ভালুকায় আমন ধানের বাম্পার ফলন, কৃষকের ঘরে আনন্দ
ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
🕐 ৮:১১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৭, ২০২১
আমন ধানের সোঁদা গন্ধে গ্রামের সবুজ মাঠ এখন পাকা ধানে ভরপুর। কৃষকের উঠান-মাঠে এখন সোনা রাঙা শাইল ধানে গড়াগড়ি খাচ্ছে মাঠে মাঠে, চলছে ধান কাটার মহোৎসব। বাড়ীর আঙিনায় নতুন ধান মহাব্যস্ততায় দিন কাটছে কৃষকের, দম ফেলার সময় নেই।
একদিকে ধান কাটা হচ্ছে, অপর দিকে সেই ধান মাড়াই করা হচ্ছে। এমন চিত্র দেখা গেছে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার রাজৈ, পারুলদিয়া, হবিরবাড়ী, মনোহরপুর, ধীতপুর, বাদেপুরুড়া, কাশরসহ বিভিন্ন এলাকায়।
উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, আমন ধান মাড়াইয়ের কাজে মহাব্যস্ততায় দিন কাটছে কৃষকের, কেউ কাটছেন, কেউবা আঁটি বাঁধছেন। পরে মাথায় করে নিয়ে কেউ উঠানে কিংবা গ্রামের পাকা সড়কে ধান মাড়াই করে শুকিয়ে নিচ্ছেন। সড়কগুলোই যেন হয়ে উঠেছে ধান মাড়াইয়ের উপযুক্ত স্থান। মূলত বৃষ্টিনির্ভর আমন ধান, পর্যাপ্ত বৃষ্টি হলে ফলন ভালো হয়।
কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এইবার পর্যাপ্ত বৃষ্টি হওয়ায় ফলন ভালো হয়েছে। ভালো ফলনে কৃষকের মুখে ফুটেছে তৃপ্তীর হাসি। হাটে-বাজারে ধানের দামও ভালো। উৎসাহ আর তৃপ্তীর আমেজে চলছে কৃষকের ধান মাড়াইয়ের কাজ। হিসাব কষে এবার লাভের কথাই বলছেন তারা।
গ্রামে গ্রামে নবান্নের আনন্দে নতুন ধান ঘরে তুলতে কৃষক-কৃষানিরা দম ফেলার সময় নেই। নতুন ধান বেচে ছেলেমেয়ে ও স্ত্রীর জন্য শীতের কাপড় কিনবেন এমন কথাও বলছেন কৃষকগণ। এবার চালের বাজার চড়া থাকায় ধানের দাম বেড়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় গেল বছরের মতো এবার লোকসানের আশঙ্কা নেই। উপজেলার হবিরবাড়ী গ্রামের কৃষক রমজান আলী বলেন, গেল বছরের চেয়ে এবছর ফলন ভালো হয়েছে পাশাপাশি ধানের বাজারও চাঙ্গা তাই লাভ হবে বলে আশাবাদী।
উপ-সহকারী কৃষি অফিসার সাইদুল ইসলাম জানান, এবার 'ব্রি-৪৯', 'ব্রি-৫১', 'রনজিত', আগেভাগে পেকেছে মোটা জাতের ধানগুলো পাকতে আরও সপ্তাহ খানেক লাগবে। এবার প্রতি একরে ফলন হয়েছে ৫০-৫৫ মন। সরকারি বাজার মুল্য ১০৮০ টাকা মন থাকলেও বিভিন্ন ঝামেলার কারণে এলাকায় ৯৫০-১০০০ টাকা দরে বিক্রি করছে, তবে কৃষি বান্ধব সরকারের নানা মূখী উদ্যোগের কারণে কৃষকগণের বোরো ধান চাষে আগ্রহী বাড়ছে।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বুলবুল আহাম্মদ জানান,সরকার সঠিক সময়ে ধানের বাজার মূল্য ঘোষণা করেছে। সরকার আমন ধানের বাজার মুল্য ১০৮০ টাকা নির্ধারিত করেছে আমরা সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে কারও মাধ্যম ছাড়াই ধান সংগ্রহ করবো। এতে কৃষকরা তাদের ঘাম ঝরানো ফসলের ন্যায্য মূল্য পাবে।