ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

আখ চাষে স্বপ্ন বুনছে কৃষক

সোহাগ মামুন, ডোমার (নীলফামারী)
🕐 ৬:০১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২১

আখ চাষে স্বপ্ন বুনছে কৃষক

আখ বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রধান অর্থকরী ফসল। চিনি ও গুড় তৈরির অন্যতম ফসল আখ। আখের বাম্পার ফলনে ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার আখ চাষিদের। অল্প খরচে বেশি লাভবান হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে আখের চাষ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও ঠিকমত পরিচর্যার ফলে এবছর আখের উৎপাদন কয়েকগুণ।

ভালো ফলন হওয়ায় খুশি চাষিরা। রোগবালাই কম ও লাভজনক হওয়ায় আখ চাষে স্বপ্ন বুনছে কৃষক। একর প্রতি আখ প্রায় আড়াই লক্ষাধিক টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে। আখ চাষে একর প্রতি ব্যয় হয় পঞ্চাশ থেকে ষাট হাজার টাকা। একরে লাভ হয় প্রায় দেড় থেকে দুই লক্ষাধিক টাকা।

আখ চাষের সঙ্গে অন্যান্য সবজি জাতীয় ফসল চাষ করার সুযোগ থাকায় চাষিদের মাঝে আখের চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিগত বছরের চেয়ে এবছর আখের চাষ বেড়েছে কয়েকগুণ। ব্যবসায়ীরা চাষিদের কাছ থেকে পাইকারিভাবে আখ ক্রয় করে বিভিন্ন হাট বাজারে বিক্রি করেন। এছাড়াও আখ স্থানীয় মানুষের চাহিদা পূরণ করে দেশের বিভিন্ন জেলায় যায়।

আখচাষি নুর ইসলাম বলেন, আমাদের এদিকে কয়েক জাতের আখ চাষ করা হয়। যেমন, গেন্ডারি, হাইব্রিড, ইশ্বরদি, দেশি আখ ইত্যাদি। চিবিয়ে খাওয়ার আখের চাহিদা বেশি। আখ চাষে তেমন খরচ হয় না তবে পরিচর্যার কমতি করা যাবে না।

আখচাষি লিটন মিয়া জানান, গেন্ডারি ও ইশ্বরদি আখ খুব সহজে চাষ করা যায়।

এ জাতীয় আখে রোগবালাই কম হয়। কিন্তু হাইব্রিড (লাল জাতীয়) আখের রোগের আক্রমণ বেশি হওয়ায় এ জাতীয় আখ কম চাষ করে চাষি। তবে এখন বিভিন্ন কীটনাশক, ছত্রাকনাশক স্প্রে করে ভালো ফলাফল পাওয়ায় এ জাতীয় আখের চাষ দিন দিন বাড়ছে।

পেয়ারুল ইসলাম জানান, হাইব্রিড জাতীয় আখ প্রতিপিস আট থেকে দশ টাকা বিক্রি করা হয়। একশ’ আখের দাম পাইকারি বিক্রি করা হয় ৮শ’ থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত। এ জাতের আখ আগাম চাষ হয়, তাই বেশি দামে বিক্রি হয়।

আখচাষি নজরুল ইসলাম বলেন, গত বছর আমি এক বিঘা জমিতে আখ চাষ করেছি। ফলন ভালো হওয়ায় এবার আমি তিন বিঘা জমিতে আখ চাষ করেছি। এবারো লাভের আশা করছি। বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকাররা আসছে ভালো দামে আখ বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার বেশি লাভের আশা করছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আনিছুজ্জামান জানান, এবার উপজেলায় ১৩ হেক্টর জমিতে ইশ্বরদি জাতের আখ চাষ করা হয়েছে। অন্যান্য জাতের আখ আরও ২-৩ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করা হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকায় এবার আখের ফলন ভালো হয়েছে। তবে আখ চাষিদের কৃষি দফতর থেকে শুধু পরামর্শ দেওয়া হয়।

 

 
Electronic Paper