চরাঞ্চলে আশার আলো দেখছে হাইব্রিড মরিচ উৎপাদনে
নূর হোসেন রেইন, সাঘাটা (গাইবান্ধা)
🕐 ১২:৪৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৪, ২০২১
গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলা যমুনা নদীবেষ্টিত হওয়ায় এখানকার চরাঞ্চলের চাষিরা বরাবরই স্থানীয় পদ্ধতিতে দেশিয় জাতের মরিচ উৎপাদন করে ভাগ্য বদলের চেষ্টায় থাকেন। উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারের সুযোগ না থাকা এবং প্রশিক্ষণ ও সার্বিক সহযোগিতা না থাকায় এই এলাকার মরিচ চাষীরা হতাশাগ্রস্ত।
ঠিক এমন সময় দেশের মরিচের ঘাটতি পূরণ ও চরাঞ্চলের কৃষকদের মরিচ চাষে উৎস যোগাতে গাইবান্ধার স্থানীয় আমদানি ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স আরিফ ট্রেডার্স নিজস্ব অর্থায়নে উন্নত প্রযুক্তির হাইব্রিড মরিচ উৎপাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করে।
জানা গেছে, মেসার্স আরিফ ট্রেডার্স এর এগ্রো প্রকল্পের অভিজ্ঞ কর্মকর্তারা চরাঞ্চলে যমুনার পানি নেমে যাওয়ার অপেক্ষার প্রহর গুনতে থাকেন। পানি নেমে যাওয়া মাত্র চরের উর্বর মাটিতে পা ফেলেন তারা। শুরুতেই পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়নে মরিচ চাষের জন্য ৮০ বিঘা জমি লিজ গ্রহণ করা হয়।
যমুনা নদীর পানি নেমে যাওয়া মাত্রই জেগে ওঠা জমিতে মরিচ চাষের প্রস্তুতির কাজ শুরু করে দেন তারা। উর্বর এ জমিতে হালকা ভাবে চাষ দেওয়া হয়। এরপর মরিচের বীজ রোপণ করা হয়। পরবর্তীতে ধারাবাহিক ভাবে নিড়ানি, সামান্য সেচ ও সার দিতে হয় মরিচের ক্ষেতে। মূলত পরিচর্যাটা করাই আসল কাজ। মোটামুটি তিন মাস অতিবাহিত হওয়ার পর থেকেই ক্ষেত থেকে মরিচ উঠানো শুরু করা হয়।
প্রতি বিঘা জমির বিপরীতে মেসার্স আরিফ ট্রেডার্স কে প্রায় ১৯ থেকে ২২ হাজার টাকা ব্যয় করতে হয়েছে। উর্বর মাটিতে ৮০ বিঘা বিশাল এলাকাজুড়ে চাষ করা হয় হাইব্রিড জাতের মরিচ। টানা ৩ থেকে ৪ মাস চরাঞ্চলে মেসার্স আরিফ ট্রেডার্স এর কর্মকর্তারা মরিচ চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। উর্বর মাটির কারণে চরের জমিতে মরিচের ফলন ভালো হয়। আর চরের মরিচ গুনে মানে স্বাদেও অতুলনীয়। সারাদেশেই চরের মরিচের চাহিদা রয়েছে আলাদা।
সবমিলে চরের লাল টুকটুকে মরিচের খ্যাতি দেশজুড়ে বললেও তেমন একটা বাড়তি বলা হবে না। মেসার্স আরিফ ট্রেডার্স এর উদ্যোগে প্রায় প্রতিদিনই স্থানীয় কৃষকদের উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড জাতের মরিচ উৎপাদনে উৎস প্রদান করা হচ্ছে। এই বছর মেসার্স আরিফ ট্রেডার্স কতৃক ৮০ বিঘা জমি তে ১৯ লক্ষ ২০ হাজার কেজি উন্নত মানের হাইব্রিড জাতের মরিচ উৎপাদনের লক্ষ মাত্রা নিধারণ করা হয়েছে।