ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

মানবতার সঙ্গী চার নারী

রোকেয়া ডেস্ক
🕐 ২:৫৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১

মানবতার সঙ্গী চার নারী

প্রধানমন্ত্রীসহ রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ পদের নারীর জয় জয়াকার। প্রশাসন ও সমাজের বিভিন্ন স্তরেও নিজ দক্ষতা ও যোগ্যতায় স্থান করে নিয়েছেন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী। নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় এমন চার নারী রয়েছেন। যারা বিভিন্নভাবে সেবা করে যাচ্ছেন মানুষের। হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন অসহায়দের প্রতি। শত বাধা পেরিয়ে এগিয়ে চলেছেন দেশ ও সমাজের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করতে। মহীয়সী এই চার নারীকে নিয়ে লিখেছেন মো. আকতার হোসেন। সম্পাদনা করেছেন সাইফ-উদ-দৌলা রুমী

শুক্লা সরকারের মানবতা
নারায়ণগঞ্জের ছোট একটি উপজেলা বন্দর। এ অঞ্চলের নৌপথে বন্দর হিসেবে বিখ্যাত এলাকাটি। উপজেলার প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করছেন শুক্লা সরকার। রংপুর শহরের অদূরে জন্ম নেওয়া শুক্লা সরকার ২০১৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর বন্দর উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। এরপর থেকে তিনি মানুষের মনে জায়গা করে নেন। সর্বস্তরের মানুষের কাছে তিনি একজন মানবিক ইউএনও থাকলেও কিছু কিছু মানুষের কাছে তিনি মমতাময়ী মা হিসেবে পরিচিত।

মুক্তিযোদ্ধার ওয়াজেদুল সরকার ও মাকসুদা সরকারের দুই মেয়ের মধ্যে বড় শুক্লা সরকার। তিনি ৩০তম বিসিএসে প্রশাসনিক ক্যাডারে নিয়োগ পান। শিক্ষা জীবন শুরু করেন রংপুরের একটি বেসরকারি স্কুল থেকে। পরে সরকারি স্কুল ও কলেজ, বিশ^দ্যিালয় শেষে বিসিএস দিয়ে প্রশাসনিক ক্যাডারে যোগদান করেন। ছোটবেলা থেকে মানুষের সেবা করার চিন্তা চেতনা মাথায় ঘোরপাক খাওয়া মেয়েটা এখন ইউএনও। প্রথমে সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পান। ২০১৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর বন্দর উপজেলায় যোগদান করার পর থেকে মানুষের মনে জায়গা করে নেন তিনি।

উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের কাছে তিনি একজন মানবিক ইউএনও হলেও কিছু কিছু মানুষের কাছে মমতাময়ী মা হিসেবে খেতাব পান শুক্লা সরকার। এই তো সেদিন ভোটার আইডি কার্ডে ভুলের কারণে ছয় বছর ধরে প্রয়াত এক স্কুল শিক্ষকের স্ত্রী পেনশনের টাকা উত্তোলন না করতে পেরে রাস্তায় ভিক্ষা করছিলেন। সাংবাদিকদের মুখে শুনে শুক্লা সরকার তার কার্যালয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর মায়া বেগমকে ডেকে নেন। সংশ্লিষ্ট সব দফতরে নিজে যোগাযোগ করে সমস্যা সমাধান করে পেনশন পাওয়ার বাধা দূর করার তাগিদ দেন। শুধু তাই নয় স্কুল শিক্ষকের কোনো সন্তান না থাকায় জীবিকা নির্বাহের জন্য নিজ উদ্যোগে একটি দোকান ও কেউ যদি দুই শতাংশ জমি দান করে সেখানে সরকারি খরচে একটি ঘর করে দেওয়ার আশ্বাস দেন শুক্লা সরকার।

করোনাকালে নিজের জীবন বাজি রেখে দিন-রাত নিরলস পরিশ্রম করে উপজেলার মানুষের কথা মাথায় রেখে বর্তমান সরকারের এক সহযোদ্ধা হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। সরকারের তহবিল থেকে আসা ত্রাণ নিজ উদ্যোগে মানুষের পৌঁছে না দিলে যেন তার রাতের ঘুম আসেই না। উপজেলা প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হয়েও চলাফেরা ছিল সাদামাটা।
লকডাউনে আটকে থাকা সুবিধাবঞ্চিত বেদে পল্লীর আবু-তাহের বলেন, ‘তিনি আমাগো জন্য দেবতার মতো, যেমন কইরা মায় সন্তানের খোঁজখবর লয় আমাগো লইগ্যা হে সেরম করতো! আমাগো মমতাময়ী মা তিনি।’

প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে যা যা করণীয় এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম সেলিম ওসমানের তহবিল থেকে আসা অনুদান সকলের মাঝে বিলিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন কাজ করেছেন তিনি। যেমন, উপজেলায় বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপন, বিশেষ পুনর্বাসন দেওয়া ৫৫ জন ভিক্ষুককে দোকান তৈরি করে নগদ অর্থ দিয়ে বিক্রির জন্য মালামাল বিতরণ ও যারা দোকান চালাতে অক্ষম তাদের ওয়েট মেশিন বিতরণ, উপজেলায় দুটি জীবাণুনাশক বুথ স্থাপন, উপজেলা চত্বরে শিশুপার্ক নির্মাণ ও পুকুরের মাঝখানে কফি হাউজ নির্মাণ, মহিলাদের জন্য নামাজের ঘর ও ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপন, অফিসার্স রুম ও অফিসার্স ক্লাব করা, প্রতিটা স্কুলে নামাজের স্থান ও ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার করা, পাঁচটি ইউনিয়নে একটি করে পশু জবাইখানা প্রকল্প হাতে নিয়েছেন, যাতে করে যেখানে সেখানে পশু জবাই না করা হয়। এছাড়াও জাপান সরকারের আওতাধীন বাংলাদেশ সরকারের মাধ্যমে ঋণ প্রধান করার জন্য ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ নেওয়া, মেয়েদের জন্য হাইজিন কর্নার নিয়ে কাজ করছেন তিনি।

গরিব অসহায় মানুষের মাঝে গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি বিতরণসহ নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন শুক্লা সরকার। সর্বশেষে আশ্রয়হীনদের জন্য বরাদ্দকৃত দুই শতাংশ জায়গা, ঘরের চাবি ও দলিল বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি।

নিজে যখন করোনা আক্রান্ত হন তখন তার পাশে দাঁড়ান সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের সহধর্মিণী নাসরিন ওসমান। প্রতিটি মসজিদে মসজিদে তার জন্য বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়। মানুষের এই ভালোবাসা ভুলতে পারবেন না বলে জানান শুক্লা সরকার। উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের ভালোবাসার জন্যও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

গরিবের বেগম রোকেয়া
নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলার অন্যতম ইউনিয়ন পরিষদ মুছাপুর। ঐতিহ্যবাহী কাজী পরিবারের বড় মেয়ে কাজী মো. গিয়াস উদ্দীনের ঘরে জন্ম নেন মহীয়সী নারী নার্গিস মকসুদ। বুঝে ওঠার পর থেকেই দেখেন তার দাদা হাজী মোহাম্মদ নুরুল হক কাজী (যিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর অন্যতম সহচর) বন্দর উপজেলার মুছাপুর ও ধামগড় ইউনিয়নে মানুষের সুখ-দুঃখের সঙ্গী ছিলেন যিনি। সেই পরিবারে বেড়ে ওঠা মেয়েটি এখন গরিবের বেগম রোকেয়া নামে পরিচিত।

স্কুল জীবন থেকে অসহায় মানুষের পাশে থাকতেন। আজও চলছে তার এই সহানুভূতি। সম্ভ্রান্ত পরিবারের গৃহিণী তিনি। শুধু তাই নয় একজন দায়িত্বশীল মা তিনি। কত অসহায় পরিবারের মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন তিনি, বস্ত্রহীনকে দিয়েছেন বস্ত্র, চিকিৎসার জন্য এসে ফিরে যাননি কোনো অসহায় মানুষ। তার অনেক নজির আছে এই ইউনিয়নে।

কত হিন্দু মেয়েকে নিজ হাতে করেছেন সু-পাত্রে দান। এই তো সেদিন মরণব্যাধি ক্যান্সার আক্রান্ত এক যুবককে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছেন। চিকিৎসার দায়ভার নিয়েছেন তিনি। গাইনী সমস্যায় এক প্রসূতি মায়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। তাকে নিজ থেকে দিয়েছেন নগদ অর্থ। নিয়েছেন চিকিৎসার ভার দিয়েছেন এক মাসের খাবার।

ইউনিয়নের মানুষ ছাড়াও বেদপল্লীর অসহায় শিশুদের লেখাপড়ার জন্য তার ভূমিকা রয়েছে। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন এই মহীয়সী নারী। ব্যাডমিন্টন, ফুটবল, ক্রিকেটে তার কাছ থেকে অনুদান পাননি এমন যুবক পাওয়া বাহুল্য।
একজন নারী-উদ্যোক্তা হিসেবে তিনি সুপরিচিত। প্রথমে শখের বশে গরু পালন শুরু করে এখন তিনি সফল ব্যবসায়ী। ছাগল, হাঁস, মুরগি পালনসহ পিছিয়ে নেই সবজি চাষি হিসেবে। নিজেদের চাহিদা পূরণ করে মেটাচ্ছেন এলাকার মানুষের চাহিদা। কর্মসংস্থান করেছেন এলাকার কিছু অসহায় মানুষের।

নার্গিস মকসুদ বলেন, ‘আমার দাদা ও বাবার অনুপ্রেরণায় আমি যতটুকু করেছি তার চাইতে বেশি উৎসাহ পাই আমার স্বামীর কাছ থেকে। তিনি আমায় শিখিয়েছেন কীভাবে মানুষের দ্বারে পৌঁছানো যায়, কাজ করা যায় অসহায় মানুষের হয়ে, ভালোবাসা পেতে হয় কী করে। আমি মরার আগ পর্যন্ত এভাবে মানুষের পাশে থাকতে চাই। বেঁচে থাকতে চাই মানুষের মনের মণিকোঠায়।’

মানবিক মেম্বার
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের মানবিক মেম্বার নামে পরিচিত সখিনা বেগম। ২০১১ সালের নির্বাচনের পর থেকেই কাজ করে যাচ্ছের জনগণের সেবায়। যিনি কিনা নিজের অর্থে দিচ্ছেন নারী শিক্ষা ও চিকিৎসাসেবা।

ইউপি সদস্য হয়ে প্রায় ৫০টির মতো সেলাই মেশিন দিয়েছেন নিজ ওয়ার্ডগুলোতে। বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, গর্ভবতীদের জন্য গর্ভকালীন ভাতা, বাল্যবিয়ে বন্ধ, আরসিসি ঢালাই, রাস্তায় ইট বসানো, রাস্তা মেরামতসহ নতুন পুরাতন করেছেন প্রায় ৩০টির মতো রাস্তার কাজ।

শুধু তাই নয় মোবাইল গেমস থেকে দূরে রাখার জন্য শিশু-কিশোরকে দিয়েছেন ব্যাট, বল উপহার। এমনকি মেয়েদের পড়াশোনার ফাঁকে গ্রাম্য খেলার ওপর মনোনিবেশ করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে। বাল্যবিয়ে বন্ধের লক্ষ্যে ইউনিয়নের ওয়ার্ডগুলোতে করে যাচ্ছেন সচেতনমূলক সভা।

১৯৯০ সালে এসএসসি পরীক্ষার পর একজন গৃহিণী, একজন মা হিসেবে তার পরিবারে আকাশ ছোঁয়া সম্মান।

ঠিক তেমনি তার ওয়ার্ডগুলোতে রয়েছে সম্মান। তাকে এলাকায় বলা হয় একজন মানবিক মেম্বার। তিনি যেন অসহায়দের আস্থার প্রতীক।

এই তো সেদিন একজন হিন্দু থেকে মুসলমান হওয়া যুবক সড়ক দুর্ঘটনায় পা জখম হয়। মুসলমান হওয়ার পর আপন বলতে কেউ পাশে না থাকায় চিকিৎসার অভাবে ধুঁকে ধুঁকে মরছিলেন সেই যুবক।

ঠিক তেমন সময় পাশে এসে দাঁড়ান মানবিক মেম্বার। নিজের অর্থসহ উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছ থেকে কিছু অর্থ নিয়ে পঙ্গু হাসপাতালে সিনিয়র অর্থোপেডিক সার্জন দিয়ে প্রায় চার লাখ টাকা খরচ করে অপারেশন করান। সুস্থতার জন্য ওষুধ কিনে দেন মানবিক মেম্বার।

সেই যুবক বলেন, ‘তিনি আমার কাছে একজন মানবিক মেম্বার না, তিনি আমার কাছে আমার মা, তিনি আমার ফেরেস্তা, আমি দোয়া করি আল্লাহ যেন তাকে দীর্ঘজীবী করেন।’

তার এই উদারতা ও মানসিকতা দেখে বন্দর উপজেলা চত্বরে বেগম রোকেয়া দিবসে তিনি আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন পতিরোধ পক্ষ বেগম রোকেয়া জয়িতা পুরস্কারে ভূষিত হন।

এ বিষয়ে সখিনা বেগম বলেন, ‘আমার তেমন টাকা নেই। কিন্তু মনটা আছে। এতটুকু জীবনে মানুষের পাশে থেকেছি। কাছ থেকে পেয়েছি অনেক ভালোবাসা। বাকি জীবনটা আমি যেন এভাবে মানুষের পাশে কাটাতে পারি, এটা আমার শেষ ইচ্ছা।’

উদ্যোক্তা মরিয়ম আক্তার
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার একজন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা মরিয়ম আক্তার। যিনি তার কর্মদক্ষতা দিয়ে এগিয়ে নিতে চান সমাজ ও দেশকে। স্বল্প পুঁজিতে এগিয়ে যাচ্ছে মরিয়ম আক্তার। অনেক বাধা বিপত্তি কাটিয়ে আজকের এই দিনের অপেক্ষায় ছিলেন তিনি।
২০০৩ সালে ন্যাশনাল ফ্যান ও টিভি কারখানায় মহিলা কর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি।

মাঝে বিয়ে, সন্তান ও সংসার। তারপর নিজে কিছু করার চেষ্টা। যত দিন যায় তত পরিশ্রম। একপর্যায়ে বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ মাকসুদ হোসেনের নজরে আসেন এই নারী উদ্যোক্তা, পরে ডেকে পাঠান তাকে পরিষদে। শোনেন তার জীবন কাহিনি, মুগ্ধ হন চেয়ারম্যান। তাকে আশ্বাস দেন কিছু করবেন তার জন্য। পরে নিয়ে যান নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম সেলিম ওসমানের কাছে।

তার কাজ দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন তিনি।

ছয়জন শিক্ষানবিশ অবহেলিত নারী নিয়ে শুরু হয় তার জীবন বদলানোর আরেক ধাপ। বর্তমানে ১৫ জন নারী কাজ করেন মরিয়মের কারখানায়। পুরান ঢাকার কাপ্তান বাজারে রয়েছে মরিয়মের স্বামীর পাইকারি দোকান। এলইডি ব্লাপ, সাউন্ড সিস্টেমসহ শ’খানেক পণ্য নিয়ে কাজ করছেন মরিয়ম আক্তার। নিজে হয়েছেন স্বাবলম্বী এবং ১৫টি পরিবার এখন স্বাবলম্বী হওয়ার পথে।

মরিয়ম আক্তার বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য আমার পিতার সমতুল্য। তিনি আমাকে যে সহযোগিতা করেছেন এটা ভোলার নয়। এখনো করছেন তিনি। তিনি আমাকে দিয়েছেন সন্তানের মর্যাদা।’

করোনাকালে যদিও ব্যবসা ভালো না তারপরও আশার আলো দেখছেন মরিয়ম।

তিনি বলেন, ‘আমাদের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন আমায় এই পথচলার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। আমার স্বামী আমাকে শক্তহাতে কিভাবে হাল ধরতে হয় তা শিখিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রীর কছে আমার চাওয়া, আমার মতো মরিয়মদের দিকে যদি সুদৃষ্টি দেয় তাহলে আমরা এই দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতে দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে পারব। তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে মধ্য আয়ের দেশ করেছেন তিনি। আমরা তার হাতকে আরও শক্তিশালী করব।’

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টেকনিক্যাল বিভাগ চালু করা দরকার। দেশে শিক্ষিত যুবকরা কর্মহীন হয়ে পড়েছে। সরকার অব্যাহত রাখছে সুদবিহীন ঋণ। এটা আরও বেগবান করা দরকার। আমার উপজেলায় যদি কেউ আমার এখানে কাজ শেখার জন্য আসে আমি তাকে সাদরে গ্রহণ করব। কিন্তু আমার সাধ্য নেই বেতন দিয়ে কাজ করানো।

হ্যাঁ, আমার যা জানা তা শিখিয়ে দেওয়া সম্ভব। উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান জানাই বেকার তরুণ-তরুণীদের। ‘উদ্যোক্তা হন দেশ পরিবর্তনে বিপ্লব ঘটান’ স্লোগান মনের ভিতরে লালন করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’

 

 
Electronic Paper