ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ইনিংস লম্বা হলো না

৩৩০ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক
🕐 ১:০৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৭, ২০২১

৩৩০ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ

চট্টগ্রাম টেস্টের ১ম দিনের শুরুটা যেমনটা হয়েছিল ঠিক যেন জেরক্স কপিরই দেখা মিলল ২য় দিনের শুরুটা। পর্যন্ত মধ্যাহ্ন বিরতির আগেই ৩৩০ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত উইকেট আকড়ে ধরে রেখেছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ।

 

এর আগে বাংলাদেশ ৪ উইকেট হারিয়ে ২৫৩ রান তুলে ১ম দিন শেষ করে। আশা ছিল ২য় দিনের শুরুটাও দুর্দান্তই করবে বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় দিনের মধ্যাহ্ন বিরতির আগেই মাত্র ৭৭ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

১ম দিন শেষে হাসান আলী বলেছিলেন ২য় দিনের শুরুতেই উইকেট নিতে চান তারা। আর সেটাই করে দেখালেন হাসান আলী। দিনের ২য় ওভারেই উইকেট পেল পাকিস্তান। এলবিডব্লিউর সফল রিভিউয়ে লিটন দাসকে ফিরিয়ে ভাঙল ২০৬ রানের জুটি।

দিনের ১ম ওভারটি করেন নুমান আলি। পরের ওভারে বল হাত পান হাসান। ৮৭তম ওভারের প্রথম বলটি করলেন ব্যাক অব লেংথ সিক্স স্টাম্প লাইনে, গতি ঘণ্টায় ১৩২ কিলোমিটার। দ্বিতীয় বলটির গতিও এক, লেংথ বল করলেন আউটসাইড অফে। শর্ট অব লেংথে পরের বলটাও প্রায় একই গতিতে। চার নম্বর বলেও একই গতি।

যদিও প্রথমে আম্পায়ার আউট না দিলে রিভিউ নেন অধিনায়ক বাবর আজম। বল ট্র্যা্কিংয়ে দেখা যায়, লেগ স্টাম্পের উপরের দিকে লাগত বল। এতেই ২৩৩ বলে ১১ চার ও এক ছক্কায় ১১৪ রান করে ফিরলেন লিটন। আগের দিনের রানের সঙ্গে কেবল একটি সিঙ্গেল যোগ করতে পারেন তিনি। ২৫৫ রানে বাংলাদেশ হারাল ৫ম উইকেট।

স্টাম্পে বল রাখা হাসান আলি বেশি ভোগাচ্ছেন বাংলাদেশের ব্যা টারদের। তার সুইংয়ের জন্যর প্রায়ই বলের লাইনে যেতে পারছিলেন না ইয়াসির। সেটাই কাল হয় তার জন্যজ। ব্যা টের কানা এড়িয়ে উপড়ে ফেলে তার স্টাম্প। ২৬৭ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ।

এরপর মুশফিকুর রহিমের সামনে ছিল রেকর্ড গড়ার সুযোগ। ৯১ রানের সঙ্গে আর একটি রান যোগ করতে পারেলেই তামিম ইকবালের সঙ্গে যৌথভাবে বনে যেতেন টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। তবে দ্বিতীয় দিন যেতে পারলেন না বেশিদূর। ৮২ রান নিয়ে শুরু করা মুশফিক থামলেন ৯১ রানে।

বাংলাদেশকে ভোগানো হাসান আলির জায়গায় আক্রমণে এসে মুশফিককে কট বিহাইন্ড করে থামান ফাহিম আশরাফ। আম্পায়ার আউট দিলে রিভিউ নেন এই মিডল অর্ডার ব্যাাটার। তবে বল ব্যা ট পেরিয়ে যাওয়ার সময় ও ব্যাইট তার প্যা ডে লাগার সময় একই হওয়ায় নিশ্চিত বোঝার উপায় ছিল না, শব্দের উৎস কি। আম্পায়ার আউট দেওয়ায় ফিরে যেতে হয় মুশফিককে। মুশফিক ২২৫ বল ৯১ রানের ইনিংসে ছিল ১১টি চার।

মুশফিক ফিরলে উইকেটে আসেন তাইজুল ইসলাম। তাকে সঙ্গে নিয়েই দলীয় সংগ্রহ ৩০০ পার করেন মেহেদি হাসান মিরাজ। তবে আফ্রিদির বলে তাইজুল (১১) কট বিহাইন্ড হয়ে ফিরলে ৮ম উইকেটের পতন ঘটে বাংলাদেশের। এরপর ৯ম উইকেটে আবু জায়েদ রাহীকে সঙ্গে নিয়ে দ্রুত ব্যাটা চালাতে থাকেন মিরাজ। কিন্তু ১১৫তম ওভারে হাসান আলীর দুর্দান্ত বোলিংয়ে রাহী (৮) এবং এবাদত (০) তে ফিরলে বাংলাদেশ অলআউট হয় ৩৩০ রানে। উইকেটের অপরপ্রান্তে মেহেদি হাসান মিরাজ অপরাজিত থাকেন ৩৩০ রানে।

পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ পাঁচটি উইকেট নেন হাসান আলী। দুটি করে উইকেট নেন শাহিন শাহ আফ্রিদি এবং ফাহিম আশরাফ। আর একটি উইকেট নেন সাজিদ খান।

সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড
বাংলাদেশ: ৩৩০/১০; (সাইফ হাসান ১৪, সাদমান ইসলাম ১৪, মুমিনুল ৬, শান্ত ১৪, লিটন ১১৪, ইয়াসির ৪, মুশফিক ৯১, তাইজুল ১১, রাহী ৮, এবাদত ০ এবং মিরাজ ৩৮*); (আফ্রিদি ২৭-৮-৭০-২, হাসান আলী ২০.৪-৫-৫১-৫, ফাহিফ-১৪-২-৫৪-২, সাজিদ-২৭-৫-৭৯-১, নুমান-২৬-৬-৬২-০)।

 
Electronic Paper