ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

জয়ের পথে পুতিনের ইউনাইটেড রাশিয়া পার্টি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
🕐 ৪:৪৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২১

জয়ের পথে পুতিনের ইউনাইটেড রাশিয়া পার্টি

সমর্থন কমে গেলেও প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ইউনাইটেড রাশিয়া পার্টি দেশটির পার্লামেন্ট নির্বাচনে আরেক দফা বড় বিজয়ের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। রবিবার সন্ধ্যায় ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই দলটি জয় পেয়েছে বলে দাবি করে।

পুতিনের বিরুদ্ধে সবচেয়ে সোচ্চার সমালোচকদের এই নির্বাচনে অংশ নিতে দেয়া হয়নি এবং যে প্রার্থীরা এই নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন তাদের ব্যাপকভাবে যাচাই-বাছাই করা হয়েছিল। নির্বাচনকে ঘিরে ব্যালট বাক্সে আগেই ভর্তি করে রাখা এবং জোরপূর্বক ভোট দেওয়ার অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু রাশিয়ার নির্বাচন কমিশন ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।

প্রাথমিক ফলাফল দেখা যায় যে, এ পর্যন্ত যে ৬৪% ভোট গণনা করা হয়েছে তাতে পুতিনের ইউনাইটেড রাশিয়া প্রায় ৪৮ শতাংশ ভোট পেয়েছে। তার তার পরেই রয়েছে কমিউনিস্ট পার্টি যারা প্রায় ২১ শতাংশ ভোট পেয়েছে।
রবিবার রাতে, ইউনাইটেড রাশিয়া পার্টির একজন শীর্ষ কর্মকর্তা আন্দ্রেই তুর্চাক মস্কোতে সমবেত সমর্থকদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি সেখানে বলেছেন স্টেট দুমা'র সাড়ে চারশো আসনের মধ্যে তিনশটিতে জিতছেন তারা।

আংশিক ফলে দেখা যায় যে, পার্লামেন্টে পুতিনের দল সহজেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখলেও এটি কিছুটা দখল হারিয়েছে। ২০১৬ সালের নির্বাচনে দলটি ৫৪% ভোট পেয়েছিল। পার্লামেন্টে কমিউনিস্টরা যারা পুতিনের উদ্যোগকে ব্যাপকভাবে সমর্থন করে, তাদের সমর্থন ৮% বেড়েছে। কিন্তু বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেস-এর তথ্য অনুযায়ী, দলটির নেতা গেনাডি জিউগানভ ব্যালট বাক্স ভর্তিসহ ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন।

ধারণা করা হচ্ছে যে, কারাগারে থাকা ক্রেমলিনের সমালোচক আলেক্সেই নাভালনির জীবনযাত্রার মান এবং দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে উদ্বেগ সম্ভবত পুতিনের দলের সমর্থনকে প্রভাবিত করেছে। তবে পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো এবং জাতীয় গৌরব পুনরুদ্ধারের জন্য রাশিয়ার অনেক নাগরিকের কাছে তিনি এখনো জনপ্রিয়।
এই নির্বাচনে অনেক শহরে ইলেকট্রনিক ভোটিং ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।

১৯৯৩ সালের পর প্রথমবারের মতো রুশ কর্তৃপক্ষের জারি করা কঠোর নিয়মকানুনের কারণে অর্গানাইজেশন ফর সিকিউরিটি অ্যান্ড কো-অপারেশন ইন ইউরোপ বা ওএসসিই এর কোনো নির্বাচন পর্যবেক্ষক উপস্থিত ছিলেন না। রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত, গোলোস নামে স্বাধীন ভোট পর্যবেক্ষণ গ্রুপ যা রুশ কর্তৃপক্ষ "বিদেশি এজেন্ট" হিসেবে চিহ্নিত করেছে, তারা জানিয়েছে যে, তারা ভোটে অনিয়মের সাড়ে চার হাজারেরও বেশি অভিযোগ শনাক্ত করেছে।

এদিকে রাশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সাংবাদিকদের বলেছে যে, তারা কোনো "উল্লেখযোগ্য অনিয়মের" অভিযোগ পাননি।

সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে নির্বাচনের সময় ভোট কেন্দ্রের বাইরে দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স জানিয়েছে যে, বিশেষ করে থানার বাইরে এই ধরনের ঘটনা দেখা গেছে। এ সম্পর্কিত অভিযোগে বলা হচ্ছে যে, মানুষকে জোর করে ভোট দিতে বাধ্য করা হয়েছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র। কিন্তু রুশ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ও ভোটাধিকার বিষয়ক সংস্থা গোলোস বলেছে যে, তারা মানুষের কাছ থেকে "অসংখ্য বার্তা" পেয়েছে যেখানে তারা অভিযোগ করেছে যে, তাদের নিয়োগকর্তারা ভোট দিতে বাধ্য করছে এবং নির্বাচনে জালিয়াতিও হয়েছে।

রুশ-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রিত পূর্ব ইউক্রেনের কিছু অংশে, রাশিয়ার নাগরিকত্ব রয়েছে এমন অধিবাসীদের ভোট দেওয়ার অনুমতি পেয়েছে। কেউ কেউ সীমান্ত অতিক্রম করে রাশিয়ার ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোটও দিয়েছেন। খবর বিবিসি বাংলা। 

 
Electronic Paper