ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

শিক্ষিকা থেকে উদ্যোক্তা হাজেরা

খোলা কাগজ ডেস্ক
🕐 ১:০৩ অপরাহ্ণ, মার্চ ০৯, ২০২২

শিক্ষিকা থেকে উদ্যোক্তা হাজেরা

হাজেরা তুল কোবরা সুইটি। আবুজর গিফারী কলেজে ৭ বছর ধরে শিক্ষিকতা করছেন। তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি উদ্যোক্তাও হয়েছেন। ২০১৪ সাল থেকে উদ্যোক্তা হওয়ার ইচ্ছা থাকলে কোভিড পরবর্তী সময়ে ২০২০ সারের জুলাই মাস থেকে অনলাইন প্ল্যাটফম ব্যবহার করে হোম মেইড খাবার নিয়ে কাজ শুরু করেন। প্রথমে নানা সমালোচনার মুখে পড়লেও কোন বাধায় তাকে আটকাতে পারেনি। সব বাধা পেরিয়ে উদ্যোক্তা জীবনে এগিয়ে গেছেন হাজের তুল কোবরা।

হাজেরার পৈতৃক বাড়ি নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার লেবুতলা ইউনিয়নে। বর্তমানে তিনি রাজধানীর ঢাকার সিদ্বেশরী এলাকায় বসবাস করছেন। তিনি ঢাকার ডেমরা কোনাপাড়া শামসুক হক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি, ঢাকা সিটি কলেজ এইচএসসি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স-মাস্টার্স শেষ করেছেন। এই উদ্যোক্তার শিক্ষার্থীদের জন্য রেমনন্টেশ্বরী নামের একটি আধুনিক মানের প্রতি স্কুলও রয়েছে। যার পরিচালক হাজেরা তুল কুবরা।

তিনি খোলা কাগজের একান্ত সাক্ষাৎকারে হাজেরা জানান, উদ্যোক্তার শুরু হওয়ার প্রথম দিকে কোন অর্ডার পাইনি। তখন আমাকে অনুপ্রেরণা দেওয়ার মতো কোন মানুষ ছিল না। ২০২০ সালের আগষ্ট মাসের ১৬ তারিখে হঠাৎ একদিন এক ক্রেতা ফোন দিয়ে পিঠা নিতে চাইলো। তখন আমার কাছে বেশ আনন্দ লাগছিল। মনে মনে বলছিলাম, বেশ ভালই হলো। তখন মনে হয়েছিল-উদ্যোক্তা জীবন থেকে ইনকাম হয়েছে। আর সেটা আমার জন্য অনেক সম্মানের ছিল। প্রথম অর্ডার থেকে কত টাকা আয় হয়েছিল এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানালেন, তখন পুরো টাকা পরিবারের কাজে লাগিয়েছিলাম। উদ্যোক্তা শুরুর প্রথম মাসে আমার চারটি অর্ডার হয়েছিল। বর্তমানে আমার মাসিক আয় গড়ে প্রায় ২৫ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। ফেব্রুয়ারিতে ও বৃদ্ধি পাবে আশা করছি।

পারিবারিক সহযোগিতার কথা উল্লেখ্য করে হাজেরা তুল কোবরা আরও জানান, উদ্যোক্তা জীবনে পরিবার থেকে কোন চাপ আসেনি। একটা মেয়ে সবচেয়ে বড় আত্মবিশ্বাসের জায়গা তার পরিবার। সে জায়গা থেকে বিশেষ করে আমাকে সবধরণের সহযোগিতা করে আমার স্বামী।

হাজেরা তুল কোবরা জানান, আমার স্বভাবত ব্যস্ত থাকতে ভাল লাগে। করোনাকালীন সময়ে হাতে কোনো কাজ ছিলে না। শুরুতে অনেক উপন্যাস পড়েছি, নাটক দেখছি ইউটিউবে, কোরআনের বাংলা অনুবাদ খতম করেছি। বন্ধুদের সঙ্গে অনলাইন আড্ডা দিয়েছি। লুডু খেলেও দিন পার করতাম। এসবে আমার মোটেও ভালো লাগতো না। তখন হাতে তেমন টাকাও থাকতো না। যেটা আমার ভালো লাগেনি। ইউটিউবে একজন মোটিভেশনাল স্পীকারের কথা শুনে শিক্ষকতার পাশাপাশি ভাবছিলাম কিছু একটায় নিয়োজিত হবো। তবে বিনিয়োগ না করে। তখন মাথায় এলো আমি তো রান্না করতে পারি, আমার একটা পেইজ ও ছিল, সেই থেকে উদ্যোক্তা জীবন শুরু হলো আমার। বর্তমানে এ সময়টা খুব ভালোই কাটছে। তবে বেশ চ্যালেঞ্জিং আর আমিও এমন কাজ করতে পছন্দ করি। কারণ আমি ব্যস্ততা খুব উপভোগ করি।

 
Electronic Paper