়ন এক দিনে আসে না। অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে ধাপে ধাপে গণতান্ত্রিক উন্নয়ন হয়। এ জন্য রাজনৈতিক সহনশীলতা প্রয়োজন। সেই জন্য রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ করা জরুরি। বিশেষ করে নিজ দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে প্রতারণা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটা দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতিকে রক্তপিপাসু করে তুলে। নিজ দলের মধ্যের কোন্দলের আগুন জাতির গায়েও ছড়িয়ে পড়ে। তাই গণতন্ত্রের নামে সংঘাত কোনোভাবেই কাম্য নয়। সংঘাত গণতান্ত্রিক উন্নয়নের উপাদানগুলোকে ধ্বংস করে দেয়। তাই যত দ্রুত এদের উপড়ে ফেলা সম্ভব হবে গণতান্ত্রিক উন্নয়নের পথ ততই পরিষ্কার হতে থাকবে। সেই জন্য বড় প্রয়োজন সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা। দুর্নীতি দূর করা। সেটা রাষ্ট্রযন্ত্রের যে কোনো কাঠামো বা প্রতিষ্ঠানের হোক আর রাজনৈতিক দলের হোক, তাকে সমূলে উপড়ে ফেলতে হবে। এরই নাম সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা। এর জন্য রাজনীতিকদের হতে হবে খেলোয়াড়সুলভ। আর রাজনীতি হতে হবে খেলা। মাঠে খেলা হবে, মাঠের বাইরে এসে বন্ধুত্ব দৃঢ় হবে। রাজনীতির মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে, প্রতিহিংসা নয়।

নূরুজ্জামান : কলাম লেখক।
[email protected]

 
Electronic Paper