টিং টিনিং টিনিং
মাছি ইস কলিং।
ফোন ধরলো মশা।
-কি রে মাছি। ফোন দিছস কিল্লাই?
-আব্বে! মশা, কিডা করস?
-এই তো মনের সুখে রক্ত খাচ্ছিলাম। তুই হালা ফোন করে বাধা দিলি। ফাউল একটা। আব্বে! তুই কিডা করস?
-আর বলিস না। গোয়ালে থাইকা থাইকা শরীরের বেহাল দশা। গরুদের রক্ত খাইতে গেলে হালারা লেজ দিয়ে গুঁতা মারে। দিন তো তোগোরেই ভালা যায়।
-আর ভালা। হালা মানুষেরা আমগো মারার জন্য নানারকম যন্ত্র আবিষ্কার করেছে। আর মানুষের রক্ত। হালারা যে কী খায়। হালাদের রক্ত খেয়ে আব্বা মৃত্যুশয্যায়। আম্মার মুখ দিয়ে কথাই বের হয় না। ভাইডা তো পঙ্গু হয়ে বিছানায় পড়ে আছে। এর থেকে তো গরুর রক্ত খাওয়াই ভালা।
-তাইলে এবার গরুর রক্ত খাওয়া শুরু করবি নাকি? হা হা হা।
-আব্বে! গরুর রক্ত খাওয়া তোগো কাজ। আমগো কী তোগো মতো নোংরা নাকি, আমগো জাত ম্যালা উন্নত। মানুষের রক্ত খাওয়া আমগো মৌলিক অধিকার।
-আব্বে! মশা, তুই আমগো জাতিকে কটাক্ষ করলি। যা তোর লগে আর কথাই কমু না।
এই বলে মাছি ফোন কেটে দিল। টুট! টুট! টুট!
-যা হালা! ফোন কাইটা দিলো!