ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

কমছে পেঁয়াজের ঝাঁজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১১:৪৬ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১৫, ২০২১

কমছে পেঁয়াজের ঝাঁজ

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য পেঁয়াজের দাম হঠাৎ করে বেড়ে গেলেও এখন আবার তা কমতে শুরু করেছে। পাইকারি ও খুচরা উভয় বাজারে ইতিমধ্যে পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৮ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। পুরান ঢাকার শ্যামবাজার পেঁয়াজের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার। এই বাজারে আজ ৫৫ টাকা কেজিতে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বুধবারের তুলনায় গতকাল কেজিপ্রতি ৮ টাকা কম ছিল। আর ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৩-৫৪ টাকা কেজিতে। এদিকে বাজার নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধের পর পেঁয়াজ ও চিনির দাম নিয়ন্ত্রণে শুল্ক কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।

চিনির নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক (আরডি) ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের স্বাক্ষর করা এ সংক্রান্ত দুটি পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

একই চিত্র দেখা গেছে কারওয়ান বাজারেও। ৫০-৫৫ টাকা পাইকারি দরে কেজিতে এই বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। দেশি সবচেয়ে ভালো পাবনার পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৫৫ টাকায়। আর ফরদিপুরের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৩-৫৪ টাকা কেজিতে। আর ভারতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল ৫০ টাকা কেজিতে। তবে খুচরা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৩ টাকা প্রতি কেজি।

গত ২০ দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছিল। ২০ দিন আগে প্রতি কেজি পেঁয়াজে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছিল খুচরা ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণেই পেঁয়াজের দাম বেড়েছে বলে অভিযোগ ভোক্তাদের। তারা বলছে, ভারতে বন্যার অজুহাতে পেঁয়াজ আমদানি করেও বাজারে বিক্রি কমিয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা। এ কারণে অব্যাহতভাবে বাড়ছে পণ্যটির দাম। তবে ব্যবসায়ীরা বলছে, ভারতে অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে পেঁয়াজের খেত নষ্ট হয়েছে। আর পূজার কারণে বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ। দেশের বাজারে এর প্রভাব পড়েছে।

শুল্ক কমল পেঁয়াজ-চিনির : বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে অনুরোধ জানানোর তিন দিনের মাথায় পেঁয়াজ ও চিনি আমদানির শুল্ক কমানো হলো।

গতকাল বৃহস্পতিবার থেকেই নতুন শুল্কহার কার্যকর হয়। চিনির নতুন শুল্কহার কার্যকর থাকবে আগামী বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। পেঁয়াজের নতুন শুল্কহার কার্যকর থাকবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। চিনির নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক (আরডি) ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে। এর আগে গত ১১ অক্টোবর পেঁয়াজের শুল্ক প্রত্যাহার, অপরিশোধিত সয়াবিন তেল, পাম তেল ও চিনির শুল্ক কমাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে অনুরোধ জানায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ওইদিন দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে নিত্যপণ্যের মজুদ, সরবরাহ, আমদানি, মূল্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে আয়োজিত সভায় এ অনুরোধ জানানো হয়।

টিসিবিতে পেঁয়াজ : পেঁয়াজের সঙ্গে অন্যান্য পণ্য (চিনি, সয়াবিন তেল ও মশুর ডাল) নিয়মিত বিক্রি করছে টিসিবি। টিসিবি ঢাকাতে ৮০ থেকে ৯৫টি ট্রাকের মাধ্যমে নিজেদের ট্রাকসেল কার্যক্রম চালাচ্ছে। টিসিবির মাধ্যমে ভারত ও তুরস্ক থেকে ১৫ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ এরই মধ্যে সংগ্রহ করা হয়েছে। যা থেকে বর্তমান বিক্রি কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ক্রয় করা আরও পেঁয়াজ সংগ্রহের জন্য পাইপ লাইনে রয়েছে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

 
Electronic Paper