ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ডিআইজি প্রিজনস পার্থ গোপালের ৮ বছর কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৪:৪৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ০৯, ২০২২

ডিআইজি প্রিজনস পার্থ গোপালের ৮ বছর কারাদণ্ড

ঘুসগ্রহণ ও মানি লন্ডারিং (অর্থপাচার) আইনের মামলায় সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজনস) পার্থ গোপাল বণিকের ৮ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় দেন।

রায় ঘোষণার সময় সাবেক ডিআইজি প্রিজন্স পার্থ আদালতে উপস্থিততে ছিলেন। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

এর আগে সকাল ৯টার পর ডিআইজি প্রিজন্স পার্থকে প্রিজন ভ্যানে করে আদালতে আনা হয়। প্রথমে তাকে মহানগর দায়রা আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। পরে নেওয়া হয় এজলাস কক্ষে। এর কিছুক্ষণ পর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিচারক রায় পড়া শুরু করেন।

গত ২৭ ডিসেম্বর দুদক এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন আদালত।

এর আগে গত ২৪ নভেম্বর মামলাটিতে আত্মপক্ষ শুনানিতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন ডিআইজি পার্থ। তার আগে গত ১৬ নভেম্বর মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। চার্জশিটভুক্ত ১৪ সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।

২০১৯ সালের ২৮ জুলাই কারাগারে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পার্থ গোপাল বণিককে জিজ্ঞাসাবাদ করার এক পর্যায়ে অভিযানে যায় দুদক। বিকেলে ধানমন্ডির ভূতের গলিতে পার্থ গোপালের ফ্ল্যাট থেকে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার করে দুদক। এর পরই তাকে আটক করা হয়।

পরদিন ২৯ জুলাই তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪ (২) ধারায় দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলা দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, বরখাস্ত হওয়া কারা উপ-মহাপরিদর্শক পার্থ গোপাল বণিক সরকারি চাকরিতে দায়িত্ব পালনের সময় ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে ৮০ লাখ টাকা অবৈধভাবে অর্জন করেন।

এসব টাকা গোপন করে তার নামীয় কোনো ব্যাংক হিসাবে জমা না রেখে বিদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে নিজ বাসস্থানে লুকিয়ে রেখে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারা, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

 
Electronic Paper