মার্কিন চিকিৎসকরা বলেছেন, শূকরের একটি জিন পাল্টে দিয়েছিলেন তারা। পরে পরিবর্তিত জিনে নতুন শূকরের জন্ম দিয়ে সেটি বড় করে তোলেন। এরপর সেই শূকরের কিডনি মানবদেহে প্রতিস্থাপন করে দেখতে পান সেটি স্বাভাবিকভাবেই কাজ করছে।
নিউ ইয়র্কে যে মহিলার দেহে ওই কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে আগে থেকে তাঁর ‘ব্রেইড ডেড’ ছিল। লাইফ সাপোর্টে থাকা ওই মহিলার কিডনিও নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তাই তার পরিবারের অনুমতি নিয়েই এই কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকরা ওই মহিলার পেটের বাইরে পায়ের উপরের অংশে কিডনিটি রেখে রক্তনালীর সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হয়। তার পর তাকে তিনদিন ধরে পর্যবেক্ষণ করা হয়।
এই চিকিৎসকরা গত কয়েক দশক ধরেই পশুদেহ থেকে মানবদেহে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছিলেন। কিন্তু মূল সমস্যা ছিল, মানবদেহ যাতে তাৎক্ষণিকভাবে সেই অঙ্গ প্রত্যাখ্যান না করে, তা নিশ্চিত করা। এবার সেটাই করে দেখালেন তারা। তবে আজ থেকে নয়, অনেকদিন আগেই শুরু হয়েছিল এই প্রক্রিয়া।