ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

পুরুষ-রমণী কোনো ভেদাভেদ নেই

বঙ্গ রাখাল
🕐 ৪:২৩ অপরাহ্ণ, মে ২০, ২০২২

পুরুষ-রমণী কোনো ভেদাভেদ নেই

মাতৃভূমির অধিকাংশ মানুষই গ্রামে বাস করেন। এই গ্রামপ্রধান দেশকে চিরসবুজের দেশ বলা হয়। এ চিরসবুজ দেশে আবার কিছু কিছু সময় উদ্ভব হয় হলুদ ব্যাধির মতো কিছু ভয়ঙ্কর ব্যাধি। আমাদের সমাজ তথা দেশে যে ব্যাধিকে হলুদ ব্যাধি হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে সেটা হলো যৌন হয়রানি বা ইভটিজিং। সামাজিক পরিমণ্ডলে নারী ইভটিজিং, ধর্ষণ, এসিড সন্ত্রাস, যৌন হয়রানি, অপহরণ, পাচার হওয়াসহ নানাবিধ উপায়ে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। আমাদের দেশে একটা নারীও বলতে পারে না, ইভটিজিংয়ের শিকার হয়নি। নারীদের ঘর হতে শুরু করে প্রতিনিয়তই শিকার হতে হয় জঘন্য এই যৌন হয়রানির। ইভটিজিং না বলে একে সরাসরি যৌন হয়রানি বলাই যুক্তিযুক্ত।

ইভটিজিং বা যৌন হয়রানি কী? এটা হলো রাস্তাঘাটে কোনো নারীকে দেখে তাকে উদ্দেশ্য করে কোনো অশ্লীল বা অপ্রীতিকর কথাবার্তার বাণ ছুড়ে দেওয়া। আবার অনেক পুরুষ আছে যারা তাদের অঙ্গভঙ্গি দিয়ে কোনো নারীকে আকৃষ্ট করতে চায়। অনেকে রাস্তাঘাটে নারীর ওড়না ধরে টান দেয়; তার গায়ে হাত দেয়। আবার অনেক নারী তার আত্মীয়স্বজনের দ্বারাই এই যৌন নিপীড়নের শিকার। পারিবারিক পরিমণ্ডলে নারী স্বামীর বহু বিবাহ, পরকীয়া, যৌতুক আকাক্সক্ষা, তালাক, জোর-জবরদস্তিমূলক অত্যাচার, মৌখিক গালাগালি, সামাজিক যোগাযোগক্ষেত্র, সংকোচ করাসহ পুত্রসন্তান জন্ম দিতে না পারার কারণে দৈহিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।

ইভটিজিং করে থাকে সমাজের বখে যাওয়া সন্তানরা। আবার অনেকে আছে কাজ-কর্ম না পেয়ে পাড়ার মোড়ে আড্ডা দেয়। যখন তাদের সামনে দিয়ে কোন নারীকে যেতে দেখে, তখনও তারা ছুড়ে দেয় পিপাসিত মনের অশ্লীল কথাগুলো। যারা এ কাজগুলো করে তারা অধিকাংশই সমাজের বখে যাওয়া সন্তান। অনেক সন্তান আছে যারা এ খারাপ কাজগুলো করে থাকে। অনেক নারী এ বিষাক্ত বিষমাখা তীরে যন্ত্রণায় নিজের জীবন হারিয়েছে। কিন্তু তাদের পিতা-মাতা এসবের কিছুই জানতে পারে না। আবার সমাজের এমন পিতা-মাতাও আছে যারা সন্তানের খারাপ অভ্যাস জানতে পেরেও শাসন করেন না।

হয়তো তাদের প্রাণাধিক সন্তানটা কষ্ট পাবে তাই ভেবে! তারা মনে করেন একটা ছেলে একটা নারীকে কিছু বলতেই পারে। তাদের কাছে নারী, নারী বলেই মনে হয় না। তারা মনে করে নারীরা সমাজের অবাঞ্ছিত ভোগ্যপণ্য। তাদের ভোগ করা ব্যতীত তাদের দিয়ে কোনো কাজ নেই। নারীরা নানাভাবে এ যৌন হয়রানির শিকার হয়। বাসের কন্ডাক্টর, হেলপারগুলো কোনো কোনো নারীর গায়ে বগলে, নিতম্বে হাত দিয়ে চলতি গাড়িতে তোলেন। কেউ কোনো অপরিচিত নারীর সঙ্গে নানাভাবে ভাব গড়ার চেষ্টা করেন। বর্তমানে কোনো কোনো পুরুষ কোনো নারীর মোবাইল ফোন নম্বর জোগাড় করে কুরুচিপূর্ণ মেসেজ পাঠিয়ে থাকে। এসবভাবে পুরুষেরা নারীকে যৌন হয়রানির শিকার করে।

ইভটিজিংয়ের কারণে আমাদের দেশে বাল্য বিবাহের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। এ গ্রাম প্রধান দেশের অধিকাংশ মানুষই গরিব। এ গরিব মানুষগুলোর কাছে তাদের জীবনের চেয়েও তাদের সম্মানের দাম অনেক বেশি। তাই তো তারা এ খারাপ ব্যাধির হাত থেকে মেয়েদের রক্ষা করার জন্য অল্প বয়সেই তাদের পাত্রস্থ করেন। এবার ঈদেও বাড়িতে গিয়ে দেখলাম গ্রামসহ আশপাশে বাল্যবিবাহের ধুম পড়ে গেছে। মা-বাবা কিংবা অভিভাবকরা ভাবেন সসম্মানে মেয়েকে তার ঠিকানায় পাঠাতে পারলেই মাথার বোঝাটা হালকা হয়। সংশয়ে থাকবে নাইবা কেন?

পত্রিকা খুললেই আমরা প্রতিনিয়ত দেখতে পাই এক বিভীষিকাময় চিত্র। যে চিত্র দেখে আমাদের শরীর শিউরে ওঠে। গ্রাম-গঞ্জের শত শত নারী শিকার হচ্ছে এই ভয়াবহ ব্যাধিতে। কোনো কিশোরী কিংবা কোনো বয়স্ক নারীর নিশ্চয়তা নেই। প্রতিনিয়ত ধর্ষিত হয় এদেশের শত শত নারী। কত খারাপ, কত কুরুচিসম্পন্ন হলে একজন রিকশাচালক ঈদের দিন তার সন্তানতুল্য বালিকাকে চকলেট দেওয়ার নাম করে ধর্ষণ করতে পারে। কত নীচ হলে একটা মানুষ প্রাকৃতিক কাজে সাড়া দিতে যাওয়া একটা নারীকে ধরে গণধর্ষণ করতে পারে। কত বড় পশু হলে একজন বিবেক-বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ একজন পাগলীকে ধরে ধর্ষণ করতে পারে।

কত বড় পশু হলে একটা ৮ বছরের বালিকাকে ৪০ বছরের পুরুষ যৌন অত্যাচার চালাতে পারে। বাবা কর্তৃক মেয়ে, দাদা দ্বারা নাতনি ধর্ষিত হচ্ছে শত শত ঘরের কোণে। কেবল পরিণত বয়সের নারীই ধর্ষণ, গণধর্ষণের শিকার হচ্ছে না, শিশুরাও অবলীলায় ধর্ষিত হচ্ছে এবং তাদের নির্মমভাবে ধর্ষণ করা হচ্ছে। হত্যার পর লাশ গুম করা হচ্ছে এমনকি পুড়িয়ে ফেলাও হচ্ছে ধর্ষিতাদের লাশ। শুধু তাই নয়, আপত্তিকর ভিডিও করে ব্ল্যাকমেইল করা হচ্ছে নারীকে। সম্প্রতি সামাজিক অবক্ষয়ের এক দানবীয় রূপ নিয়ে আবির্ভূত হয়েছে নারী নির্যাতনের মতো ভয়াবহ দৃশ্যপট। কত ধর্ষণ, আর কত ধর্ষণ হলে এদেশের মানুষ বিভীষিকাময় কাজগুলো থামাতে পারে। এদেশের যে নারীটা পারত অনেক বড় কবি, অনেক বড় ডাক্তার, উকিল, রাষ্ট্রপতি হতে। সে আজ অত্যাচারী বখাটে পুরুষের শিকার হয়ে চার দেয়ালের মধ্যে বন্দি জীবন কাটায় কিংবা কিছু না বুঝে ওঠার আগেই অন্যের ঘরণী হয়ে ঘর সাজানোর কাজে মত্ত। সে মুখ দেখাতে ভয় পায়।

এভাবে আবদ্দ থাকতে থাকতে তার স্বপ্নগুলো ঝরে যায়। আমরা আমাদের দেশকে গলা টিপে হত্যা করছি সকাল-বিকাল। জনসংখ্যার দিক থেকে সমানে সমান হলেও নারীকে সর্বদা পিছিয়ে রাখার জোর তদবির চালাচ্ছি। নারীকে সঙ্গে না নিয়ে চললে দেশের উন্নতি কোনোদিন সম্ভব নয়। আমাদের দেশ বলেই নয়, পৃথিবীর কোনো দেশেই উন্নতি সম্ভব নয়। যে নারীটা মনে মনে লালন করত পৃথিবী জয় করার, সে আজ বখাটের শিকার হয়ে হাসপাতালের বেডে মৃত্যুর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টায় বারবার পরাজয় স্বীকার করে পাড়ি দিয়েছে অচিনপুরে। নারীরা আজ সর্ব জায়গা অবহেলিত, নিপীড়িত।

আমার মাকে দেখেছি বাঁদির মতো খাটতে, বোনকে দেখেছি কাজের ভারে চোখের জল ঝরাতে। নারীর কাজ কখনো শেষ হয় না। যতদিন নারীর মুক্তি হবে না ততদিন কোনো দেশই উন্নতির মুখ দেখবে না। নারী অত্যাচারের আইনটিও আজ নাজুক অবস্থায় পড়ে রয়েছে। রাষ্ট্রের কাছে আমাদের প্রশ্ন, তারা কি কঠোর আইন প্রয়োগ করছে অত্যাচারীর উপর? তারা যদি কঠোর আইন প্রয়োগ করেই থাকে, তাহলে কেন, এত নারীকে জীবন বিসর্জন দিতে হচ্ছে? নারীকে কেন ভোগ্যপণ্য ভেবে ভোগ করা হচ্ছে হিংস্র হায়নার মতো? শুধু কি তাই! ভোগের পরে টুকরো টুকরো করে ফেলে দেওয়া হচ্ছে আবর্জনার স্তূপে।

কেন তাদের সোনার মুখকে বলি দিতে হচ্ছে কোনো বখাটের এসিডের কাছে। আমাদের দেশের নারীরা শুধু বখাটের কাছেই তাদের সম্ভ্রমকে বিসর্জন দিচ্ছে না, অনেক স্কুল কলেজের শিক্ষকরাও ছাত্রীদের ধর্ষণ করার প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছে। প্রতিনিয়ত ধর্ষিত হচ্ছে এদেশের নারীরা। এদেশের বিবেক যে সব শিক্ষক তাদের লোলুপ দৃষ্টির শিকার হয়েছে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিষ্পাপ মেয়েরা। কিছুদিন আগে পত্রিকায় দেখলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের দ্বারা এক ছাত্রী যৌনতার শিকার হয়েছে। যে সব বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশের প্রাণকেন্দ্র বলা হয়।

আজ সে সব জায়গা থেকেই নারীরা বেশি লাঞ্ছিত হচ্ছে। যৌতুকের বলিও হচ্ছে নারীসমাজ। কিছুদিন আগে দেখলাম যৌতুক দিতে পারেনি বলে স্ত্রীকে তার স্বামী বিড়ির আগুন দিয়ে সমস্ত শরীর পুড়িয়ে দিয়েছে। কতটা হিংস্র হলে এমন কাজগুলো করা যায়। দেশের আইন প্রয়োগের মধ্যে বড় ধরনের ফাঁকি আছে কি না তা নিয়ে আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে? যদি আমাদের আইন মজবুতই হয় তবে কেমন করে এদেশে ধর্ষণ হয়? কেমন করে যৌতুকের অভাবে জীবন দিতে হয় নারীদের? নারীরা স্বপ্ন দেখে স্বামীর ঘরের, স্বপ্ন দেখে মনের মতো দেবতুল্য স্বামীর। কিন্তু সে বারবার স্বামীর ঘরে গিয়ে শোষিত হয়। ভেঙে খানখান হয় তার স্বপ্ন। স্বপ্ন নিয়ে স্বামীর বাড়ি প্রবেশ করলেও মেয়েদের বাবার বাড়িতে ফিরতে হয় লাশ হয়ে, যৌতুকের বলি হয়ে। আর কত ভানুমতি, রহিমা, ফাতেমা খদিজাকে জীবন বিসর্জন দিতে হবে এদেশে। এদেশের স্বাধীন পরিবেশে যে নারীটা বেঁচে থাকতে চেয়েছিল একটি পুরুষের সঙ্গী ও বন্ধু হয়ে। আজ তাকে বাঁচতে হয় পুরুষের দাসী, চাকরানী হয়ে।

যে নারীটা স্বাধীনতার সময় পুরুষকে প্রেরণা দিয়ে স্বাধীনতার গতিতে সামনের দিকে নিয়ে গিয়েছিল, যে নারীটা তৃষ্ণারত মুক্তিযোদ্ধাকে খাদ্য, পানির জোগান দিয়েছিল। যে নারী তার সন্তানকে পাকবাহিনীর হাতে দিয়ে এক বীর সৈনিককে বাঁচিয়েছিল, যে নারী তার ইজ্জত দিয়ে দেশকে কলঙ্কমুক্ত করল, যে নারী তার রক্ত দিয়ে দেশের মাটিকে পবিত্র করল, যে নারী তার স্বামীর লাশ দিয়ে দেশের মানচিত্র আনল, সেই নারীকে আজ আমরা স্বাধীন দেশে ধর্ষণ করছি। মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে যেমন করে পাক বাহিনী এদেশের নারীদের তাদের গনিমতের মাল হিসেবে গণধর্ষণ করত। হায়নার মতো খামছে দিত তাদের বুক-মুখ-শরীর।

হে নারী, তুমি আর কত অত্যাচার সহ্য করবে? তুমি কি জাগবে না? তোমাকে জাগতে হবে, তোমাকে সংগ্রাম করতে হবে। অন্যায়, অত্যাচারী শয়তান, বেজন্মাদের বিরুদ্ধে। হে নারী, তোমার জন্যই তো পৃথিবী সুন্দর, তোমার জন্যই তো ধরণী ফলবতী হয়। তোমার জন্যই তো নদী বয়ে যায়, কবি কবিতা লেখে, সকালে পাখি গান গেয়ে যায়। তোমার জন্যই তো ফুল ফোটে, আকাশে চাঁদ উঠে। তোমার রূপেই তো তারা জ্বলে। হে নারী, তুমি ৭১-এর প্রেরণা দিয়েছ, আশা দিয়েছ, গানের সুরে জাগিয়েছ সংগ্রামের সহস্র হাজার জয় জয়কার। যে নারী আমাদের জন্য এত করল আমরা কি তাদের দিকে সদয় হতে পারি না? আমরা কি নারীদের প্রতি একটু সহানুভব কিংবা মায়ার চোখে তাকাতে পারি না?

তাদের প্রতি করুণা না করে বন্ধু ভেবে সঙ্গে নিয়ে চলতে পারি না? আর কত নারীকে বিসর্জন দিতে হবে তার জীবনকে? আর কত নারীকে তার জীবন দিয়ে সম্ভ্রম রক্ষা করতে হবে? একটা নারী যখন তোমার দিকে সহায়তা পাওয়ার জন্য করুণ দৃষ্টিতে তাকায়, তোমাদের কি কখনো মায়া-মমতা হয় না? হে পুরুষ! তুমি কি তাদের ন্যায্য পাওনা দেবে না? আমরা কি তাদের মানুষ হিসেবে ভালোবেসে বুকে টেনে নিতে পারি না! নাকি তাদের বলি দেওয়াতে আমাদের পরম শান্তি। নাকি তাদের ধর্ষণে আমাদের তৃপ্তি? তাদের ধর্ষণে আমাদের তৃপ্তি হলে, একদিন নারী শেষ হয়ে যাবে ধর্ষিত হতে হতে, তখন আমাদের যৌন ক্ষুধা মেটানোর জন্য হয় তো বা নারীকে না পেয়ে পুরুকেই ধর্ষণ করতে হবে। পুরুষ দ্বারাই পুরুষ ধর্ষিত হবে। পুরুষ দ্বারা পুরুষ লাঞ্ছিত হবে। পুরুষ দ্বারাই পুরুষ যৌতুকের শিকার হবে। এমন ধর্ষিত হতে হতে একদিন ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল ধর্ষিত হবে।

যেদিকে তাকায় সেদিকেই ধর্ষিত আর ধর্ষক। কী মাতোয়ারা হয়ে ধর্ষক ছুটছে ধর্ষিতার দিকে। এ কোন বাংলাদেশ? স্বাধীনতার সেই বাংলাদেশ? নাকি অন্য কোনো বাংলাদেশ। এখনই সচেতন হতে হবে আমাদের। নারীকে দিতে হবে তার ন্যায্য অধিকার। তাদের প্রতি সদয় হতে হবে। তবেই আমাদের উন্নতি হবে মিলবে মুক্তি। এক পা নিয়ে যেমন মানুষ বেশি দূরে যেতে পারে না। মানুষকে অনেক দূরের পথে পাড়ি জমাতে হলে দুই পা নিয়েই আগাতে হয়। একজনের পক্ষে কোনোকিছু করা সম্ভব নয়। নারীদের সঙ্গী করেই আমাদের হাঁটতে হবে পথ তবেই মঙ্গল। তখনই সবার কণ্ঠে সুর হয়ে বাজবে সবার প্রতি সবার ভালোবাসা। তখন থাকবে না নারী পুরুষের ভেদাভেদ। থাকবে না নারীর উপর পুরুষের আধিপত্য। তবেই মর্ত্যে স্বর্গ নেমে আসবে। আমরা সবাই তখন সমকণ্ঠে; গাইব এসো/ সাম্যের গান গাই/ আমাদের চক্ষে পুরুষ-রমণী কোনো ভেদাভেদ নাই।/ বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর/ অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর...।

বঙ্গ রাখাল : কবি ও ছোটকাগজ সম্পাদক

 
Electronic Paper