সৌন্দর্য হারাচ্ছে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন (ভিডিও)
সুনান বিন মাহাবুব, পটুয়াখালী
🕐 ৫:১৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২১
দক্ষিনাঞ্চলের মুসলিম স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন মজিদবাড়িয়া শাহী জামে মসজিদ সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারের অভাবে হুমকির মুখে পড়েছে। পটুয়াখালী জেলা শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং বরগুনা জেলা শহর থেকে ১২ কিলোমিটার পূর্বে মির্জাগঞ্জ উপজেলার মজিদবাড়িয়ায় মসজিদটির অবস্থান।
তবে দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় মসজিদের বাইরের ও ভেতরের দেয়ালে অলংকরণ খচিত পোড়ামাটির ফলকগুলো খসে পড়ছে। দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ না নিলে ৫৫০ বছরের পুরনো এ প্রতœতাত্ত্বিক মসজিদ ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা কঠিন হয়ে পড়বে। বর্তমানে মসজিদটি প্রতœতত্ত্ব বিভাগের আওতায় রয়েছে। সংস্কারের অভাবে মসজিদের অনেক সৌন্দর্য হারিয়ে যাচ্ছে।
জানা যায়, ইলিয়াছ শাহী বংশের এক স্বাধীন সুলতান ছিলেন রুকনদ্দিন বরবক। তিনি ১৪৪৯ থেকে ১৪৭৪ সাল পর্যন্ত বৃহত্তম বাংলার শাসনকর্তা ছিলেন। তার শাসনামলে ১৪৬৫ সালে নির্মিত হয় দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ঐতিহাসিক মজিদবাড়িয়া শাহী মসজিদ।
তখনকার সময়ে উজিয়ল খান নামে এক মিস্ত্রি মসজিদটির নির্মাণকাজ করেন। ১৯৬০ সালে ভূমি জরিপের সময় বনজঙ্গল পরিষ্কার করায় মসজিদটি মানুষের নজরে আসে। তখন থেকেই মানুষের মাঝে কৌতুহর সৃষ্টি হয়। এখনও স্থানীয়রা মনে করেন এটি মাটি ফুড়ে উঠে এসেছে।
সরেজমিন দেখা যায়, মসজিদে কারুকার্য খচিত মেহরাব, প্রবেশ পথ, উত্তর ও দক্ষিণ দিকে দুটি করে চারটি জানালা রয়েছে। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে বর্তমানে দরজা-জানালার কপাট ও কারুকার্য খচিত দেয়ালের অস্তিত্ব ধ্বংসের পর্যায় পৌঁছেছে।
মসজিদের দেয়াল ও গম্বুজের ওপর ঘাস-লতাপাতা জন্মেছে এবং বিভিন্ন স্থানে শ্যাওলা ধরে গেছে।
শাহী মসজিদের ইমাম মাওলানা ইব্রাহীম জানান, এই মসজিদ দেখতে বহু দর্শনার্থী মজিদবাড়িয়া গ্রামে আসেন। কিন্তু বর্তমানে মসজিদটি সংস্কারের অভাবে ধ্বংসের দারপ্রান্তে পৌঁছেছে। দ্রুত সংস্কার না করলে মসজিদে নামাজ আদায় কষ্টসাধ্য হয়ে পরবে।
স্থানীয় বাসিন্দা মোস্তফা সিকদার বলেন, এখানে শত শত মানুষ আসেন। কিন্তু বর্তমানে সংস্কারের অভাবে মসজিদটি সৌন্দর্য হারাচ্ছে।