ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

এখন বাচ্চারাই বিবেক

শহীদ ইকবাল
🕐 ৯:৩৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৮

অরিত্রী কী প্রশ্ন রেখে গেছে? কদিন আগে সড়কে নেমে পড়েছিল বাচ্চারা। তারা নিরাপদ সড়ক চায়। ‘খুনে’র বিচার চায়। কত রকমভাবে যে আমরা খুন হচ্ছি, প্রতিনিয়ত, কতভাবে আমাদের আত্মা বিনষ্ট হচ্ছে আমরা কেউ তা বুঝতে চাইছি না, বা বুঝতে পারছিও না। কেন সেটা? অনুভূতি-সংবেদনশীলতা এতটাই ভোঁতা হয়ে গেছে-কাউকে কেউ তোয়াক্কা করে না। কী এক মোহ আমাদের ঘিরে ফেলেছে সবাইকে। অর্থ-প্রতিপত্তির মোহ।

স্কুল কলেজে বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন বেশুমার ব্যবসা। ব্যবসার মূল কেন্দ্র নিজের উন্নতি। কীভাবে কত দ্রুত বাড়ি-গাড়ি-সম্মানের মালিক হওয়া যায়-সেটাই দুর্মর লক্ষ্য। আজকাল হিসেবের বাইরে কেউ কিছু করছে না! হিসেবের একটু চ্যুতি ঘটলে, সে নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছে-সেখান থেকে। ফলে সমাজের কোনো রকম সামষ্টিক কাজ বা পরার্থপরতার তৎপরতা একদম নেই-শূন্য। বেশুমারভাবে কেউ কাউকে গ্রহণ না করে শুধু নিজেরটা নিয়ে প্রাত্যহিক ব্যস্ত সবাই। স্কুলে গেলে সেখানে ব্যবসা। ছোট্ট ছোট্ট বাচ্চাদের হাতে গণ্ডায় গণ্ডায় বই। পড়াশোনার চাপে সর্বদা বিপর্যস্ত। বাংলাদেশের শিক্ষালয়গুলোর যে পরিণতি-সেটা নিয়ে কেউ ভাবছে না। ভুক্তভোগীরা এভাবে অকালে বিনষ্ট হচ্ছে, সমাজে রেখে যাচ্ছে প্রশ্নবোধক চিহ্ন-কেউ বুঝি জানতেও চায় না! তবে কী সবাই পেছনে দৌড়াচ্ছে? নাকি সামনে? এ আর কত দিন! সব কী একটা হইচইয়ের পর থেমে যাবে? শিক্ষকতা একটা ব্রত, পেশা নয়, চাকরিও নয়-সে কে লালন করে? গ্রামগঞ্জে প্রতিটি স্কুলে এখন মেয়েদের চাকরির অগ্রাধিকার, নারী শিক্ষকরা কাজ করছেন। সরকারের মনস্তত্ত্ব যে, নারীরা শিক্ষকতায় আসলে, গৃহী পরিবেশ থাকবে, সিনসিয়ারিটি থাকবে, নার্সিং ভালো হবে, শিশুরা প্রকৃত শিক্ষাটা মায়ামমতার মধ্য দিয়ে অর্জন করতে পারবে। কিন্তু অভিজ্ঞতায় বলে-পরিণতিটা উল্টো। একদম বিপরীত। মফস্বলের অভিজ্ঞতা আরও করুণ। একটা ভিকারুননিসা হয়তো ঢাকা শহরে সবচেয়ে নামকরা স্কুল বলে, সেখানে তাড়াতাড়ি মন্ত্রীরা চলে আসেন, বড় বড় এমপি রাজনীতিকরা এর গভর্নিং বডিতে আছেন, ফলে দ্রুত অ্যাকশন হয়, অনেক কিছু চোখে পড়ে, পুরনো-নতুন হাজারো সমস্যা বেরিয়ে আসে- সাংবাদিকরা দ্রুত সংঘবদ্ধভাবে তা জনগণের সামনে প্রচার করেন। কিন্তু গোটা দেশেই শিক্ষালয়ে এ দুর্বিষহ অবস্থা যখন বিরাজমান-তার সমাধান কোথায়! ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় দেখেছি, কোনো নার্সিং নেই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে। আয়-উপার্জন-চাকরি-বৈষয়িকতা এটাই মুখ্য। একটা পরিবারে দুজন-তিনজন প্রাথমিক শিক্ষক চাকরি পেয়েছেন, সব্বাই নারী, নারীর ক্ষমতায়ন হয়েছে, সমাজে অর্থকরী বলে তারা পরিগণিত হচ্ছে-কিন্তু সামাজিক সাফল্য তেমন চোখে পড়ে না। গ্রামের স্কুলগুলোতে মনিটরিং তো হয়ই না। সেখানে পড়াশোনা মানে বাড়িতে বাড়িতে প্রাইভেট কোচিং। এর বাইরে জ্ঞানার্জনের কোনো উপায় নেই। আরও ব্যাপার শিক্ষকরা প্রাইভেট না পড়লে নম্বর দেন না। প্রশ্ন বলে দেয়। যারা পড়ে, তারা সব পায়। এখন শিক্ষক ভালো নাকি মন্দ সে নিয়ে তো কথাই নেই। আর প্রাতিষ্ঠানিক প্রধান যিনি তিনি সর্বদাই পয়সার জন্য মুখিয়ে থাকেন আর ভাগ পাওয়ার আশায় বসে থাকেন। প্রাথমিক থেকে আরম্ভ করে সর্বোচ্চ পর্যন্ত শিক্ষার এ হাল লক্ষ করা যাচ্ছে। অভিভাবকরা অসহায়, নিরাপদও নয়। কেউ শিক্ষকদের কাছে কোনো ট্রিটমেন্ট পান না। সময়ও দেন না। অনেক সরকারি স্কুল বা বড় বড় স্কুলে অভিভাবকদের কথা শোনাও হয় না আর শুনলেও তা রুটিন ম্যাটার মাত্র। এর বাইরে হেনস্তা-অসম্মান করা, পাত্তা না দেওয়া, কথা না শোনা-সব মামুলি ব্যাপার। কারণ, মাস্টাররা মনে করেন, অভিভাবকরা জিম্মি, সাধারণ অভিভাবক তো দাঁড়াতেই পারেন না। ভিকারুননিসায় মন্ত্রী-আমলা হাই অফিসিয়ালদের ছেলেমেয়েদের বাবারাও কিছু বলতে সাহস পান না, পাছে বাচ্চার ক্ষতি হয়-এই যে বিপর্যস্ত অবস্থা, এর জন্য দায়ী কে? সমাজে যে মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কথা বলে চলছি আমরা, তা থেকে এ কি বিচ্ছিন্ন ঘটনা! এ সমাজের এমন পরিণতি আমাদের প্রজন্মকে কোন দিকে নিয়ে যাচ্ছে সেটা এখন ভাববার সময় এসেছে। এরকম অরিত্রীরা আগেও প্রাণ দিয়েছে, ভবিষ্যতে আরও যে দেবে না-তার নিশ্চয়তা কী? কেউ কী দায় এড়াতে পারেন?

০২.
একটু অন্য প্রসঙ্গে আসি। এ ডিসেম্বর মাসের এক দিন এদেশ স্বাধীন হয়। আমরা স্বাধীন হই। পরধীনতা থেকে মুক্ত হই। অধীনতা তো কেউ পছন্দ করে না। অধীনতা চায়ও না কেউ। মুক্ত বাংলাদেশে মুক্তি ঘটেছিল আমাদের। সেটি আজ থেকে আটচল্লিশ বছর আগের কথা। সময় পেরিয়ে গেছে কত! মানুষ বদলাচ্ছে। প্রজন্ম বদলেছে। এখন তৃতীয় প্রজন্ম বড় হচ্ছে। বড় হয়ে গেছে। তাদের মন-মানসিকতা, চিন্তা ভাবনায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। এসব পরিবর্তন আগের দুই প্রজন্মের মাঝে নানা হিসাব-কেতাব নিয়ে, প্রতিদিন নানারকম আলাপ-আড্ডা চলছে। কদিন আগে পড়াশোনার সূত্রে কিছু তাত্ত্বিকদের নিয়ে ভাবনা শুরু করেছি। এদের মধ্যে ‘ফ্রাঙ্কফুর্ট স্কুলে’র ওয়েস্টার্ন মার্কসিস্ট বুদ্ধিজীবী ওয়াল্টার বেনজামিনের প্রসঙ্গ এসছে। তিনি বেশ গুরুত্বপূর্ণ বুদ্ধিজীবী। মারা গেছেন ১৯৪০ এ। আত্মহত্যাকে বেছে নেন তিনি। কেন? ইহুদি হিসেবে জার্মানিতে যখন তিনি থাকেন তখন ১৯৩৪ সালে হিটলার ক্ষমতায় এলে তিনি প্যারিস চলে যান। প্যারিস ছিল তার আবেগের জায়গা। সেখানে কবি শার্ল বোদলেয়ার, পল ভ্যালেরিদের মতো কবিদের স্মৃতি-সমৃদ্ধিতা তাকে ফ্রান্সের প্রতি বিশেষ অনুরাগী করে তোলে। কিন্তু চল্লিশে ফ্রান্স কমিউনের পতন হলে তিনি সেখান থেকে পালিয়ে স্পেনে যাওয়ার উদ্যোগ নেন। কিন্তু স্পেন পুলিশ তাকে আটকে দেয়। পরে তিনি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন। এমন একজন মেধাবীর এ আত্মহত্যা কম পীড়াদায়ক নয়। কিন্তু খুব অগোচরেই তিনি পৃথিবী থেকে বিদায় নেন। তবে আত্মহত্যা কিংবা স্বেচ্ছামৃত্যুর মতো ব্যাপারগুলো আমাদের মতো সাধারণ মানুষদের একটু ভাবায়। প্রসঙ্গত, এরকম একজন বুদ্ধিজীবীর মৃত্যুর সঙ্গে অন্য কাউকে ট্যাগ করা এ লেখার উদ্দেশ্য নয়। প্রশ্নটি বিবেকের। একটি দেশ যখন প্রায় বুদ্ধিজীবীশূন্য (গ্রামসি দুই ধরনের বুদ্ধিজীবীর কথা বলেছেন, একটা ট্রাডিশনাল অন্যটি অর্গানিক-ভালো-মন্দের ঊর্ধ্বে কোনোটাই নেই বুঝি!) অবস্থা চলছে তখন একটি শিশুর বৃদ্ধি, কিশোরের আবেগ, কিশোরের প্রকৃতিমুগ্ধ চোখের বর্ণাভা, প্রকৃত প্রজন্ম সৃষ্টির তৎপরতা, চিন্তাশীল মানুষ তৈরির দর্শন-এসব প্রস্তুতকরণ কে করবে? কার মাধ্যমে হবে? সরকার, রাষ্ট্র, সংবিধান, আইন, বিচার কোনোটাই বৃদ্ধিজীবী সৃষ্টির কারখানা নয়! সেভাবে বুদ্ধিজীবী তৈরিও হয় না। এখন তো বাচ্চাদের রোদে দাঁড়িয়ে ভিটামিন ডি কালেক্ট করার শক্তি বা সময় কোনোটাই নেই। একটি স্কুলে যে পরিবেশ, বন্ধুদের সংশ্রব যেটা ঘটে-তাও শিক্ষক-শিক্ষকতার যে নাজুক ও বিমর্ষ পরিবেশ তাতে কঠোরতার মেশিনে আটকানো। প্রতিযোগিতায় টিকে প্রথম-দ্বিতীয় হওয়ার টেনশন তো আছেই। আর সেটা তো অরিত্রীদের বাস্তবতা। তারও ওপর অপমান-অপদস্ততা আর সেটি যখন পরিবার পর্যন্ত গিয়ে ঠেকে সে আক্রোশ কতটা হতে পারে? এ কী আত্মার অপরাধ নয়? কীভাবে সে জীবন বিসর্জনের জন্য কমিটেড হয়ে উঠল! এতটা আত্মিক অবনমন তার মধ্যে কীভাবে ঘটল? ওয়াল্টার বেনজামিন একটি থিসিস লিখেছিলেন। সে থিসিসে অনেক গভীর তত্ত্বের কথা তিনি বলেছিলেন। যার মধ্যে একটি কথা হলো, অতীতের ভেতর দিয়ে মানুষ সম্মুখের দিকে যায়, ভবিষ্যৎ রচনা করে। অতীতের একটা মোহন রূপ আছে। আর সে তার ব্যর্থতাগুলোই ভবিষ্যতের ভেতর দিয়ে পালনের স্বপ্ন দেখে। এ স্বপ্ন হলো অতীতের ব্যর্থতার শূন্যতা। তাই মূলত মানুষ ভবিষ্যতে নয়, অতীতের দিকেই হাঁটে। তিনি একটু কাব্যময় করে বলেছেন ‘strom from paradise’ একটা দারুণ ঝড় আসে স্বর্গ থেকে, সে আসলে মানুষকে পেছনের দিকে টেনে নিয়ে যায়। অরিত্রীর মধ্যে স্বপ্নভঙ্গের বেদনা তৈরি হয়েছিল। ইতিহাসের-স্মৃতিগুলোর মধ্যে ধূসর রং দেখতে পেয়েছিল। বাবার ও নিজের অপমানের গ্লানি তাকে বিপর্যস্ত করেছিল। বিশেষত, কোনো এক বিশেষ মুহূর্তে সে ঝড়ের দাপটে স্বপ্ন ও স্মৃতিসৌধের বিশাল পিলারগুলো তার চেতনার স্তর থেকে ধসে পড়ে। তখন আর নতুন কিছু আঁকড়ে ধরতে পারেনি। বুঝি বেনজামিনের জিউস নির্যাতন বা বিতাড়নের ভেতরেও এক বিমর্ষ বিশ্বকে দেখতে পেয়েছিলেন। শুধু নির্যাতনের ভয় নয়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভেতরে একজন স্কেপটিক বা ডিসিডেন্ট হিসেবে তিনি চরম অপমান ও স্বপ্নভঙ্গুরতার দিকে চলে গিয়েছিলেন। সেজন্য হয়তো আত্মবিসর্জনের পথ বেছে নেন। এ অনিবার্যতা তার তত্ত্বের মধ্যেও আছে। ফলে এ স্বাধীন দেশে আটচল্লিশ বছর পরও আমাদের বিবেকশূন্য ক্লিন্ন ও দায়হীন সমাজে যেন এক একটা অরিত্রী তৈরি হচ্ছে-যা তার বন্ধুদের প্ল্যাকার্ডে, ফেস্টুনে লেখা থাকছে; বড়রা-আমাদের শিক্ষকরা আমাদের আত্মাকে মেরে ফেলছে। স্বপ্নকেও মেরে ফেলছে। সমাজকে ‘পাপযুক্ত’ করে ফেলে কোমল জীবনকে বিসর্জনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

০৩.
এ সমাজের দায় বা অভিভাবকত্ব কেউ নিতে পারছে না। একইরকম করে না বুঝেও এ মৃত্যুর সমান্তরালে কিছুদিন আগে সড়কে পরিবহনের নৈরাজ্য নিয়ে যে আন্দোলন হয়েছিল-তাও আমরা জানি। বাচ্চারা আসলে আঙ্গুল উঁচিয়ে আইন-বিচার-শাসন কিংবা রাষ্ট্র-রাজনীতি সবকিছুকে প্রশ্নশীল করে তুলছে। এ প্রশ্নের জবাব কেউ না দিয়ে বরং বিপরীতে তা নিয়ে আরেক রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির হীন অপতৎপরতাও এ দেশের মানুষ দেখেছে। কেনো দলের নেতা টেলিফোনে উসকাচ্ছেন, সাধারণ মানুষকে ওই জনরোষের মধ্যে ঠেলে দিচ্ছেন। যেন কিছু লাশ পেলে রাজনীতি করার কাজটা আরও ‘সঠিক’ভাবে সমাধা হয়। এ হীন নোংরা প্রবৃত্তির দাপট সমাজে চলছে। এ থেকে একটা শ্রেণি তৈরি হয়েছে-আর সেই শ্রেণিটি নানাভাবে বিবেকশূন্যতায় ভুগে অসুস্থ হয়ে গেছে। ওদের সে লাভ সমাজে বা রাষ্ট্রে কোনো কাজে আসছে না। শুধু ব্যক্তিগত ভোগ আর লালসা সম্পাদনের ভেতরেই সীমিত থাকছে এবং একপর্বে তার বিনাশ ঘটছে। এসব কঠোরভাবে শিগগির দমন করতে না পারলে সমাজের পরিণতি আরও করুণ-কর্কশ ও ভয়াবহ হওয়ার দিকে যেতে পারে। হয়তো এখন যা ঘটছে তার চেয়ে আরও দুর্বিষহ পরিণতিও নেমে আসার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

০৪.
ভিকারুননিসার শিক্ষার্থী আত্মহত্যার ঘটনাটি চলতি সমাজে একটি ‘প্রতীকী’ মাত্র। জীবনে বেঁচে থেকেও এরকম অনেক শিশু-কিশোরের আত্মার মৃত্যু যে ঘটছে না-তা কেউ বলতে পারবে না। আবার ওই স্কুলে যে ভালো শিক্ষক নেই তাও নয়। প্রাথমিক স্তরে স্কুলগুলো ভালো নেই, নষ্ট হয়ে গেছে বা যাচ্ছে। হয়তো তা সরলভাবে বলাও যাবে না। নিশ্চয়ই ভালো শিক্ষক ভালো স্কুল আছে, শিক্ষাব্রতী মানুষও আছেন-কিন্তু তা নিতান্তই অল্প। এ নগণ্যর পরিমাণ কত-তা আমরা জানি। ঠিক চোখে পড়ার মতো নয়। মানুষের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা থাকতে পারে-শিক্ষকসুলভ মানুষের যে ধৈর্য ও সম্প্রীতি সেটাও কম হতে পারে-কিন্তু পেশা ও নেশাকে এক না করলে জাতি গঠনের মতো কঠিন কাজ সম্ভব নয়। আমরা খারাপটা কম দেখতে চাই (এখন যেটা খুব বেশি), আর ভালোটা (এখন যেটা চোখেই পড়ছে না) বেশি দেখতে চাই। কারণ, যে চ্যালেঞ্জের যুগে আমরা বাস করছি- সেটা মোকাবেলায় সুস্থ, সাবলীল, কর্মঠ, স্বপ্নশীল, মেধাবী প্রজন্ম দরকার। নইলে ভবিষ্যৎ কোনো কর্মসূচিই বাস্তবে আলোর মুখ দেখবে না।

শহীদ ইকবাল : অধ্যাপক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
[email protected]

 
Electronic Paper