ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

সাতক্ষীরায় পতিত জমিতে বোরো আবাদ বেড়েছে

ইব্রাহিম খলিল, সাতক্ষীরা
🕐 ৭:১৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ০৯, ২০১৮

লবণাক্ত ও জলাবদ্ধতার কারণে সাতক্ষীরায় প্রকৃত কৃষি জমি কমে গেছে। তারপরও গত বছরের তুলনায় চলতি বছর বোরো আবাদের লক্ষমাত্রা ছাড়িয়েছে। জলাবদ্ধ ও অনাবাদি জমিতে বোরো আবাদ করে জমির পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে বলে দাবি করে কৃষি বিভাগ।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় চলতি অর্থবছর ২০১৭-১৮ সালে বোরো আবাদ হয়েছে ৭৬ হাজার ৩৪৫ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন হয়েছিল ৩ লক্ষ ৮ হাজার ৭৪২ টন ধান। তবে কৃষি অফিস বলছে, সুষ্ঠুভাবে ফসল ঘরে তুলতে পারলে ৭ লক্ষ ৩০ হাজার ৪২০ টন ধান উৎপাদন সম্ভব। এর আগে ২০১৬-১৭ সালে আবাদ হয়েছিল ৭৪ হাজার ৪৩০ হেক্টর, ২০১৫-১৬ সালে ৭৩ হাজার ৩৪৫ হেক্টর, ২০১৪-১৬ সালে ৭৪ হাজার ২৮৫ হেক্টর, ২০১৩-১৪ সালে ৭৩ হাজার ৮৩০ হেক্টর, ২০১১-১২ সালে ৭৩ হাজার ৯৮৫ হেক্টর ও ২০১০-০৯ সালে ৭০ হাজার ২৬০ হেক্টর জমিতে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলতি মৌসুমে সাতক্ষীরা সদরে ২৩ হাজার ৯২৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে লোনা পানির প্রভাবে এবারও বোরো চাষের আওতায় আনা হয়েছে শ্যামনগরে ২ হাজার ১০০ হেক্টর জমি। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কৃষক আমিনুর রহমান আলম জানান, তিনি এবার পাঁচবিঘা জমিতে বোরো আবাদ করেছেন। কিছুদিন পরে ধান কাটা শুরু হবে। তাছাড়া  আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে তিনি বিঘাপ্রতি ১৮ থেকে ২০ মণ ধান পাবেন। সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলাম জানান, এখন পর্যন্ত ভালো ফলনের আশা করছি। তবে এবার ধানের বিক্রয় বাজার যদি ভালো না থাকে তবে কৃষক অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাজী আব্দুল মান্নান জানান, জেলায় এখানো পর্যন্ত বোরো ধানের ভালো ফলন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আকাশে মেঘ দেখে একটু চিন্তিত। তবে সুষ্ঠুভাবে কৃষকের ঘরে ধান উঠলে আমাদের লক্ষমাত্রা অর্জিত হবে। এ সময় কৃষি জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জেলায় কৃষি ও কৃষি জমির পরিমাণ একদিকে কমলেও অন্যদিকে বাড়ছে।

 
Electronic Paper