কুয়েতে পাপুলের ৭ বছরের কারাদণ্ড
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৮:৩২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৮, ২০২১
অর্থ ও মানবপাচারের মামলায় বাংলাদেশের সাবেক এমপি শহিদ ইসলাম পাপুলের সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন কুয়েতের সর্বোচ্চ আদালত।
আজ রোববার দেশটির কোর্ট অব ক্যাসেশন এই রায় দিয়েছে বলে জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।
কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে দেওয়া ২৭ লাখ কুয়েতি দিনারের (প্রায় সাড়ে ৭৬ কোটি টাকা) অর্থদণ্ডও বহাল রেখেছে আদালত।
রায়ে বলা হয়েছে, সাজাভোগের পর কুয়েত থেকে দেশে ফেরত পাঠাতে হবে পাপুলকে।
এর আগে ঘুষ লেনদেন ও অর্থ পাচারের দায়ে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়েছে। এর পাশাপাশি তাকে ২০ লাখ কুয়েতি দিনার জরিমানাও করা হয়েছে।
মানব ও অর্থ পাচারের অভিযোগে পাপুলকে গত বছরের ৬ জুন রাতে তার কুয়েত সিটির বাসা থেকে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা আটক করেন।
জানা যায়, শুরু থেকেই পাপুলের বিরুদ্ধে মানব পাচারের পাশাপাশি মুদ্রা পাচারের অভিযোগ ছিল। এমনকি কুয়েতে শহিদ ইসলামের বাড়ির গ্যারেজে রাখা গাড়ি ও তার প্রতিষ্ঠানে তল্লাশি চালিয়ে চেক-সহ আর্থিক লেনদেনের বেশ কিছু প্রমাণ পান দেশটির গোয়েন্দারা।
কুয়েতে কারাদণ্ডাদেশের পর সংসদ সদস্য পদ হারান তিনি।
১৯৮৯ সালে একটি প্রতিষ্ঠানের সুপারভাইজার (শ্রমিকদের তত্ত্বাবধায়ক) হিসেবে চাকরি নিয়ে কুয়েত যান পাপুল। তখন তিনি ছিলেন অনেকটা নিঃস্ব। ১৯৯০ সালে ইরাকের কুয়েত দখলের কারণে তিনি দেশে ফিরে আসেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার কুয়েতে যান শহিদ।